সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় নারী পাচার (women traffickers), নতুন কিছু নয়। কাজের টোপে অন্ধকার কানাগলিতে মিশে গেছে বহু মেয়ে। কিছু ফিরে আসলেও অধিকাংশরই আলোয় ফেরা আর হয়নি। সহজ সরল মেয়েদের টোপ দিয়ে তুলে নিয়ে যেত এমন অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করে ডায়মন্ড হারবার ফাস্টট্র্যাক থার্ড কোর্ট (Diamond Harbor Fasttrack Third Court)। ২ জনের ১০ বছর ও ১ জনের ৭ বছরের জেল ঘোষণা করেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মথুরাপুরের এক তরুণীকে চাকরি ও প্রেমের প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর গাজিয়াবাদের এক যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই পল্লীতে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করানো হত। পরবর্তী সময়ে পুলিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তরুণী সহ বাংলার ৫ মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ বছর ধরে চলে সেই মামলা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা হল মিনা সিং, মুসলিমা বিবি ওরফে পিঙ্কি, ফারুক আলি গায়েন। বিচারক মিনা সিং ও ফারুক আলি গায়েনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। আর পিঙ্কিকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ঘটনার পরে তো বটেই, ঘটনার আগেই যদি পুলিসের নজরদারি কড়া হয়, তাহলে হয়ত অন্ধকার থেকে বাঁচতে পারে বহু মেয়ে।