
পক্ষে ৪৫৪ আর বিপক্ষে ২, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থনে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পর চাক দে ইন্ডিয়া বলা যেতেই পারে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল লোকসভায় নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেন। যদিও বিল পেশের আগে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল। বুধবার দুপুরে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বিলে সমর্থন আছে, ঘোষণা করেন লোকসভায়। এই বিলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় শাসক-বিরোধী পক্ষ। প্রায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিতর্ক। অবশেষে গোপন ভোটাভুটিতে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩-এর পক্ষে পড়েছ ৪৫৪টি ভোট আর সংশোধনী চেয়ে বিপক্ষে পড়েছে মাত্র দুটি ভোট। এরপর রাজ্যসভায় এই বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতি অনুমোদন মিললেই লোকসভা এবং দেশের বিধানসভাগুলোতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই বিলের উপর আলোচনা সংসদের নির্ধারিত সময়ের পরেও চলেছে। যা দেখে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে সংকল্পবদ্ধ ছিল সংসদের নিম্নকক্ষ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর লোকসভা সম্পূর্ণ সমর্থন উজাড় করে দিয়েছে এই বিলের পক্ষে, এমনটাই মানছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটাভুটির পর ফল প্রকাশে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও বলেন লোকসভায় উপস্থিত সাংসদদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেয়েছে এই বিল।
এদিকে, কঙ্গনা রানাউত, জয়া বচ্চনের পর এবার এমসি মেরি কম। অলিম্পিকে পদকজয়ী এই বক্সারও মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষেই বললেন। খুব ভালো লাগছে, মহিলারা আরও বেশি সংরক্ষণ পেয়ে এগিয়ে যাক। এরম একটা ঘটনায় আমন্ত্রিত হয়ে আমিও সম্মানিত, জানান মেরি কম। নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের মত, আমি গলা তুলেছিলাম, চিত্কার করতে নয়। বরং যাতে আমার গলা শোনা যায় তাই। আমরা কখনই সাফল্য পাবো না, যখন আমাদের অর্ধেককে পিছু টেনে রাখা হবে। এবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-ও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যখন নারী স্বশক্তিকরণে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্ট অফ ইন্ডিয়ার নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা। আদতেই চাক দে ইন্ডিয়া।