এক মহিলা ও অটোচালককে হেলমেট দিয়ে মারধরের (Beaten) অভিযোগ কমল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মহিলা ওই ব্যক্তির বাইকে চাপতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে এভাবে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামে (Gurugram Incident), এমন ঘটনার একটি সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়ানো একটি অটোর সামনে বাইক নিয়ে এসে দাঁড়ান অভিযুক্ত। অটোয় বসা এক মহিলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিছুক্ষণ কথা বলার পর মহিলা অটো থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। তারপরই বাইকচালক দ্রুতগতিতে অটোর পিছনে বাইকটিকে রেখে মহিলার দিকে এগিয়ে যান। সেখানেও দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হঠাতই ওই ব্যক্তি মাথা থেকে হেলমেট খুলে মহিলার মাথা ও মুখ লক্ষ্য করে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। এই ঘটনা দেখে অটোচালক মহিলাকে বাঁচাতে যান। তাঁকেও মারধর করেন ওই ব্যক্তি। রাস্তায় ওই মহিলার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকেজন চলে আসেন। তারপর দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে গুরুগ্রামের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) মনোজ কে বলেন, “এক মহিলাকে হেলমেট দিয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মহিলা ওই ব্যক্তির বাইকে চাপতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।”
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম কমল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সৌমেন সুর: একটি নারী অনন্ত শক্তির অধিকারিণী। নারী এক অসীম, অনন্ত শক্তির আধার। প্রত্যেক নারীর মধ্যে স্নেহ, মায়া, মমতা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, স্বার্থপরতার সঙ্গে একটা অনন্য গুণাবলী সহাবস্থান করে। সব অগোছালো জঞ্জাল, পাঁক সরিয়ে এক সুন্দর সমাজ, সংসার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নারীর মধ্যে বিদ্যমান। নারীর মধ্যে যে শক্তির অন্তঃসলিলা গঙ্গা প্রবাহিত হয়ে চলেছে সৃষ্টির আদিকাল থেকে, সেকথা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, জেনেছি পড়েছি পুরাণে ইতিহাসে। মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব, দেবতারা যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময় আবির্ভূত হলেন এক মহাশক্তি। সেই মহাশক্তি অসীম পরাক্রমশালী দেবী দুর্গা। এই দুর্গাই পরাজিত করেন মহিষাসুরকে।
অরুন্ধতি ভট্টাচার্য। চড়াই-উতরাই নিয়ে তাঁর জীবন কাহিনী। শিক্ষা সমাপ্ত করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ফিনান্স ম্যানেজারের আসনে যোগদান আশির দশকে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর উত্থান। ধাপে ধাপে এমডি থেকে হলেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ২০১৬ আলে ফোর্বস তাঁকে সবচেয়ে শক্তিশালী ২৫ মহিলার তালিকাভুক্ত করে সম্মানিত করে। এশিয়া প্যাসিফিক অরুন্ধতী ভট্টাচার্যকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মহিলারূপে মনোনীত করে অনন্য সম্মান দেন। ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টু ডে ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের ৫০ জন শক্তিশালী মহিলার একজন বলে শিরোপা দেন। ভারতবর্ষ তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্ব বিরল।
যা নারী শক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রথমে বাঙালি তারপর ভারতীয় হিসেবে অরুন্ধতী ভট্টাচার্য আমাদের গর্ব।
মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police) সাফল্য, কৃতিত্ব, কাজের প্রশংসা সর্বত্র। অনেক অসাধ্য সাধন করেছেন তারা। মহিলাদের নিরাপত্তা (Women Safety) সুনিশ্চিত করতে আবারও এক পদক্ষেপ নিল মুম্বই পুলিস। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য নির্ভয়া দল (Nirbhaya Squad) তৈরি করেছিল তারা। এবার সেই দলের জন্যই আরও কিছু নতুন বিধি (New Protocol) সংযোজিত করেন মুম্বই পুলিস আধিকারিকরা। বলা হয়েছে, শহরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে কিউআর কোডের ব্যবস্থা করা হবে। নির্ভয়া দলের কর্তব্যরত সদস্যরা কোডটি ফোন থেকে স্ক্যান করে তাদের টহলদারি ভ্যানের অবস্থান-সহ অন্যান্য যাবতীয় তথ্য সরাসরি মুম্বই পুলিসকে জানাতে পারবেন।
কিছুদিন আগে এক কোরিয়ান মহিলা ভ্লগারের শ্লীলতাহানি অভিযোগ ওঠে বানিজ্য নগরীতে। এরপরই পুলিস নড়েচড়ে বসে, গ্রেফতার হয় অভিযুক্তরা। পাশাপাশি নতুন পদক্ষেপ নেয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়োগ করা হয় নির্ভয়া দলের সদস্যদের। মহিলারা যেখানেই বিপদে পড়বেন, সেখানেই সাহায্য যাতে পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করেন। এই কোডগুলির সাহায্যে নির্ভয়া দল আরও তৎপরতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে এমন আশা মুম্বই পুলিসের।
উল্লেখ্য, মুম্বই পুলিস জানায়, নির্ভয়া দলে ১ জন মহিলা পুলিস, ২ জন কনস্টেবল এবং এক জন গাড়িচালক থাকবেন মহিলাদের সুরক্ষার জন্য। কিন্তু এই নয়া নিয়ম নিয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু বলেনি মুম্বই পুলিস।
সৌমেন সুর: 'নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার/কেহ নাহি দিবে অধিকার/হে বিধাতা?' শুধু কাব্য বা কবিতায় নয়, রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প ও উপন্যাসে নারীর স্থান হয়েছে উচ্চ আসনে। ধ্বনিত হয়েছে নারীশক্তির জয়গান। প্রথম পর্বের পর...
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম নারী চরিত্রগুলো হল আয়েশা, শৈবালিনী, কপালকুন্ডলা, কুন্দনন্দিনী, রোহিণী প্রভৃতি। প্রতিটি নারী চরিত্র পৃথক ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী। বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টি ছিল নীতিশাসিত। তিনি সমসাময়িক কালে নারীদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ 'কৃষ্ণকান্তের উইল'উপন্যাসের ভ্রমরের চরিত্র। ভ্রমরের যেমন স্বামীপ্রেম, স্বামী নির্ভরতা যেমন অতীব সুন্দর। তেমনই স্বামীর বিশ্বাসহীনতা তাঁকে অভিমানের কঠোর আচ্ছাদনে বেষ্টন করে। ভ্রমর তীব্র প্রতিবাদ জানায় স্বামীকে লেখা এক পত্রে। 'তোমার প্রতি বিশ্বাস আমার অনন্ত। আমিও জানিতাম। কিন্তু এখন বুঝিলাম তাহা নহে। যতদিন তুমি ভক্তির যোগ্য ততদিন আমারও ভক্তি। যতদিন তুমি বিশ্বাসী, ততদিন আমারও বিশ্বাস। এখন তোমার উপর আমার ভক্তি নাই, বিশ্বাসও নাই। এখন তোমার দর্শনে আমার কোনও সুখ নাই।'
পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যে নারী চরিত্র স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অগ্রগণ্য। তাঁর রচিত পুতুল নাচের 'ইতিকথা'র কুসুম চরিত্র এবং পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের কপিলার মতো জটিল নারী চরিত্র বাংলা সাহিত্যে বোধ হয় সৃষ্টি হয়নি। কপিলা স্বামীর ঘর সহজে পায়নি। কিন্তু যখন সে পেলো, তখন পূর্বতন প্রেম তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। অবশেষে কুবেরের সঙ্গে কপিলা দু'জনে এক অজানা দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
আধুনিক প্রজন্মের লেখকরা নারীর সুখ দুঃখ চাওয়া পাওয়াকে সমর্থন করে নারীকে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এতে নারী জয়গান ঘোষিত হচ্ছে। আগামি দিনের সাহিত্যে এর নিট ফল সুন্দর।
সৌমেন সুর: চৌকিদার হবে একজন মহিলা! শুনতে খটকা লাগছে না? এতদিন শুনেছি চৌকিদার সাধারণত হয়ে থাকে একজন পুরুষ। কিন্তু ঘটনাটা সত্যি সত্যি ঘটেছে। কিন্তু মহিলা চৌকিদার, অসম্ভব! স্বাস্থ্যবতী বিধবা মহিলা কোলে একটা শিশু নিয়ে অসহায় অবস্থায় গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে শহরে এসে পুলিস দফতরে দরখাস্ত জমা দেয়। দরখাস্ত দেখে পুলিস দফতর হেসে কুটোকুটি। একজন মহিলা হবে চৌকিদার! সবাই তাচ্ছিল্য করতে থাকে।
একদা বর্ধমান জেলার কালনা বিভাগের মধ্যে আবাদী দুর্গাপুর নামে ছোট একটি গ্রাম। মুসলিম এবং নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের বাস এই গ্রামে। বৈকুণ্ঠ সর্দার হলেন এই গ্রামের চৌকিদার। দ্রবময়ী হলেন বৈকুণ্ঠের স্ত্রী। বৈকুণ্ঠ তাঁর স্ত্রীকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে খুব জোরদার লাঠিখেলা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। কখনও বৈকুণ্ঠের শরীর খারাপ হলে দ্রবময়ী গ্রাম পাহারা দিতেন। একথা গোটা গ্রাম জানত, কিন্তু কখনও পুলিসের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায়নি। একদিন হঠাৎ বৈকুণ্ঠ এক অজানা অসুখে মারা যান। দ্রবময়ী অথৈ জলে পড়েন। কী করে সংসার চলবে? বাবা মা, একটা ছোট শিশু নিয়ে সংসার! মনকে প্রস্তুত করেন, চৌকিদারের কাজ তাঁর চাই-ই চাই।
পুলিসের বড় সাহেব দ্রবময়ীকে অন্যদের মতো হাসির পাত্র না করে, বর্ধমান পুলিসের বড় সাহেবের কাছে দরখাস্ত সমেত দ্রবময়ীকে পাঠিয়ে দেন। বড় সাহেব একটু চিন্তায় পড়লেন, চৌকিদারের কাজে মহিলা নিয়োগ কী করে করবেন। এই চাকরিতে লাঠি খেলায় চোস্ত হতে হবে। একটা পরীক্ষা করে দেখা যাক, লাঠিখেলায় এই মহিলা কতটা পারদর্শী। সেদিন পুরুষের সঙ্গে এই মহিলার লাঠিখেলা দেখতে প্রচুর ভিড় জমে মাঠে।
১৯১৮ সালে 'আর্যাবর্ত' পত্রিকায় এই লাঠিখেলা প্রসঙ্গে সুন্দর বর্ণনা করেছিল। দ্রবময়ী ভীষণ সাহসে লাঠি খেলতে মাঠে নেমে পড়েন। মহিলা দ্রবময়ী পুলিস সাহেবকে সেলাম ঠুকে লাঠি নিয়ে প্রস্তুত। কিন্তু পুরুষ লাঠিয়াল একটু হালকা চালে লাঠি খেলে। এই দৃশ্য দেখে দ্রবময়ী আবেদন করেন প্রকৃত লাঠিখেলা যেভাবে হয়, সেভাবে খেলতে। তিনি জানান, প্রয়োজনে দু'জনকে লড়তে বলুন আমার বিরুদ্ধে। অবশেষে সাহেব সংকেত দেয়, লাঠিখেলা শুরু হয়। দ্রবময়ী অনেক কসরতে ধরাশায়ী করেন দু'জন কনস্টেবলকে। উপস্থিত দর্শক আনন্দে-উল্লাসে দ্রবময়ীকে সেদিন আশীর্বাদ করেছিল। পুলিস সাহেব ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আলোচনা করে দশ টাকা ইনাম ঘোষণা করেন এবং এক সের মিঠাই বাচ্চাটার জন্য।
তখনকার পুরুষশাসিত সমাজে দ্রবময়ী দাসী নামে একজন সাধারণ মহিলা অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে, মৃত স্বামীর চাকরিতে নিজে বহাল হয়েছিলেন। সেইসঙ্গে স্বীকৃতি পান দেশের প্রথম মহিলা চৌকিদার দ্রবময়ী দাসী।
রাজা সাহা: কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) বোধহয় 'ইতিহাস' তৈরির 'ইতিহাস' করবে। বাঁশি মুখে এবার প্রথমবার মেসি, নেইমারদের ম্যাচ পরিচালনা করতে দেখা যাবে মহিলা রেফারিদের। ম্যাচ পরিচালনায় এবার থাকছেন ৬ জন মহিলা রেফারি (Woman Referee)। যাদের ৩ জন রেফারি, ৩ জন সহকারী রেফারি। ইতিমধ্যেই ফিফা (FIFA) ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের জন্য রেফারিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে ৩৬ জন রেফারি থাকছেন। সহকারী রেফারি থাকছেন ৬২ জন।২৪ জন ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি থাকছেন।
মহিলা রেফারিরা, যারা এবার ম্যাচ পরিচালনা করবেন তারা হলেন ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্রাপার্ট, রোয়ান্ডার সালিমা মুকানসঙ্গা, জাপানের ইয়শিমি ইয়ামাশিতা। ৩ মহিলা সহকারী রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনায় দেখা যাবে ব্রাজিলের নিউজা বাক, মেক্সিকোর কারেন ডিয়াজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন নেজবিটকে। একাধিক গুরুত্বপূর্ন টুর্নামেন্টে সাফল্যের সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এই মহিলা রেফারিরা। ফলে এক নতুন ইতিহাসের সামনে দাড়িয়ে ফুটবল বিশ্ব।
মেসি,নেইমার, রোনাল্ডো বিশ্ব ফুটবলের এই তাবড় নামদের কাতারের সবুজ গালিচায় সামলাবেন মহিলারা। নব্বই মিনিট সুষ্ঠু খেলা পরিচালনার প্রয়োজনে এঁরা কড়া হবেন, আবার প্রয়োজনে হবেন নরম। এঁদের দেখানো লালকার্ড, হলুদ কার্ড অনেক খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। অতএব রেফারিংকে পেশা হিসেবে নিতে চাওয়া অনেকের কাছেই এই বিশ্বকাপ হয়ে থাকবে অনুপ্রেরণা।
প্রায় একদিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতার এক সরকারি হাসাপাতালে (Kolkata Hospital) উদ্ধার প্রসূতির দেহ। মৃত আশিরা বিবির (Woman Mysterious Death) হাত বাঁধা ছিল এবং দেহের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করেছে হাসপাতালের কর্মীরা। এই বিষয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় (Kolkata police) অভিযোগ দায়েরের পর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কেন এই খুনের অভিযোগ? পরিবার সূত্রে দাবি, বুধবার সন্দেশখালির সন্তানসম্ভবা আশিরা বিবিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। আর রবিবার দুপুর থেকেই কোনও খোঁজ নেই মহিলার। হাসপাতাল কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁদের জবাব রোগী নিজে থেকেই চলে গিয়েছে। পরিবারের লোকজন যেন আশিরা বিবির জিনিসপত্র নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্মীদের এই কথায় সন্দেহ হওয়ায়, পরিবার নিজেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে হাসপাতাল চত্বরে।
ব্যর্থ হয় জানানো হয় হাসপাতালের পুলিস আউটপোস্ট। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর প্রসূতি বিভাগের পিছনে পিছমোড়া করে বাঁধা অবস্থায় আবর্জনার মধ্যে মুখ থুবড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই প্রসূতিকে। এদিকে, এই ঘটনার জয়ন হাসপাতাল কর্মীদের কাঠগড়ায় তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি এদিন যখন সংবাদ মাধ্যম পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যায়, তখন এক রহস্যজনক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে। পরিবারের এক সদস্যকে রীতিমতো ধমকে চমকে পুলিস আউটপোস্টের ভিতর নিয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যম তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে মৃতার ভাই বলে পরিচয় দেন ওই রহস্যজনক ব্যক্তি।
ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket) ঐতিহাসিক মুহূর্ত। লিঙ্গবৈষম্য ধুয়েমুছে সাফ করলেন রজার বিনি, জয় শাহরা। বহুদিনের বঞ্চনা সরিয়ে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে (indian womens cricket) আজ নতুন সূর্যোদয়। ম্যাচ ফি'র ক্ষেত্রে আর পুরুষ-মহিলা ভেদাভেদ করবে না বিসিসিআই (BCCI)। রীতিমতো ট্যুইট করে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah)। জয়ের ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে বেতন ইকুইটি নীতি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
যে হারে এযাবৎকাল ম্যাচ ফি পেয়ে এসেছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহম্মদ শামিরা, একই হারে ম্যাচ ফি পাবেন হরমনপ্রীত, শেফালি বর্মা, স্মৃতি মন্দানারা। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচপিছু ১৫ লক্ষ টাকা, ওডিআইপিছু ৬ লক্ষ টাকা এবং টি-২০ বাবদ তিন লক্ষ টাকা। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত ট্যুইট করেছেন সচিব জয় শাহ।
এদিন ট্যুইটে জয় শাহ লেখেন, 'ভারতীয় ক্রিকেটে লিঙ্গবৈষম্য অবসানের ব্যাপারে বোর্ড অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে পেরে আমরা খুশি।'
এশিয়া কাপে (Asia Cup) গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছে ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দল। কিন্তু এশিয়া সেরা হয়ে দেশে ফিরছেন মহিলা ক্রিকেট দল (India Womens Cricket)। শনিবার ফাইনালে পড়শি শ্রীলঙ্কার (Srilanka) মহিলা দলকে ৮ উইকেটে হারালেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি মন্দানারা। এদিন প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে করে ৬৫ রান। জবাবে ৮.৩ ওভারে সেই লক্ষে পৌঁছে যায় ভারতের মহিলারা। তাঁরা ২ উইকেট হারিয়ে করেন ৭১ রান।
এশিয়া কাপ ফাইনালে শনিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। কিন্তু প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ধস। সিলেটের ২২ গজে যে ব্যাট করা কঠিন হবে, তা টসের পরেই বলেন হরমনপ্রীত। কিন্তু এতটা কঠিন, সেটার পূর্বাভাস পায়নি। তাহলে হয়তো টসে জেতার সদ্ব্যবহার করতে পারতেন লঙ্কাবাহিনী।
শ্রীলঙ্কার মাত্র দু'জন দু’অঙ্কের রান করেছেন। এদিন ভারতের হয়ে রেণুকা সিং ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। স্নেহ রানা এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়ার দুটি করে উইকেট পান। জয়ের লক্ষে ৬৬ রান তাড়া করতে নেমে সমস্যায় পড়ে ভারতের ওপেনার ব্যাটাররা। ওপেনার শেফালি বর্মা ৫ রান করেই ফেরেন, রান পাননি জেমাইমা রডরিগেজও। তবে উইকেটের এক দিক ধরে রেখেছিলেন ফর্মে থাকা স্মৃতি মন্দানা। তিনি ২৫ বলে ৫১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে কাটিয়েছেন অধিনায়ক হরমনপ্রীতও। তিনি অপরাজিত থাকলেন ১৪ বলে ১১ রান করে। এদিকে, মোট সপ্তম বার মহিলাদের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। আগের সাত বারের ছ’বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় দল। শুধু শেষ বার ২০১৮ সালের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে যান ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
গণধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির ফলে প্রথমে শো-কজ এবং পরে ক্লোজ করা হলো বারাসাত মহিলা থানার এসআইকে। এসআই বর্ণালী দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, 'তিনি গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিজের কর্তব্যে গাফিলতি করাছেন।' উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রামের এক নৃত্যশিল্পী বারাসাতে নৃত্য শিখতে যেতেন। গত ২৬ শে আগস্ট তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এমনই অভিযোগ নিয়ে বারাসাত মহিলা থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরেও বারাসাত মহিলা থানার কর্তব্যরত এসআই তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা মহিলা বারাসাতে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছিলেন। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারের নজরে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। তদন্ত নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু'জন মহিলাও আছে। অভিযুক্তদের শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত বান্টির দাবি নির্যাতিতার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি সে এও অভিযোগ করে বারবার অবৈধ সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করতেন নির্যাতিতা। তাতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতা ও তার পরিবারের লোকেরা তাদেরকে ফাঁসিয়েছে। অন্য এক অভিযুক্তর দাবি, আমি মেয়েটাকে চিনি না। যদিও অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে বলবেন। আমাকে সম্পূর্ণ ফাঁসানো হয়েছে। যদিও নির্যাতিতা মহিলার দাবি, 'আমি একজন পেশাগত নৃত্যশিল্পী। ফেসবুকে একটা নাচের স্কুলের খোঁজ পেয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু পরে জানতে পারি কোনও নাচের স্কুল নেই। বরং পর্ণ ছবির শ্যুটিং চালায়। যার নেপথ্যে মূল অভিযুক্তর স্ত্রী রয়েছে। আমারও প্রাইভেট ভিডিও করে রাখে। কিন্তু তারপরেও বান্টি আমাকে সম্পর্কে রাখতে জোর করে। প্রেমের জালে ফাঁসাতে চায়। আমি আপত্তি তুললে আমাকে বদনাম করতে চায়। প্রথমে আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কারণ ওরা প্রভাবশালী।'