
ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে সাইক্লোন হামুন (Cyclone Hamoon)। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আর এরপর তা ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আর এরপরেই পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর সেই মতো এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের মাঝামাঝি খেপুপাড়া এবং চিটগাওয়ের মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। ইতিমধ্যে উপকূলের কাছাকাছি এসেছে সাইক্লোন হামুন।
দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে এই সাইক্লোন অবস্থান করছে বলেও পূর্বাভাসে মৌসম ভবনের তরফে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশেরর খেপুরা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে সাইক্লোন হামুন অবস্থান করছে বলেও জানা গিয়েছে। আর এই সাইক্লোনের কারণে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ সাত রাজ্যকে। যেমন অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অসম এবং মেঘালয়ে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের বঙ্গপসাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কারণ সাইক্লোন হামুনের কারনে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার থেকেই বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার অর্থাৎ আগামী ২৫ অক্টোবরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর চেষ্টা করবে ভারত, চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পরই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) আরও জানালেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরির নকশাও বানাতে হবে ইসরোকে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গগনযান মিশনের প্রথম প্রদর্শনী উড়ানের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। গগনযান মিশনের লক্ষ্য, মহাকাশে মানুষ পাঠানো। পর্যালোচনা বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের জানান, ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিতে হবে ইসরোকে।
VIDEO | PM Modi chaired a high-level meeting to assess progress of India’s Gaganyaan Mission and to outline the future of India’s space exploration endeavours earlier today.
— Press Trust of India (@PTI_News) October 17, 2023
The Department of Space presented a comprehensive overview of the Gaganyaan Mission, including various… pic.twitter.com/Q2fBqPvoS2
সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের মহাকাশ গবেষণার নানা দিক খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। মূলত, গগনযান মিশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। এর পরই ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম ভারতীয় পাঠানোর সময় বেঁধে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন বা ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন তৈরি করার কথাও জানালেন তিনি। তবে শুধু চাঁদ নয়, মঙ্গল এবং শুক্রগ্রহেও অভিযানের জন্যও বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে সত্যিই কি ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের প্রথম ভারতীয় নভোশ্চর পৌঁছতে পারবে কিনা, তারই অপেক্ষায় থাকবে সারা দেশবাসী।
চাঁদের বুকে ফের নেমে আসল অন্ধকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া গেল না চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর থেকে। একেবারে ঘুমের দেশের চলে গিয়েছে। ইসরো তরফে আশা করা হয়েছিল, চাঁদে অন্ধকার শেষে সূর্যোদয় হলে জেগে উঠবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। কিন্তু তা হল না। ফলে মনে করা হচ্ছে, একেবারেই পাকাপাকি ভাবে চাঁদের বুকেই ঘুমিয়ে পড়েছে চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম ও প্রজ্ঞান।
এর আগেই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, বিক্রম-প্রজ্ঞান জেগে না উঠলেও তাতে কোনও অনুতাপ নেই তাঁদের। কারণ নিজেদের কাজ সম্পূর্ণ করেই তারা ঘুমের দেশে গিয়েছে। চন্দ্রযান ৩ অবতরণের পর চাঁদে আঁধার নেমে আসার আগে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়েছিল তাদের। মনে করা হয়েছিল, সূর্যাস্তের পরই জেগে উঠবে ল্যান্ডার ও রোভার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের ঘুম থেকে ওঠানো যায়নি। কোনও সংকেত পাওয়া যায়নি তাদের থেকে। ফলে প্রথমবারে রাতের কঠিন ঠান্ডা সহ্য করে যখন জেগে উঠতে পারেনি চন্দ্রযান-৩, তখন আর কখনই তার ঘুম ভাঙবে না বলে ধরে নেওয়া যায়। ফলে এবারে মনে করা হচ্ছে, একেবারের জন্যই চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।
টানা ১৪ দিন পর চাঁদের দেশে এসে পৌঁছেছে সূর্যের আলো। ঠিক ছিল, চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছনোর পর থেকেই 'বিক্রম' (Vikram) ও 'প্রজ্ঞান' (Pragyan)-কে ফের জাগিয়ে তোলা র চেষ্টা করা হবে। কিন্তু টানা ১৪ দিন পর পৃথিবীর ডাকে সাড়া দিল না চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ও রোভার 'বিক্রম' ও 'প্রজ্ঞান'। এমনটাই জানানো হয়েছে ইসরোর (ISRO) তরফে। কিন্তু এখনই সাড়া না দিলেও হার মানছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে ইসরো, 'বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনও সিগন্যাল এসে পৌঁছয়নি। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা জারি থাকবে।' প্রসঙ্গত, চাঁদে চন্দ্রযান-৩-এর সফট ল্যান্ডিং-এর পর, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে একটি পূর্ণ দিন কাটিয়েছে। এই সময়ে, বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের সঙ্গে থাকা পেলোডটি চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইসরোর কাছে পাঠিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। এখন আবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া না মিললেও শনিবার তাদের কাছে সিগন্যাল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
ইসরো আরও বলছে, যদি ফের সক্রিয় না হয় রোভার ও ল্যান্ডার, তাহলে চিরকাল ভারতের দূত হিসেবে চাঁদের মাটিতেই থেকে যাবে বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞান।
চন্দ্রযান ৩ সফল হওয়ার পর ২ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ইসরোর আদিত্য-এল১ (Aditya L1)। এবারে যাওয়ার পথেই সেলফি তুলেছে এই সৌরযান, আবার ক্যামেরাবন্দি করেছে পৃথিবী ও চাঁদকেও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ভারতের প্রথম সৌরযান। পিএসএলভি সি৫৭ রকেটে চাপিয়ে এটি সফলভাবে পাড়ি দিয়েছে 'সুয্যিমামার দেশে'। এর আগেই জানা গিয়েছে, আদিত্য-এল১ পৃথিবীর দ্বিতীয় কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। আর এর পরই প্রকাশ্যে এল আদিত্য-এল১০-এর তোলা ছবি।
আদিত্য-এল১ যে সব ছবি তুলেছে সেগুলো আজ, বৃহস্পতিবার এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে ইসরো। একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, আদিত্য-এল১ নিজের ছবি অর্থাৎ একটি সেলফি তুলেছে। এই সেলফিতে দেখা গিয়েছে আদিত্য এল১-এর দুটি পেলোড ভিইএলসি ও এসইউআইটি দেখা গিয়েছে। এছাড়াও ক্যামেরাবন্দি করেছে পৃথিবীকে, ভিডিওতে দেখা গিয়েছে চাঁদকেও। তবে চাঁদমামাকে খুবই ছোট আকারে দেখা যাচ্ছে। ফলে চাঁদকে বোঝানোর জন্য ইসরোরর তরফে একটি তির চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওতে পৃথিবীর একভাগ পুরো নীল দেখাচ্ছে ও একভাগে সূর্যের আলো না পৌঁছনোর জন্য পুরো অন্ধকার দেখাচ্ছে। আর এই দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে যাবে আপনারও।
কিছুক্ষণ আগেই ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছিল, বিক্রম (Vikram) হঠাৎ চাঁদের বুকে লাফিয়ে উঠেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ সেমি উপরে উঠে গিয়েছিল। আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরাই বিক্রমকে উড়িয়ে দেখেছে এটা ফের উড়তে সক্ষম কিনা। আর সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। তাই বলা হচ্ছে যে, ল্যান্ডার বিক্রম ফের চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। আর এবারে ল্য়ান্ড করানো হয়েছে আগের জায়গা থেকে ৩০-৪০ সেমি দূরে। সেই দৃশ্যও ইসরোর তরফে শেয়ার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে ফের খবরে এসেছে, প্রজ্ঞানের সঙ্গেই ঘুমের ঘোরে চলে গেল ল্যান্ডার 'বিক্রম'ও। স্লিপ মোডে পাঠানো হল ল্যান্ডার বিক্রমকে। যেহেতু চাঁদে রাত নামছে, তাই আবহাওয়ার সঙ্গে যুঝতে ইসরোর এই সিদ্ধান্ত। আবার ২২ সেপ্টেম্বর চার্জড আপ হয়ে জেগে ওঠার কথা 'বিক্রম'-'প্রজ্ঞান'-এর।
ইসরো সূত্রে খবর, ল্যান্ডারের সঙ্গে একটি hop experiment করেছে বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এতদিন ভাবা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কাজকর্ম সেরে চাঁদের মাটিতেই চিরস্থায়ী বাসা বাঁধতে হবে ল্যান্ডারকে। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, এটা হয়তো ফের ফিরে আসতে পারে। একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে ইসরো লিখেছে, 'চাঁদে আবার সফট ল্যান্ডিং করেছে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত কাজ করেছে বিক্রম। চাঁদে লাফও দিয়েছে ল্যান্ডার। ইসরোর পাঠানো কমান্ড মেনেই প্রায় ৪০ সেমি লাফ দিয়েছে বিক্রম। তারপর ৩০-৪০ সেমি দূরে গিয়ে ফের ল্যান্ড করেছে। পুরো কাজটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর সব কাজকর্মের পর বিক্রম এখন একদম ঠিক রয়েছে।' ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে কীভাবে এই হপ পরীক্ষায় চন্দ্রপৃষ্ঠ কীভাবে ধুলোঝড়ে ভরে গিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, এই হঠাৎ লাফে আগামী দিনেও বিক্রম থেকে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পরীক্ষা মানুষের চন্দ্রাভিযানে কাজে লাগবে। চাঁদের বুক থেকে একটু ওপরে তোলার সময় ChaSTE, ILSA - এই দুই পেলোডকেও গুটিয়ে নেওয়া হয়। এক্সপেরিমেন্ট হয়ে যাওয়ার পর আবারও এগুলিকে সচল করা হয়েছে।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 4, 2023
Vikram Lander is set into sleep mode around 08:00 Hrs. IST today.
Prior to that, in-situ experiments by ChaSTE, RAMBHA-LP and ILSA payloads are performed at the new location. The data collected is received at the Earth.
Payloads are now switched off.… pic.twitter.com/vwOWLcbm6P
ইসরো সূত্রে খবর, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদে নামছে রাত, তাই তার আগে বিক্রমকে আগেভাগেই ঘুমের দেশে পাঠানো হল। তাকে জাগানোর কাজও আগেভাগে সেরে ফেললেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ফলে চাঁদের রাত শেষ হওয়ার পর ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ফের জেগে ওঠার আশায় সারা দেশবাসী।
অবশেষে 'নিদ্রা'য় গিয়েছে চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। শনিবার রাতে ইসরো (ISRO) থেকে এক্স-এ জানানো হয়েছে, রোভার প্রজ্ঞান তার কাজ সম্পন্ন করেছে ও এটিকে ঠিকমতো পার্ক করা হয়েছে। ফলে এখন এটাকে 'স্লিপ মোডে' রাখা হয়েছে। ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে চন্দ্রযান ৩ পা রেখে এক ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এরপর ১৪ দিনের জন্য কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে। ইসরো তরফে তাই জানানো হয়েছে, স্লিপ মোডের আগে রোভার তার কাজ সম্পন্ন করেছে। তবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, চাঁদের অন্ধকার চলে গেলে ফের কি জেগে উঠবে প্রজ্ঞান?
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) September 2, 2023
The Rover completed its assignments.
It is now safely parked and set into Sleep mode.
APXS and LIBS payloads are turned off.
Data from these payloads is transmitted to the Earth via the Lander.
Currently, the battery is fully charged.
The solar panel is…
শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ টুইট করে ইসরো জানায়, ১০ দিনেই কাজ সম্পন্ন করেছে প্রজ্ঞান। তাই তাকে এখন নিরাপদ স্থানে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, তার দুটো পেলোড এপিএক্সএস ও এলআইবিএস-কেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই পেলোডে সংগৃহীত তথ্য ল্যান্ডার বিক্রম-এর মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলেও এতে সম্পূর্ণ চার্জ রয়েছে। এর সোলার প্যানেল গুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, চাঁদে আবার সূর্যের আলো পড়লে তা যেন প্যানেলে পড়ে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে দিন অর্থাৎ সূর্যের আলো পড়বে। তারপরই জেগে উঠতে পারে 'প্রজ্ঞান'।
তবে এও জানানো হয়েছে, যদি প্রজ্ঞান তার 'ঘুম' থেকে জেগে উঠতে না পারে তবে তা সারাজীবনের মত ভারতের চাঁদ 'অ্যাম্বাসেডর' হয়ে থেকে যাবে। আর এক ইতিহাস হওয়ার সাক্ষ্য প্রমাণ করে চলবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। ফলে সারা দেশবাসী এখন প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার অপেক্ষায়। কারণ এটা জেগে উঠলেই আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর পর থেকেই ক্রমাগত নতুন নতুন তথ্য পাঠিয়ে চলেছে ইসরোকে (ISRO)। সম্প্রতি চাঁদের মাটি থেকে তোলা 'বিক্রম' ল্যান্ডার (Lander Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর (Rover Pragyan) অনেক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরো। তবে এবার যে ঘটনা সামনে এসেছে তাতে অবাক ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। এবারে চাঁদে ভূমিকম্পের খবর পেয়েছে ইসরো। ইসরো সূত্রে খবর, গত ২৬ অগাস্ট ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে একটি 'প্রাকৃতিক' ভূমিকম্প চিহ্নিত করেছে।
ইসরো সূত্রে খবর, চাঁদের বুকে ল্যান্ডার 'বিক্রম' ও রোভার 'প্রজ্ঞান' নামার পর এর পেলোড বিভিন্ন কাজ করে চলেছে। আর এর ফলেই এক কম্পন অনুভূত করেছিল ইলসা পেলোড বা ইনস্ট্রুমেন্টস ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি। কিন্তু ২৬ অগাস্ট এক প্রাকৃতিক কম্পন অনুভূত করেছে ইলসা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ২৬ অগাস্টে যে চাঁদের বুকে যে কম্পন অনুভূত হয়েছে, তার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার 'এক্স' (টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে ইসরো লিখেছে, 'চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারের পেলোড ইলসা, রোভার এবং অন্যান্য পেলোডের কার্যকলাপের কারণে হওয়া কম্পন চিহ্নিত করেছে। আবার একই সঙ্গে ২৬ অগাস্ট ইলসা আরও একটি কম্পন চিহ্নিত করেছে। যা প্রাকৃতিক বলে মনে করা হচ্ছে।'
চাঁদের দক্ষিণ মেরু (Moon South Pole) স্পর্শ করার আজ ৭ দিন অতিক্রম হল। ল্যান্ডার 'বিক্রম' (Vikram) ও রোভার 'প্রজ্ঞানে'র (Pragyan) চাঁদে এক সপ্তাহ পেরোতেই বিভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। প্রথমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে তথ্য এসেছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার ব্যাপারে। তারপর প্রকাশ্যে এসেছে অক্সিজেনের হদিশ। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে সালফার, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফেরাস, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন। আর এবারে এক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেটিকে 'অভিযানের সেরা ছবি' বা 'ইমেজ অফ দি মিশন' বলে উল্লেখ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কী এমন ছবি তুলেছে 'প্রজ্ঞান'?
ইসরোর শেয়ার করা টুইটে দেখা গিয়েছে, রোভার 'প্রজ্ঞান' ছবি তুলেছে তার 'সঙ্গী' ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর। প্রজ্ঞানের তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এবড়ো-খেবড়ো, রুক্ষ জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে 'বিক্রম'। তাতে লাগানো 'চ্যাস্ট' ও 'ইলসা' নামক পেলোডগুলোও দেখা যাচ্ছে। রোভারে লাগানো ন্যাভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে বিক্রমকে ক্যামেরাবন্দি করেছে প্রজ্ঞান। আর এই ছবিটিকেই 'ইমেজ অফ দ্য মিশন'-এর তকমা দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফলভাবে ল্যান্ড করতে পেরে এক ইতিহাস গড়েছে ভারত। ভারতই প্রথম দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরু (Moon South Polar) স্পর্শ করতে পেরেছে। আর সেখানে পৌঁছেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বিস্ময়কর তথ্য। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার বিষয়ে। আর এবারে জানা গেল সেখানকার বিভিন্ন খনিজ পদার্থের বিষয়ে। একেবারে যেন খনির ভাণ্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠ! জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে পাওয়া গিয়েছে সালফার (Sulpher)। চন্দ্রপৃষ্ঠে সালফারের বিপুল ভাণ্ডারের খোঁজ পেতেই বেজায় খুশি বিজ্ঞানীরা।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 29, 2023
In-situ scientific experiments continue .....
Laser-Induced Breakdown Spectroscope (LIBS) instrument onboard the Rover unambiguously confirms the presence of Sulphur (S) in the lunar surface near the south pole, through first-ever in-situ measurements.… pic.twitter.com/vDQmByWcSL
ইসরো সূত্রে খবর, প্রজ্ঞানে থাকা LIBS বা লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যেই চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন খনিজের সন্ধান করেছে রোভার। তবে শুধু সালফার নয়, একে একে পাওয়া গিয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফেরাস, ক্রোমিয়াম, টাইটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও অক্সিজেন। ইসরো সূত্রের খবর, এই পদার্থের খোঁজ পাওয়া প্রত্যাশিতই ছিল। তবে এবারে সেখানে হাইড্রোজেন পাওয়া যায় কিনা, তার খোঁজেই রোভার 'প্রজ্ঞান'। এতে লাগানো প্রত্যেকটি পেলোড এবারে হাইড্রোজেনের সন্ধান শুরু করেছে। আর যদি পরে হাইড্রোজেনের সন্ধান পাওয়া যায়, তবে সেখানে জলেরও হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। ফলে পরবর্তীতে চাঁদের বুকে হাইড্রোজেন পাওয়া যায় কিনা, তারই আশায় দেশবাসী।
২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, দিনটিকে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে পেরেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। আর ভারতই প্রথম দেশ, যে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) অবতরণ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই যে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) বেরিয়ে এসেছে, তা ভিডিওতে ধরা পড়েছে। তার সেই 'মুনওয়াক'-এর (MoonWalk) ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু এবারে ইসরোর তরফে জানানো হল, এখন পর্যন্ত কতটা পথ হাঁটতে পেরেছে 'প্রজ্ঞান'।
ইসরোর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা মতই গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে রোভার 'প্রজ্ঞান'। রোভারটি সফলভাবে প্রায় ৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। রোভার পেলোডে LIBS এবং APXS চালু আছে। প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভারের সমস্ত পেলোড ঠিকভাবেই কাজ করছে। ফলে এখনও পর্যন্ত সমস্ত কিছু স্বাভাবিকই আছে। 'প্রজ্ঞান' ১৪ দিন ধরে চাঁদের দেশে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়াও এর চাকার সঙ্গে এক দিকে ইসরোর লোগো ও অন্য দিকে ভারতের অশোকস্তম্ভ খোদাই করা রয়েছে। ফলে 'প্রজ্ঞান' যতই এগিয়ে চলেছে ততই চন্দ্রপৃষ্ঠে ছাপ পড়ে যাচ্ছে ইসরোর লোগোর ও অশোকস্তম্ভের। তবে ভবিষ্যতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 25, 2023
All planned Rover movements have been verified. The Rover has successfully traversed a distance of about 8 meters.
Rover payloads LIBS and APXS are turned ON.
All payloads on the propulsion module, lander module, and rover are performing nominally.…
এবারে হাতের মুঠোয় চাঁদ! চাঁদের (Moon South Pole) দক্ষিণ মেরুতে প্রথম অবতরণ করে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। ফলে ২৩ অগাস্ট দিনটিকে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে। এবারে আজ, বৃহস্পতিবার সাতসকালেই ফের খুশির খবর জানা গেল। ইসরো (ISRO) তরফে জানা গিয়েছে, চাঁদে সফলভাবে 'বিক্রম'-এর (Lander Vikram) অবতরণের পর তার 'দোর' খুলে সফলভাবে বেরিয়ে এসেছে রোভার 'প্রজ্ঞান' (Rover Pragyan)। এবারে চাঁদের মাটির যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে সমস্ত গবেষণার দায়িত্ব 'প্রজ্ঞান'-এরই।
ইসরো সূত্রে খবর, চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রম-এর ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান। এর গতি খুবই কম, এক সেকেন্ডে কয়েক সেন্টিমিটার। ফলে খুব ধীর গতিতেই এটি কাজ করতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, প্রজ্ঞানকে এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ৫০০ মিটার ঘুরতে পারে। এটি চাঁদের মাটি, সেখানকার খনিজ পদার্থ ও আবহাওয়ার নমুনা সংগ্রহ করবে। প্রজ্ঞানে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন- ক্যামেরা, স্পেকট্রোমিটার, ম্যাগনোমিটার লাগানো রয়েছে। আর এগুলোর সাহায্যেই প্রজ্ঞান বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করবে।
ইসরো সূত্রে আরও খবর, প্রজ্ঞান-এর শক্তির উৎস হল সূর্য। সৌরশক্তির সাহায্যেই এটি সেখানে চলাফেরা করবে। ফলে সূর্যের আলো পাওয়া পর্যন্তই এটি কাজ করতে পারবে। তারপর বন্ধ হয়ে যাবে। আর এটি চাঁদে ১৪ দিন ধরে গবেষণা করবে। পৃথিবীর ১৪ দিন অর্থাৎ চাঁদের একদিনের সমান। তবে যে যে তথ্য সংগ্রহ করবে তা প্রথমে ল্যান্ডার বিক্রম-কে পাঠাবে প্রজ্ঞান। তার পর সে সমস্ত বার্তা পৃথিবীকে পাঠাবে বিক্রম। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, তা জানতেই এবারে মুখিয়ে বসে রয়েছেন দেশবাসী।
ইতিহাস গড়তে সফল 'চন্দ্রযান-৩' (Chandrayan-3)। আজ, বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন। তিনি ইসরোর সকল বিজ্ঞানীকে অভিনন্দন জানান। অবশেষে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করল ভারতের 'বিক্রম'।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামাতে সফল হয়েছে। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে পৌঁছতে পারেনি। জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ের এই অবতরণ প্রক্রিয়ায় ১৯ মিনিট সময় লেগেছে। চাঁদে মহাকাশযান নামানোর ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই চাঁদের মাটিতে ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম পৃথিবীর কোনও যান পা রাখতে চলেছে। প্রত্যেকটি দেশই তাকিয়ে রয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর দিকে। মোট ৪০ দিন সময় লেগেছে চাঁদে পৌছতে। ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২.৩৫ মিনিটে লক্ষ্যের দিকে রওনা দিয়েছিল ইসরোর চাঁদ-সওয়ারি। সব ঠিক থাকলে ভারতীয় সময় অনুযায়ী, আজ, বুধবার ৬.৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করবে চন্দ্রমামার দেশে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে চাঁদে অবতরণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশের এই সাফল্য উপভোগ করবেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় সমস্ত স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীরা ইচ্ছে করলে স্কুলে বসে অনলাইনের মাধ্যমে চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ উপভোগ করতে পারবে।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের সাফল্যের সাক্ষী থাকার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দেশবাসী। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগের ‘১৫ মিনিট’ অত্যন্ত ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শেষ ১৪ মিনিটই ঠিক করে দেবে এই অভিযান সফল হবে কিনা। চলবে স্নায়ুর লড়াই। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ যাত্রা শুরু করার ২২ দিন পর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল সেটি। ২০ অগাস্ট সেটি চাঁদের কাছাকাছি এসে পৌঁছয়। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অন্যান্য দেশের চন্দ্রযান যেখানে এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে দেখিয়েছে, তখন ভারতের কেন এতো সময় লাগছে। এর নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-৩র চাঁদে পৌঁছতে ৪০ দিন সময় লাগার নেপথ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হল জ্বালানি এবং সীমাবদ্ধতা।
চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ইতিমধ্যেই চাঁদের আরও কিছু না দেখা ছবি পাঠাল মহাকাশযানটি। এই চোখধাঁধানো ছবি দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে মানুষের। ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে, এই ছবিগুলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Moon South Pole)। চাঁদের এই পৃষ্ঠ সবসময় পৃথিবীর দিকে পিঠ করে থাকে। ফলে এই ছবিগুলো এর আগে দেখা যায়নি। আর এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কতটা কাছে চলে এসেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম'। ইসরোর তরফে আজ এই চাঁদের না দেখা ছবিগুলো এক্স-এ শেয়ার করা হয়েছে।
আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে পারলেই দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হবে ইসরোর। ফলে সেই স্বপ্নপূরণের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। তবে অবতরণের আগেই দক্ষিণ মেরুর যে ছবি প্রকাশ্যে এনেছে চন্দ্রযান ৩, তা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া মত অবস্থা প্রত্যেকের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রুক্ষ, এবড়ো-খেবড়ো মাটি, চারিদিকে বড়-ছোট-গভীর গর্ত। আর চাঁদের সেই গহ্বরের নামও উল্লেখ করেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রম-এ লাগানো ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরায় উঠে এসেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর গভীর গহ্বরগুলো। ইসরোর বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, এবারে ছবিতে উঠে এসেছে হায়ান, বস এল, মারে হামবোল্ডটিয়ানাম, বেল'কোভিচ গহ্বরগুলো। যদিও এই ছবিগুলো চন্দ্রযান ৩ ১৯ অগাস্ট তুলেছে। তবে এগুলো আজ অর্থাৎ ২১ অগাস্ট প্রকাশ্যে এনেছে ইসরো।