
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। প্রথম স্ত্রী পিলু ওরফে রাজষি বড়ুয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক থাকতে চাননি তিনি। এমন সময় পরিচয় হয় অসমের পোশাক শিল্পী রূপালী বড়ুয়ার (Rupali Barua) সঙ্গে। তাঁর সঙ্গেই গত মাসে গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিনেতা। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বিয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছিল নিমেষেই। ৫৭ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য তাঁকে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আশীষকেই এগিয়ে এসে তাঁর বিয়ে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কথা বলতে হয়। আশীষ স্পষ্ট করে বলেন, ভিন্ন মত ও ভিন্ন জীবনের আকাঙ্খার জন্যই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করেছেন তিনি। এও বলেছিলেন, জীবনে চলার পথে তাঁর একজন সঙ্গী দরকার ছিল। কলকাতায় ফুড ভ্লগিং করতে এসেই রূপালীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অভিনেতার। দীর্ঘ সময় রূপালীর সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বুঝতে পারেন, রূপালীই তাঁর জীবনের সেই বিশেষ মানুষ যার সঙ্গে তিনি জীবন কাটাতে চান।
বিয়ে পর্ব মিটতেই এবার আশীষ বেরিয়ে পড়েছেন স্ত্রী রূপালীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায়। যদিও অভিনেতা নিজে মধুচন্দ্রিমার কথা বলেননি, তবে তাঁর সঙ্গে স্ত্রীয়ের ঘুরতে যাওয়ার ছবি দেখে নেটিজেনরা তাই বলছেন। অভিনেতা যে ছবিটি আপলোড করেছেন তাতে দেখা গিয়েছে, নতুন দম্পতি একে অপরের পাশে বসে রয়েছেন। ক্যাপশনে আশীষ লিখেছেন, 'ধন্যবাদ বন্ধুরা তোমাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার জন্য।' একইসঙ্গে তাঁর বহু উচ্চারিত সংলাপ লিখেছেন, 'আলশুকরান বন্ধু, আলশুকরান জিন্দেগী। '
ভারত পাকিস্তানে একসময় প্রবল জল্পনা চলেছে মুনমুন সেন (Moon Moon Sen) এবং ইমরান খানের (Imran Khan) সম্পর্ক নিয়ে। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খানের সম্পর্কের জল নাকি অনেকদূর গড়িয়েছিল। যদিও দু'জনেই বিয়ে করেছেন, সংসার করেছেন ভিন্নভাবে। তবু তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলেছে অনেক। সম্প্রতি মুনমুন কন্যা রাইমা সেনের (Raima Sen) শেয়ার করা ছবি আবারও জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছে।
অভিনেত্রী রাইমা সেন সম্প্রতি নিজের ট্যুইটার একাউন্ট থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাইমার ছোটবেলার মুহূর্ত। ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে, বোন রিয়াকে। তবে নজর যায় রিয়া রাইমার পাশে বসে থাকা মুনমুন সেন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমরান খানের দিকে। দুই তারকার ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করে ছবিটি। তবে ছোটবেলার রিয়া এবং রাইমাকেও দেখার মতো।
রাইমার সামাজিক মাধ্যম দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মাঝেমধ্যে ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে দেখতে ভালোবাসেন। অভিনেত্রী এর আগে আরও কয়েকটি ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে মা ও বোনের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। রাইমা তখন একদিকে সুচিত্রা কন্যা, রাজ পরিবারের পুত্রবধূ, অন্যদিকে আবার অভিনেত্রী। রাইমার সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর ১৪ মাসের ছোট বোন রিয়াকে। যারা পরবর্তীকালে নিজেদের অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সূর্যগ্রহণের (Solar eclipse) সময়ে হিরের আংটির বদলে সোনার আংটি দেখা যাবে পৃথিবীর আকাশে। বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হবে পৃথিবী, জানিয়েছে নাসা। ওই বিরল সূর্যগ্রহণের নাম ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ। এর বিশেষত্ব হল এখানে সূর্যের (Sun) আকৃতির থেকে চাঁদের (Moon) ছায়া হয় ছোট। ফলে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারে না। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে দেখা যায় চারপাশ থেকে। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সেই সূর্যকে খানিকটা সোনার আংটির মতোই দেখতে লাগে।
এর আগে এমন গ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে। তবে দু’টি ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণের মাঝে সাধারণত ১০০ বছরের অন্তর থাকে বলে জানিয়েছেন মহাকাশবিদেরা। তাই এই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে উৎসাহ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। নাসা যদিও জানিয়েছে, এই হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে একটি মাত্র শহর থেকেই। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথ দেখে দেখা যাবে ওই সোনার বলয়। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশ কিছু এলাকা, নিউজিল্যান্ড, ইস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। নাসা জানিয়েছে, এটিই ২০২৩ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ।
মুন্নি চৌধুরী: চাঁদের নিচে শুক্র, আকাশে এমন চিত্র দেখে অনেকেই গান শুরু করেছেন, 'চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে।' রমজানের প্রথম সন্ধ্যায় বিরল সমাবেশ এক ফালি চাঁদ (Moon) ও শুকতারা অর্থাৎ শুক্র গ্রহের (Venus)। এই দুর্দান্ত দৃশ্য ধরা দিল শহরের পশ্চিম আকাশে।
আকাশে যেন সোনালি-রুপোলির রঙের খেলা চলছিল। এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়। অফিসে থেকে বাড়ি ফেরত সহ নাগরিকরাও একটু দাঁড়ালেন এবং এই মহাজাগতিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন। আবার কেউ দৌড়ে চলে গেলেন বাড়ির বা অফিসের ছাদে। খালি চোখে দেখা গেল এই অবিস্ময়কর মহামিলন। ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতা। কেউ কেউ আবার ব্যাঙ্গ করে বলছেন, ফেসবুক নয় যেন বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে ঘুরে এলাম।
সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে জাঁদরেল এবং উজ্জ্বল গ্রহ শুক্র ও পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদকে এক লাইনে দেখতে পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যদিও অসম্ভব বলা যায় না। এই সংযোগ হতে বহু বছর লেগে যায়। কখনও ৪০০ বছর। বা কখনও তারও বেশি। যখন সেই সংযোগ ঘটে সেই সময়টাকেই বিরলতম মুহূর্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে করতে ক্রমশ পূর্বদিকে সরে যায়৷ এর ফলে আড়াল হয়ে যায় শুক্র। চাঁদের এই অন্য গ্রহ বা মহাজগতিক বস্তু ঢেকে দেওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, Lunar Occultation ৷