জমি দখল, ভেড়ি দখল, মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলা। সন্দেশখালির বাদশাহ শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর এবং তাঁর দুই শাগরেদ দিদার বাক্স মোল্লা ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে এই মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে পেশ করল ইডি। সূত্রের খবর, ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বুধবার জমি দখল, ভেড়ি দখল এবং মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলায় তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট-এর আবেদন করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমি দখল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শেখ শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং বেশ কয়েকজনের। ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে এবার সেই দিকেই নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তাঁর সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। সেই চেষ্টারই প্রাথমিক পর্বে এই তিন জনকে আদালতে হাজির করালেন ইডির গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, ইডির উপর হামলার ঘটনায় ইডি আধিকারিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছেন, হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কিছুই জানতেন না। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যেদিনকে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন সেদিন কোনওভাবেই মারধর করার নিদান তিনি দেননি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ট বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী এলেন ইডি দফতরে। তাঁদেরকে তলব করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁরা ইডি দফতরে আসেন। মাছ ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয় এবং সেই সব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
ফের বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ডুবলো মৎস্যজীবীদের (Fishermens) ট্রলার (Trawler)। তবে ট্রলারে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাথরপ্রতিমার সীতারামপুর থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গভীরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের জেরে উল্টে যায় ট্রলারটি।
সূত্রের খবর, গত ৫ দিন আগে কাকদ্বীপ ঘাট থেকে ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল এফবি গঙ্গাময়ী নামের ওই ট্রলারটি। আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে সোমবার গভীর রাতে ঘাটে ফিরছিল ওই ট্রলারটি। তবে সেই সময়ই সমুদ্রের ঢেউয়ের ফলে উল্টে যায় ট্রলারটি। যদিও ওই ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মধ্যে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে পাশাপাশি থাকা অন্য একটি ট্রলার। এমনকি মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য আরও ট্রলার পাঠানো হয়েছে সমুদ্রে।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ তারিখে বঙ্গোপসাগরে বাঘেরচর থেকে আরও ৪০০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ডুবে যায় একটি ট্রলার। কাকদ্বীপের এফবি অনিক নামের ওই ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়েছিল। যার ফলে ট্রলারটি ভার বহন করতে না পেরে ধীরে ধীরে সমুদ্রের গভীরে ডুবে যেতে থাকে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারের থেকে ১৭ জন ডুবন্ত মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছিল পাশাপাশি থাকা অন্য একটি ট্রলার।
ফের মাছ (Fish) ধরতে গিয়ে ডুবে গেল একটি ট্রলার (Trawler)। বৃহস্পতিবার, বিকেলে ইলিশমাছ ধরতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর থেকে আরও গভীরে উল্টে যায় মা শীতলা নামের একটি ট্রলার। এই বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই মা মনসা নামের একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মা শীতলা নামের ডুবন্ত ট্রলার থেকে আটজন মৎস্যজীবীকে (Fisherman) উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই আটজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মা শীতলা নামের ওই ট্রলারটি ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গভীরে। সেই সময় প্রবল ঢেউয়ের দাপটে উল্টে যায় ওই ট্রলারটি। জলের গভীরে ডুবে যায় ট্রলারটি। কিন্তু ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর ড্রাম ধরে কোনক্রমে বাঁচার চেষ্টা করেন ওই ট্রলারে থাকা আটজন মৎস্যজীবী।
ঘণ্টাখানেক বঙ্গোপসাগরের জলে ভাসতে থাকেন আট মৎস্যজীবী। সেই সময় অন্য একটি মৎস্যজীবী ট্রলারের মাঝিরা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে মা মনসা নামের একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আটজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর প্রত্যেককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের পর তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও ডুবে যাওয়া ট্রলারটির উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আবারও বাঘের হামলায় মৃত্যু হল সুন্দরবনের এক মৎস্যজীবির। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন এলাকার অন্তর্গত চুলকাঠি জঙ্গলের কাছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ওই মৎস্যজীবির মৃত দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। বনদফতর সূত্রে খবর, মৃতর নাম অনেশ্বর ফকির বয়স(৫৬)। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি কাকদ্বীপের গনেশনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জুলাই অনেশ্বর ফকির এবং তাঁর স্ত্রী ভগবতী ফকির কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ সেখানে বাঘ হানা দেয় এবং আচমকাই অনেশ্বরের উপর বাঘ আক্রমণ করে। এরপর তাঁর স্ত্রী ভগবতী ফকির বাড়িতে ফোন করে এই ঘটনা জানান। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার-পরিজনেরা। পরে পরিবারের লোক কাকদ্বীপ থানায় ও চুলকাঠি বন দফতরে বিষয়টি জানান। খবর পেয়েই চুলকাঠি জঙ্গলের বন কর্মীরা ওই মৎস্যজীবির তল্লাশি শুরু করেন। সোমবার দুপুরে মৎস্যজীবির মৃত দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা।
এই ভয়াবহ ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত অনেশ্বেরর স্ত্রী ভগবতী ফকির। এদিন তিনি জানান, রবিবার কাঁকড়া ধরতে গেলে হঠাৎ করে অনেশ্বরের উপর বাঘ আক্রমণ করে। তিনি আরও বলেন 'আমি বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে, মুহূর্তের মধ্যেই তাঁকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়।' এই ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
সমুদ্রের (Sea) অতলে তলিয়ে গেল একটি মৎস্যজীবী (Fisherman) ট্রলার (Trawler)। বৃহস্পতিবার, বঙ্গোপসাগরে বাঘেরচর থেকে আরও ৪০০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ডুবে যায় ওই ট্রলারটি। স্থানীয় মৎস্যজীবী সূত্রে খবর, ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারের ভিতরে থাকা ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্য একটি ট্রলার। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য় আরও পাঁচটি ট্রলার এসেছিল।
জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের এফবি অনিক নামের ওই ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়েছিল। যার ফলে ট্রলারটি ভার বহন করতে না পেরে ধীরে ধীরে সমুদ্রের গভীরে ডুবে যেতে থাকে। তবে পাশের অপরাজিতা ট্রলারটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের থেকে ১৭ জন ডুবন্ত মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার, ভোর রাতে উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্য বন্দরে। যদিও মৎস্যজীবীরা সকলে সুস্থ আছেন বলে ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ডুবন্ত ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য পাঁচটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবনে (Sundarban) কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের (Tiger) হামলার মুখে পড়লেন এক মৎস্যজীবী (fisherman)। শুক্রবার সুন্দরবনের বিজুয়াড়া জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে। বাঘের হামলায় গুরুতর আহত হয় ওই মৎস্যজীবী। জানা গিয়েছে, আহত মৎস্যজীবীর নাম দিলু মল্লিক (৫১)। পাথরপ্রতিমার জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুরের বাসিন্দা।
আহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে জি প্লটের সত্যদাসপুর থেকে দিলু তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী এবং এক প্রতিবেশীকে নিয়ে নৌকাতে করে কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিল। এরপর বিজয়াড়ার জঙ্গলের কাছে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় আচমকা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর। দিলুর মাথায় থাবা বসাতে থাকে। সেই সময় তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে দেখতে পেয়ে নৌকায় থাকা লাঠি নিয়ে বাঘটিকে পাল্টা আক্রমণ করেন। সেই সময় দিলুকে ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি। আহত দিলুকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর স্ত্রী।
অবশেষে বাঘের মুখ থেকে লড়াই করে বেঁচে ফিরলেন দিলু। তবে শুক্রবার রাতে দিলুর অবস্থার অবনতি হলে পাথরপ্রতিমার ব্লক হাসপাতাল থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যু (Death) হল এক জেলের (Fisherman)। তলিয়ে যাওয়ার ৩০ ঘন্টা পর সামসেরগঞ্জের মালঞ্চা ফিডার ক্যানেল থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম কামাল শেখ( ৪৩)। সূত্রের খবর, মৃতর বাড়ি সামসেরগঞ্জ থানার নতুন মালঞ্চা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার মালঞ্চা ফিডার ক্যানেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক জেলে। মাছ ধরতে গিয়েই নৌকা উল্টে তলিয়ে যায় ওই জেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। খবর দেওয়া হয় ডুবুরি টিমকে। তার পরেই শনিবার ডুবুরি টিম এসে তল্লাসি শুরু করে ফিডার ক্যানেলে। অবশেষে ৩০ ঘন্টা পর এদিন দুপুরে তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মাছ ধরতে এসে নৌকা উল্টে ফিডার ক্যানেলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কামালের পরিবারে।
কথায় বলে মাছে (Fish) ভাতে বাঙালি। সেই মাছ নিয়ে বিবাদ শুরু হয় আড়ৎদারদের সঙ্গে পাইকারদের। বুধবার সেই মাছ থেকেই বঞ্চিত রইল জলপাইগুড়ির মানুষ। মাছের আড়তদার ও পাইকারি মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে পাওনা-গন্ডা নিয়ে বিবাদের জেরে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বুধবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাছ নিলাম। ফলে দীনবাজারের মাছবাজার এদিন আর খোলা হয়নি।
জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে রয়েছে মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত। ২৬ জন আড়তদার রয়েছেন সেখানে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে মাছ এনে তা নিলামে বিক্রি করেন তারা। এই আড়তদারদের থেকে মাছ কিনে জলপাইগুড়ি শহর এবং শহর সংলগ্ন বাজারগুলোতে সেই মাছ বিক্রি করেন পাইকারেরা। অভিযোগ, পয়লা বৈশাখের পর থেকেও কোনওরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সেই ছাড়ের শতাংশ নিয়ে আড়তদারদের সঙ্গে পাইকারদের বিবাদ শুরু হয়েছে। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ানোয় এদিন সকাল থেকে মাছ নিলাম বন্ধ রেখেছেন আড়তদারেরা।
যার জেরে বিভিন্ন বাজারে মাছের যোগান না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারন ক্রেতারা। এমনকি দুপক্ষের ঝামেলা গড়ায় কোতোয়ালি থানা পর্যন্ত। তবে এদিন মাছ-বিক্রেতারা কথা দিয়েছেন, এরপর থেকে মাছবাজার খোলা থাকবে, যেখান থেকেই হোক মাছ তারা জোগার করবেন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: নতুন বছরে বাঙালি নিজের হাতে ইলিশের একটি বিখ্যাত পদ রান্না করে বাড়ির লোকেদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্তি পেতে পারেন।বরিশালি ইলিশ তৈরির পদ্ধতি--- গাদা, পেটি, ডিম-সহ প্রতিটি ১৫০ গ্রাম ওজনের মোট চারটি মাছ (৬০০ গ্রাম) নিয়ে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আন্দাজমতো নুন মাখিয়ে নিন। একটি পাত্রে ১ চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ টক দই ও আন্দাজমতো জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
একটি পাত্রে ৫০ গ্রাম সাদা সর্ষে বাটা নিয়ে তার মধ্যে এক কাপ জল দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ৫০ গ্রাম সর্ষের তেল গরম করে হাফ চা চামচ ও চারটে গোটা কাচা লঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার ইলিশ মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে উল্টে পাল্টে দুই পিঠ ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও টক দইয়ের মিশ্রণটা ঢেলে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে দিন। মাছের খণ্ডগুলো উল্টে পাল্টে দিন। এবার সাদা সর্ষে বাটা ও জলের মিশ্রণটা দিয়ে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
ইলিশের খণ্ডগুলো আবার উল্টে দিয়ে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ নারকেল বাটা, এক টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা, এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, এক চা চামচ চিনি দিয়ে খুন্তির সাহায্যে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ৪টে চেরা গোটা কাচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে নিভু আঁচে আরও পাচ মিনিট রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: নববর্ষে বাঙালি নিজের হাতে কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে পরিবারের সবাইকে ও বন্ধুদের খাইয়ে খুশি করতে পারেন। মটন/চিকেন রেজালা তো অনেক খেয়েছেন এবার কাতলা মাছের রেজালা তৈরি করে সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে দেখতে পারেন। কাতলা মাছের রেজালা তৈরির পদ্ধতি--- একেকটা একশো গ্রাম ওজনের মোট পাঁচটা পাকা কাতলা মাছের খণ্ড (মোট পাঁচশো গ্রাম) জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছুন। কাতলা মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে এক টেবিল চামচ আদাবাটা, এক টেবিল চামচ রসুনবাটা ও আন্দাজমতো নুন হাতের সাহায্যে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘন্টা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিন। একটি সসপ্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে দুটো বড় পেয়াজের কুচি, ৭৫ গ্রাম কাজু বাদাম, এক টেবিল চামচ পোস্ত, দশটা রসুনের কোয়া, দুই টেবিল চামচ আদা কুচি, দুটো কাচালঙ্কা ও আন্দাজমতো জল দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিন।
সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ করা সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে দিয়ে একটি পেস্ট বা মিশ্রন তৈরি করে নিন। মিশ্রনটা আলাদা করে রাখুন। একঘন্টা বাদে ফ্রিজ থেকে বার করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে ভাতের হাতার এক হাতা সাদা তেল ও ভাতের হাতার এক হাতা দেশি ঘি গরম করে ওর মধ্যে একটি একটি করে আদা, রসুন বাটা ও নুন মাখানো কাতলা মাছের খণ্ড দিয়ে উল্টে-পাল্টে দুই পিঠ খুব হাল্কা করে ভেজে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন।
সবকটা মাছ তুলে নেওয়ার পরে কড়ার মধ্যের সাদা তেল ও দেশি ঘিয়ের মিশ্রনের মধ্যে দুটো তেজপাতা, দুটো গোটা শুকনো লঙ্কা, একটি বড় দারচিনির স্টিক, ছটা ছোট এলাচ, ছটা লবঙ্গ, এক চা চামচ গোটা কালো গোল মরিচ ফোরন দিন। এবার মিক্সিতে বাটা পেয়াজ, কাজুবাদাম, পোস্ত, আদা, রসুন, কাচালঙ্কা বাটার মিশ্রন বা পেস্টটা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নিভু আঁচে ক্রমাগত নেড়ে মিনিট পাঁচেক কষে নিন। এবার ওর মধ্যে একশো গ্রাম ফেটানো টকদই, হাফ চা চামচ সাদা মরিচের গুঁড়ো দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার আন্দাজমতো নুন ও এক চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
এবার ওর মধ্যে হালকা ভাজা কাতলা মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট ছয়েক রান্না করুন। এরপরে ঢাকনা খুলে হাফ চা চামচ জাফরান তিন টেবিল চামচ দুধে গুলে ওর মধ্যে দিন। এক চা চামচ কেওড়া জল দিয়ে উপর থেকে কয়েকটি গোটা শুকনো লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পরোটা, রুটি বা পোলাও সহযোগে।
মাছ (Fish) ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে মৃত (Death) এক, জখম পাঁচ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সাগরপাড়া থানার খয়রামারী চাইপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, সোমবার খুব সকালে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি চলে ভোজালি এবং গুলি। ঝামেলার জেরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় সুন্নত নাম এক ব্যক্তি। সুন্নত সেখকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জখমদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে মুরসালীন সেখ খয়রামারী দামস বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেই সময় সামেদ সেখ মুরসালিন সেখকে চুরি করে মাছ ধরার অপবাদ দেয়। মুরসালিন সেখকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সামেদ সেখের বিরুদ্ধে।
তখন থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। সেই সময় অবশ্য ঝামেলা মিটমাটও হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ঝামেলার জেরে এদিন ভোর চারটে নাগাদ মসজিদের বাইরে নামাজ পড়ে বেরোনোর পর মারামারি আবার শুরু হয় সেই সময় ঘটনাস্থলে গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মারা যান সুন্নত সেখ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর সাগরপাড়া থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছেছে।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলাদেশে রকমারি মাছ ও সব্জির ভর্তা খাওয়ার খুবই প্রচলন আছে। গরম ভাতের সঙ্গে সবজি বা মাছের ভর্তা মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে খুব সহজেই কাতলা মাছের ভর্তা তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্তি পেতে পারেন। কাতলা মাছের ভর্তা তৈরির পদ্ধতি ---একশো গ্রাম ওজনের পাঁচটা কাতলা মাছের খণ্ড (মোট পাঁচশো গ্রাম) জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে আন্দাজমতো নুন ও হলুদ মাখিয়ে নিন। সসপ্যান আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো জল দিয়ে কাতলা মাছের খণ্ডগুলো ওর মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করুন। মাছ সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।
মাছের খণ্ডগুলো একটা একটা থালা বা প্লেটের উপর রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সিদ্ধ করা কাতলা মাছের খণ্ডগুলোর ছাল ও কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সর্ষের তেল গরম করে দশটা রসুনের কোয়া, দুটো শুকনো লঙ্কা, দুটো কাচা লঙ্কা দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে থালা বা প্লেটের মধ্যে রাখুন। এবার সিদ্ধ করা কাঁটা ও ছাল ছাড়ানো কাতলা মাছের খণ্ডগুলো হাতের সাহায্যে ভেঙে নিন।
এবার ওর মধ্যে একটা বড় পেঁয়াজের স্লাইস, দুই টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি, এক টেবিল চামচ সর্ষের তেল, আন্দাজমতো নুন, ভাজা রসুন, শুকনো লঙ্কা ও কাচা লঙ্কা নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে চটকে আলু ভাতে মাখার মতো করে মেখে নিন। কাতলা মাছের ভর্তা তৈরি হয়ে গেল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ফিশ ফ্রাইয়ের প্রতি বাঙালি খাদ্যরসিকদের একটা আলাদা আকর্ষণ ও আবেগ রয়েছে। ফিশ ফ্রাই খেতে ভালবাসেন না, এরকম বাঙালি খুজে পাওয়া দুষ্কর। হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে তো অনেক ফিশ ফ্রাই খেয়েছেন। এবার ছুটির দিনে বিকেলে বাড়িতে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু ফিশ ফ্রাই। ফিশ ফ্রাই তৈরি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জমিয়ে খেতে পারেন।
ফ্রায়েড ফিশ তৈরির পদ্ধতি --- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলে থেকে ডায়মন্ড শেপে আট পিস ফ্রাইয়ের মাছ কেটে নিন। ভেটকি মাছের পিসগুলোর উপরে দুটো বড় পাতি লেবুর রস ও আন্দাজমতো নুন হাতের সাহায্যে মাখিয়ে নিয়ে মিনিট দশেক আলাদা করে রেখে দিন। দশ মিনিট বাদে লেবুর রস ও নুন মাখানো মাছের পিসগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে দুটো ডিমের গোলা, পঞ্চাশ গ্রাম সাদা তেল, একশো গ্রাম ময়দা, দশ গ্রাম মাস্টারড পাউডার, দশ গ্রাম সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজমতো নুন, পঞ্চাশ গ্রাম সস, দুই টেবিল চামচ জল, দশ গ্রাম চিনির গুঁড়ো নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে ফেটিয়ে একটি মিশ্রণ বা ব্যাটার তৈরি করে নিন। এবার এই ব্যাটারের মধ্যে ভেটকি মাছের পিসগুলো দিয়ে ভাল করে ব্যাটারে চুবিয়ে মিনিট পাঁচেক রেখে দিন।
দুশো গ্রাম ব্রেড ক্রাম্ব সমান করে বিছিয়ে দিন। পাঁচ মিনিট বাদে ব্যাটারে চোবানো ভেটকি মাছের পিসগুলো ব্রেড ক্রাম্বের মধ্যে দিয়ে উল্টেপাল্টে হাতের সাহায্যে চেপে ভেটকি মাছের দুই পিঠে ব্রেড ক্রাম্ব লাগিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে ব্যাটারে চোবানো ভেটকি মাছের পিসগুলো দিয়ে হালকা বাদামি রং করে ভেজে নিন। মাছ পেকে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিন। প্লেটে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন আলু ভাজা ও টারটার সস বা টমেটো সস সহযোগে।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ছুটির দিনে বাড়িতে আতিথি এলে বা বাড়ির সবাইকে বিকেলে চায়ের সঙ্গে গরম গরম সুস্বাদু ফিশ ফিংগার তৈরি করে খাইয়ে খুশি করতে পারেন। ফিশ ফিংগার তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিল আঙুলের শেপে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। মাছের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। এবার একটা পাত্রে একটা বড় পাতি লেবুর রস, তিন টেবিল চামচ মাস্টারড পাউডার, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা বাটা, দুই টেবিল চামচ ধনেপাতা বাটা, এক টেবিল চামচ পারসলি পাতা কুচি, আন্দাজমতো নুন, দুই চা চামচ সাদা মরিচের গুঁড়ো, এক চিমটে আজিনামোটো, একটা ডিমের গোলা, তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণের মধ্যে ভেটকি মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে হাতের সাহায্যে মিশ্রণটা মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ মাখানো মাছের খণ্ডগুলো ঘন্টা চারেক আলাদা করে রেখে দিন। চার ঘণ্টা বাদে আন্দাজমতো ব্রেড ক্রাম্ব নিয়ে মিশ্রন মাখানো ভেটকি মাছের খণ্ডগুলো ওর মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে রোল করে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে ভেটকি মাছের ফিংগারগুলো ছেড়ে হাল্কা বাদামি রং করে ভেজে নিন।
হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাসুন্দি বা রেডিমেড টারটার সস সহযোগে।
গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক মৎস্যজীবীর। আনুমানিক শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার (Fraserganj Coastal Police) পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত মৎস্যজীবীর নাম দুলাল প্রামাণিক। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার অন্তর্গত দক্ষিণ শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যান্য মৎস্যজীবীদের থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২১শে মার্চ মঙ্গলবার মৎস্য শিকারের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্রে রওনা দেন দুলাল। তিনি এফবি রিয়া নামের একটি ট্রলারে করে সহকর্মী মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সমুদ্রে যান। তারপর গভীর সমুদ্রের মধ্যে ট্রলারে থাকাকালীনই বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন দুলাল প্রামাণিক। তখনই তড়িঘড়ি করে দুলাল প্রামাণিককে নিয়ে এফবি রিয়া নামের ট্রলারটি উপকূলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার ট্রালারটি উপকূলে পৌঁছতেই বাকি মৎস্যজীবীরা অসুস্থ দুলাল প্রামাণিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ মৃতর পরিবার সহ অন্যান্য মৎস্যজীবীরা।