শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: মৎস্যপ্রেমীরা রকমারি মাছের পদ রান্না করে খেতে ও খাওয়াতে সর্বদাই ভালবাসেন। ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি, পাবদা, পারশে, ট্যাংরা, রুই,কাতলা প্রভৃতি মাছের রকমারি পদ তো অনেক খেয়েছেন। এবার বোয়াল মাছের একটি পদ রান্না করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে খুশি হন।
সর্ষে বোয়াল তৈরির পদ্ধতি--- ৫০০ গ্রাম বোয়াল মাছের পাচটা খণ্ড করে নিন। জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে নিয়ে মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে আন্দাজমতো নুন ও হলুদ গুঁড়ো মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে হাতের সাহায্যে মাখিয়ে নিন। মিনিট পাচেক বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে ২৫ গ্রাম সরষের তেল গরম করে নুন, হলুদ মাখানো বোয়াল মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রেখে দিন। এবার কড়ায় আরও ৩০ গ্রাম সরষের তেল গরম করে হাফ চা চামচ কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা ও হাফ চা চামচ হলুদ গুড়ো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ নেড়ে কষে নিন। এবার ওর মধ্যে ৫০ গ্রাম সাদা সরষে বাটা, ৩০ গ্রাম ফেটানো টক দই দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ৫-৬টা চেরা কাচা লঙ্কা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বোয়াল মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। নিভু আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে রান্না করুন, যতক্ষণ না মাছ সিদ্ধ হচ্ছে ও ঝোল ঘন হচ্ছে। হয়ে গেলে উপর থেকে এক টেবিল চামচ কাচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কড়া আঁচ থেকে নামিয়ে গরম ভাত সহযোগে পরিবেশন করুন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাজারে মাঝেমধ্যেই অনেক ম্যাকারেল (কাজলগৌরী বা ভাংরা নামেও পরিচিত) মাছ উঠতে দেখা যায়। এই মাছ অতি সুস্বাদু। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কেরালাতে এই মাছ অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই মাছ দিয়ে বিভিন্ন পদ রান্না করা হলেও এই মাছের মশলাদার ফ্রাই সবচেয়ে উপাদেয়। ডাল দিয়ে ভাত মেখে তার সঙ্গে এই মাছের ফ্রাই দিয়ে খেতে যেরকম ভাল লাগবে, আবার বিকেলের জল খাবারে চা বা কফির সাথে ম্যাকারেল মাছের ফ্রাইও খুবই উপাদেয়। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে পরিবারের লোকজন-বন্ধু বান্ধবদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্ত হতে পারেন।
ম্যাকারেল মাছের ফ্রাই তৈরির পদ্ধতি--- (প্রথম পর্বের পর)
এবার এই মিশ্রণটা প্রতি মাছের দুই পিঠে হাতের সাহায্যে ভাল করে মাখিয়ে নিন। ঘন্টা খানেক রেখে দিন। একটা ট্রের মধ্যে এক কাপ সুজি, হাফ কাপ চালের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চা চামচ ধনে-জিরের গুঁড়ো, বড় এক চিমটে গরম মশলার গুঁড়ো নিয়ে চামচের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণ মাখানো গোটা ম্যাকারেল মাছগুলো সুজির মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে দুই পিঠে ভাল করে ক্রাম্ব করুন। ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে মাঝারি গুঁড়ো মাছগুলো ছেড়ে উল্টেপাল্টে একেক পিঠ ৩-৪ মিনিট ভেজে নিন। দুই পিঠ কড়া করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে, তেল ঝরিয়ে নিয়ে প্লেটে রাখুন।
শশা, পেয়াজ, টমেটোর স্লাইজ ও ধনেপাতা, পুদিনা পাতার চাটনি সহযোগে গরম গরম ম্যাকারেল মাছের ফ্রাই পরিবেশন করুন।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাজারে মাঝেমধ্যেই অনেক ম্যাকারেল (কাজলগৌরী বা ভাংরা নামেও পরিচিত) মাছ উঠতে দেখা যায়। এই মাছ অতি সুস্বাদু। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কেরালাতে এই মাছ অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই মাছ দিয়ে বিভিন্ন পদ রান্না করা হলেও এই মাছের মশলাদার ফ্রাই সবচেয়ে উপাদেয়। ডাল দিয়ে ভাত মেখে তার সঙ্গে এই মাছের ফ্রাই দিয়ে খেতে যেরকম ভাল লাগবে, আবার বিকেলের জল খাবারে চা বা কফির সাথে ম্যাকারেল মাছের ফ্রাইও খুবই উপাদেয়। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে পরিবারের লোকজন-বন্ধু বান্ধবদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্ত হতে পারেন।
ম্যাকারেল মাছের ফ্রাই তৈরির পদ্ধতি--- ৬টি গোটা ম্যাকারেল মাছের পেটের ময়লা পরিষ্কার করে মাছের এক পিঠে ধারালো ছুরির সাহায্যে চারটে করে চেরা দিয়ে নিন। মাছগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে, জল মুছে নিন। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আন্দাজ মত নুন ও একটা পাতি লেবুর রস ছড়িয়ে হাতের সাহায্যে প্রতিটি মাছের দুই পিঠে ভাল করে ঘষে ঘষে মাখিয়ে নিন। এই অবস্থায় পনেরো মিনিট আলাদা করে রাখুন। একটা পাত্রে এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ ধনের গুঁড়ো, এক চা চামচ জিরের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, একটা পাতি লেবুর রস ও সামান্য নুন ও জল দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। (পরবর্তী পর্বে)
কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফের বাঘের হামলায় (Tiger Attack) মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর।বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের (Sundarban) কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি এলাকার ঘটনায় আতঙ্ক। দেবীপুর পঞ্চায়েতের দেউলবাড়ি গ্রাম থেকে চার জন মৎস্যজীবী (Fisherman Death) নৌকায় চেপে রওনা দিয়েছিলেন। ওই নৌকায় ছিলেন বাসুদেব বৈদ্য নামে এক মৎস্যজীবী। নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরেই তাঁদের সংসার চলে।
সোমবার বাসুদেব বৈদ্য যখন কাঁকড়া ধরার জন্য নৌকার মাথার দিকে বসে সুত ফেলার কাজ করছিল। ঠিক সেই সময় ম্যানগ্রোভের ঝোপ থেকে আচমকাই বেড়িয়ে আসে বাঘটি। হঠাৎ বাঘটি এসে হামলা করে বাসুদেব বৈদ্যর উপর। বাঘটি তাঁকে ঘাড়ে কামড় দিয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় নৌকায় থাকা বাকি মৎস্যজীবীরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে বাঘ তাঁকে ছেড়ে পালায়।
পরে মৎস্যজীবীরা তাকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামে শোকের ছায়া। কুলতলি থানার পুলিস দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা অনুমতি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু বন দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও তাঁরা মাছ ধরতে গিয়েছিল। তাই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: শীতেকালে গরম গরম স্টু খাবার মজাই আলাদা। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই স্টু খেতে ভালবাসে। চিকেন স্টু তো অনেক খেয়েছেন এবার বানিয়ে ফেলুন মাছের স্টু। যারা চিকেন খান না, তাদের জন্যে এটা খুবই উপাদেয়। যারা চিকেন স্টুয়ের ভক্ত, তারাও স্বাদ বদলের জন্যে মাছের স্টু খেয়ে দেখতে পারেন ভাল লাগবে। মাছের স্টু তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম ভোলা-ভেটকি বা ভেটকি মাছের খণ্ড করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সসপ্যান আঁচে বসিয়ে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল, এক টেবিল চামচ মাখন গরম করে ওর মধ্যে একটা বড় পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ রসুন কুচি ও এক টেবিল চামচ আদা কুচি দিয়ে নেড়ে হালকা ভেজে নিন।
এক মুঠো ডাটা কুচি দিয়ে নেড়ে এক চা চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আন্দাজমতো নুন দিন। দুটো তেজ পাতা ও একটা দারচিনির স্টিক দিন। এবার ওর মধ্যে একটা বড় আলুর কিউব, একটা বড় গাজরের কুচি, ছয়টা বিনস কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার দুটো বড় টমেটোর কুচি, টমেটো কেচআপ দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে, মিনিট পাঁচেক কষে নিন। এবার ওর মধ্যে পরিমাণ মত জল দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ পারসলি পাতা কুচি দিন। নিভু আঁচে মিনিট দশেক ঢাকনা বন্ধ করে রান্না করুন। এবার ঢাকনা খুলে ওর মধ্যে মাছের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস ছড়িয়ে মিশিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
কিছুক্ষণ বাদে ঢাকনা খুলে দেখুন মাছ পেকে গেলে উপর থেকে এক টেবিল চামচ মাখন ছড়িয়ে দিন। আঁচ থেকে নামিয়ে টোস্ট সহযোগে গরম গরম মাছের স্টু পরিবেশন করুন।
মৎস্যজীবীদের (Bengal Fishery) জালে ফের ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির মাছ। নদী থেকে তুলে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসা হল সুন্দরবনের মাছ বাজারে (Sundarban Fish Market)। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে দেবাশীষ মল্লিকের পাতা জালে একটি বিশালাকার শংকর মাছ ধরা পড়ে। যা ৬ ফুট লম্বা এবং সাড়ে ৪ ফুট চওড়া। মাছটির লেজ বেশ অনেকটাই বড় এবং ওজন প্রায় ৯৫ কেজি। মাছটিকে তুলতে প্রায় চারজন মৎস্যজীবীর প্রয়োজন হয়েছে। পরে ওই মাছটি নিয়ে বড় বাঁকড়া বাজারে আড়তে নিয়ে আসা হয়। মাছটির বাজারমূল্য ১৬ হাজার টাকার উপরে। এই ধরনের মাছ সাধারণত সমুদ্রে থাকে।
মৎস্যজীবীরা মনে করছেন খাবারের সন্ধানে ভুল করে সমুদ্র থেকে নদীতে ঢুকে পড়েছিল সে। যে কারণে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে ওই মাছ। মাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম হেপানাস আমেরিকানাস। মাছটিকে বাজারে আনতেই মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। তবে সময় যত গড়িয়েছে মাছটির বাজারমূল্য তত বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এরকম মাছ আগে কখনও চোখে পড়েনি। এই ধরনের মাছ দেখে বেজায় খুশি তারা। মৎস্যজীবীরা জানান, 'তারা ভাবতেই পারেনি কখনও এত বড় শংকর মাছ জালে ধরা পড়বে। ১৭০-১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এই মাছ।'
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) জলসীমায় মাছ ধরার অভিযোগে লঙ্কার নৌবাহিনী সাত ভারতীয় জেলেকে (Indian fishermen) গ্রেফতার (arrested) করেছে। তাঁদের নৌকা আটক করেছে। বুধবার সকালে, রামেশ্বরম (Rameswaram) মৎস্য বন্দর থেকে ৪০০টিরও বেশি নৌকা মাছ ধরার অনুমতি পায়। তারপরই জেলেরা সমুদ্রে গিয়েছিল।
কিন্তু পরের দিন সন্ধ্যায় যখন ভারতীয় জেলেরা কাচ্চাথিভু এবং নেদুনথিভুর মধ্যে মাছ ধরছিল, তখন ওই এলাকায় টহলরত শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী জেলেদের মাছ ধরা থেকে বাধা দেয় এবং তাঁদের মাছ ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী মাইকেল রাজের মালিকানাধীন নৌকাটিকে আটক করেছে, যিনি নেদুন্দিভুর কাছে মাছ ধরছিলেন। এবং সেই জাহাজে থাকা সাত জেলেকেও আটক করে। জেলেদের তদন্তের জন্য কড়াইনগর ন্যাভাল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তদন্ত শেষে তাঁদের জাফনা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল জেলেকে জেলা আদালতে হাজির করে জাফনা জেলে বন্দি করা হবে বলে জানান শ্রীলঙ্কা নৌসেনারা। একই ঘটনায় রামেশ্বরম জেলেদের শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী আটকায়। এরপর তাঁদের নেদুনথিভুর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এমনকি যে জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছিলেন, সেই জালও কেটে সাগরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এই কারণে, তীরে ফিরে আসা জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মাছ ধরতে যাওয়া নৌকা প্রতি তাঁদর প্রায় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সল্টলেক (Saltlake) বৈশাখী মাছ বাজারে দোকানের অ্যাসবেস্টর ভেঙে পড়ে বিপত্তি। আহত ছয় জন, আহতদের বিধান নগর হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও মাঝেমধ্যেই হালকা মাঝারি হাওয়া। যার ফলে বৈশাখী মাছ বাজারের (Fish Market) একটি দোকানে অ্যাসবেস্টর ভেঙে পড়ে সকাল ৮.৩০ নাগাদ। সেই সময় বাজারে ক্রেতাদের ভির ছিল ভালোই।
এই প্রসঙ্গে বাজার দোকানদারদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারের দোকানগুলি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই দোকানের পরিবর্তে বৈশাখী মলে দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও মলে দোকানে তাদের সিট করা হয়নি। দোকান রেডি রয়েছে এমনটাও দাবি। যে মলের দোকানে সিফট করার জন্য মেয়রকে দীর্ঘদিন ধরে বলার পরেও মলের দোকানের তাদেরকে শিফট করা হচ্ছে না। যে কারণে এই দুর্ঘটনা।
এদিকে আবহাওয় দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। ইতিমধ্যে দুই ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকা এবং দিঘা-মন্দারমণিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) পুলিস পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। জানা যায়, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এলাকায় পুলিসকর্মী (police) পরিচয় দিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর এক কর্মীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমীর হাজরা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিস।
বছর ৩৬-এর মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ আসিফ মাকসুদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয় পুলিস। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এক কর্মচারী মহম্মদ সানাউল্লাহ মাছ বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা ব্যাগে করে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই টাকা প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তা পরে ব্যাঙ্কে জমা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকান চার ব্যক্তি। এরপর পুলিসকর্মী পরিচয় দিয়ে ওই চার ব্যক্তি সানাউল্লাকে জোর করে একটি দোকানে নিয়ে যান। তারপর তাঁর ব্যাগ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
ঘটনার পরই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ। তদন্ত চলাকালীন নারকেলডাঙা পিএস এলাকায় রাতভর অভিযান চালানো হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ৪ জনকে। এদিন তাদের নারকেলডাঙা মেইন রোডের ক্রসিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা হল সানি হাজরা, সমর দত্ত, টিঙ্কু সাহানি ও পাপ্পু খটিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ টাকা।
এরপর তাদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, এই ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড সমীর হাজরা। তাকেও ১৬৭/এ বিবি গাঙ্গুলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। হেফাজতে থাকা সকল অভিযুক্তকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে সানি হাজরা বিধানসভার একজন কন্ট্রাকচুয়াল স্টাফ। সেদিন সে নিজেকে পুলিস পরিচয় দিয়ে অতীতের শত্রুতা থেকেই ওই মাছ ব্যবসায়ীর কর্মচারীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
ভরা বর্ষায় সেভাবে বাঙালির পাতে নেই ইলিশ মাছ। নেপথ্যে আগুন ছোঁয়া দাম। কিন্তু দুর্গা পুজোর আগে সুখবর। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে পদ্মার ইলিশ আসার সম্ভাবনা। তারও দামও থাকবে নাগালের মধ্যে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ থেকে আসছে ইলিশ। সেই ইলিশ আমদানি করছেন রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। গতবছর পুজোর মাত্র দিন কয়েক আগে পদ্মার ইলিশ এরাজ্যে এসে পৌঁছনোয় ক্রেতাদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে।
তাই এবার আগেভাগেই ইলিশ আমদানির ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, এবার বিক্রির জন্য আরও কিছুটা বেশি সময় চেয়ে অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবেদন করে চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে। কয়েক দিনের মধ্যে সেই অনুমতি মিলবে। ফলে খুব দ্রুত পদ্মার ইলিশের স্বাদ পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী।
দেশের আঞ্চলিক জলসীমার মধ্যে চোরাচালানের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর (Sri Lankan Navy) হাতে গ্রেফতার (arrested) ছয় ভারতীয় জেলে (Indian fishermen)। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তদের ট্রলারও বাজেয়াপ্ত (seized trawlers) করেছে। দ্বীপরাষ্ট্র এক সরকারি বিবৃতিতে বলেছে, একমাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেছে।
নৌবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, মান্নার দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত তালাইমান্নার থেকে শনিবার জেলেদের গ্রেফতার করা হয়। তালাইমান্নারে নৌ হেফাজতে থাকা জেলেদের মান্নারে মৎস্য পরিদর্শকের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ শে অগাস্ট শ্রীলঙ্কার জলসীমায় চোরাচালানের অভিযোগে ১০ জন ভারতীয় জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেলেদের এই ইস্যুটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয়। যেখানে লঙ্কান নৌবাহিনীর কর্মীরা ভারতীয় জেলেদের উপর গুলি চালায় এবং শ্রীলঙ্কার আঞ্চলিক জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের একাধিক অভিযোগে তাদের নৌকা আটক করে।
প্রসঙ্গত, পক প্রণালী, যা শ্রীলঙ্কা থেকে তামিলনাড়ুকে আলাদা করে রেখেছে। এটি উভয় দেশের জেলেদের জন্য মাছ ধরার একটি সমৃদ্ধ জায়গা।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি মাত্রই মাছের ভাজা পদের প্রতি আলাদা আকর্ষণ অনুভব করেন। সে ফিশ ফ্রাই, ফিশ রোল, ফিশ কবিরাজি, ফিশ বাটার ফ্রাই যাই হোক না কেন। এসব তো অনেক খেয়েছেন, এবার চটপটা পুরভর্তি ভেটকি মাছের একটা জম্পেশ ব্যাটার ফ্রাই খেয়ে দেখুন, মন ভরে যাবে।
১) ফিশ পাসিন্দা ফ্রাই তৈরির পদ্ধতি ----- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলে থেকে আটটা চৌকো চৌকো পিস করে নিন। মাছের পিসগুলোর উপর তিনটে পাতি লেবুর রস ও আন্দাজ মত নুন ছড়িয়ে দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মাছের গায়ে মেখে নিন। পনেরো মিনিট আলাদা করে রেখে দিন। পনেরো মিনিট বাদে মাছের ফিলে গুলো হাতের সাহায্যে চেপে জল ঝড়িয়ে নিন। এবার জলে ভাল করে মাছগুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
২) একটা পাত্রে দুই টেবিল চামচ ধনেপাতা বাটা, দুই টেবিল চামচ পুদিনাপাতা বাটা, এক টেবিল চামচ কাচালঙ্কা বাটা, তিন টেবিল চামচ নারকেল বাটা, দুটো পাতিলেবুর রস, এক টেবিল চামচ চিনির গুড়, আন্দাজ মত নুন নিয়ে ভাল করে হাতের সাহায্যে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। পুর তৈরি হয়ে গেল। অন্য একটা পাত্রে একটা ডিমের গোলা, তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, দেড় টেবিল চামচ ময়দা, এক চা চামচ বেকিং পাউডার, আন্দাজ মতো নুন ও ছোট এক মুঠো সবুজ, হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম কুচি নিয়ে হুইস্কের সাহায্যে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেল।
৩) এবার ভেটকি মাছের পিসগুলোর মধ্যে লম্বালম্বি করে আন্দাজ মতো পুর ভরে মাছের পিসটা ফোল্ড করে নিন। পুরো পুরটা সমান ভাগে বাকি মাছের পিসগুলোর মধ্যে ভরে ফোল্ড করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজ মত সাদা তেল গরম করে নিন। পুর ভর্তি মাছের পিসগুলো ব্যাটারে চুবিয়ে কড়াতে দিয়ে ডুবো তেলে হালকা বাদামী রং করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিন। প্লেটে রেখে মেয়োনিজ সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।
একটি বিরল প্রজাতির মাছ (fish) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য নদিয়ায় (Nadia)। সাত সকালে এমন মাছ দেখে বেজায় খুশি এলাকাবাসী। জানা যায়, বুধবার সকালে বেথুয়াডহরি মাছ বাজারে নাকাশিপাড়ার এক মাছ ব্যবসায়ী পাটুলি গঙ্গা থেকে একটি বড় জাতের কাতলা মাছ ধরেন। জালে ওঠার পর দেখা যায়, ওই কাতলা (katla) মাছ বিরল প্রজাতির। যার পাখনাগুলি অত্যাধিক বড় এবং রঙিন পাখনা। খবর পেতেই সাতসকালে ওই মাছ দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়।
মৎস্য ব্যবসায়ী দীপঙ্কর রাজবংশী জানান, এদিন সকালে তিনি গঙ্গা থেকে এই মাছটি পান। তবে এই মাছটি তিনি পুনরায় গঙ্গায় ছেড়ে দেবেন। এখনও এই ধরণের এত সুন্দর মাছ জীবিত রয়েছে, যা তিনি মেরে ফেলতে চান না। তিনি মাছটিকে কেটে বিক্রিও করতে চান না। এলাকাবাসীরা একে একে বাজারে এসে ওই মাছটিকে দেখে, ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে এতেই খুশী তিনি। তাঁর এই নির্লোভ মানসিকতার পরিচয়ে খুশি ক্রেতারাও।
সমুদ্রে ইলিশ মাছ (Hilsa fish) ধরতে গিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনার (Accident) কবলে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা (Fishermen)। শুধু ভারতীয় জলসীমাতেই নয়, বাংলাদেশী (Bangladesh) জলসীমাতেও একই রকম দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। আর এরকমই এক দুর্ঘটনার মুখে পড়া ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের প্রাণে বাঁচালেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা
উল্লেখ্য, গত ১৫ ই অগাস্ট বাংলাদেশের বরগুনা থেকে ৮-১০ টি ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে বার হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। ১৭ তারিখ সমুদ্রে খারাপ আবহাওয়ার দরুন একটি ট্রলারের নিচে ছিদ্র হয়ে যায়। তখন ট্রলারে থাকা ১৯ জন মৎস্যজীবী বাঁশ দিয়ে একটি ভেলা বানান। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পরে তাঁরা সমুদ্রের মধ্যে ভাসতে থাকেন। এর মধ্যে দুজন মৎস্যজীবী সমুদ্রের জলে তলিয়ে যান। বাকিরা দুইদিন দুই রাত বাঁশের ভেলায় ভেসে থাকেন।
অবশেষে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ওই ১৯ জন মৎস্যজীবী মইপিট কোস্টাল থানার কালি দ্বীপের কাছে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেন। সুন্দরবনের জঙ্গলের বাঘের ভয় তাঁরা রাত কাটান গাছের উপর। রবিবার বিকেলে মইপিট এলাকার মৎস্যজীবীরা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের দেখতে পান। তখন তাঁরা বিপদে পড়া ১৭ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন মইপিট কোস্টাল থানায়।
প্রসঙ্গত, কোস্টাল থানার পুলিস উদ্ধার হওয়া ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীর প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যায় বৈকন্ঠপুর ফ্লাট সেন্টারে। সেখানেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ সকালে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবে যাওয়া ট্রলার(TRAWLER) এফবি সত্যনারায়ণের ১৩ জন মৎস্যজীবীকে(fishermen) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ(missing) ৫ জন মৎস্যজীবী। উদ্ধার মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ডুবে থাকা ট্রলারটির অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে।
উদ্ধারকাজে মৎস্যজীবীদের তিনটি ট্রলার গিয়ে ১৩জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পাথরপ্রতিমা ঘাটে। পরে তাদের নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সমুদ্র উত্তাল থাকার পাশাপাশি অন্ধকারের মধ্যে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। নিখোঁজ ৫ মৎস্যজীবীর খোঁজ চালানো শুরু হয় সকাল থেকে।
উত্তাল সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে কীভাবে বেঁচে ফিরলেন সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালন এক মৎস্যজীবী ।
নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাদেরও খোঁজে উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানান সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র।
প্রসঙ্গত, গতকল কেঁদো দ্বীপের(island) কাছে উল্টে যায় এফবি সত্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার। সূত্রের খবর, নিখোঁজ হন কাকদ্বীপ-নামখানা এলাকার ১৮ মৎস্যজীবী। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ফেরার সময় সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অন্তর্গত কেঁদো দ্বীপের কাছে ডোবা চরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তারা। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল এফবি সত্যনারায়ণ নামের ট্রলারটি।