Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AnubrataMondal

Anubrata: গরু পাচারের সমস্ত টাকা নিজের নামেই করেছেন কেষ্ট মন্ডল, চার্জশিটে দাবি ইডির

কেউ সচরাচর দুর্নীতির (Scam) টাকা নিজের নামে রাখেন, কিংবা কেউ ওই টাকায় বেনামি সম্পত্তি করেন। কিন্তু অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) তা করেননি। ইডির দেওয়া চার্জশিটে ইডি (ED) জানাচ্ছেন, গরু পাচারের সমস্ত টাকা নিজের নামে ও পরিবারের নামেই করেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। তাঁর লোকলস্কর কম ছিল না। সংগঠনের কাজে ব্লক স্তরের নেতাদের ভরসা করলেও অপরাধের টাকার ব্যাপারে কারও উপর আস্থা রাখেননি অনুব্রত মণ্ডল। বেনামীদের অ্যাকাউন্টে না রেখে সব জড়ো করেছিলেন নিজের নামে। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, গরু পাচারের ৭৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি করেছেন কেষ্ট মণ্ডল।

এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী হিসাব এটাই। প্রথমে ইডি জানিয়েছিল ২৯ কোটি টাকার হিসাব। তারপর আরও ৪৮ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে ২০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ৪৮ কোটি টাকা কোন কোন খাতে অনুব্রত ঢুকিয়েছেন নিজের পকেটে তারও একটা হিসাব দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ১২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার বেশি ক্যাশ ডিপোজিট হয়েছিল অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে। তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর নামে যেসব সংস্থা রয়েছে সেগুলির নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে ২০ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকার। সেই সংস্থাগুলি থেকে লভ্যাংশ হিসাবে অনুব্রত পেয়েছেন পাঁচ কোটি টাকার বেশি। বেনামী অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে প্রায় ছ’কোটি টাকা। লটারিরও বিপুল টাকা ঢুকেছিল তাঁর অ্যাকাউন্টে।

গরু পাচারের কাঁচা নগদ সহযোগীদের দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ক মারফত নিতেন অনুব্রত। ইডি দাবি করেছে, অনুব্রত যে সব কায়দা নিয়েছিলেন তা অভিনব। তবে অনেককে ব্যবহার করলেও খুব বেশি টাকা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে নেই। সবটাই তিনি নিজের ভাণ্ডারে জড়ো করেছিলেন। চার্জশিটে ইডি আরও বলেছে, ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু লোকের নামে অনুব্রত টাকা রাখলেও ২০১৯ সাল থেকে আর ঝুঁকি নেননি। নগদ, জমি, রাইস মিল কেনা—যা করেছেন সব নিজের, স্ত্রীর ও মেয়ের নামেই করেছেন।

12 months ago
Sukanya: বাবার অনুমতিতেই সব সই! তবে কি নিজের নামের বিপুল সম্পত্তির কথা জানতেন না সুকন্যা

বাবা যেখানে বলতেন, সেখানেই সই করে দিতাম। ইডির (ED) কাছে এমন জানিয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। এরফলে বাবার সঙ্গে মেয়ের বক্তব্যের তালমিল খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে ইডির আধিকারিকরা। ইডির চার্জশিটে এবার নাম এসেছে সুকন্যার। পেশায় সাধারণ স্কুল শিক্ষিকা। অথচ তাঁর নামে অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ! কোথা থেকে এল সঙ্গতিহীন টাকা? বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুকন্যা মণ্ডল ইডির এই প্রশ্নের জবাবে যা বলেছেন, তার সঙ্গে বিস্তর ফারাক খুঁজে পাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডির তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে উঠে এসেছে সেই অসঙ্গতির বিবরণও।

ইডির দাবি, সুকন্যা জেরায় জানিয়েছেন, তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করেন। সেই বাবদ প্রাপ্ত বেতনই তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে আরও একাধিক ফার্ম এবং সংস্থায় শেয়ারহোল্ডার হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের কন্যার। ইডির এই প্রশ্নের জবাবে সুকন্যা দাবি করেছিলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। সবই জানেন তাঁর বাবা, অনুব্রত মণ্ডল।

পাশাপাশি ইডির চার্জশিটে সুকন্যাকে উদ্ধৃত করে আরও দাবি করা হয়েছে যে, তিনি বাবার কথাতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম-সহ বিভিন্ন নথিপত্রে সই করতেন। মেসার্স এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থার মালিক হিসাবে নাম রয়েছে সুকন্যার। সুকন্যা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই তাঁর, বাবা জানেন। এ ছাড়া ভোলেবোম রাইস মিল নিয়েও কিছু জানেন না বলে ইডিকে জানিয়েছেন অনুব্রত-কন্যা। তাঁর জানা নেই, রাইস মিলের ডিরেক্টর এবং ম্যানেজার কে। তবে ইডিকে সুকন্যা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁর বাবা কিছু জানলেও জানতে পারেন।

12 months ago
Sukanya: আপাতত বাবার কোলেই ফিরলেন মেয়ে, সুকন্যার ১২ দিনের তিহাড় বাসের নির্দেশ আদালতের

বাবার কোলেই ফিরলেন মেয়ে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal) আপাতত তিহাড় (Tihar) জেলেই থাকবেন। রবিবার তাঁকে ১২ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সুকন্যা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে দিল্লির আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।

গত বুধবার গরু পাচার মামলায় দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যাকে। তারপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতারির পর শনিবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। এই গরু পাচার মামলায় সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত-কন্যাকে। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেন। তারপরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর জানতে সুকন্যাকেও তলব করেছিল ইডি। গত মার্চ মাসেই তাঁকে এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ান। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়, সুকন্যা শারীরিক ভাবে অসুস্থ।

সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। বোলপুরে তাঁর মালিকানায় প্রচুর জমিজমা রয়েছে। ব্যাঙ্কে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িটও রয়েছে সুকন্যার। এই সম্পত্তি হিসাব বহির্ভূত বলে দাবি ইডির। গরু পাচারকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ইডি দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়।


12 months ago


Sukanya: গ্রেফতারি জেনেই কি হাজিরা এড়াচ্ছিলেন! হাজির হতেই ইডির জালে অনুব্রত কন্যা

গরু পাচার (Cattle Smuggling) মামলায় বাবাকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল ইডি (ED)। বুধবার রাতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গ্রেফতার করে ইডি। বারবার হাজিরার নির্দেশ অমান্য করেন সুকন্যা। গ্রেফতারি নিশ্চিত জেনেই কি হাজিরা এড়াচ্ছিলেন অনুব্রত কন্যা, এ প্রশ্নও উঠছিল বারবার। বুধবার ইডির দিল্লির অফিসে হাজিরা দিতে যান সুকন্যা মণ্ডল। তাঁকে জেরা করে কিছু অসঙ্গতি মেলায় সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করবেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সুকন্যার কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ তথ্যাকারে আদালতকে জানাবে ইডি। 

চাকরিতে প্রভাব খাটানো থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, নানা অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। গরু পাচার মামলায় সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির অভিযোগ, সুকন্যা তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যার নামে ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। এর পাশাপাশি, ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অনুব্রতের নামে বোলপুরে ২৪০ কাঠা জমি রয়েছে। আর তাঁর কন্যা সুকন্যার নামে রয়েছে ১২০ কাঠা জমি! বোলপুর পুর এলাকার মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ জমি আছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, এই জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। আগেই বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রতের নামে ২৪০ কাঠা জমির কাগজ প্রকাশ্যে এসেছিল। এ বার সুকন্যার নামে ১২০ কাঠা জমি সংক্রান্ত সরকারি নথিও প্রকাশ্যে আনতে চলেছে ইডি।

বোলপুর পুর এলাকায় প্রত্যেক কাঠা জমির আনুমানিক দাম অন্তত ৭ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতের ২৪০ কাঠা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার ১২০ কাঠা জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। আর এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিই এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে। বৃহস্পতিবার সুকন্যাকে আদালতে পেশ করার সময় ইডি এই নথিও প্রকাশ্যে আনতে পারে। ইডি সূত্রের খবর, গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগ করতেই এই জমিগুলি কেনা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশির ভাগ জমিই ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, অবৈধ উপায়ে পাওয়া টাকা বিনিয়োগ করার জন্যই জমিগুলি কেনা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, ১২০ কাঠা জমির বাইরে শিবশম্ভু রাইস মিলেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার জমি।

12 months ago
Sukanya:বাবার পর এবার মেয়ে, গরু পাচার-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার সুকন্যা

ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত কন্যাকে। কিন্তু বিভিন্ন অছিলায় বারবার হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। এবার বুধবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত বছর ১১ই আগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বাবার গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় গ্রেফতার অনুব্রতর মেয়ে। ইতিমধ্যে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত।

আসানসোল জেলে ফিরে আসার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের অনুব্রতর আবেদন নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  এদিকে, বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

12 months ago


Birbhum: অনুব্রতহীন বীরভূমে আবার শাসক শিবিরে ভাঙন, তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে সিপিএমে যোগ

একদিকে যখন গোষ্ঠীদ্বন্ধ, অন্যদিকে তখন দলে ভাঙ্গন। যখন অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূম সামলাতে হিমশিম তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো, ঠিক তখনিই অনুব্রতহীন জেলায় আবার শাসক শিবিরে ভাঙন। বুধবার সকালে বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে সিপিএমে (CPIM) যোগ দিল ১০০-র বেশি পরিবার। হাতিয়া অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম থেকে এসে লাভপুরের তরুলিয়া হাটে আয়োজিত এক যোগদান কর্মসূচিতে এই পরিবারগুলি সিপিএমে যোগ দেয়।

বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে শাসক শিবির। অনুব্রতের গরহাজিরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী গেরুয়া শিবিরও বীরভূমকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে। কিন্তু তার মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে বহু পরিবারের সিপিএমে যোগদান দুই দলেরই জেলা নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর।

তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করা আব্দুল আলিম বলেন, ‘তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে আমরা তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করলাম। আমরা তৃণমূলের কর্মী ছিলাম। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কিছু বলতে গেলেই জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। তার জন্য আমরা প্রায় একশোর বেশি পরিবার সিপিএমে যোগদান করলাম।’

এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের দুর্নীতিতে মানুষ ক্ষিপ্ত। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মানুষের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই লোকে আমাদের দলে যোগদান করছে। শুধু লাভপুরে নয়, পুরো বীরভূমেই আমাদের দলে বহু মানুষ অন্য দল ছেড়ে যোগদান করবে।’

যদিও এই পরিবারগুলির তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়াকে বিশেষ আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূল করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে দল করে। তাই দল ছেড়ে তাঁরা যাবেন না। যাঁরা দল ছাড়ছেন তাঁরা হলেন সেই সুবিধাবাদীরা যাঁরা বিধানসভা নিবার্চনের আগে আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন আর এখন আবার সিপিএমে যাচ্ছেন। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’

12 months ago
Sukanya: পেট ব্যথার দোহাই দিয়ে তৃতীয় বার ইডির হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্যা

পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে (Hospital)। এবার ওই পেট ব্যথার দোহাই দিয়েই ইডির হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal)। এই নিয়ে তিনবার হাজিরা এড়ালেন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। সোমবারই সুকন্যাকে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। কিন্তু গত দু’বারের মতো এ বারেও তিনি যাননি। কারণ হিসাবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেছেন সুকন্যা।

অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার পর তদন্ত করে, অনুব্রত কন্যা সুকন্যার বিষয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্যের নাগাল পান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর জানতে সুকন্যাকেও তলব করে ইডি। গত মার্চ মাসেই এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ালেন। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই তিনি বোলপুর হাসপাতালে পেট ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন। দু'দিন চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারা দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়।

one year ago
Sukanya: পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে সুকন্যা! দু'দিন পর ছাড়লো বোলপুরের নার্সিংহোম

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বোলপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। দু'দিন ভর্তি থাকার পর শনিবার ছুটি পান তিনি। পেটে টিউমার বা সিস্টের যন্ত্রণায় ভর্তি হয়েছিলেন সুকন্যা (Sukanya Mondal) বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়লে বোলপুরে (Bolpur) অপারেশন তিনি করাবেন না বলে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে সুকন্যা মণ্ডলকে আবার নতুন করে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। দিল্লির ইডি (ED) হাজিরা এড়াতেই কি নতুন পরিকল্পনা?

অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রার পর গত একমাসে দু'বার সুকন্যাকে ইডি তলব করেছে। দু'বারই সমন এড়িয়েছেন তিনি। আগামি সপ্তাহে ফের একবার তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তলবের মধ্যেই সুকন্যার চিকিৎসাধীন হওয়ার মধ্যেই কৌশল দেখছে বিরোধী শিবির। চলতি মাসের প্রথমে একবার সুকন্যাকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নোটিস হাতে পাওয়ায় তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন, এমনটাই সূত্রের খবর।  


one year ago


ED: একমাসে দু'বার ইডি হাজিরা এড়ান অনুব্রত কন্যা, আগামি সপ্তাহে ফের তলব সুকন্যাকে

গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত একমাসে দু'বার ইডি হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্যা। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৪ তারিখ সুকন্যা মণ্ডলকে ইডির (ED) দিল্লি অফিসে হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই সমন নাকি সুকন্যা (Sukanya Mondal) হাতে পান ৩ এপ্রিল। স্বল্প নোটিশে তিনি দিল্লি পৌঁছতে পারবে না বলে হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল।

সূত্রের খবর, হাজিরার জন্য ফের নোটিশ পাঠানো হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। আগামী সপ্তাহে হাজিরার নির্দেশ পেয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর সুকন্যাকে এই নিয়ে তিন বার তলব করলো কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার মধ্যে দু'বার হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা। এবার আগামী সপ্তাহের নোটিশে হাজিরা দেন কিনা সেটাই দেখার।

এদিকে, আসানসোল জেলে ফেরত আসতে চেয়ে ইতিমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও জুলাই পর্যন্ত সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আগামি চার মাস তৃণমূল নেতাকে তিহারেই থাকতে হচ্ছে বলে খবর।

one year ago
Anubrata: আপাতত তিহারেই থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে, পিছলো জামিন মামলার শুনানি

আপাতত তিহারেই (Tihar Jail) থাকতে হচ্ছে বীরভূমের 'বেতাজ বাদশা' অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, বুধবার অনুব্রতর জামিন মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়েছে ২৭ জুলাই। অর্থাৎ প্রায় ৪ মাস পর। সুতরাং এখন প্রায় ৪ মাস তিহারে থাকতে হতে পারে কেষ্টকে।

গরু পাচার মামলায় বীরভূমের বাড়ি থেকে ১১ আগস্ট, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। সম্প্রতি তাঁকে তিহার জেলে থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি গরু পাচারের টাকার লেনদেনের যোগ পেয়ে বীরভূমের সিউড়ির আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা করছেন আইসি মোহাম্মদ আলী বলেই দাবি ইডির।

পাশাপাশি তিহারে থাকতে কষ্ট হচ্ছে এবং আসানসোল জেলে ফিরতে চান বলে আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন তিনি আসানসোল জেলে থেকেই প্রয়োজনে ইডি আধিকারিকদের সহায়তা করবেন।

one year ago


Nanur: বীরভূম নিয়ে মমতার বৈঠকের পরই অনুব্রত অনুগামীকে মারে অভিযুক্ত কাজল শেখ

তবে কি নড়বড়ে কেষ্টহীন বীরভূম (Birbhum)? শনিবারের পর এই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে। পুলিস (Police) সূত্রের খবর, বীরভূম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরদিনই দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে নানুরের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধরের অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ কাজল শেখ (Kajal Seikh)। এমনকি, একই অভিযোগ উঠেছে ব্লক সভাপতি তথা কাজল অনুগামী সুব্রত ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধেও। অভিযোগ মারধর করে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতাকে৷ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। এভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে মারধর এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠায় স্পষ্টতই কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। এমনটাই দাবি বিরোধী শিবিরের।

জানা গিয়েছে, দলীয় কার্যালয়ে রিঙ্কু চৌধুরীর সঙ্গে বচসা বাঁধে অন্য কর্মীদের৷ তারপরেই মারধর করা হয় বলে খবর। অভিযোগ, 'তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী। তাই তাকে দলীয় কার্যালয় থেকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।' প্রসঙ্গত, কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখকে কার্যত ধমকের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেই কি এদিন গোষ্ঠীকোন্দল শুরু নানুরে? বড় প্রশ্ন বিরোধী শিবিরে। 

one year ago
Anubrata: 'প্রভাবশালী' বলেই জেলে থেকেও জেলা সভাপতি কেষ্ট !

মনি ভট্টাচার্য: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) রাজ্য রাজনীতির (Politics) একটা বৃহৎ কাণ্ডারির নাম? বৃহৎ বিশেষণ কি বাড়াবাড়ি লিখছি? আমি ভুল লিখছি কিনা সেটা আপনারা, পাঠকরা বিচার করবেন। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) কাছে, অনুব্রত মণ্ডল যে একজন রাজ্য রাজনীতির বৃহৎ চরিত্র, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে স্বয়ং শাসক দল তৃণমূল। না হলে কি দীর্ঘ ৮ মাস গ্রেফতারির পরেও তিহার জেলে থেকেও জেলা সভাপতি থাকা যায়? সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য রাজনীতি-সহ গোটা দেশে এমন কোনো নজির নেই। কোন নেতা জেলে থেকে সামলেছেন সংগঠন, বিশেষ করে শাসক দলের জেলা সভাপতির মতো পদ? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকের পর তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে অনুব্রতই যে বীরভূমে জেলা সভাপতি থাকবেন সে কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


অনুব্রত মণ্ডল কোনও বিধায়ক নয়, কোনও সাংসদ নয়, কোনও মন্ত্রী নয়। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের নামে নাকি একই গ্লাসে জল খেয়েছে, ওই জেলার প্রশাসনিক কর্তা, দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। এমন অভিযোগ বারবার করছে বিরোধী শিবির। কারণ একটাই, মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভরসা যোগ্য ভাই তিনি, কেষ্ট মণ্ডল। একটু খোঁজ নিলেই জানা যাবে, অনুব্রতর রাজনৈতিক গুরু প্রদ্যুৎ গুহ, যিনি প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একদা আপ্ত সহায়ক ছিলেন।

প্রদ্যুৎ বাবুর হাতে ধরেই রাজনীতির পাশাপাশি বামেদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অনুব্রত। নানুর-সহ বীরভূমে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসময়ের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তারপর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বছর পাঁচেকের মধ্যে বদলে যায় অনেক চিত্র। সে বদলে যাওয়া চিত্র তো এখন সবার চোখের সামনেই। যত বেশি কেন্দ্রীয় সংস্থা সক্রিয়, তত বেশি করে ছাড়ানো হচ্ছে পিঁয়াজের খোসা।


এই বাংলার সাড়ে ১০ কোটি মানুষের এমন কেউ কি আছেন যে অনুব্রত মণ্ডলকে চেনেনা না। এমনকি তাঁর গুনের কীর্তি পৌঁছেছে দিল্লিতেও। কান পাতলে এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ২০২২ সালে ১১ অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করে। বারবার বিভিন্ন অজুহাতে সিবিআইয়ের জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল, সে কারণেই বীরভূমের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি অনুব্রতকে বাড়ি গিয়েই গ্রেফতার করে সিবিআই। সময় গড়িয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে সক্রিয় সিবিআই-ইডি। কিন্তু আজও যেন না থেকেও বীরভূমের আছেন তিনি।

যদিও পঞ্চায়েত ভোটের স্বার্থে ওই জেলায় 'অবজারভার' স্বরুপ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক, ফিরহাদ হাকিম ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। এই তিন জনের কেউই জেলার নেতৃত্ব নয়। এদিকে কাজল শেখকেও চুপ থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয়, শত শত অভিযোগ থাকার পরেও, প্রায় ১৬ পক্ষ জেলে কাটানোর পর আজও অনুব্রত বীরভূমের 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ' জেলা সভাপতি। যিনি কিনা সম্প্রতি ইডিকে জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে দল আছে। সেই প্রতিদান কি দল ফিরিয়ে দিল রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে? প্রশ্ন আসছে সাধারণের মনে।

তাই যদি হয়, এতে কি আমাদের আপত্তি থাকার কথা? না, একেবারেই নয়। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে? কুন্তল ঘোষ হুগলি জেলার যুব তৃণমূলের নেতা ছিলেন, শান্তনু বন্দোপাধ্যায় হুগলির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন শাসক দলের মহাসচিব। অনুব্রতর পাশাপাশি অন্য একটি মামলা অর্থাৎ শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন উল্লিখিত এই তিন জন। অথচ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কেবল তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিল কেন?

বীরভূম কী এমন জেলা? যে জেলার সভাপতি এত ক্ষমতাবান! রাঙামাটির এই জেলা থেকে গরু পাচারে অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক ব্যক্তি এখন গারদের পিছনে। বিরোধীরা বলেন, 'এই জেলায় আবার নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে উন্নয়ন।' এখন গরু পাচার, উন্নয়ন এবং দীর্ঘদিন জেলে থাকার পরও অনুব্রতর জেলা সভাপতি থেকে যাওয়া, বিষয়গুলিকে একসঙ্গে আঁকুন। রাজনীতির একটা বৃহৎ চেহারাই পাবেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে অনুব্রত রাজ্য রাজনীতির একটা বৃহৎ নাম, বিষয়টা পোয়েটিক জাস্টিস নয় কি?

one year ago
ED: জোর করেই কোম্পানি মেয়ের নামে করেছিলেন অনুব্রত, ইডির জেরায় দাবি মনীশ কোঠারির

রীতিমত ভয় দেখিয়েই কোম্পানির মালিকানা মেয়ের নাম করে ছিলেন, এমনই দাবি কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারির (Manish Kothari)। ইডির (ED) জেরায় মনীশ জানিয়েছেন, 'সুকন্যার নামে থাকা একটি খাবারের কোম্পানি আসলে মনীশ কোঠারি এন্ড গ্রুপের। মনীশের সঙ্গে আরও ১৬ জন ছিল এই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার।

ইডি সূত্রে দাবি, জেরায় মনীশ স্বীকার করেছে ২০১৮ সালে এই কোম্পানিটি জোর করে সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় ফুড কোম্পানিটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করেছিলেন মনীশ কোঠারিরা। কোম্পানির নামে থাকা ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি অনুব্রতর নির্দেশে বাধ্য হয়ে দিতে হয়েছে সুকন্যাকে। ইচ্ছে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এই কোম্পানি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন মনীশরা।

এর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারি জানিয়েছিলেন, 'যখন যা বলতেন অনুব্রত, তখন তাই করতে হতো।' এছাড়া কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে পড়ে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মনীশদের পুরোনো কোম্পানির নামে আরও জমি কিনেছিলেন।

এছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামেও কেনা হয়েছিল বহু টাকার সম্পত্তি। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র তদন্ত করে উদ্ধার করেছে সিবিআই। যা সিবিআই এর চার্জশিটেও উল্লেখ রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই  ফুড কোম্পানির নামে কেনা সম্পত্তি তথ্যের এক অংশ সিএন এর হাতে। একইসঙ্গে ইডি সূত্রে খবর, মনীশের মাধ্যমেই আরো এক কোম্পানি নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড চালু করেন সুকন্যা।

one year ago


Anubrata: গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার নামে ফিক্সড ডিপোজিট!

কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির (ED) জেরায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, শনিবার জেরার মুখে পড়ে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারি জানিয়েছেন, 'গরু পাচারের কালো টাকাতেই করা হয় সুকন্যা মণ্ডলের ফিক্সড ডিপোজিট। কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের তথ্য আগেই প্রকাশ করেছে সিএন। প্রায় ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি সিএন এর হাতে।

দেখা গিয়েছে, বোলপুরের ব্যাঙ্ক অফ বরদাতেই সুনক্যার নামে রয়েছে ১১ টা ফিক্সড ডিপোজিট। যেখানে রয়েছে ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। সুকন্যার নামে রয়েছে সল্টলেকের এসবিআই ব্যাঙ্কের শাখায় ৫ টা ফিক্সড ডিপোজিট। সেখানে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। এই সব গরু পাচারের কালো টাকাতেই করা হয় ফিক্সড ডিপোজিট। এই সব ফিক্স ডিপোজিট খোলা হয়েছে দু'বছরের মধ্যে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে।

one year ago
anubrata: 'আমার পিছনে দল আছে',দিল্লির ইডি কর্তাদের সাফ জানালেন অনুব্রত

অনুব্রতর(anubrata mondal) পরিচারক বিজয় রজকের লেনদেনের তথ্য ইডির(ed) হাতে, যা দেখে রীতিমতো অবাকই হয়েছেন কেন্দ্ৰীয় সংস্থা। বীরভূমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের আবিনাশপুর শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে বিজয় রজকের, সিএন-র হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী লকডাউনের সময় বিজয়-এর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে অনুব্রতর পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এই নিয়ে বিজয় রজক অবশ্য জানান, 'আমি এই টাকার বিষয়ে কিছুই জানি না, এমনকি আমি কোনোদিন ওর থেকে টাকা নিইনি।' শুক্রবার বিজয়কে ৬ ঘন্টা জেরা করে ইডি। বিজয়ের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে পারেন রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মন্ডল।

শুক্রবার অসুস্থ থাকলেও শনিবার অপেক্ষাকৃত সুস্থ অনুব্রত। শুক্রবার অনুব্রত আইনজীবীদের জানান,'বুকে সামান্য শ্বাসকষ্ট আছে', সেইমতো শনিবার রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।  প্রাথমিক চিকৎিসার পর চিকিৎসকরা জানান, অনুব্রত অপেক্ষাকৃত সুস্থই আছেন, জেরা প্রসঙ্গে ইডি সূত্রে খবর বেশ কয়েকজন অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে তলব করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁরা আসেনি।

ইডি সূত্রে খবর মনীশ কোঠারি ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি। কোঠারি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ইডির হাতে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে মুখও খুলেছেন। ইডিকে জানিয়েছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কিন্তু, শুধুই কি অনুব্রত মন্ডলের সিএ হিসাবেই কাজ করেছেন মনীশ কোঠারি? না গরু পাচারের অনুব্রত টাকা লেনদেনের পাশাপাশি ভাগ বসিয়ে ছিলেন কালো টাকায়? যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

কারণ, মনীশ কোঠারির সম্পত্তির পরিমান দেখলে চক্ষু চরক গাছ হতে পারে সকলের।। বীরভূম জেলার শুধু বোলপুরের রূপপুর মৌজা, গোপালনগর মৌজা, কংকালীতলা মৌজা, দ্বারকানাথপুর মৌজা, সুরুল মৌজা-সহ বোলপুরের সব মৌজাতেই রয়েছে মনীশ কোঠারির জমি। যার বাজারমূল্য হিসেব করলে হবে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার অধিক।। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আর এই সব জমিই তিনি কিনেছেন ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।। আর এই সময়কালে অনুব্রত মন্ডলের  হিসেব সামলেছেন মনীশ কোঠারি।

যদিও গোটা ঘটনায় এখনও ঘাবড়ানোর চিত্র দেখা যায়নি অনুব্রতর চোখেমুখে, বরং ইডি হেফাজতে থেকেও দলের উপরই ভরসা রাখছেন অনুব্রত। তদন্তকারী অফিসারদের অনুব্রত জানিয়েছেন, আমার পিছনে দল সব সময় আছে। দলের উপর ভরসা আছে,এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। 


one year ago