
ফের রাজ্যে আয়কর হানা (Income Tax Raid)। এবারে এক মদের কারখানায় হানা দিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে এক মদের কারখানায় হানা দিলেন আয়কর আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের টিম।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভোরের আলোও ফোটেনি, সে সময় হুগলির পোলবার মহানাদ গ্রামে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এর পর অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক মদের কারখানায় হানা দেন তাঁরা। তবে শুধুমাত্র আয়কর আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে আসেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মোট পাঁচটি গাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসে। গ্রামের লোকজনও একে একে আসতে শুরু করেন এলাকায়। তারাও এই ঘটনায় হতবাক। উল্লেখ্য, এই কারখানায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন কাজ করেন।
বলিউডের পারফেকশনিস্ট তকমা পেয়েছিলেন অভিনেতা আমির খান (Aamir Khan)। একটা সময় শাহরুখ-সালমান-আমির, এই তিন খানের দাপটে বলিউডে হাবুডুবু খেতে হয়েছে অন্যান্য অভিনেতাদের। কয়েক দশক পেরিয়ে এখনও বক্স অফিসে সুপারহিট শাহরুখ-সালমান। কিন্তু কোথাও যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে আমির। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর একটি সিনেমাও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। দর্শকদের তুমুল সমালোচনা বারংবার তাঁর ভাগ্যে জুটেছে। তাই অভিনয় জগৎ থেকে সাম্প্রতিক বিরতি ঘোষণা করেছেন আমির।
আবারও সেই সমালোচনারই অংশ হয়েছেন আমির খান। সম্প্রতি তাঁকে একেবারে অন্যভাবে দেখা গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমের পর্দায়। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ ও তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডিসুজাকে নিয়ে এক রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন আমির। তিনি রেস্তোরাঁ থেকে বেরোনোর মুখেই পাপারাৎজিরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এমন সময় দেখা যায়, আমিরের পদক্ষেপ টলোমলো করছে। এমনকি রেস্তোরাঁর দরজা ধরে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায় অভিনেতাকে।
নেটিজেনরা এই ভিডিও দেখে তীব্র সমালোচনা করেছেন আমিরের। কেউ কেউ বলছেন, তিনি মদ্যপ। কেউ কেউ বলছেন, 'আমির তো মদ খেতেন না, তাহলে কি তিনি অবসাদগ্রস্ত?' এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও ভিডিওটি আমিরের জন্মদিনের। তবুও এতদিন পরেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (অভিনেতা ও বিধায়ক): রাত পোহালেই ভারতীয় চলচিত্রের অন্যতম সেরা রোমান্টিক নায়ক প্রয়াত দেব আনন্দের শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। সিএন পোর্টাল থেকে এই শতবর্ষ নিয়ে আমাকে কিছু লিখতে বলা হলো। আমি কিন্তু ওই তথাকথিত 'কবে জন্ম, কটি ছবি বা সেরা ছবি' ইত্যাদি নিয়ে লিখবো না বরং কিছু অন্য কথা লিখি।
দেবসাহেব আমার প্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। আমি যখন ছবির জগতে আসি তখন অনেক কথার মধ্যে জানতে পেরেছিলাম যে দেব আনন্দ নাকি সারাদিনে একটি আপেল খেয়ে দিন কাটান। শরীরটা রোগা রাখার জন্য। এ ছাড়া শুনেছিলাম তিনি নাকি পেট পাতলা রাখতেন ওই একই কারণে। অদ্ভুত লেগেছিলো। ভেবেছিলাম আমিও ওই একটা আপেল খেয়ে দিন কাটাবো। কিন্তু অবাস্তব হয়েছিল সেই পরিকল্পনা। যাই হোক, আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে কেমন অভিনেতা ছিলেন তিনি। আমি বলবো, তিনি রোমান্টিক নায়ক ছিলেন সেই ১৯৪৬ থেকেই।
আমরা বলি কমার্শিয়াল ছবি আর ইন্টেলেকচুয়াল বা আলাদা ছবি। তা দেবসাহেব টিপিকাল কমার্শিয়াল ছবিই করে গিয়েছেন চিরকাল, ব্যতিক্রম গাইড। এখানে নিজের একটু উদাহরণ দিতেই হয়। আমার শুরুটা মানিকদা বা সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। আমি তাঁর সহকারী ছিলাম এবং তাঁর একটি ডকুমেন্টারিতে অভিনয়ও করেছি। আমি নিজে অনেকগুলো ছবি পরিচালনা করেছি। চেষ্টা করেছি আলাদা ছবি করার, যেমন 'সংসার সংগ্রাম' বা 'ভয়'| কিন্তু তখন আমি রীতিমতো বাংলার অ্যাঙ্গরি হিরো, ফলে আমার 'বেদের মেয়ে জোসনা' ছবির ইমেজ থেকে বেরোনোর ব্যাপারটা দর্শক নিলো না। কাজেই আমাকেও টিপিকাল কমার্শিয়াল মারধর ও রোমান্টিক কমার্শিয়াল ছবিই করতে হয়েছে। ইদানিং অবিশ্যি কয়েকটা ভিন্ন ধরণের ছবি করলাম কিন্তু সে তো আজকের যুগ ধরেই।
দেবসাহেবের অনেক ছবিই দেখেছি। আগেকার সাদাকালো ছবিও। অবিশ্যি ওই পুরোনো ছবি টাটকা দেখিনি পরে দেখেছি। ৫০ দশক থেকে ৭০ দশকের মধ্যভাগ অবধি তিনি ছিলেন সুপারহিট নায়ক। গোয়েন্দা বা রহস্য ছবি মানেই ঠোঁটে সিগারেট দেওয়া দেব আনন্দ। অনেক ছবির প্রযোজক পরিচালক তিনিই ছিলেন। হরে রাম হরে কৃষ্ণ ছবি তো হিন্দি ছবিকে আলাদা ধারায় এনে দিয়েছিলো। তিনি দিলীপ কুমার বা রাজ কাপুরের মতো চরিত্র নিয়ে পরীক্ষায় বিশ্বাসী ছিলেন না। এরপর আরও ৩০/৩৫ বছর নিজের পরিচালনা বা প্রযোজনায় অসংখ্য ছবি করেছেন কিন্তু সিংহভাগই সুপার ফ্লপ। নিজের জায়গা থেকে তিনি কিন্তু নড়েননি। চালিয়ে গিয়েছেন। একবার কোনও এক মাল্টি প্রেক্ষাগৃহে অন্য একটা ছবি দেখতে গিয়েছি, দেখলাম দেব আনন্দের শেষ ছবিটি নাকি একটি স্ক্রিনে দেখানো হবে, পরে শুনলাম হবে না কারণ একটি মাত্র টিকিট বিক্রি হয়েছে।
দেবসাহেবের জীবনটাকে যদি দু'ভাগ করা যায় তবে দ্বিতীয় ভাগটি নির্মম। ওই ধরণের হিরো ফ্লপ শো করছে মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। দেব আনন্দের শেষ সময়টিও ভালো লাগে নি। বৃদ্ধ হয়েছেন অথচ মুখচোখের চামড়া যেন ঝুলে পড়েছে। শরীর রোগা রাখতে এই কোন ফর্মুলা কে জানে? আজ শতবর্ষের সময়ে একটি কথাই লিখবো, ভারতে হলিউড ধারার নায়ক যদি কেউ এসে থাকেন তবে তিনি দেব আনন্দ। প্রণাম দেবসাহেব।
এবারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion) হল একটি ইস্পাত কারখানায়। ঘটনাটি বুধবার রাতে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে ঘটেছে। সূত্রের খবর, হরিদ্বারে রুড়কির মুন্ডিয়াকি গ্রামে একটি ইস্পাত কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, কারখানার বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে ঝলসে আহত হয়েছেন ১৭ জন শ্রমিক। এই বিস্ফোরণের পরই গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার হরিদ্বারের মুন্ডিয়াকি গ্রামের গায়ত্রী স্টিল সার্ভিস নামের ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানায় বয়লারে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, বুধবার যখন কারখানায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে, তখন কারখানায় একাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা জোরালো আওয়াজে চমকে যান তাঁরা। তাঁদের মনেই হয়েছিল এটি কোনও বিস্ফোরণের আওয়াজ। এর পরই তাঁরা আতঙ্কে কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁরা বাইরে এসে বুঝতে পারেন বিস্ফোরণ কারখানার ভিতরেই হয়েছে। সেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দেখা যায় চারিদিকে পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন শ্রমিক। আগুনে ঝলসে তাঁরা গুরুতর আহত।
এর পর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমেই তাঁরা পুলিসে খবর দেননি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখান থেকেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
২০২২ সালের মার্চ মাসে, মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন টলিউড অভিনেতা (Tollywood Actor) অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় এবং মেয়ে সাইনা চট্টোপাধ্যায়কে। স্বামী ও বাবা হারানোর শোক তাঁরা ভুলতে পারেননি এখনও। তাঁদের জীবনে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক। চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এর আগে একসঙ্গে দুর্গাপুজো উদযাপন করতে দেখা যেত। গত বছর সেই নিয়মে ছেদ পড়েছিল।
অভিষেককে ছেড়ে দুর্গাপুজো করতে চাননি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। তাই গত বছর সংযুক্তা মেয়ে সাইনাকে নিয়ে কলকাতার বাইরে কাটিয়েছিলেন। তবে এই বছর আবারও পুরনো নিয়মে ফিরতে চলেছেন। তাই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এই বছর আবার দুর্গাপূজা হবে। ইতিমধ্যেই দূর্গা ঠাকুরের বায়না করেছেন সংযুক্তা। অন্যান্য প্রস্তুতিও চলছে পাশাপাশি। মেয়ে সাইনা আবদার করেছিল, এই বছর তার লেহেঙ্গা চাই। মেয়ের আবদার রেখেছেন সংযুক্তা। নিজের জন্যও বেশ কিছু শাড়ি কিনেছেন অভিষেক-পত্নী।
সংযুক্তা মনে করেন স্বামী অভিষেক সবসময় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। এই দুর্গাপুজোর আয়োজনের আসল চালিকা শক্তি অভিষেকই।
সন্তানহারা হলেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর (Arjun Kapoor)। এতটাই শোকস্তব্ধ তিনি, যে ছেলেকে ছাড়া বাড়িতে থাকার কথা ভাবতেই পারছেন না। সামাজিক মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন অভিনেত। শোক চাপা দিয়ে রাখেননি তিনি। সামাজিক মাধ্যমে নিজের মনের সব কষ্ট উজাড় করে দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। ছেলের মৃত্যুতে অর্জুন বুঝেছে, মৃত্যু কত নির্মম।
অভিনেতার প্রথম সন্তান, চারপেয়ে 'ম্যাক্সিমাস'। তার প্রয়ানেই ভেঙে পড়েছেন অর্জুন। অভিনেতা সামাজিকমাধ্যমে লিখেছেন, 'দুনিয়ায় আমার সবচেয়ে ভালো ছেলে, আমার ম্যাক্সিমাস। সবথেকে দয়ালু-মিষ্টি-সাহসী-উষ্ণ এবং সবচেয়ে ভালো। তোমাকে মনে পরে বাচ্চা। আমাদের বাড়ি আর কোনওদিন আগের মতো হবে না। তোমাকে আমার থেকে আচমকা নিয়ে নেওয়া হল। আমি জানি না, তুমি আমার আশেপাশে না থাকলে আমি কীভাবে বাড়িতে থাকব।'
সবশেষে অর্জুন লিখেছেন, 'পরপাড়ে দেখা হবে বন্ধু।' শুধুমাত্র অর্জুন কাপুর নয়, তাঁর বোন অংশুলা কাপুরেরও কাছের ছিল ম্যাক্সওয়েল। ছবিগুলি দেখে বোঝা গিয়েছে, অর্জুনের খুবই কাছের এই সারমেয়। ভগ্ন হৃদয় ঠিক করতে অনেকটা সময় লেগে যাবে অভিনেতার।
বাংলা ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হানি বাফনা (Honey Bafna)। বর্তমানে অভিনয় করছেন 'শ্যামা' (Shyama) ধারাবাহিকে। ইতিমধ্যেই দর্শকেরা তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। অভিনেতার জীবনে এখন বিপর্যয়। শোনা যাচ্ছে, গুরুতর অসুস্থ তিনি। ধারাবাহিকের সেটেই নাকি চোট পেয়েছেন হাতে। আঘাত এতটাই গুরুত্ত যে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে বলেছেন চিকিৎসক। এই মুহূর্তে হানির ভক্তরা তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কী হয়েছে অভিনেতার? জানা গিয়েছে, হাতে কাঁচ ঢুকে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। একমাত্র অস্ত্রোপচারেই সেই ক্ষত নিরাময় হওয়া সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অভিনেতাকে আর ধারাবাহিকে দেখা যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই। তবে যদি হানি সত্যিই ধারাবাহিক থেকে বিরতি নেন, তাহলে টিআরপিতে প্রভাব পড়তে পারে।
শ্যামা ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় টুম্পা ঘোষের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে হানি বাফনাকে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই সম্প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিকটি। হানি ও টুম্পার পাশাপাশি বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভরত কল, অনুরাধা রায়ের মতো অভিনেতাদের দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকে। এই মুহূর্তে দর্শক একেবারেই হানিকে চোখের আড়াল হতে দিতে চাইছেন না।
অনেকেই হয়তো জানেন না, আসলে বড় পর্দা দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল অভিনেতা আদৃত রায়ের (Adrit Roy)। নূর জাহান, প্রেম আমার ২, পাসওয়ার্ড, পরিণীতার মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও তাঁকে অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে টেলিভিশন। 'মিঠাই' ধারাবাহিকের 'উচ্ছে বাবু' বলেই তাঁকে দর্শকেরা চেনেন। চলতি বছরের ৯ জুন ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে। তবে তারপর আদৃতকে আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি।
দর্শকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন অভিনেতাকে আবারও ছোট পর্দায় দেখার জন্য। তবে শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে আদৃতের দেখা পাওয়া খুব মুশকিল। তিনি নাকি আবারও বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন। তবে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাণিজ্যিক ছবি বেঁচে নিয়েছেন আদৃত। জানা গিয়েছে, ছবির নাম 'পাগল প্রেমী'। সিনেমার পরিচালক অভিরূপ ঘোষ। প্রযোজনায় থাকবেন 'এসভিএফ'। তবে আদৃতের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা এখনও স্থির হয়নি।
আদৃতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও দর্শকদের আগ্রহের শেষ নেই। মিঠাই ধারাবাহিকের সেটেই অভিনেতার সঙ্গে আলাপ হয়, সহ-অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তীর। তাঁদের মধ্যে প্রেম এখন জমে উঠেছে। প্রেমের নির্ঘোষ না করলেও মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের ছবি দেখা যায় একসঙ্গে। এবার কেরিয়ার জীবনও যে আদৃত গুছিয়ে নিতে চাইছেন, তা বড় পর্দায় অভিনয় করার সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট।
অভিনেতা জীতু কমলের (Jeetu Kamal) জীবনে যেন বিচ্ছেদের সময়। মাস কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা দাস বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন। জীবন সঙ্গীকে ছুটি দিয়ে, এবার আরও এক সঙ্গীকে ছুটি দিলেন জীতু কমল। নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে মুখ খোলেননি অভিনেতা। তবে এই সঙ্গীকে হারিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মনের দুঃখ প্রকাশ করে ফেললেন জীতু।
জীতু এবার তাঁর অর্থ দিয়ে কেনা প্রথম গাড়িটিকে বিদায় জানালেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় লাল গাড়িটির কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন অভিনেতা। ভালোবেসে গাড়িটির নাম দিয়েছিলেন, 'লাল ষাঁড়'। ছবিগুলি দিয়ে জীতু ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার আরেক প্রিয়’র ছুটি হলো। অনেক উঠা-পড়ার সাক্ষী ছিলো এই লাল ষাঁড়। বহু রাতের আশ্রয়ও ছিল আমার ৭২৭২... আজ মিলিয়ে যাওয়ার সময় সত্যিই চোখটা চিক-চিক করে উঠেছিল। কেন! তা লিখে বা বলে বোঝাতে অক্ষম বন্ধু। ছোট্ট ছিলো, কিন্তু বড্ড আপন ছিলো।'
ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জগতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা। 'অপরাজিত' সিনেমায় কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এরপরেই একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। জীতুর পরবর্তী সিনেমায় আরও একটি চমক থাকবে। ভিন্ন ধারার, একেবারে নতুন একটি গোয়েন্দা চরিত্র নিয়ে হাজির হবেন অভিনেতা।
টলিউড অভিনয় জগৎ এবং সংগীত জগতে বেশ জনপ্রিয় সাহেব চট্টোপাধ্যায় (Saheb Chatterjee)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে বোনের জন্য 'এ পজেটিভ' রক্ত চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, তাঁর বোন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর জন্যই রক্তের খোঁজ করছিলেন দাদা সাহেব। বহু নেটিজেন তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে রক্ত দিতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু সমস্ত চেষ্টাই বিফলে। ছোট বোনকে হারালেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা আরও একটি পোস্ট করে দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। সাহেব লিখেছেন, 'আমি খুব দুঃখের সঙ্গে এবং ভগ্ন হৃদয়ে জানাচ্ছি, আমার বোন পিয়াসী চ্যাটার্জি আর নেই। মাত্র তিন দিনেই ডেঙ্গি মেরে ফেলল তাকে। দয়া করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করবেন।' এই পোস্টে অভিনেতা ও জানিয়েছেন, যে তাঁর বোনের জন্য আর রক্তের প্রয়োজন পড়বে না। একইসঙ্গে যারা রক্ত দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের মাসির মেয়ে পিয়াসী চট্টোপাধ্যায়। তবে ছোট বেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছেন তাঁরা। তাই একে অপরের প্রতি খুব টান। মাত্র ৪০ বছর বয়স প্রয়াত বোনের, স্বাভাবিকভাবেই দাদা সাহেব মর্মাহত তাঁকে হারিয়ে।
বলিউডে মেদহীন-কমেডি সিনেমাগুলির তালিকায় রয়েছে, 'ওয়েলকাম', 'ওয়েলকাম ব্যাক' সিনেমাদুটি। সিনেমার কাস্টিং একেবারে দেখার মতো। বিশেষ করে অক্ষয় কুমার, অনিল কাপুর ও নানা পাটেকারের জুটি খুব পছন্দ করেছিলেন দর্শকেরা। সেই সিনেমার তৃতীয় পর্ব, 'ওয়েলকাম টু দ্যা জঙ্গল' আসতে চলেছে সিনেমার পর্দায়। ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেট্টি, আরশাদ ওয়ার্সি, পরেশ রাওয়াল, জনি লিভার, কে নেই সেই সিনেমায়। কিন্তু এত তারকার ভিড়ে দেখা গেল না, নানা পাটেকরকে (Nana Patekar)। কোথায় তিনি?
অভিনেতা নিজে এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আমি ওয়েলকাম-থ্রি এর অংশ নই। হয়তো তাঁরা মনে করেন, আমি খুব পুরনো হয়ে গিয়েছি।' দীর্ঘ পাঁচ বছর সিনেমার পর্দায় দেখা মেলেনি নানা পাটেকরের। দ্যা কাশ্মীর ফাইলস' খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর হাত ধরে আবারও সিনেমায় ফিরছেন তিনি। এইবার নানা পাটেকরকে দেখা যাবে, 'দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার' সিনেমায়।
তবে ওয়েলকাম সিনেমা ও নানা পাটেকরের ভক্তদের মুখ মেঘলা। তাঁরা বলছেন, ষ্টার কাস্ট নয়, ভালো অভিনেতা এবং ভালো স্ক্রিপ্টই পারত মন জয় করতে। একের পর এক হিট সিনেমা দেওয়ার পর নানা পাটেকরের মতো অভিনেতা হারিয়ে যাচ্ছেন, এই বিষয়টিই মানতে পারছেন না তাঁর ভক্তরা।
প্রসূন গুপ্তঃ যুগে যুগে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজে বহু নায়ক বা অভিনেতারা এসেছেন এবং জনমানসে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। একেবারে গোড়ার দিকে অশোককুমার শুরু করেছিলেন রোমান্টিক নায়ক হিসাবে, কিন্তু কালে কালে খলনায়কের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন যথা জুয়েল থিফ। দিলীপকুমার দেব আনন্দ কিন্তু রোমান্টিক অভিনয় করেও চরিত্রাভিনয়ও করেছিলেন। পরবর্তীতে রাজেন্দ্রকুমার থেকে রাজেশ খান্না সকলেই জনতার মনের দাবি মেটানো ফর্মুলা ফিল্মই করেছেন। ব্যতিক্রম হওয়া শুরু অমিতাভ বচ্চন থেকে। অমিতাভ একেবারে গোড়ার দিকেই সৌদাগর বলে একটি ছবিতে একেবারে সুবিধাবাদী এক গুড় ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এরপর পরওয়ানা নামে এক গোয়েন্দা ছবিতে মূল খুনির চরিতে অভিনয় করেছেন। অমিতাভ তাঁর সুবর্ণ সময়ে যে সমস্ত ছবিতে অভিনয় করে মেগাস্টার হয়েছিলেন তার অধিকাংশ চরিত্র নেতিবাচক হিরো। আইন ভাঙা অথবা 'বদলা' নেওয়ার চরিত্র।
গত ২৫ বছরে ওই রোমান্টিক হিরো বা ভালোমানুষের ধারণা পাল্টে আজকের হিরোরা যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করছেন। একেবারে শাহরুখ, অক্ষয়, অজয় দেবগন, আমির ইত্যাদি প্রায় সকলেই নেতিবাচক বা খারাপ লোকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বা করছেন। ব্যতিক্রম সলমন খান, নেতিবাচক চরিত্র থাকলেও চরিত্রটি ইতিবাচকই হয়েছে এখনও।
শাহরুখ কিন্তু সেরা সময়ে নেতিবাচক চরিত্র এবং খারাপ লোকের চরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকের সেন্টিমেন্ট আদায় করেছেন। তবে এটা বাস্তব রাজেশ খান্নার পরে রোমান্টিক হিরো বলতে প্রথমেই শাহরুখের নাম করতেই হয়। দুই অভিনেতার মধ্যে ম্যানারিজমের ধারা বজায় ছিল। সব ক্ষেত্রে ভালো না হলেও দর্শক কিন্তু গ্রহণ করেছে।
এখন শাহরুখের বয়স ৬০ এর দোরগোড়ায়। তিনি জানেন যে, তথাকথিত রোমান্টিক নায়ক হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কমছে। তিনি নিজেকে পাল্টিয়ে ফেলেছেন। ডন ১ থেকে পাঠান ছবিগুলিতে তার বিপক্ষে কম বয়সী নায়িকারা কাজ করেছেন ঠিকই কিন্তু কোনওটাই রোমান্টিক ছবি বরং সাসপেন্স থ্ৰীলারে সমৃদ্ধ। অন্য শাহ্রুখকেও দর্শক গ্রহণ করছে। আজকের মাল্টিপ্লেক্স যুগে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে শাহরুখের ছবি। সদ্য রিলিজ করা জওয়ান ছবিটি দর্শক মতে 'সুপার'। বোধহয় শাহরুখের প্রযোজিত এই ছবি বলিউডের সেরা ব্যবসার মধ্যে পড়বে।
পরনে উলের সোয়েটার, লম্বা লাল প্যান্ট আর মাথায় টুপি। ছোট্ট বাচ্চাটির চোখে মুখে সরলতার ছাপ। ছবিটি যে কোনও স্টুডিওতে তোলা হয়েছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। স্মৃতির অ্যালবাম থেকে এই ছবিটিই তুলে এনেছেন অভিনেতা। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের জন্যও এই ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তখনও সরল ছিলাম, আজও সরল।' যদিও অভিনেতা শেয়ার না করলে বোঝাই যেত না ছোটোবেলাটি আসলে কার।
যখন এই ছবিটি তোলা হয়েছিল বাচ্চাটি জানতই না, বড় হয়ে খুব নাম করবে সে। টলিউডে সে অর্থে কোনও গড ফাদারের প্রয়োজন পড়বে না। প্রথম ছবি থেকেই খুলে যাবে ভাগ্যের চাকা। বাচ্চাটি জানত না, তাকে আর ঘুরে তাকাতে হবে না। আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী তাঁকে ভালো মনের মানুষ হিসেবে চিনবে। বাচ্চাটি আরও জানত না, বহু দর্শককে সে নিজের কমেডি টাইমিং দিয়ে হাসাবে। বাচ্চাটি এও জানত না, তাঁর কয়েকটি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হবে। বাচ্চাটি একেবারেই জানত না, একসময় 'অঙ্কুশ হাজরা' এক নাম পরিচিত হবে।
হ্যাঁ, সেদিনের ছোট্ট বাচ্চাটি আজকের অঙ্কুশ হাজরা। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতাই নিজের ছোটবেলার এই ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি যে ছোটবেলায় 'সরল' ছিলেন তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। নেইজেনদের বেশিরভাগই এই ছবির প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার যথারীতি ট্রোলও করেছেন।
শোকের ছায়া নেমে এলো টলিউড অভিনেতা দীপঙ্কর দে-র (Dipankar De) জীবনে। বুধবার রাতে কন্যাহারা হলেন অভিনেতা। দীপঙ্করের বড় মেয়ে বৈশালী, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সকলে চেয়েছিলেন বৈশালী ফিরে আসুন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মাত্র ৫২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতার বড় কন্যা।
অভিনেতা দীপঙ্কর দে-এর বয়স এখন ৭৯। তারও নানারকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। সন্তান হারানোর অভিঘাত তিনি বহন করছেন। অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'বড় মেয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। অকালে চলে গিয়েছে।' হতভাগ্য বাবার মুখ থেকে আর কোনও কথা বেরোয়নি। এই অবস্থায় দীপঙ্করকে সামলাচ্ছেন তাঁর সহধর্মিনী দোলন রায়।
তবে দোলনও এই মুহূর্তে বেশ জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছেন। একদিকে সন্তানহারা হয়ে ভেঙে পড়েছেন স্বামী। তাঁর পাশে থাকা জরুরি। অন্যদিকে অভিনেত্রী শ্যুটিং থেকে ছুটি পাননি। তাই বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিতে হয়েছে দোলনকে। অভিনেতার জামাই অনিল কুরিয়াকোস পেশায় সিনেমার প্রযোজক। স্ত্রীকে হারিয়ে তিনিও ভেঙে পড়েছেন।
ধারাবাহিক জগৎ থেকেই দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sean Banerjee)। 'এখানে আকাশ নীল', 'আমি সিরাজের বেগম', সাম্প্রতিক সময়ের 'মন ফাগুন' ধারাবাহিকে দর্শকেরা তাঁর অভিনয় বেশ পছন্দ করেছিলেন। গত বছর শেষ হয়েছিল শন অভিনীত ধারাবাহিক, 'মন ফাগুন'। কিন্তু এরপর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি ছোট পর্দায়। অভিনেতার অনুরাগীর সংখ্যা অনেক। তাই শনকে পর্দায় দেখতে না পেয়ে আকুল হয়ে উঠেছেন সকলে। সকলের মনে প্রশ্ন, শন কী আর ধারাবাহিকে ফিরবেন না?
ধারাবাহিকে ফেরার প্রসঙ্গে অবশ্য এখনই আশার কথা শোনালেন না শন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। ধারাবাহিকের পাশাপাশি তাই ওটিটির পর্দাতেই কাজ করতে চাইছেন অভিনেতা। তবে ধারাবাহিকের জন্য যে তাঁর কাছে প্রস্তাব যাচ্ছে না তা নয়। হাতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে শনের। তবে চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন অভিনেতা।
ছোট পর্দায় ধারাবাহিকের গতে বাধা চরিত্রের অংশ হতে চাইছেন না তিনি। যদি ভিন্ন কোনও চরিত্রের প্রস্তাব শনের কাছে যায়, তবে তিনি ভেবে দেখতে রাজি আছেন। কিন্তু তা না হলে, এই মুহূর্তে দূরেই থাকবেন অভিনেতা। অভিনেতা হয়তো টাইপ কাস্ট হতে চাইছেন না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তীতে শনকে কোথায় দেখা যায়, এখন সেইটাই দেখার।