ভর দুপুরেই খাস কলকাতায় (Kolkata) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। মঙ্গলবার তপসিয়ার (Tapsia) একটি জুতোর কারখানায় বিধ্বংসী আগুন (fire) লাগায় চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের মোট ৭টি ইঞ্জিন। তবে দমকল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর নেই। কিন্তু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওই কারখানার।
স্থানীয়রা জানান, ওই জুতোর কারখানার (shoe factory) আশেপাশেই রয়েছে বেশকিছু গাড়ির কারখানা। সেখানে প্রচুর পরিমাণে চামড়া এবং রবারের সামগ্রী থাকায় আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
দমকল সূত্রে জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
'সাসুরাল সিমার কা' এবং 'ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়'- খ্যাত অভিনেত্রী (TV Actor) বৈশালী তক্করকে (Vaishali Takkar) রবিবার সকালে মৃত (Suicide) অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ( Madhya Pradesh) ইন্দোরের বাড়িতে এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৬।
ইন্দোরের সহকারী পুলিস কমিশনার এম রহমান বলেছেন, মৃতদেহের সঙ্গে তাঁরা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছেন। যেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। এছাড়া প্রেমঘটিত সমস্যার মধ্যেও ছিলেন অভিনেত্রী।
বৈশালীর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ইন্দোরে ছিলেন। তাঁরা কেউ ভাবতেই পারছেন না যে অভিনেত্রী এত বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন। বৈশালী তক্কর ২০১৫ সালে 'ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়' শো দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁকে সম্প্রতি 'রক্ষাবন্ধন'-এ দেখা গিয়েছিল। যেখানে তিনি 'বিগ বস' খ্যাত নিশান্ত মালকানির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।
মূলত উজ্জানের মাহিদপুর থেকে তিনি চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মুম্বইতে চলে আসেন। পরে তিনি জয়পুরে চলে যান এবং অবশেষে ইন্দোরের তেজাজি নগর থানা এলাকার সাই বাগ কলোনিতে চলে যান। যেখানে তিনি গত বছর তার ছোট ভাই এবং বাবার সঙ্গে ছিলেন।
সকালে বৈশালী তক্কর তাঁর ঘর থেকে বের হননি। সন্দেহ হতেই বাবা ঘরে যান। গিয়ে দেখতে পান মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। এরপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন তিনি। তখন তার বাবা ভিতরে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান, পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে তারা ময়নাতদন্তের জন্য মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে পাঠায়। দেহটি। পাশপাশি যে সুইসাইড নোটটি পেয়েছিল সেটিও বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। ইতিমধ্যে বৈশালীর ফোনও পুলিস নিজেদের হেফাজতে রেখে তদন্ত শুরু করেছে।
মর্মান্তিক মৃত্যু (death)! বাজি কারখানায় আচমকাই বিস্ফোরণ (explosion), মৃত দু'জন। ঘটনাটি পাঁশকুড়া (Panskura) থানার পূর্ব চিলকা গ্রামে মঙ্গলবার ঘটেছে। মৃতেরা হলেন, বছর ৪০-এর স্বর্ণময়ী বক্ত ও বছর ১৭-এর শম্ভু সামন্ত নামে এক কিশোর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়েছিল স্বর্ণময়ী বক্তাকে। তবে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, পূর্ব চিলকা গ্রামের বাজি কারখানায় হঠাত্ই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কিশোরের শরীর। ঘটনায় আতঙ্ক ও ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁশকুড়া থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বাড়িটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবেই এই বাজি কারখানা চলছিল। সামনেই কালীপুজো, সেই কারণেই চলছিল বাজি তৈরির কাজ। এরই মধ্যে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়া থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
তীর্থযাত্রা (Pilgrimage) সেরে ফেরার পথে শনিবার রাতে কানপুরে (Kanpur Accident) পথদুর্ঘটনা। মৃত (Death) অন্তত ২৬ পুন্যার্থী, গুরুতর জখম ২০ জন। মৃতদের বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পুন্যার্থী বোঝাই গাড়ি পুকুরে উলটে গেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক্টর টলি উন্নাওয়ের চন্দ্রিকা মন্দির থেকে ৫০ জনকে নিয়ে ফিরছিল। কানপুরের কাছে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। তারপর একটি পুকুরে পড়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর দ্রুত উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয়রা। খালি হাতেই পুকুর থেকে একের পর এক মৃতদেহ তুলেছেন তাঁরা। পরে পুলিস এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনায় পর শনিবার রাতে শোক প্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।। আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।
ফের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (Durgapur Steel Factory) আন্দোলন। পুজোর আগেই বোনাসের (bonus) দাবিতে কারখানার সবকটি শ্রমিক সংগঠন একযোগে আন্দোলন শুরু করে। বুধবার কারখানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভে রাজনীতির রং ভুলে সবকটি সংগঠন বিক্ষোভে (agitation) সামিল।
যখন লোকসনে চলেছে সেল তখন অতিরিক্ত একটা টাকাও চায়নি শ্রমিকরা। আজ যখন সেল লাভে চলছে তখন আধিকারিকরা বোনাস পাচ্ছেন, অথচ ব্রাত্য শ্রমিকরা। ভিক্ষে নয়, সন্মানজনক বোনাস দিতে হবে, এই দাবিতে বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার দুই নম্বর গেটের ভেতর তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় তৃণমূল, বামপন্থী, বিএমএস এইচএমএস সহ সবকটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। ছিল আইএনটিইউসি শ্রমিক সংগঠনও। যদি সংস্থার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত না বদলায় তাহলে লক্ষী পুজোর পর আরও বড় আন্দোলন তাঁরা সংগঠিত করবেন।
এই আন্দোলনের জেরে শ্রমিক আধিকারিক দুই পক্ষই গেটের সামনে আটকে পড়েন। প্রায় ঘণ্টা খানেক চলে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যেমন ভেতরে ছিল সিআইএসএফ, ঠিক তেমনি কারখানার বাইরে ছিল পুলিস। কারখানার স্বার্থে শ্রমিক স্বার্থে ঘণ্টা খানেক পর বিক্ষোভ আন্দোলন শ্রমিক সংগঠনগুলি আজকের জন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতণ্ডায়(War of words) জড়ালেন টলিউড (Tollywood) প্রযোজক রাণা সরকার এবং অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Joyjit Banerjee)। এই বিতণ্ডার সূত্রপাত অভিনেতা জয়জিতের সাম্প্রতিক এক ফেসবুল পোস্ট ঘিরে। সেই পোস্টে অভিনেতা লেখেন, 'এক প্রযোজক প্রথমে আর্টিস্ট থেকে ভেন্ডর সবার টাকা মারে। নামকরা কবি থেকে অভিনেতা-পরিচালককে নিয়ে ছবি শুরু করে মাঝপথে বন্ধ করে দেয়। নির্লজ্জের মতন সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্ঞানদান করে আর সবার সঙ্গে ছবি দেয়। আজব জীব।' এই পোস্টে কোন প্রযোজক নামোল্লেখ না করলেও কমেন্ট বক্সে জবাব দিতে দেখা গিয়েছে বাংলা ছবির অন্যতম প্রযোজক রাণা সরকারকে (Producer Rana Sarkar)।
জয়জিতের করা পোস্টে তাঁর মন্তব্য, 'আমার কথা বলছো ভাই? অনেক আগেই তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, অফিসে আসতে বলেছিলাম তখন তো পালিয়ে গেলে? আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছো? সাহস থাকে তো এসো সামনাসামনি কথা বলি, সেটা ফেসবুক লাইভে দেখাই সবাইকে? সাহস আছে নাকি আবার পালিয়ে যাবে?' এমনকি সেই প্রযোজকের আরও মন্তব্য, 'পালিয়ে গেলে তোমাকে সবাই আজব জীব বলবে এবার, বুকনি না মেরে চ্যালেঞ্জ accept করো।' অভিনেতার ফেসবুক পোস্টে এই বাকবিতণ্ডার মধ্যেই পৃথক একটি ফেসবুক পোস্ট করেন প্রযোজক। সেই পোস্টে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পোস্টের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন রাণা সরকার।
তাঁর পোস্টে জয়জিতের উদ্দেশে লেখা, 'আর পারলো না মিথ্যেগুলো সামলাতে, আমাকে ব্লক করে দিলো জয়জিৎ ব্যানার্জী। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম পালিয়ে গেলো। ওনার পরিবারের লোক বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের ৩০ লাখ টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, কেউ শাকিব খানকে জিজ্ঞেস করুন জানতে পারবেন।... tagging Shakib Khan। তারপরও বড় বড় কথা, আজব লোক 👎🏿 স্ক্রিনশটগুলো থাকলো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।... এসব মিথ্যেবাদী অভিনেতা নিয়ে আমাদের জগৎ, কী করে বাংলা সিনেমার ভালো হবে?' Shame on you Joyjit Banerjee 👎🏿
এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব আসে জয়জিতের তরফে। তিনি আবার লিখেছেন, 'পালাইনি। কে কার টাকা মারে সে সব্বাই জানে। আর ব্লকও করিনি। না হলে তোমার এই ঘৃণ্য দিকটা দেখতে পেলাম কি করে। ছি:। এবার ব্লক করবো। তোমার প্রোফাইলের লোক তোমাকে গালি দেয় তাতেও লজ্জা লাগে না। আজব জীব। যা ইচ্ছে বানিয়ে বোলো হবে এসে যায় না কোথায় আছে না কে কি বলে...।
পুরাতন ঢাকার চকবাজারের দেবী ঘাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড(fire)। প্লাস্টিক কারখানায়(plastic factory) ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ছয় জনের মৃত্যুর(death) খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, নিহত ছয়জনই কারখানার নিচে অবস্থিত একটি হোটেলের শ্রমিক। সোমবার দুপুরে আগুন লাগে বলে জানা গেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, রাতে ডিউটি করে হোটেলের উপরের একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন কর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ওই আগুন ছড়িয়ে পুড়ে যায় হোটেল এবং ঘরগুলি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপরেই সেখান থেকেই কর্মীদের দেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত একটি হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসে ওয়্যার হাউস পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছজন মারা গিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, যে ঘর থেকে আগুন ছড়ায় সেখানে এবং আশপাশের কোনও ভবনেই নির্মাণের কোনও নিয়মনীতি মানা হয়নি। এই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দেরি হয়েছে। অন্যদিকে, লালবাগ পুলিসের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে ওই ঘর এবং হোটেলগুলি করা হয়েছে। অবৈধভাবে এইসব হোটেল এবং অন্যান্য কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মৃত্যুদিন। বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস থাকায় সবাই ছিলেন ছুটিতে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেলা ১২টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এসে দেখেন ওই হোটেলে আগুন জ্বলছে। এরপর সেখান থেকে আগুন আশপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। তারা আরও জানান, সরকারি জমি লিজ নিয়ে সেখানে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। যে হোটেল থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, সেখানে আগে গ্যাসের লাইন ছিল। বিল বকেয়া থাকায় হোটেলটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। কিন্তু সংকীর্ণ জায়গায় নিয়ম না মেনেই সব কিছু করার ফলে আগুন লাগে বলে দাবি তাদের।
বসিরহাটে (Basirhat) গ্যাস লিক কাণ্ডে গ্রেফতার (arrest) এক। উল্লেখ্য, বসিরহাটের মাটিয়া থানার খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর মাংসের প্রসেসিং কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়। শুক্রবারই এই ঘটনায় উঠে আসে বেআইনিভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস (Ammonia gas) রাখার অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মাটিয়া থানার পুলিস (police) তদন্তে নেমে ওই কারখানার ম্যানেজার ফারুক হাসানকে গ্রেফতার করে। পুলিস অভিযুক্তকে শনিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে (court) তোলে।
প্রসঙ্গত, গোপালপুর মোড়ে মাংসের ফুড প্রসেসিং কারখানা থেকে হঠাৎই শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ পরও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই গ্যাস নাকে আসলে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয় বলে জানা যায়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা মাটিয়া থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও বিশাল পুলিসবাহিনী। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখেন বিষয়টি। প্রত্যেক পুলিস কর্মী মুখে গামছা-রুমাল পরে তারপরই যান। ঘটনাস্থলে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ওই কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাস যেখান থেকে লিক হয়, সেখানে জল দিতে শুরু করেন তাঁরা। এরপরই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।
ছোটপর্দার পরিচিত মুখ শৈবাল ভট্টাচার্য (Saibal Bhattacharya)। বিভিন্ন ধারাবাহিকে (serial) বাবা, কাকার মতো পার্শ্ব চরিত্রে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। কাজও করছিলেন ভালই। কিন্তু সোমবার রাতে আত্মহত্যার(commit to suicide) চেষ্টা করেন অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। কসবায় নিজের ফ্ল্যাট(flat) থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেতাকে। মাথায়, হাতে ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের(sharp weapon) আঘাত নিয়ে ভর্তি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিস সূত্রে দাবি, অভিনেতা নিজেই নিজেকে আঘাত করেছেন ধারাল অস্ত্র দিয়ে। সূত্রের খবর, মদ্যপ অবস্থায়(drunk) নিজেকে মাথায় আঘাত করে পায়ে আঘাত করে অভিনেতা। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পরিবার, সহকর্মীরাও।
কিন্তু কেন? কেন নিজেকে এইভাবে শেষ করতে চাইছিলেন অভিনেতা ? এর পিছনে কি ডিপ্রেশন কাজ করছিল ? তবে মদে আসক্তি ও পেশাগত ডিপ্রেশনের কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় এবং পায়ে ক্ষতের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো ক্ষত রয়েছে । ধারাল অস্ত্রের আঘাতের কারণে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বছরেই পরপর বেশ কয়েকজন টেলি অভিনেত্রীর আত্মহত্যাকে ঘিরে ইন্ডাস্ট্রিতে আলোড়ন পড়ে যায়। এবার এক টলি অভিনেতার আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হল শিল্পীমহলে।
ঘটনার তদন্তে কসবা থানার পুলিস । প্রশ্ন উঠছে বারবার কেন ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা? শুধুই কি মানসিক অবসাদ নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও অন্য কোনও কারণ, উত্তর খুঁজছে পুলিস।