কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে (Abhishek Banerjee) নোটিশ সিবিআই-এর (CBI)। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার বেলা ১১ টার মধ্যে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে সিবিআই অফিসে হাজিরার নির্দেশ। সূত্রের খবর, আজ রাতেই নবজোয়ার সভা শেষ করে কলকাতায় ফিরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজিরা সেরে তিনি ফের ২২শে মে সোনামুখী নবজোয়ার যাত্রায় যুক্ত হবেন।
কুন্তল ঘোষের চিন্তি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ইডি-সিবিআইকে কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিষেক। তখন অবশ্য এই রায়ের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাক্রমে অভিষেকের অভিযোগে উপরোক্ত এই মামলারই বিচারপতি বদল হয়। বিচারপতি বদল হলেও নির্দেশ বদল হয় নি। অমৃতা সিনহা অবশ্য এই মামলায় জাস্টিস গাঙ্গুলির রায় বহাল রাখেন। অভিষেক ও কুন্তল দুজনেই এই মামলায় অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও। ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা শুনতে চায় নি।
যদিও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় শুনে বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান, সন্মান জানান, এবং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থা দরকার নেই। এক হাতে প্রমান আনুন, অন্য হাতে ফাঁসির মঞ্চ।' যদিও তিনি বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডাকলে যাবো, কিন্তু আমাকে এই মামলায় জোর করে ঢোকানো হয়েছে, এই মামলার ত্রিসামানায় আমি নেই। কেন আমাকে এই মামলায় ঢোকানো হলো এর জন্য আদালতে গিয়েছিলাম। এখনও সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা আছে।
হাইকোর্টের ফের ধাক্কা অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেকের আর্জিতে সাড়া দিলো না হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে বহাল থাকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিল ইডি-সিবিআই চাইলে এই মামলায় অভিষেক ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে। এরপর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। বদল হয় সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারপতির। বিচারপতি বদলে মামলা যায় জাস্টিস অমৃতার সিনহার এজলাসে।
যদিও এই মামলায় জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখে অমৃতা সিনহা। ওই একই মামলায় কুন্তল ও অভিষেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করে জাস্টিস সিনহা। এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় অভিষেক ও কুন্তল দুজনেই। কিন্তু তাঁদের আবেদনের এই আর্জি শুনতে রাজি নয় ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্য্যের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। গ্রীষ্মের ছুটির আগে এই মামলা শোনা সম্ভব হবে না। গ্রীষ্মের ছুটির আগে এই শুক্রবার শেষ কোর্ট খোলা থাকবে। বিচারপতিরা বলেন, 'আমাদের অনেক কাজ, অনেক মামলার রায় দেওয়া বাকি আছে। এখন এই মামলা শোনা সম্ভব হবে না।
সূত্রের খবর, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, 'আমি আনঅফিসিয়ালি বলছি আপনি চাইলে অবসরকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।' যদিও এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি (Justice) অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ইডি এবং সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অভিষেক। নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষও বিচারপতি সিনহার একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালেই কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত অভিষেকের মামলায় রায় দেয় আদালত। এই মামলায় এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেই বিচারপতি সিন্হা বলেন, কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে জেরা করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। একই সঙ্গে অভিষেক এবং কুন্তল দু’জনকেই আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করেন বিচারপতি। সেই নির্দশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আর্জি করেছিলেন অভিষেক এবং কুন্তল। যদিও প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দ্রুত শুনানির আর্জি এখনই মঞ্জুর করেনি। তবে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।
কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় আরও অস্বস্তিতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সংশ্লিষ্ট ওই মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের (ED-CBI) জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু আপাতত বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এছাড়া বিচারপতির রায়ে বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে।
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ করেছেন। অমৃতা সিনহা আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জেরা করতে পারবে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এ ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে যান। এরপর এই মামলায় বদল হয় বিচারপতির। নতুন বিচারপতি হিসেবে মামলার বিচারের দায়িত্ব পান অমৃতা সিনহা। যদিও বিচারপতি বদল হবার পর হুকুম বদলায়নি। সেইমত অভিষেক আলাদাভাবে কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলাটি থেকে রেহাই চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় নি। ওই মামলার শুনানিতে অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ঘোষণা করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আদালতের নির্দেশে বদল হলো গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিলের রুট। চাকরির দাবিতে হ্যারিকেন মিছিলের (Procession) আয়োজন করেছিল গ্রুপ ডি কর্মীরা। সেই মিছিলের রুট মমতা (Mamata Banerjee) ও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পাড়ায় করতে চেয়ে আবেদনও করেছিল তাঁরা। কিন্তু সেই অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিষেকের পাড়ায় মিছিলে কোনও সমস্যা দেখে নি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফলে ওই মিছিলের অনুমতি দেয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
কিন্তু রাজ্য সরকারের এই মিছিল নিয়ে আপত্তি আগেই ছিল, কারণ এর আগে অভিষেকের পাড়ায় অর্থাৎ হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে এর আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এবং অভিষেকের বাড়ির সামনে চোর স্লোগান শোনা যায়। যে কারণে আগেভাগে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছিল কলকাতা পুলিস। সূত্রের খবর, এর পর মঙ্গলবার এই মিছিলকে ওই পথে আটকাতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আদালত মঙ্গলবার নির্দেশ দেয় মিছিলের রুট পরিবর্তন করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে অন্য রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যেতে বলেছে চাকরিপ্রার্থীদের। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হরিশ মুখার্জি রোডের বদলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল নিয়ে যেতে পারবেন আশুতোষ মুখার্জি রোড ধরে। আর কালীঘাট থানার আগে ব্যারিকেডেই থামাতে হবে মিছিল। হ্যারিকেন হাতে ওই মিছিলের সন্ধ্যায় করতে চেয়েছিলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সময়ও বদলে দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মিছিল দুপুর ১২টায় শুরু করে শেষ করতে হবে বিকেল ৪টের মধ্যে। সেই মতই হ্যারিকেন হাতে বুধবার বেলা ১২টা থেকে মিছিল শুরু করেছে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা।
গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল (Procession) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাড়ায় করা যাবে না, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এমনকি, ওই মিছিল কালীঘাট থানার আগে শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার সন্ধ্যায় শহিদ মিনার থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট পর্যন্ত এই মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে অন্য রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যেতে বলেছে চাকরিপ্রার্থীদের।
হ্যারিকেন হাতে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের কর্মসূচিতে এর শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। মঙ্গলবার বিকেলে ওই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হরিশ মুখার্জি রোডের বদলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল নিয়ে যেতে পারবেন আশুতোষ মুখার্জি রোড ধরে। আর কালীঘাট থানার আগে ব্যারিকেডেই থামাতে হবে মিছিল।
হ্যারিকেন হাতে ওই মিছিলের সন্ধ্যায় করতে চেয়েছিলেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সময়ও বদলে দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মিছিল দুপুর ১২টায় শুরু করে শেষ করতে হবে বিকেল ৪টের মধ্যে।
সভার পথে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে আটকে যখন নিজেই বিপদের মুখে, তখন ঝড়ে আটকে পড়েন স্থানীয় এক বয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে সুরক্ষিত অবস্থায় তাঁর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ (MP) অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সূত্রের খবর, অসুস্থ ওই বৃদ্ধের নাম দ্বিজপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ছেলের দাবি, ডায়ালিসিস করে বাবাকে নিয়ে ফিরছিলাম পথে ঝড়-বৃষ্টিতে আটকে পড়ি, খবর পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বাবাকে মঙ্গল কোটে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝড়ের মুখে সমস্যায় পড়েন তিনি। ঝড়ের তাণ্ডবে অভিষেকের কনভয় আটকে যায় রাস্তায়। পথে বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে ইলেকট্রিক খুঁটি ভেঙে পড়ে অভিষেকের কনভয়ে। সূত্রের খবর, তখন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কানে যায় স্থানীয় এক যুবক তাঁর বৃদ্ধ অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ঝড়ের মধ্যে ফেঁসে রয়েছেন। এরপর খবর পেয়ে দ্রুত তাঁর কনভয়ে ওই ব্যক্তির বাবাকে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যার জন্য ওই ব্যক্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন।
অন্যদিকে, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে এখন বর্ধমানে আছেন অভিষেক। সোমবার বর্ধমানের ভাতারে রোড-শো শেষ করে তিনি মঙ্গলকোটের নতুনহাটে সভা করতে যাচ্ছিলেন। সোমবার বিকেলে এই ঝড়ের পর খবর আসে, ঝড়ের তাণ্ডবে সভামঞ্চও ভেঙে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকেন তিনি। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সোমবার বিকেলের পর থেকেই বৃষ্টি ও কালবৈশাখী দেখেছে গোটা দক্ষিণ বঙ্গ সহ কলকাতার একাংশ। সোমবারের কালবৈশাখী ঝড় ৬৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার বয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মামলায় রেহাই চেয়ে আবেদন করেছিলেন বৃহস্পতিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjeee) আবেদনে একপ্রকার সাড়া মিলল না বিচারপতি (Judge) অমৃতা সিনহার এজলাসে। ফলে অস্বস্তি থেকেই গেল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক প্রকার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পথেই হাঁটলেন নিয়োগ মামলায় নতুন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঐ নির্দেশকেই আপাতত বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে কোন বাধা রইল না ইডি ও সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রেহাই চাওয়ার আবেদনের শুনানি ফের সোমবার হবে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও কোন রক্ষাকবচ মেলেনি। ফলে বিচারক অর্থাৎ বিচারপতি বদল হলেও একপ্রকার অস্বস্তিতেই ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি-সিবিআইয়ের জেরা এড়াতে বৃহস্পতিবার তিনি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই মামলার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। সেই মামলায় জট এখনো কাটল না। ফলে ইডি ও সিবিআই কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবেন।
'ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।' কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে ফের নাম না করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গ। সম্প্রতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম কুন্তল ঘোষের মুখে বারবার উঠে আসছিল। কুন্তল ইডি-সিবিআইয়ের (ED) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে ইডির আধিকারিকরা কুন্তল ঘোষকে বলপূর্বক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর পরেই ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়য়ের নির্দেশে বিপাকে পড়েন অভিষেক। শুক্রবার কুন্তলের মামলার শুনানিতে আদালতে ঢোকার সময় কুন্তলের মুখে অভিষেকের নবজোয়ার প্রকল্পের নাম শোনা যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেয়। তারপরেই জল গড়িয়েছে অনেক দূর। বদল হয়েছে বিচারপতি। সংশ্লিষ্ট মামলায় নতুন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানিতে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আইজীবীকে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, ইডি-সিবিআইয়ের জেরায় আপনাদের এত আশঙ্কা কেন? যদিও এরপরে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের তরফে বিচারপতি সিনহার এজলাসে ওই মামলায় রেহাই চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই মামলার শুনানি আজ অর্থাৎ শুক্রবার।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় 'নবজোয়ার' নামের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেন। ওই যাত্রায় নিয়ে এবার মুখ খুলল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। এর আগে অবশ্য বারবার কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম শোনা যায়।
নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মূল মামলায় বদল হয়েছে বিচারপতি (Judge)। কিন্তু তাতেও যে লাভ হয়নি সেটা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পরে টের পেয়েছেন। কুন্তলের মুখে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম আসায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের (ED) সওয়ালে ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেয়। তারপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় রেহাই চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়। সেই মামলার শুনানিতে অভিষেকের পক্ষের আইনজীবী মনু সিংভি নির্দিষ্ট কারণ দর্শিয়ে ওই মামলা থেকে বিচাপতি বদলের কথা বলেন, মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার বিচারপতি পরিবর্তন হয়।
মামলার দায়িত্ব গিয়ে পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই কুন্তল ঘোষের মামলার শুনানিতে বিপাকে পড়েন অভিষেক। শুনানির দিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, 'সিবিআইয়ের মুখোমুখী হতে আপত্তি কোথায়? যদি কোনো আশঙ্কা না থাকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন না কেন?' এরপরে অভিষেকের পক্ষের আইনজীবী জানায়, ওই মামলাও অভিষেককে পার্টি করা হয় নি। যদিও ওই মামলার শুনানি ওই দিন শেষ হয় নি।
এর মধ্যেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই মামলায় রেহাই চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন জানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ,যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন ছিলই, সেই আন্দোলন তীব্র হয়। কলকাতায় মহা মিছিল পৌঁছে যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাড়ায়। এবার সেই মিছিলের পর মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) বাড়ির সামনে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিস। নিয়োগের দাবিতে আগামী ১৭ মে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্ৰুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা এই মিছিল করার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে আগামী ১৭ মে মিছিল করতে চেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্ৰুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করে যেতে চান তাঁরা। কিন্তু পুলিস কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। এরপরই মিছিল করার অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
প্রসূন গুপ্তঃ তৃণমূলের (TMC) সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জেলা সফর দেখে বিজেপি (BJP) থেকে বিরোধীরা ধরে নিয়েছিল যে, তৃণমূলের নানান আইনি কাণ্ডে অবস্থান খারাপ হওয়ার কারণে এই সফর বা প্রচার। লক্ষ্য নিশ্চই পঞ্চায়েত কিন্তু একেবারে ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে মোটেই তা নয়। পঞ্চায়েত নিয়ে মোটেই ভাবিত নয় তৃণমূল। তারা জানে পঞ্চায়েতে যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক না কেন টীম অভিষেকের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। একেকটি জেলায় 'পছন্দের প্রার্থী'র যে ভোটাভুটি হচ্ছে তাতে প্রায় প্রতিদিন ব্যালট নিয়ে অশান্তি চললেও ওই এলাকার তথ্য অনেক আগেই টিমের কাছ থেকে অভিষেক পেয়ে যাচ্ছেন কাজেই কে ঝামেলা করলো বা ব্যালট নিয়ে কে সংকট তৈরী করলো, তা মোটেই ভাবনায় রাখছেন না তিনি। তাঁর মতো করে এলাকার পর এলাকায় তিনি যাচ্ছেন এবং প্রচুর ভিড় হচ্ছে তাঁর সফর নিয়ে এবং সফর শেষে তাঁর হাতে চলে আসছে কে উপযুক্তকে নয়।
আসলে তো ঠিকই করা রয়েছে পঞ্চায়েতে কে কোথায় প্রার্থী হবে এবং এই তথ্য সামগ্রী অভিষেকের কাছে আছে। অভিষেক জানেন যে যতই ঝগড়া হোক বা যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক না কেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে তৃণমূল বনাম বিদ্রোহী তৃণমূলের। কিছু জায়গায় বাম এবং কংগ্রেসের জোট লড়াই দেবে এবং কিছু জায়গায় বিজেপিও। কিন্তু বাস্তব সত্যি এই যে এখনও তারা সংঘবদ্ধ হতেই পারে নি। এই কয়েক হাজার ( নাকি লক্ষ ) কেন্দ্রে প্রার্থী বা এজেন্ট দেওয়ার ক্ষমতায় নেই বিরোধীদের। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম সেরা সংগঠক অমিত শাহ বারবার দলকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু জেলায় জেলায় সংগঠন করার প্রস্তুতি কোথায় বিরোধীদের? একমাত্র সিপিএম হয়তো সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারবে কিন্তু ভোট করানোর সংগঠন আজ সিপিএমের কোথায়?
কার্যত অভিষেকের নব জোয়ার একেবারেই পঞ্চায়েত কে কেন্দ্র করে নয়। অভিষেক চাইছেন সারা বাংলায় লোকসভা ভোটে তাঁদের শক্তি বাড়ুক। যে ভাবেই হোক সাংসদ সংখ্যা গত ১৯ এর নির্বাচনের থেকে বেশি হোক অনেকটাই এবং সেই ভূমিকাতেই তিনি জেলার কাছে নিজেকে তুলে ধরছেন। বিরোধীরা বুঝতে পারছে কি আদৌ?
অভিষেক মঞ্চ ছাড়তেই ফের ব্যালট নিয়ে লুটপাট চালালেন তৃণমূল কর্মীরা। যার জেরে অশান্তির সৃষ্টি হল বীরভূমের মুরারইতে। অনুব্রতহীন বীরভূমে (Birbhum) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) 'নবজোয়ার' সভায় অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। উত্তর থেকে দক্ষিণে সব জেলাতেই অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। এবার ভোটের আগে ব্যালট লুট নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরাও।
মঙ্গলবার মুরারইয়ের সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে নিয়েও তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সুকন্যার পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন সুকন্যা গ্রেফতার হলে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে জয় সাহা কেন গ্রেফতার হবে না।
এই সভা থেকে অভিষেক বেরিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় হাতাহাতি। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ওখানে। অভিযোগ প্রার্থী বাছাই নিয়ে ব্যালট না মেলায় অপরপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন মুরারইয়ের স্থানীয় নেতারা। এর আগে জলপাইগুড়ি কোচবিহার সহ মুর্শিদাবাদেও ব্যালট লুটের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অভিষেকের নবজোয়ার সভা ও গ্রাম বাংলার মতামত অর্থাৎ পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই সভা।
মঙ্গলবারে বীরভূমে (Birbhum) 'নবজোয়ার' যাত্রায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মুরারইয়ে সভা করেন। সেখান থেকে সুকন্যা মণ্ডল অর্থাৎ অনুব্রত (Anrbrata Mondal) কন্যার বিষয়ে মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ওই মঞ্চ থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। অভিষেক বলেন, 'সম্প্রতি ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। কিন্তু ইডি চার্জশিটে বলেছে, বিএসএফ গরুপাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিয়েছে। বিএসএফ কার অধীনে? অমিত শাহের অধীনে। তাহলে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?’
এরপরেই সুকন্যার প্রসঙ্গ টানেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘সুকন্যা মণ্ডলের ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অমিত শাহের ছেলের সম্পত্তি বেড়েছে ৮০ হাজার গুণ। তাহলে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? এই প্রশ্ন কেন কোনও সংবাদমাধ্যম তুলছে না?’ এখানেই থামেননি অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে বলেন, ‘বিএসএফ যে পাচার থেকে টাকা তোলে তা অমিত শাহের কাছে যায় না তাঁর ছেলের কাছে যায়?’
ইতিমধ্যে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্যবস্থা নিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করার পাশাপাশি ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। সেইসঙ্গে দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তবে ব্যতিক্রম হলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে জেলা সভাপতি পদে রেখে দিয়েছে তৃণমূল। এ নিয়ে মাস দুয়েক আগে অভিষেক বলেছিলেন, ‘সময় হলে সব দেখতে পাবেন।’ তবে এদিন অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের গ্রেফতারি কোনও প্রশ্ন না তুললেও অভিষেক কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বিচারিতা তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, অনুব্রতর মেয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে জয় শাহ নন কেন?
'আমার মৃত্যুর পর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও ববি হাকিমরা (Bobby Hakim) থাকবেন বিজেপিকে (BJP) গেঁথে দেওয়ার জন্য।' মালদহের ইংরেজবাজার থেকে বিজেপিকে বিঁধে এমনটা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি (ED), ইনকাম ট্যাক্স। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের কাকু-সহ অনেকের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এহেন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদহর ইংরেজ বাজারের সভা থেকে এজেন্সি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বৃহস্পতিবার মালদহে মমতা-অভিষেক যৌথ অধিবেশনের কথা দুদিন আগে ঘোষণা করা হয়। তারপর কাকতালীয়ভাবে এদিন সকালে যখন সিবিআই হানাদারি শুরু করে, তখন তা মালদহের সভার সঙ্গে জুড়ে দেখছেন তৃণমূলের অনেকেই। কারণ, তাঁদের মতে, এটা একটা নকশা তথা প্যাটার্ন হয়ে গিয়েছে। যেদিন মমতার সভা থাকবে সেদিন কারও না কারও বাড়িতে সিবিআই হানা দেবে। শুধু তা নয়, সংবাদমাধ্যমকে খবর দিয়ে সেখানে যাবে। যাতে একটা ন্যারেটিভ তৈরি করা যায়।
এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'যা চলছে, একদিন সব সামনে আসবে। আমি যদি বেঁচে থাকি না থাকি….। আমি মরে গেলেও ক্ষতি নেই, পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর পর ববি, অভিষেকরা ওদের গেঁথে দেবে। এই জন্যই তো তৈরি করে যাচ্ছি। শুধু ইডি, সিবিআই নয়। এদিন বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে পার্টি কর্মীদের উদ্দেশে দিদি বলেছেন, 'আগে বিএসএফ এইরকম ছিল না। বিজেপি এসে এটা করিয়েছে। এরা এখন ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার দখল নিতে চাইছে। ওদের বিরুদ্ধে এলাকায় এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলুন। তুলতে এলে ফাইট করুন।