Breaking News
Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে      BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি     

AbhishekBanerjee

DA: অভিষেকের বাড়ির সামনে থেকে হবে ডিএ মিছিল, অনুমতি দিল হাইকোর্ট

অভিষেকের (Abhishek Banerjee) দুয়ারের সামনে থেকে হবে ডিএ (DA) মিছিল। যার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (HighCourt)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মিছিলের অনুমতি দেয়। সূত্রের খবর, ডিএ আন্দোলনকারীদের হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শান্তি বজায় রেখে ওই রাস্তা দিয়ে মিছিল করা যাবে। কিন্তু মিছিল থেকে কোনও রকম কুমন্তব্য করা যাবে না।

কলকাতা পুলিসের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের তিনটি বিকল্প রুটে মিছিলের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা। অন্য দিকে, হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পুলিস। রাজ্যের দাবি ছিল, শহরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা ওই রাস্তা। কিন্তু হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল করতে অনড় আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ওই রাস্তাতেই।

ওই রাস্তার কিছু অংশে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলেও আদালতে জানান সরকারি আইনজীবী। জবাবে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, মিছিলের আবেদন করার পরে কিছু এলাকায় গত ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। তখন বিচারপতি মান্থা বলেন, 'তা হলে তো মিছিল ওই রুটে হলে বলতে হবে, শহরের সবচেয়ে শান্ত এলাকা দিয়ে মিছিল যাচ্ছে।'

এর পরে বিকাশরঞ্জনের উদ্দেশ্যে বিচারপতি মান্থা বলেন, 'সকলে যে আশঙ্কা করছে, আদালত তা বুঝতে পেরেছে। ওই এলাকায় কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি শেষ করতে হবে।' আন্দোলনকারী পক্ষ জানিয়েছে, ওই দিন হাজরা ফায়ার স্টেশন থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে মিছিল গিয়ে পড়বে আশুতোষ মুখার্জি রোডে। সেখান থেকে মিছিল গিয়ে শেষ হবে হাজরা মোড়ে।

12 months ago
Nabajoar: অভিষেকের 'নবজোয়ারে' ব্যালট লুটের হ্যাট্রিক, বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিলেন সুকান্ত

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) 'নবজোয়ার' (Nabajoar) যাত্রায় হ্যাট্রিক হয়েছে ব্যালট (Ballot) বিশৃঙ্খলায়। কোচবিহার থেকে শুরু করা যাত্রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা করেন অভিষেক। পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে কর্মী-সমর্থকদের সুবিধা করে দিতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। যদিও দলের দাবি, কর্মীদের উৎসাহের জন্যই এমনটা হচ্ছে। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি।

গত ২৫ এপ্রিল তৃণমূলের 'নবজোয়ার' যাত্রা শুরু করেন অভিষেক। সেই দিনই কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল ব্যালট নিয়ে। এর পরে জলপাইগুড়ি জেলাতেও একই ছবি দেখা যায়। পরে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটাভুটি পর্বে গোলমাল হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলে তুমুল হাতাহাতি। প্রার্থী বাছাই নিয়ে রবিবার হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে মারপিট থামাতে নামাতে হয় র‍্যাফ। মঙ্গলবার হরিরামপুরেও একই ঘটনা। অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই শুরু হয়ে যায় বিশৃঙ্খলা।

এবার অভিষেকের 'নবজোয়ার' এই যাত্রায় অংশ নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য মালদহের উদ্দেশ্যে আজ অর্থাৎ বুধবারই রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজ্ঞানের একটি বিষয় টেনে এনে মঙ্গলবার বলেন, 'জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পরে ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময়ে কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদের একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুট করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।'

12 months ago
Meeting: দন্ডিকাণ্ডে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে বৈঠক অভিষেকের, তারপরেই অপসারিত তৃণমূল নেত্রী

বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার এক দিনের মধ্যে আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) ৩ আদিবাসী (Tribal) মহিলা। অভিযোগ, তার জন্য ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসাবে দণ্ডি কাটানো হয় তাঁদের। রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয় এই দৃশ্য। বিরোধীরা কটাক্ষ করে। ঘটনায় তৃণমূলের জেলা মহিলা সভাপতির প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের পদ থেকে। মঙ্গলবার ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় গিয়ে ৩ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলে ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’তে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন অভিষেক। মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরে। সন্ধ্যায় তপনে গিয়ে ওই তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। পরে অভিষেক বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছিল, তাকে সভ্য সমাজের কোনও মানুষ সমর্থন করেন না। দলগত ভাবেও সমর্থন করা যায় না। তৃণমূল বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল, কেউই এই ঘটনাকে সমর্থন করতে পারে না।’ অভিষেকের সংযোজন, ‘আমাদের যিনি মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন তাঁর একটা ভূমিকা ছিল বলে শুনেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩ আদিবাসী বোনের সঙ্গে আজ দেখা করেছি। তাদের সঙ্গে চা খেয়েছি।’

মঙ্গলবার তপনের চকসাথিয়ার গ্রামে নব জোয়ার কর্মসূচিতে চা চক্রের অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিষেক। ওই চার আদিবাসী মহিলার মধ্যে তিন জন হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। তাঁদের সঙ্গে বসে চা পান করতে করতে বেশ খানিক ক্ষণ কথা বলেন অভিষেক।

গত ৬ এপ্রিল তপনের বেশ কয়েক জন আদিবাসী যুবতী বিজেপিতে যোগ দেন। তার মধ্যে ছিলেন ৪ আদিবাসী মহিলা— মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন ও মালতি মুর্মু। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে ফেরেন। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার শাস্তি হিসাবে দণ্ডি কাটানো হয় ওই আদিবাসী মহিলাদের। বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যেতে হয় তাঁদের। সেখানে পৌঁছে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন। এই ছবি ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয় হইচই। এবার ওই আদিবাসী মহিলার সঙ্গে বসে চা পান করেন অভিষেক।

12 months ago


Abhisekh: মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে নেতাদেরঃ অভিষেক

দু'মাসের সফর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শুরু করেছেন দলের প্রচার। প্রচার অবশ্যই পঞ্চায়েত ও লোকসভাকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রচার শুরু করেছেন ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে এবং এখন রয়েছেন উত্তর-মধ্য বাংলায় অর্থাৎ বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর সেরে মালদহের পথে। তাঁর এই দুই মাসের সফরে কোনও রিসোর্ট বা হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে না, থাকছেন তাঁবুতে।

ডুয়ার্স অঞ্চলে বারবার অভিষেক যাচ্ছেন এই কারণে যে, বিগত লোকসভাতে উত্তর বাংলা অঞ্চলের সবকটি আসন হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিধানসভা অঞ্চলে দিনাজপুরের দুটি জেলাতে মোটামুটি ফল ভালোই হয়েছিল গত বিধানসভার ভোটে। যেহেতু ডুয়ার্স অঞ্চল অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এই চার জেলাতে কিন্তু বিধানসভায় ফের ফল খুবই খারাপ হয়েছিল তৃণমূলের। ফলে অভিষেক ডুয়ার্স অঞ্চলের খোল নলচে পাল্টে ফেলতে চাইছেন। তিনি অভিনব একটি পদ্ধতি চালু করেছেন। দলের অন্দরের ব্যালট পেপার তৈরি করে বিভিন্ন সভায় সাধারণ জনতার কাছ থেকে ভোট মারফত জানতে চাইছেন যে, কে কে উপযুক্ত প্রার্থী। যদিও এই ব্যালট পদ্ধতিতে বেশ কিছু জাইগায় ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেই এলাকার ভোটারদের পালস বুঝে নিচ্ছেন অভিষেক।

মঙ্গলবার জনসভায় তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। লোক দেখানো নেতাগিরি চলবে না। তিনি বলেছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি বুঝেছেন, পঞ্চায়েত নেতা, বিধায়ক বা অন্য নেতাদের কিছু মানুষ কোনও যোগাযোগ রাখেন না এলাকার মানুষের সঙ্গে, এমনকী ফোন করলে তাও ধরেন না। এইভাবে চলবে না। জনসংযোগ বাড়াবার কথা বারবার বলা হচ্ছে। তিনি বলেন টিকিট কারা পাবে ভোটে তা ঠিক করবে এলাকার ভোটাররা, কাজেই ভোট নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটা বাস্তব বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী রয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের এখনও কোনও প্রচারের উপযুক্ত মুখ তৈরি হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির প্রচারক আছে, ঠিকই কিন্তু এখনও তারা মাঠেই নামেননি। ফলে যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকুক তৃণমূলের মধ্যে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি এখনও আসে নি।

12 months ago
Abhishek: দন্ডিকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পাশের গ্রামে অভিষেকের 'নবজোয়ার' সভা, 'নকল' কটাক্ষ বিজেপির

তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে কাটতে হবে দন্ডি, তৃণমূলের এই দন্ডিকাণ্ডের ঘটনায় জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এবার ওই দন্ডিকাণ্ডের এলাকার পাশের এলাকায় সভা করতে যাবেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরে (South Dinajpur) জনসংযোগে নামছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই জেলার হরিরামপুর ও পতিরামে দু’টি জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গারামপুরে হবে সান্ধ্য অধিবেশন। সূত্রের খবর, এছাড়াও তপনে আদিবাসী এলাকায় চা চক্রের মাধ্যমে জনসংযোগ করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি খাঁপুরে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের শহিদ বেদীতেও মাল্যদান করবেন তিনি। 

এদিন ওই জেলার চক সতিহারে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও দেখা করবেন অভিষেক। বালুরঘাটে দন্ডি কাণ্ডের ওই ঘটনাস্থলের পাশেই চক সতিহারে সেখানেই আদিবাসী এলাকায় চা চক্রে যোগ দেবেন অভিষেক। টানা ২ মাস জেলায় জেলায় জনসংযোগে করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে তৃণমূলে নবজোয়ার। ছোট বড় জনসভার পাশাপাশি রাস্তায় জনসংযোগও করছেন তিনি। গ্রাম পরিদর্শন, চা চক্রেও জোর দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।]

যদিও অভিষেকের এই সফরকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কথায়, 'এই নবজোয়ার আমাদের নকল করা, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া লোকের বাড়িতে যাচ্ছেন। লোকের বাড়ি গিয়ে সাজানো খাবার খাচ্ছেন।'

12 months ago


Abhisekh: নিয়োগ সংক্রান্ত প্রাথমিকের মামলার বিচার করবেন কে! দ্রুত নিস্পত্তি চান অভিষেক

প্রসূন গুপ্তঃ টানাপোড়েনের পরে এই মুহূর্তে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির (Education Scam) প্রাথমিকের একটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly)। তাঁর হাত থেকে এই বিশেষ অংশটি নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওআই  চন্দ্রচূড়। মামলা হয়েছিল এই প্রকার যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে থাকা মামলার বিষয় মুখ খুলেছিলেন একটি বেসরকারি চ্যানেলে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে এবং কৌঁসুলি ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি।

সমস্ত তথ্য জানার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় আদেশ দিয়েছিলেন যে, শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি মামলার শুনানি আর করতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বাকি দায়িত্ব ন্যস্ত করবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই মোতাবেক গত ২৮ এপ্রিল রাতে কোর্ট থেকে বেরোনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিচারপতি। তিনি জানান, এই মামলা ৬ মাসে হবে নাকি ৬০ বছর লাগবে তা তাঁর জানা নেই। তিনি আরও বলেন, তাঁর লড়াই জারি থাকবে ইত্যাদি।

এবারে সম্পূর্ণ বিষয়ের বাকি অংশের কী হবে বা কার এজলাসে যাবে তা তো ঠিক করবেন বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। শনিবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন যে , যিনিই দায়িত্বে আসুন, তাঁরা চান দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক, দু তিন মাসের মধ্যে হোক। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে যে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হোক এবং অপরাধ করলে শাস্তি বিধান হোক।

অন্যদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়াতে কোথাও ব্যথিত হয়েছে বিরোধী নেতারা। অবশ্য এই বিচারালয়ের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বক্তব্য রেখেছেন প্রায় সব দলই। এবারে দেখা বিষয় এই সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব কে পান।

12 months ago
Ballot: অভিষেক মঞ্চ ছাড়তেই ফের ব্যালট নিয়ে ধস্তাধস্তি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ছে বিতর্ক

এ যেন ভোটার আগেই ব্যালট (Ballot) লুটের প্রস্তুতি। কোচবিহারের (Coochbehar) পর এবার জলপাইগুড়িতে দেদার ব্যালট পেপার লুটের অভিযোগ। রাজগঞ্জে শ্রীসংঘের মাঠ থেকে মিটিং শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যেতেই ছন্দপতন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেই ব্যালট লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জন-সংযোগ যাত্রা কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছেছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে৷

গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যই অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রা৷ জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসভা করছেন তিনি। এমনকি, সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঠিক মানুষকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে এবং ফোন করে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করা হয়েছে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলাতে শুক্রবার থেকে ভোট দানে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোথাও স্কুল পড়ুয়ারা ভোটদান করেছে আবার কোথাও একই মানুষ একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শনিবার সেই বিশৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভার শ্রীসংঘের মাঠে অভিষেকের সভার পাশেই রাখা ছিল ব্যালট বক্স৷ সেখানেই ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিষেকের সভার পরেই ছন্দ পতন ঘটে। ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়৷ পুলিসের সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে চলে ব্যালটের লুটপাট। সভায় উপস্থিত এক তৃণমূল কর্মী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, 'এইভাবে ভোট হয় নাকি ! ব্যালট লুট করে নিল সবাই।'

12 months ago
Abhishek: পদ্মপ্রাপক শিল্পীর পায়ের কাছে বসে শুনলেন কথা, এ যেন এক অন্য অভিষেক

এ যেন এক অন্য অভিষেক। তৃণমূলের 'নব জোয়ার' নামক এই জন সংযোগ যাত্রায় অভিযেক বন্দোপাধ্যায়কে দেখা গেল অন্য রূপে। পদ্মশ্রী সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের (Mangalakanta Roy) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বেশ কিছুটা সময় কথা বললেন শতায়ু এই শিল্পীর পায়ের কাছে বসে। শনিবার ময়নাগুড়ির জটিলেশ্বর মন্দির থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তার আগেই প্রবীণ এই শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এদিন জটিলেশ্বর মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছিল মঙ্গলাকান্তকে। মঙ্গলাকান্তর কী কী সমস্যা রয়েছে বা তাঁর কী কী প্রয়োজন অভিষেক তা জানতে চান শিল্পীর (artist) কাছে। মঙ্গলাকান্ত জানান, তাঁর বাড়ির রাস্তা খারাপ। সরকারি ঘরও পাননি। এরপর অভিষেকের অফিস থেকেও শিল্পীর ফোন নম্বর-সহ সমস্ত তথ্য নেওয়া হয়।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পদ্মশ্রী সারিন্দাবাদক। দুপুর ২টো ৪০ এর উড়ানে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে দেরি হয়ে যাওয়ায় আর কলকাতার বিমান ধরতে পারেননি শিল্পী। তাঁর ছেলে উমাকান্ত রায় জানিয়েছিলেন রাতের ট্রেনের চিকিট জোগাড় করে কলকাতা রওনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পরে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, প্লেনে করেই শিল্পীকে কলকাতা পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। টিকিটের খরচ তাঁরাই দেবেন। টিকিট জোগাড় করতে বলা হয়েছে।

12 months ago


Kuntal: জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাস বদল, আদালতে ঢোকার আগে কিছুই বললেন না কুন্তল

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে শুক্রবার রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে একটির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাঁর। কিন্তু নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষ শনিবার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করলেন না!

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কুন্তলকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁর কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে চান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কিছু বলবেন কিনা। সাধারণ ভাবে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেও কুন্তলকে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভূমিকায় দেখা গেল। কোনও কথা না বলে আদালত ভবনের ভিতরে ঢুকে গেলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর চলতি মাসেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এরপর শুক্রবার মামলা থেকেই সরানো হল তাঁকে। চিঠিতে কুন্তল অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন।

আদালতকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি, অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনায় হেস্টিংস থানায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান কুন্তল। অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, কুন্তলের চিঠির মামলায় প্রয়োজনে অভিষেককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।

12 months ago
Tufanganj: অভিষেকের সভার আগেই তুফানগঞ্জের তৃণমূলে ভাঙন, ৩২ নেতার ইস্তফা

কোচবিহারে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শুরুতেই বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের প্রার্থী নিজে বেছে নেওয়ার অভিযানে ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ করছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। এ বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandopadhyay) জনসংযোগ যাত্রার আগে, মঙ্গলবার দল বেঁধে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন তুফানগঞ্জের (Tufanganj) কয়েক জন নেতা। ওই নেতাদের অভিযোগ, তাঁরা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অবহেলিত। তাঁদের কোনও দাবিই মানা হয়নি। কোনও আবেদনও শোনা হয়নি।

বুধবার তুফানগঞ্জে সভা রয়েছে অভিষেকের। তার আগে এই ইস্তফা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন কেউই দল ছাড়েননি। তবে তাঁরা ব্যাপারটা দেখছেন। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ কর্মসূচিকোচবিহারে (Cooch Behar) ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শুরুতেই বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের প্রার্থী নিজে বেছে নেওয়ার অভিযানে ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ করছে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠী। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রার আগে, মঙ্গলবার দল বেঁধে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন তুফানগঞ্জের (Tufanganj) কয়েক জন নেতা। ওই নেতাদের অভিযোগ, তাঁরা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অবহেলিত। তাঁদের কোনও দাবিই মানা হয়নি। কোনও আবেদনও শোনা হয়নি।

বুধবার তুফানগঞ্জে সভা রয়েছে অভিষেকের। তার আগে এই ইস্তফা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন কেউই দল ছাড়েননি। তবে তাঁরা ব্যাপারটা দেখছেন। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এবং ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা রয়েছে অভিষেকের। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ৩২ জন তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে জানালেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা অনেক দিন থেকে দল করছেন। কিন্তু দলে আর পুরনো নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অসন্তোষের কারণে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বুথ সভাপতি, অঞ্চল সম্পাদক এবং ব্লক কমিটির সদস্যেরা। ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘দলের সাফল্যের সময় যেমন কোনও কাজ পাইনি, ব্যর্থতারও কোনও দায় নেব না। আমরা আলোচনা করে মোট ৩২ জন ইস্তফা দিয়েছি।’

অভিষেকের কোচবিহার সফরের মধ্যে এই ইস্তফা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, ইস্তফা তারই প্রমাণ।’র অংশ হিসাবে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এবং ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা রয়েছে অভিষেকের। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ৩২ জন তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে জানালেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা অনেক দিন থেকে দল করছেন। কিন্তু দলে আর পুরনো নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অসন্তোষের কারণে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বুথ সভাপতি, অঞ্চল সম্পাদক এবং ব্লক কমিটির সদস্যেরা। ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘দলের সাফল্যের সময় যেমন কোনও কাজ পাইনি, ব্যর্থতারও কোনও দায় নেব না। আমরা আলোচনা করে মোট ৩২ জন ইস্তফা দিয়েছি।’

অভিষেকের কোচবিহার সফরের মধ্যে এই ইস্তফা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, ইস্তফা তারই প্রমাণ।’

12 months ago


Abhishek: 'পাহারাদারের নাম অভিষেক', সাহেবগঞ্জের সভা থেকে অভিষেকের হুঙ্কার

কোচবিহারের সিতাই গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দলীয় নেতৃত্বকে সাবধান করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ব্যালট পেপার ছেঁড়া এবং মারামারির ঘটনা নিয়ে অভিষেকের প্রতিক্রিয়া, 'তিনি ভাল করেই জানেন কোথায় কোথায় গণ্ডগোল হতে পারে। যদি কেউ ভাবেন, গায়ের জোরে, ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে প্রার্থী হবেন, তাহলে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এই কারণেই তৃণমূলের নবজোয়ার শুরু করেছি।’

মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাইস্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণের শেষাংশে অভিষেক জানান, 'মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান।' কিন্তু তিনি সভাস্থল ছেড়ে পরের সভাস্থল শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একসঙ্গে সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। একপক্ষ ব্যালট বাক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। শুরু হয় মারামারি-ধাক্কাধাক্কি। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঠেলেঠুলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের মঞ্চ থেকে নীচে নামায়। 

কিন্তু পুলিসের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে ওই স্থানে আবার ‘নির্বাচন’ হবে। শীতলকুচির সভায় অভিষেক ওই অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিতাইয়ে আমার সভায় একটি ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অত্যুৎসাহী হয়ে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট বাক্সটি প্রায় ভেঙে ফেলেছেন।’ তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘এই কারণেই তো তৃণমূলের জনজোয়ার শুরু করেছি। আমি জানি, কোথায় সন্ত্রাস হতে পারে। কোথায় অশান্তি হতে পারে।’

এই ঘটনায় সিতাইয়ের বিধায়ক, জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন অভিষেক। ওই স্থানে বুধবার ভোট করে রিপোর্ট তাঁকে দিতে হবে বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থী বাছাই অভিযানের ভোট হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের কর্মসূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে। ‘জনসংযোগ যাত্রা’র শুরুতে অভিষেক জানান, 'তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। সন্ত্রাসবিহীন ভোট করতে হলে চাই ভাল প্রার্থী। মানুষকেই নেতা বেছে নেওয়ার ভার দিচ্ছেন তাঁরা। মানুষের মত জানার পরই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল।' এমন একটি কর্মসূচি সারা ভারতে অভিনব বলে দাবি করেন অভিষেক।

12 months ago
Ballot: ভোটের আগেই ব্যালট লুট, অভিষেকের সভার পরে ব্যালট নিয়ে ধুন্ধুমার

পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC) কে হবেন, তা দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বাছাই করার সুযোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মঙ্গলবার সেই কর্মসূচির প্রথম দিনেই চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেল সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মঞ্চ ছাড়তেই প্রার্থী বাছাইয়ের হিড়িকে ভাঙো-ভাঙো দশা মঞ্চের। ব্যালট বক্স (Ballot Box) ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলেন তৃণমূলের এক পক্ষ। অন্য পক্ষ আটকাতে গিয়ে শুরু হল মারামারি। কুটিকুটি করা হল পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যালট কাগজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গলদঘর্ম দশা হল পুলিসের।

মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণের শেষাংশে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান। কিন্তু তিনি সভাস্থল ছেড়ে পরের সভাস্থল শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এক সঙ্গে সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। এক পক্ষ ব্যালট বক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। শুরু হয় মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কি। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঠেলেঠুলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের মঞ্চ থেকে নিচে নামায়। কিন্তু পুলিসের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর।

উল্লেখ্য, সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের ‘নবজোয়ার যাত্রা’র কর্সূমচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে। তারই অন্তর্ভুক্ত ‘জনসংযোগ যাত্রা’। যার শুরুতে অভিষেক জানান, তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। সন্ত্রাসবিহীন ভোট করতে হলে দরকার ‘ভাল প্রার্থী’র। মানুষকেই নেতা বেছে নেওয়ার ভার দিচ্ছেন তাঁরা। মানুষের মত জানার পরই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল। সেই অনুযায়ী, কোচবিহারের একাধিক সভায় ব্যালট বক্স রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের অভিযান শুরু হয়। কিন্তু অভিযানের প্রথম দিনে বিক্ষিপ্ত এবং অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটল সিতাইয়ে।

12 months ago
Coochbehar: শুরু অভিষেকের 'যাত্রা', বিএসএফ-র গুলিতে নিহত পরিবারের সঙ্গে কথা

শুরু হল অভিষেকের (Abhishek Banerjee) 'নবজোয়ার' যাত্রা। প্রচারের শুরুতেই সাধারণ মানুষের ভিড়। জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছে তৃণমূল (TMC)। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ৬০ দিন রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। দলকে পৌঁছে দেবেন একেবারে মানুষের দুয়ারে। মঙ্গলবার কোচবিহারে সেই জনসংযোগ যাত্রা উপলক্ষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঠাসা কর্মসূচি।

সকাল থেকে কোথায় যাবেন, কী করবেন অভিষেক? বিস্তারিত সূচি প্রকাশ্যে এসেছে। কোচবিহারে অভিষেকের জনসংযোগের দিন শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। রাত পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে তিনি ব্যস্ত থাকবেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কোচবিহারের শীতলকুচিতে যান অভিষেক। সেখানে বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রেমকুমার বর্মন এবং মোজাফফর রহমানের পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক।

এর পর সকাল ১০টা নাগাদ মাধাইকল কালীবাড়িতে পুজো দেন অভিষেক। পুজো দিয়ে ‘দিদির দূত’ লেখা খোলা ছাদের বাসে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ। সেখান থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। সকাল ১১টা নাগাদ আবার সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে দিনহাটা(২) এবং দিনহাটা ১(বি) ব্লকের ১৬টি অঞ্চল নিয়ে জনসভা করেন তিনি।

বেলা ১টা নাগাদ অভিষেক পৌঁছে যাবেন গোসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে। দিনহাটা ১(এ) এবং সিতাই ব্লকের ১৭টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে তাঁর জনসভা করার কথা। বিকেল ৩টেয় পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে আরও একটি জনসভা রয়েছে তাঁর। শীতলখুচি ব্লকের ৮টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।

বিকেল ৫টা নাগাদ অভিষেক থাকবেন মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে। মাথাভাঙা, দিনহাটা, শীতলখুচি, সিতাই এবং মেখলিগঞ্জ পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ৭৫ অঞ্চলের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করবেন তিনি। এই সভায় থাকবেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বুথ সভাপতিরাও। প্রত্যেক এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, যুব এবং মহিলা সভাপতি এবং শাখা সমিতির সদস্যেরাও অভিষেকের বিকেলের সভায় হাজির থাকবেন। এই সভায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সভার শেষে অভিষেকের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে সেখানেই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মাথাভাঙা কলেজ প্রাঙ্গণে অভিষেক রাত্রিযাপন করবেন।

সোমবার জনসংযোগ যাত্রার শুরুতে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসহীন পঞ্চায়েত ভোট করাই তাঁদের চ্যালেঞ্জ। তার জন্য চাই ‘ভাল প্রার্থী’। তাই ভাল মানুষের খোঁজে তিনি পথে নামছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর এই ৬০ দিনের সংযোগ যাত্রার বিভিন্ন কর্মসূচির দিকে চোখ থাকবে সকলের।

12 months ago


SC: এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না ইডি-সিবিআই, হাইকোর্টের রায়ে ফের সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

ইডি ও সিবিআইকে (ED-CBI) নিয়ে কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনের ইডি বা সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে। ১৩ই এপ্রিলের এই নির্দেশের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি দেশের শীর্ষ কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৭ই এপ্রিল ওই মামলার শুনানিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আজ অর্থাৎ ২৪ তারিখ পুনরায় এই মামলার শুনানি হলে ফের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চারদিনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে আপাত ভাবে কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদক অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

12 months ago
Abhishek:জনসংযোগে কোচবিহারে অভিষেক, মদনমোহন মন্দিরে পুজো!মমতার শুভেচ্ছাবার্তা

মঙ্গলবার কোচবিহারের (CoochBehar) দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষে সোমবার কোচবিহার পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কর্মসূচি শুরুর ঠিক একদিন আগে টুইট করে অভিষেককে অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল নব জোয়ার হল একটি প্রথম অভিনব রাজনৈতিক প্রয়াস। এই প্রয়াসের জন্য আমি অভিষেক এবং দলের কর্মীদের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার জন্য আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই যাত্রা রাজ্যজুড়ে হবে।’ সোমবার বিকেলে কোচবিহার পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। পরদিন থেকে শুরু করবেন জনসংযোগ যাত্রা (Janasangjog Rally)।

এই কর্মসূচিতে আগামী ৬০ দিনের সূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে ৬০তম দিনে তা সাগরে এসে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের এই কর্মসূচর ঘোষণা করেন অভিষেক। পঞ্চায়েতে দলের প্রার্থী খুঁজতে ২৫০টি জনসভা করবেন তিনি, সঙ্গে হবে ৬০টি অধিবেশন। ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার পাশাপাশি ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবেন তিনি। এই কর্মসূচিতে তিনি অস্থায়ী ছাউনিতে রাত্রিযাপন করবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে রবিবার রাজ্য এবং জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করল তৃণমূল।

রাজ্যস্তরের এবং জেলাস্তরের কমিটির কাজ কী হবে সে বিষয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের ২২ জন শীর্ষ নেতা। জেলাভিত্তিক ৮টি জোন তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন তৃণমূল নেতাকে। এই কমিটিগুলির কাজ হবে গোটা প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে যাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন, তাঁরা যাতে সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

গ্রামবাংলার মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের ইনচার্জ এবং কো-ইনচার্জদের বিশেষভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। রাজ্যস্তরের যে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে। কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুইয়াঁ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ ২২ জন নেতা। কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২টি জেলাকে ৮টি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

12 months ago