Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AbhishekBanerjee

BJP: 'মমতা জানেন তৃণমূলের কে কী করেছে', খোঁচা শমীকের, অভিষেককেও কটাক্ষ বিজেপির

সোমবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কড়া বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এদিন এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের উদ্দেশে বিদেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভায় মমতা এবং অভিষেকের আক্রমণের মূল নিশানায় ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। সেই আক্রমণের পাল্টা এসেছে গেরুয়া শিবির (BJP) থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, 'আমাকে, অভিষেককে চোর বলছে। সবাই চোর আর ওরা সাধু এটা হতে পারে না।'

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন কে কী করেছেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের মাটি এবং মানুষ ছেনেন,স এভাবেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চেনেন। মা যেমন ছেলের দোষ ত্রুটি জানেন, সেভাবেই প্রত্যেককেই উনি মাতৃস্নেহে লালিত পালিত করেছেন।' 

এদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই মামলা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য জানান, যিনি মামলা করেছেন, তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন। এখানে সব ব্যাপারে মামলা চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে এবং আমার বিরুদ্ধেও মামলা চলছে। আমাদের জিজ্ঞাসা করলে কোর্টে উত্তর দেব।

পাশাপাশি এদিন অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই বিজেপি নেতা বলেন, 'কয়লা চুরি-গোরু চুরিতে যে অভিযুক্ত বিএসএফ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিস ব্যবস্থা নেবে। তারপর বিএসএফ-র কেউ প্রতিবাদ মিছিল করেছে? না আমাদের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীরা রাস্তায় নেমেছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। তৃণমূলের অসুবিধা কোথায়? ওদের কাছে যদি খবর থাকে প্রমাণ দিক কারা চোর।' 

এমনকি, জয় শাহ প্রসঙ্গে কড়া অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, 'কে জয় শাহ? বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, না পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক। আর যে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের নিচে নেতাজির ছবি রাখে সে এই সমালোচনা করছে!'

ঠিক কী কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য--

2 years ago
Abhishek: 'ক্ষমতা থাকলে আমাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে নিয়ে যান', অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

মেঠো ভাষণ আর আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় অনেক ফারাক। মাঠে ময়দানের ভাষণ সাধারণত একটা হৈহৈ বা হওয়া গরম করা কথাই পেশ করেন রাজনীতিবিদরা। বাম জমানায় প্রমোদ দাশগুপ্ত এ বিষয়ে এক্সপার্ট ছিলেন কিন্তু হওয়া গরম ভাষণ কোনও দিনও জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুরা দিতে পারতেন না। কংগ্রেসি সংস্কৃতির ভাষণও সে প্রকার। তাঁরা কখনও নরেন্দ্র মোদীর মতো মেঠো বক্তৃতা দিতে পারেন না, যা ইন্দিরা পারতেন। মেঠো ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা উত্তর যুগে অন্যতম সেরা। তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে হিন্দি ইংরেজি ইত্যাদি মিলিয়ে মিশিয়ে ভাষণ দিয়ে থাকেন চিরকাল।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই ভিন্ন চরিত্রের। তাঁর উঠে আসা মাত্র কয়েক বছর কিন্তু নিজেকে গড়েপিঠে তৈরি করেছন। এবং কখনও নরম, কখনও গরম ভাষণ দিলেও তার মধ্যে যুক্তি সর্বদা এমন ভাবেই খাড়া করেন যে মানুষ, যারা শ্রোতা তারা ভাবেন, তাই তো এমনটাই ঘটেছে।

ব্যতিক্রম ছিল না সোমবারও। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান একদিন উদযাপন করে টিএমসিপি। এই অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন অরূপ বিশ্বাস এবং ববি হাকিম। এরপরেই অভিষেক তাঁর ভাষণে প্রথমে ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'ঘরে ঘরে গিয়ে গরিব ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য।' এরপর তিনি আস্তে আস্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ ছিল অমিত শাহ ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ। তিনি সোজাসুজি বললেন, 'কয়লা গরু পাচারের দায়ে কার? কেন্দ্রীয় পুলিস কী করছে এবং তাদের মন্ত্রী অমিত শাহ দায় এড়াতে পারেন কি?' অর্থাৎ প্রকারান্তে অনুব্রত থেকে অন্যান্য নেতাদের আগে কয়লা-গোরু পাচার-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় পুলিস জবাব দিক।

এরপরই রবিবারের হাই ভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিরাট-হার্দিক-রোহিদের জয়ের প্রসঙ্গ টানেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা করেন বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহের পুত্র জয় শাহকে। একটি ছবি এবং ভিডিও সোশাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারত জেতার পর গ্যালারিতে বসা জয় শাহকে কোনও এক ক্রীড়া অনুরাগী একটি জাতীয় পতাকা হাতে দিতে চাইছে, সেই তেরঙ্গা নিতে অস্বীকার করছেন অমিত পুত্র। 

এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, 'এটা দেশ-বিরোধী কাজ অতএব জয়কে অবিলম্বে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বহিষ্কৃত করা হোক।' পাশাপাশি দেশের নানা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'সংবাদ মাধ্যম সত্যিটা তুলে ধরুন।' অবশ্য তিনি দলনেত্রীর মতো মিডিয়াকে আক্রমণ করেননি।'

ঠিক কী কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?

2 years ago
TMC:দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলেই ডানা ছাঁটা, নেপথ্যে কি অভিষেক?

কোনও সন্দেহ নেই যে আজও তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও দলের শেষ কথা তিনিই বলেন। এমনটাই মনে করেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু একটা সম্ভাবনাও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ভাবাচ্ছে, সুচিন্তিতভাবে কি দলের সংগঠনের দায়িত্ব কোনওভাবে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই হস্তান্তর হচ্ছে? খানিকটা এমনটাই সত্যি মনে করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তৃণমূলের হাওড়ার সাংসদ প্রসূনবাবু টেলিফোন সাক্ষৎকারে সিএন পোর্টালকে জানালেন, নতুন পুরাতন বলে দলে কিছু নেই। দিদিই আমাদের আদর্শ কিন্তু অভিষেক দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, এতো অল্প বয়সে এই অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষের আছে। যা এখন পাওয়া যাচ্ছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দল কি তবে অভিষেকের ফর্মুলা মেনে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে চলেছে? 

তিনি বললেন, 'এটা খারাপ কীসে? দীর্ঘদিন ধরে একই নেতারা সবধরনের ক্ষমতা দখল করে রয়েছেন এটা ঠিক নয়, এতে আত্মম্ভরিতা বাড়ে। দায়িত্ব সবসময়ে ভাগ করে দিতে হয়।' প্রসূনবাবু বললেন, 'দলের অন্দরে ১ শতাংশ মানুষেরও যদি কোনও কেলেঙ্কারি মানুষের সামনে চলে আসে তবে সেটা তো দলেরই সংকট। তাই পরিবর্তন যদি আসে মন্দ কী?' 

এই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রসূন জানান, অভিষেক কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ছেলে নয়। বরং সর্বদা আলোচনা করে সকলের অভিমত জানতে চান, যেটা তাঁদেরও ক্ষেত্রে হয়েছে দিল্লিতে। প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক তো সব তরুণদের দায়িত্ব দিতে চাইছে? প্রসূনবাবু বলেন একদম বাজে কথা, ও উপযুক্ত মানুষকেই খুঁজে নিচ্ছে যেখানে বয়স কোনও সমস্যা নয়। 

বাস্তবেই কিন্তু তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা কেলেঙ্কারির কারণ এক লহমায় দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তেমনই শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হলো পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্ব থেকে। বাকি রইলো বীরভূম, সে তো সময়ের অপেক্ষা| 

2 years ago


TMC: 'আগামী দিনে আসবে নতুন তৃণমূল' অভিষেকের ছবি দিয়ে হোর্ডিং

এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংগঠনিক দায়িত্ব অভিষেকের (Abhishek) কাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ ছাড়াও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকও বটে। তাঁর নেতৃত্ব হয়তো মেনেও নিচ্ছেন দলের ছোটবড় নেতারা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এঁরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandyopadhyay) অস্বীকার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে মমতাই দলের মুখ এবং সারা বাংলায় তিনি ভোটের প্রার্থী বলে দাবি করেন, সেখানে নতুন মুখের আবির্ভাব? 

দক্ষিণ কলকাতায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই বড় বড় হোর্ডিং (Hoarding) অভিষেকের ছবি সমৃদ্ধ। যেখানে ক্যাপশন আছে "আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল"। এছাড়াও হোর্ডিংয়ে আছে "ঠিক যেমন মানুষ চায়"। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই যে, সম্প্রতি দলের জেলা শহর ইত্যাদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে। বেশ কয়েকজন নতুন মন্ত্রী হয়েছেন, যাঁরা নাকি অভিষেক ঘনিষ্ঠ।

অন্যদিকে, বিরোধীরা বিশেষ করে সিপিএম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি ব্র্যান্ড শিন্ডে। অর্থাৎ যেভাবে শিবসেনা ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে এনডিএ, তেমনটাই নাকি হতে চলেছে বাংলায়, অভিষেক হয়তো নতুন মুখ। এ কথাকে আমল দেওয়া হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, হোর্ডিংয়ে যা লেখা আছে তা তো অভিষেক সরাসরি বলেইছেন। এতে দলে বিভেদের কী আছে?

তবুও প্রশ্ন উঠছে অনেক। প্রথমত, ২১ জুলাইয়ের আগে দলের কর্মীদের জানানো হয়েছিল, নিজের ছবি দিয়ে আত্মপ্রচার করা চলবে না। অভিষেক নিজে বিভিন্ন সভায় বলেছেন, দলের একজনই নেত্রী, বাকি সবাই কর্মী। এরপরেও ব্যতিক্রমী ওই হোর্ডিং এল কীভাবে? জানা গেল, 'আশ্রিতা' এবং 'কলরব' নামক দুটি সংস্থা এই হোর্ডিং লাগিয়েছে। যদিও দুটি সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই, কিন্তু ওই সংস্থার মধ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ঘোরতর তৃণমূলী। 

এবার খেলা দিবসের পর নতুন খেলা কোনদিকে যায়, সেটাই দেখার।   

2 years ago