Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AbhishekBanerjee

Menoka: বিদেশে যেতে চেয়ে হাইকোর্টে মেনকা গম্ভীর, দ্রুতভাবে মামলাই শুনলো না আদালত

মেনকা গম্ভীরের (Menoka Gambhir) বিদেশ যাত্রা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মায়ের শরীর খারাপের জন্য ব্যাঙ্কক যেতে চেয়ে আদালতে দরবার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা। কিন্তু সেই মামলা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ না শুনে রেগুলার বেঞ্চে পাঠাল। পুজোর ছুটির পর সেই বেঞ্চেই হবে মেনকা গম্ভীরের আবেদনের শুনানি। জরুরি ভিত্তিতে মেনকা গম্ভীরের তরফে শুনানির আবেদন থাকলেও সাড়া দিল না বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।

এদিকে, গত মাসে ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে আটকানো হয় মেনকাকে। ইডি নোটিসের কারণে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ঠোকেন মেনকা গম্ভীর। যদিও সেই মামলাও খারিজ হয়েছে হাইকোর্টে।

ইতিমধ্যে ইডি তলবে সাড়া দিয়ে একদিন মধ্যরাতে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কিন্তু ইডি নোটিশে এএম-পিএম বিড়ম্বনার মুখে পড়েন মেনকা। পরে ভুল শুধরে দুপুর ১২টায় তলব করা হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে। সেই তলবেও হাজিরা দেন মেনকা গম্ভীর।

2 years ago
Abhishek: মার্কিন হাসপাতালে চোখে সার্জারি অভিষেকের, এখন কেমন আছেন?

প্রসূন গুপ্ত: প্রতি বছর দুর্গাপুজোর শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বিজয়ার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবার কিন্তু পুজোর বেশকিছু দিন আগে থেকেই অভিষেকের কোনও সংবাদ নেই। শোনা গিয়েছে তিনি বিদেশ গিয়েছেন কারণ তাঁর চোখের সমস্যা। ২০১৬-তে মুর্শিদাবাদে একটি কর্মিসভা থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি দুধের গাড়ির সঙ্গে অভিষেকের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। তাতে করে অভিষেকের গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার এক পাশে গিয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনায় অভিষেককে রক্তাক্ত এবং অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেখা যায় তাঁর বাঁ দিকের চোখের নিচের হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং বাঁ চোখ খুব খারাপ ভাবে জখম। অপারেশনের পর অভিষেক দুবাই এবং সিঙ্গাপুরে যান আরও চিকিৎস্যর জন্য। পরে বেশ কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে এই খবর জানান এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অভিষেকের খবর নিয়েছিলেন।

এরপর ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন অভিষেক। জিতেও আসেন ২০১৯-র লোকসভা ভোট। ২০২১-এর বিধানসভার ভোটে তিনিই ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম প্রচারক। একুশের ভোটে জেতার পর অভিষেক জানান তাঁর চোখের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। তিনি চশমা ছেড়ে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করছিলেন। অনেকক্ষণ বেশি কিছু পড়তে ও দেখতে পান না। চোখ দিয়ে জল গড়ায়, নয়তো প্রচণ্ড মাথাব্যথা।

বিদেশি চিকৎস্যকরা জানান ওই লেন্স ব্যবহার করা যাবে না বরং চশমা পড়তে হবে। না হলে চোখ লাল হবে দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই ক্ষীণ হবে। অবশ্য এরই মধ্যে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে হাজিরা দিতে কখনও দিল্লি, কখনও বা কলকাতার অফিসে ঢুঁ মেরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে, আদালত জানিয়েছে বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া যাবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুজোর সময়ে তিনি বিদেশে যান। এ নিয়ে সিপিএম-বিজেপি-র মনে অনেক প্রশ্ন এবং কটাক্ষ। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। 

তবে শনিবার দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইটের মাধ্যমে অভিষেকের ছবি দিয়ে সেই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন। তাঁর এই টুইট নিয়েও তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে সোশ্যাল নেটের লড়াই। কুণাল ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বা চোখের ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'যাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসায় অভ্যস্থ, এমনকি তাঁর চোখের চিকিৎসা নিয়েও নানা কথা রটান, তাঁরা ভালো করে ছবিটি দেখুন। ওর চোখের আজকের অবস্থা। একটি মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ছিলেন অভিষেক। চোখে ভয়ঙ্কর চোট। কলকাতায়, ভারতের অন্যত্র চিকিৎসা করিয়েছে। সমস্যা কাটেনি। বেশিক্ষণ পড়লে চোখে ব্যথা হয়, মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, কখনও কখনও ঘুমোতে পারেন না। এত জটিল অবস্থা যে একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করেও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরেনি। তাই এখন আরেকবার চেষ্টা। আমেরিকায় অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অভিষেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। চোখ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক।'

2 years ago
Sukanta: অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছে না পুলিস, মামলা দায়ের সুকান্ত মজুমদারের

আমি হলে মাথায় গুলি করতাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ছিল তুঙ্গে। বিজেপি অভিযোগ করেছিল ট্রিগার হ্যাপি পুলিস বানাতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। এবার এই মন্তব্যের বিরোধিতায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা বিজেপির (BJP) বঙ্গ সভাপতির। জোড়াসাঁকো থানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ সুকান্ত। ১৫৬(৩) সিআরপিসি ধারায় আবেদন সুকান্ত মজুমদারের।

বিজেপি সভাপতির আইনজীবী জানান, এই ধারায় আবেদনকারীর ভূমিকা প্রধান। যখন কোনও থানা অভিযোগ নেয় না, তখন এই ধারায় আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন কোনও ব্যক্তি। তাঁর মন্তব্য, 'নবান্ন অভিযানের আয়োজন হয়েছিল রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতায়। সেই অভিযানে পুলিসি পরিস্থিতি সামলানোর নাম করে যা ইচ্ছে করেছে। লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস-সহ পুলিসি অত্যাচারের শিকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এখনো অনেকে অসুস্থ।'

সুকান্ত আইনজীবীর দাবি, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গুলি করে মারতাম। এটা ফৌজদারি মামলা। পুলিস ব্যবস্থা না নিলে, মানুষ কোথায় যাবে? তাই এফআইআর করার অনুমতি পেতে এই মামলা।' বিচারকের প্রশ্ন, 'আবেদন পত্রে যা দেখছি এটা নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত তাই তো? ইনি কে? (সুকান্ত মজুমদার এর দিকে তাকিয়ে)?'

বিজেপির বঙ্গ সভাপতির আইনজীবীর জবাব, 'উনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।' এরপরেই সুকান্ত মজুমদারের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী। তিনি জানান, ওটা নবান্ন অভিযান ছিল না। পুলিসকে মারা হলো। সরকারি গাড়ি জ্বালানো হলো। রাস্তা বন্ধ করে মানুষের অসুবিধা করা হলো।

যদিও অভিষেকের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, 'পুলিসকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করানো হয়েছে। পুলিসি এই অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।' দু'পক্ষের এই সওয়াল-জবাব শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। 

রাজ্য বিজেপির সভাপতির এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'সায়ন্তন বসুর মন্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলব বুক লক্ষ্য করে গুলি করুন, বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি ভুলে গেলেন? অনুরাগ ঠাকুরের গোলি মারো...ভুলে গেলেন? ভোটের সময় উত্তেজক ছবির সংলাপ মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ভুলে গেলেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তুল্যমূল্য বিচার করে স্পষ্ট বলেছেন, পুলিস যেভাবে সংযম দেখিয়েছে, আমি হলে এই করতাম। পুলিস মার খেয়েও গুলি চালায়নি। বাম জমানায় শরিক দলকেও গুলি করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো সংযমকে হাইলাইট করেছে।'

2 years ago


BJP: 'নবান্ন অভিযানে পুলিস সংযত ছিল', মমতা-অভিষেকের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'

এদিন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি অভিষেকের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেন, 'বাংলার চর্চিত যুবরাজ পুলিসের ভূমিকায় খুশি নয়। তিনি আগামি দিনে যে তৃণমূল তৈরি করবে, সেই দলের পুলিস মানুষের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করবে। অর্থাৎ আগামি দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিস তৈরি হবে। সেই ইঙ্গিত এদিন দিয়েছেন বাংলার যুবরাজ।'

বুধবার নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি পৃথক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালকিন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্বভারতীয়স্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নানাভাবে আক্রমণ করেন। একইভাবে রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেন। সেভাবেই এদিন এসএসকেএম-এ প্রমাণ ছাড়া যে আক্রমণ ভাইপো করেছে সেটা নিম্নরুচির।

অভিষেকের উদ্দেশে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, 'আপনাকেও তিহার জেলে মধু কোরা, ওপি চৌতালাদের সঙ্গে থাকতে হবে। যে অপমান আজ উনি করেছেন তাঁর বিচারের ভার বাংলার জনতার হাতে ছাড়লাম। এই ঔদ্ধত্যের শেষ হবে।'

   

2 years ago
Mamata: 'নবান্ন অভিযানে পুলিস গুলি চালাতে পারত', মন্তব্য মমতার, 'গুণ্ডামি' খোঁচা অভিষেকেরও

বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore) প্রশাসনিক সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সেই সভার ফাঁকে নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করেন তিনি। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) নামে মানুষের হেনস্থা করেছে। আমাদের একাধিক পুলিসকর্মী আহত। বিঘ্নিত হাটের ব্যবসা। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। পুলিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে লোক এনে গুণ্ডামি ঠিক নয়। রেলের জায়গা থেকে ইট ছুড়েছে, বোমা ছুড়েছে। লোক নেই বলে গুণ্ডামি করছে, আন্দোলনের নামে ব্যাগে বোমা-বন্দুক আনা যায় না। মাথা ফাটিয়ে দেব, এসব ঠিক নয়।'

তিনি জানান, গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করলে আমরা বাধা দিই না। কিন্তু অসামাজিক কাজ করলে পুলিস আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। এদিকে, নবান্ন অভিযানে আন্দোলনের নামে দাদাগিরি, গুণ্ডাগিরি হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মদতে এসব হয়েছে। বুধবার এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 'শান্ত বাংলাকে অশান্ত করছে বিজেপি। পুলিস ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দিয়েছে। ৩-৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। নবান্ন অভিযানে পেট্রোল এল কী করে? ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোল করতে পেট্রোল আনা হয়েছিল। নিরস্ত্র পুলিসকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। পুলিস চাইলে গুলি চালাতে পারতো। যেটা বাম আমলে হয়েছে, সিপিএম ভাবতো না, আমরা ভেবেছি এটাই পরিবর্তন। পরিকল্পিতভাবে পুলিসের উপর হামলা হয়েছে। অ্যাসিসটেন্ট কমিশনারের হাত ভেঙে দিয়েছে। উনার মাথায় হেলমেট ছিল বলে বেঁচে গিয়েছেন। বাংলায় ক্ষমতায় এলে কী করত বিজেপি? দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করত।'

তাঁর মন্তব্য, 'ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি। ত্রিপুরায় আমাদের উপর হামলা হয়েছে। সেখানে আমরা তো আইন হাতে তুলে নিইনি। সিপিএম-র হার্মাদরা এখন বিজেপিতে গিয়েছে। লাল ঝাণ্ডা ছেড়ে গেরুয়া ঝাণ্ডা ধরেছে। যারা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম করেছে তাঁরাই এখন এসব করছে। আমার সামনে যদি এরকম হামলা হতো, তাহলে আমি মাথায় শ্যুট করতাম।'

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের সময় কর্তব্যরত থাকা অ্যাসিসটেন্ট কমিশনারের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের অন্দর থেকেই এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিকে, আহত এসি-র ডান হাতের হাড় ভেঙেছে। এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন সেই পুলিসকর্তাকে এদিন দেখতে যান  তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।

2 years ago


Maneka: ৭ ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন মানেকা, অভিষেকের শ্যালিকার ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয় হাজিরা

প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন মানেকা গম্ভীর। কয়লা-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকাকে তিন দফায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং বয়ান রেকর্ড করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই বয়ান পাঠানো হয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখান থেকে সংকেত আসতেই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স ছাড়তে বলেন ইডি কর্তারা। যদিও রবিবার মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)  এসেছিলেন মানেকা (Menaka Gambhir)। এরপর সোমবার দুপুরে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন অভিষেকের শ্যালিকা মানেকা গম্ভীর। তাঁর আইনজীবীর দাবি, মেনকাকে রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ তলব করেছিল ইডি। রবিবার মধ্যরাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১০ মিনিট আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। কিন্তু সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডির অফিসারদেরই দেখা পাননি তিনি। ডাকাডাকি, হাঁকাহাঁকি করেও কোনও সাড়া না মেলায় শেষমেশ ইডির (ED) দফতর থেকে রাত ১২টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মেনকাকে যে সমন পাঠানো হয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল, তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ১২ সেপ্টেম্বর ১২.৩০ এ.এম অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে বারোটায়। আর এখানেই তৈরি হয় সমস্যা। ভুল স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাও। যদিও তাদের পাল্টা, হাজিরার আগে কেন মেইল করে বা ফোনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি মানেকা গম্ভীর।

এদিকে, মানেকা গম্ভীরের জন্য ১৫-২০টি প্রশ্নের তালিকা তৈরি রেখেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, এর আগে মানেকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রায় বাধা দেয় ইডি। শনিবার রাতে ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেলেন মেনকা। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ একটি ঘরে বসিয়ে রেখেছিলেন অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। দ্রুত তাঁরা দিল্লিতে ইডির সদর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকার নামে আগেই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। সেই নোটিস দেশের সব বিমানবন্দরেই পাঠানো হয়েছিল।  অপরদিকে, মানেকা গম্ভীর যখন সিজিও কমপ্লেক্সে তখন ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে মামলা তাঁর আইনজীবীর। কোর্টের নির্দেশ থাকলেও ইডি কীভাবে মানেকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রা আটকাতে পারে? জানতে চেয়েই এই মামলা। 

2 years ago
Netaji Indoor: গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত, কীভাবে সম্ভব বাতলে দিলেন অভিষেক

প্রসূন গুপ্ত: ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোট যে স্বচ্ছ ছিল না, তা ফের আজকের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এটা বাস্তব বাম আমলেও পঞ্চায়েত ভোট জবরদখল করেই করা হতো চিরকাল। সে সময় বিরোধীদের এই অভিযোগ বরাবর ছিল। একই সংস্কৃতি ত্রিপুরাতেও বিদ্যমান। সে যাই হোক না কেন গত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে অভিষেক বারবার সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন তৃণমূলের এটাও একটি লক্ষণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অভিষেক একইসঙ্গে জানান যে এই দলে একজনই নেত্রী, সেকেন্ড বা থার্ড বলে কিছু নেই। নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, তিনিও উপস্থিত কর্মীদের মতোই একজন সাধারণ কর্মী। লক্ষণীয় তখন মঞ্চে উপস্থিত তাবড় সব নেতা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অভিষেকের সম্পূর্ণ ভাষণ শোনেন।

দলে যে অসংখ্য নতুন মুখ দায়িত্ব পাবেন তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক। দলের অভিমানী বা বিদ্রোহীদের উদ্দেশে আলাদা করে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন, সবাইকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিষেকের আক্রমণ ছিল দেখার মতো। নরেন্দ্র মোদীর নাম না করলেও তিনি ফের আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আগের দিন যেমন অমিত শাহকে টার্গেট করেছিলেন অভিষেক, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখানে প্রশ্ন থেকেই যায় যে ক্রমাগত তিনি অমিতকে আক্রমণ করছেন কেন? অভিষেক ছাড়া এ কয়েক মাসে বা কয়েক বছরে যত তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ডেকে পাঠিয়েছিল ততবার প্রত্যেকে কোনও না কোনও বাহানা দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন। 

এদেরই অনেককেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু অভিষেক। অনেকেরই ধারণা দলকে চাঙ্গা করতে এবং নিজের নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে অভিষেক অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স পলিসি নিয়েছেন। এতে নিঃসন্দেহে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মমতা ভাষণ দিয়েছেন, আক্রমণ শাণিয়েছেন, তবু কোথাও ফের হিরো অভিষেকই।

2 years ago
Political: সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নেতিবাচক প্রচারে আখেড়ে লাভ সেই ব্যক্তির, কেন জানেন

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতি থেকে সেলিব্রেটিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচার হয়েই থাকে। এতে কোথাও মানুষের একটা উৎসাহ জাগে নতুন করে ওই সেলেবদের প্রতি। ৯০ দশকে অমিতাভ বচ্চনের একের পর এক ছবি যখন ফ্লপ করছে, তখনিই নাকি তাঁরই পরিচিতরা মিডিয়ার কাছে অমিতাভ রেখার প্রেমের গুঞ্জন তুলে ধরেছিল। তাতে আখেরে লাভ হয়েছিল বিগ বি-এর। শাহরুখ-আমিরদের ছেড়ে অমিতাভের নতুন ছবিগুলির প্রতি আগ্রহ বেড়েছিল দর্শকদের। রাজনীতিতেও নেতিবাচক প্রচার চিরকাল হয়ে এসেছে। ওই প্রচারে লাভবান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই যাঁকে নিয়ে গুঞ্জন বা নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী নিয়ে চূড়ান্ত নেতিবাচক প্রচার হয়েছিল। স্বয়ং রাহুল গান্ধী সারা দেশে প্রচার করেছিলেন ,"চৌকিদার চোর হে"। এই প্রচারে আখেরে লাভ হয়েছিল মোদীরই। সেটা ভোট পরবর্তী ফলেই প্রতিফলিত হয়েছিল। 

মানুষের ভাবনার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল মোদীর বিষয়। এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মোদী-সহ বিভিন্ন দিল্লির নেতারা মমতাকে " দিদি ও দিদি " বা নানা কটূক্তিতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন, মমতা বিশাল ভোট নিয়ে ফিরে এসেছেন। একই ঘটনা হয়েছিল অভিষেকের ক্ষেত্রেও। শুভেন্দু থেকে নানা নেতা তাঁকে 'তোলাবাজ' ইত্যাদি বাক্য দিয়ে কোনঠাসা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু নেতিবাচক প্রচারে লাভবান হয়েছিলেন অভিষেক।  আজ তৃণমূলের নিচুতলায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এমনটাই শাসক শিবির সূত্রে খবর।

এবার সেই অভিষেক ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে বললেন, অমিত শাহ নাকি দেশের সবচেয়ে খ্যাতনামা পাপ্পু। পরদিনই বাজারে হাজার হাজার টি শার্ট বেরিয়ে গেলো অমিত শাহের ছবি সমৃদ্ধ। সোশাল নেটওয়ার্ক (বিশেষ করে তৃণমূলীদের) গমগম করছে অমিত শাহর পাপ্পু ছবি বা শার্ট।

সবাই জানে মোদী যদি ২০২৪ এর নির্বাচনে জিতে আসেন তবে হয়তো এটাই তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের লাস্ট টার্ম। এরপরে কে? ২০১৪-র নির্বাচনের আগে আরএসএস দেখেছিল সেসময়ে মোদী ইতিবাচক বা নেতিবাচক ক্ষেত্রে সবচেয়ে নামি মুখ। এবার দেখার পালা সারা দেশে তাঁর পরে কে বেশি জনপ্রিয়। অমিত শাহের এই ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রচার যত বেশি হবে ততই তাঁর ইউএসপি বাড়বে। কাজেই অভিষেকের পাপ্পু প্রচার কিন্তু অমিতকে নিয়ে ভাবনার জায়গাটা অনেক বাড়িয়েছে। বুদ্ধিমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু বলতেই পারেন, "অমিত খুশ হুয়া"। 

2 years ago


Abhishek: সুপ্রিম স্বস্তি! অভিষেক যেতে পারবেন বিদেশ, এখনই নেওয়া যাবে না আইনি পদক্ষেপ

শুক্রবারের পর সোমবারেও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল শীর্ষ আদালত। ইডির দায়ের করা মামলায় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চের নির্দেশ, 'চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইডি।'

শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে অভিষেকের রক্ষা কবচ সোমবার অবধি বাড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই রক্ষাকবচ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার যখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দেয়, তখন তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির ডাকেই হাজিরায় দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি ইডি দফতর থেকে বেড়িয়ে আসেন। তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।'

তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক।

2 years ago
Viral: ভাইরাল হলো অভিষেক-দীপ্সিতার বক্তব্য, কেন জানুন

প্রসূন গুপ্ত: কখন যে কে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে খবর হন আগে থেকে কেউ বলতে পারে কি? তবে নেতা থেকে অভিনেতারা যখন বিতর্কিত কিছু বলে ফেলেন তখন তার কথার টুকরো এডিট করে ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মাধ্যমে। এ বিষয়ে পারদর্শী এ রাজ্যে মদন মিত্র থেকে শ্রীলেখা মিত্র। এঁরা নিজেরাই ট্রোল বা ভাইরাল হতে পছন্দ করেন। ইদানিং এই জগতে নাম করছেন রুদ্রনীল ঘোষ। অন্যদিকে বিতর্কিত মন্তব্য করে ভেসে থাকতে চান এক সময়ে বিজেপির সভাপতি ও প্রাক্তন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। এবং ইদানিংকালে তাঁর ভাই সৌগত রায়ও সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন। সৌগতবাবু তো গতকাল এক সভায় সিএন চ্যানেলকে বন্ধ করার হুমকিও দেন।

উল্লেখিত এঁরা সকলেই ইচ্ছাকৃত ভাবে আলোচিত বা সমালোচিত হতে চান। রেজিস্টার্ড  মিডিয়া এঁদের হয়তো খুব একটা পাত্তা দেয় না তাই মুঠো ফোনেই এঁদের চলা ফেরা।

শুক্রবার তেমনটি না হলেও মিডিয়া এবং সোশ্যাল নেটে ভাইরাল হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তাঁর জোরালো বক্তব্য ছড়িয়ে গেল ফেসবুকে। তিনি ৭ ঘন্টা ওই দফতরে ইডির অফিসারদের কথার মুখোমুখি হয়ে বেরিয়ে দাপটে মিডিয়ার সামনে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে। জানালেন তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সহযোগিতা করছেন কিন্তু ওই এজেন্সি অন্য কাউকে ডাকছে না কেন? ইঙ্গিতটি অবশ্যই শুভেন্দু।

রাতের মধ্যে ছড়িয়ে যায় ফেসবুকে এই চোখা মন্তব্যগুলি। অন্যদিকে শুক্রবার সিপিএমের নানা শাখার আন্দোলন ছিল ধর্মতলায়। বর্ধমানের পর কলকাতা, এখানে এসএফআইয়ের নেত্রী দিপ্সিতা ধর সরাসরি সমালোচনা করেন তৃণমূল এবং বিজেপির। তিনি মিডিয়ার সামনে জানান অদূর ভবিষ্যতে তিনি বা তাঁরা নবান্নের ১৪ তলায় যাবেনই। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল এবং ট্রোলড। রাতারাতি দিপ্সিতা লাইম লাইটে চলে এলেন। অন্যদিকে চ্যানেল তুলে দেওয়ার সৌগত হুমকিও ছড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল নেটে।

2 years ago


Abhishek: 'ঝুকে গা নেহি', সিজিও থেকে বেড়িয়ে হুঙ্কার অভিষেকের, সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষাকবচ

শেষবারের মতো এবারও ইডি (ED) অফিস থেকে বেড়িয়ে কেন্দ্র-সহ বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তবে ২০২২-র মার্চে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লিতে আর এবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)। শুক্রবারও কয়লা-কাণ্ডে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রায় ৭ ঘণ্টা বাদে ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। আগের বারের মতোই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।' 

তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক। 

পাশাপাশি পাচার-কাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্রের সঙ্গে নাকি ৮ মাস আগে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়েছে। এই অভিযোগ এদিন তোলেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, 'শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন আপনার কেস আমি দেখে নেব। আমার দাবির স্বপক্ষে অডিও ক্লিপ আদালতে দিতেও রাজি, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হোক। দ্বীপরাষ্ট্রে নাকি রয়েছেন ফেরার অভিযুক্ত। পাচারের টাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে গিয়েছে।' এদিকে, সুপ্রিম কোর্টেও শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামি সোমবার পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। অভিষেকের দায়ের করা এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামি সোমবার।

   

2 years ago
Sukanta: অভিষেকের সিজিওয় হাজিরা, 'আজকেও বড় কিছু ঘটতে পারে', ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সুকান্তর

কয়লা-কাণ্ডে ইডি জিজ্ঞসাবাদের মুখোমুখি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রায় ৫ ঘন্টা পার, সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ অবস্থায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ বড় কিছু ঘটতে পারে, আপনারা দেখতে থাকুন। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, 'দিদি ঘুরে আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন। দিদির প্রিয় কেষ্ট জেলে আছেন। যদি বোঝাপড়া থাকতো এঁরা জেলে যেতেন না। আগামি দিনে কেউ কেউ যেতে পারেন। আজকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। আপনারা লক্ষ্য রাখুন।'

সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যের পরেই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, 'সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে দুটো কথা স্পষ্ট হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিং করেন না। কারও সঙ্গে আপস করে না। আর দ্বিতীয় ইডি, সিবিআই এখন আর নিরপেক্ষ নয়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে। সেটাই আজ উনি ভুল করে হলেও ঠিক বলে ফেলেছেন।' কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর আবার খোঁচা, 'দিদি-মোদীর সেটিং আছে, ভাইপোর ভয়ের কোনও কারণ নেই।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'বড় কিছু হওয়ার গল্প কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যখন চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্ত করছে, তখন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন চিটফান্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যিনি সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন, তিনি এখনও জেলের বাইরে। তাই বড় কিছু ঘটেনি। কিন্তু ঘটতে পারতো।'

2 years ago
Abhishek: স্বমেজাজেই ইডির মুখোমুখি অভিষেক! লুকোছুপি নয়, বরং তদন্তে সহযোগিতার ইঙ্গিত

প্রসূন গুপ্ত: ২৯ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, কী সুন্দর বক্তব্য রেখেছে অভিষেক। আবার হয়তো ওকে নোটিস পাঠাবে কোনও গোয়েন্দা সংস্থা। একই সুর দলনেত্রীর ভাষণের আগে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও। তাঁর আশঙ্কা ছিল, ২১ জুলাইয়ের পরদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই জনসভার ৪-৫ দিনের মধ্যে হয়তো তৃণমূলের ফের কাউকে ডাকতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই জানা গেল শুক্রবারে ইডি, কয়লা কাণ্ডে ডেকে পাঠিয়েছে অভিষেককেই। যদিও ২৮ অগাস্ট তাঁর কাছে নোটিস গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

অভিষেককে এর আগে যতবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডেকেছে, ততবার তিনি কিন্তু পরম দর্পে দেখা করতে গিয়েছেন। যদিও সাক্ষ্য দিতে ডাকা তবু কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে সাড়া দেওয়ায় আগ্রহ দেখায় কে? তৃণমূল সূত্রের খবর, এই বিষয়ে অভিষেক অকুতোভয়, কারণ কী?  এই নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বিস্তর। বিশেষজ্ঞদের ভাবনায় যা উঠে আসছে, তা খানিকটা এরকম।

১) অভিষেক এই বিষয়ে কিছু জানেন না। ফলে তাঁর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন মঞ্চেও তা জানিয়েছেন। অথচ সিবিআই বা ইডি ডাকলে যে কোনও রাজ্য বা পশ্চিমবঙ্গে অনেকে হাজিরা এড়ায়। সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে অনুব্রত বা পার্থর বেলাতে। শেষ পর্যন্ত দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। 

২) অভিষেক তৃণমূলের সংগঠন আরও জোরদার করার দায়িত্বে। তিনি জানেন যদি নানা বাহানায় তিনি নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তবে দলের মধ্যে বিশেষ করে তৃণমূলস্তরে ভুল বার্তা যাবে।

৩) সারা দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নানা দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। বিরোধীরা মনে করছে ২০২৪-এর আগে মোদী সরকার এভাবে চাপে রাখতে চাইছে বিরোধীদের। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আজ প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ছন্নছাড়া অবস্থা। বিভিন্ন রাজ্যে অবিজেপি সরকার ভেঙে যাচ্ছে, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। তবে কি বিরোধী বলে আর কিছুই থাকবে না? এই প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে।

৪) আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমান বিশ্বে একনায়কতন্ত্রের রাজনীতি চলে না। কারণ গণতন্ত্রের হত্যা মানেই রাষ্ট্রপুঞ্জের চাপ আসবে। বিদেশি বাণিজ্য এবং বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাজেই সমস্ত দলের উপর চাপ সৃষ্টি করাটা বিজেপির মতো শক্তিশালী দলের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে মমতা বা অভিষেকের উপর অহেতুক চাপ যে অমিত শাহরা করছেন না তা বলাই বাহুল্য। অভিষেক এটা জানে ফলে অকুতভয় হয়ে সহযোগিতা করছেন এজেন্সিগুলিকে।  

2 years ago


Political: অভিষেককে ফের ইডি নোটিস, একযোগে আক্রমণ বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের

শুক্রবার ইডির (ED Summon) কলকাতা দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে কয়লা পাচার মামলা। আর কেন্দ্রীয় সংস্থার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো (Opposition)। বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীই তো বলে দিয়েছেন কে কে চোর। এবার দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কবে ইডি নোটিস আসে। আশা করব যাদের ডাকা হচ্ছে, তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, 'এগুলো কোনও খবর নয়। পিসি-ভাইপো সব জানেন। বিশেষ করে ভাইপো এই পাচার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন। জ্যোতিষী না হলে কী করে পিসি সব জানলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক থেকেই উনি সব জেনে গিয়েছেন।' 

কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, এর আগেও ডেকেছে। এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু দেখছি না। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো বা নিজের সূত্র থেকে বিষয়টা আন্দাজ করেই একটা আভাস দিতে পেরেছিলেন।

এদিকে, ফের আগামী শুক্রবার কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। যদিও ২৮ তারিখ রবিবার তাঁকে নোটিস মেইল করা হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফৎ খবর। এবার তাঁকে যেতে হবে ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিকরা আসছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তিনি অবশ্যই আইনি পরামর্শ নিয়েই ইডি সমনে সাড়া দেবেন। পর্যবেক্ষকদের কাছে রহস্যময় বিষয় এই যে সোমবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কে বলতে পারে আজকের সমাবেশের পর (পড়ুন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান) ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কারও ডাক আসতে পারে। এই আশঙ্কাই খানিকটা আক্রমণের সুরে করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

2 years ago
ED: কয়লা পাচার-কাণ্ডে ফের অভিষেককে ইডির তলব, শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা

প্রসূন গুপ্ত: ফের আগামী শুক্রবার কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছে ইডি। যদিও ২৮ তারিখ রবিবার তাঁকে নোটিস মেইল করা হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফৎ খবর। এবার তাঁকে যেতে হবে ইডির কলকাতা দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিশেষ আধিকারিকরা আসছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তিনি অবশ্যই আইনি পরামর্শ নিয়েই ইডি সমনে সাড়া দেবেন। পর্যবেক্ষকদের কাছে রহস্যময় বিষয় এই যে সোমবার সমাবেশ মঞ্চ থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কে বলতে পারে আজকের সমাবেশের পর (পড়ুন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান) ৪-৫ দিনের মধ্যে আবার কারও ডাক আসতে পারে। এই আশঙ্কাই খানিকটা আক্রমণের সুরে করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

সেই সম্ভাবনাকে উসকে দিয়ে চিঠি একদিন আগে এলেও, মেয়ো রোডের সমাবেশের ঠিক ৪ দিনের মাথায় খোদ অভিষেকেরই ডাক পড়লো ইডি দফতরে। এদিকে, সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। সাধারণত ২৮ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস, কলকাতার মেয়ো রোডেই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রাথমিক বক্তব্য ছাত্র সভাপতি বা দু-একজন বক্তা বক্তব্য রাখার পর প্রধান বক্তা হিসাবে মঞ্চে আসেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। এবার দলের নাম্বার টু অর্থাৎ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন অন্যতম বক্তা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে অভিষেক এখন তৃণমূলের কোনও প্রধান অনুষ্ঠানে প্রথমসারির বক্তা।

কারণ অবশ্য অনেক। এই মুহূর্তে সারা বাংলা-সহ যেখানে তৃণমূলের অবস্থান আছে সেখানেই অভিষেক, কারণ সংগঠনকে মজবুত করা দরকার। শোনা যায়, দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা অন্তত তেমনটাই জানেন। দলের সংগঠন দেখবেন তিনিই এবং শেষ কথাও তিনি বলবেন| সোমবারের সমাবেশে তৃণমূলের আদি নেতারা মোটামুটি সকলেই ছিলেন এবং যাঁরা ভাষণের মাঝে নেত্রীর নাম উল্লেখ করেন। গতকাল কিন্তু মানুষ দেখলো বা শুনলো অন্য কথা। ববি হাকিমের মতো প্রবীণ নেতার মুখেও তৃণমূলের আগামী নেতা হিসেবে অভিষেকের নাম। মমতা ঘনিষ্ঠ অন্য নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও বক্তব্য শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদের সঙ্গে জুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। 

এখন প্রশ্ন, কেন অভিষেকের নাম রাজ্যের একাধিকক মন্ত্রীর মুখে। রাজনৈতিক মহলে শোনা গিয়েছে, ইডি বা সিবিআই তদন্তে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছে। তখন একমাত্র অভিষেক নিয়মিত যাচ্ছেন ইডির ডাকে সাড়া দিতে। বেশ কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে দাপটে কেন্দ্রকে সমালোচনার সুরে বিঁধছেন তিনি। বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। সোমবারও তাঁর অন্যথা হয়নি।

2 years ago