
ভাগ্য ফেরাতে বহু মানুষ লটারির টিকিট কেনেন। নিজেদের ভাগ্য়কে পরীক্ষা করতে এমন বহু মানুষ আছেন যারা প্রায় প্রতিদিন লটারির টিকিট কিনে থাকেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম দিয়ে লটারির টিকিট ছাপিয়ে ভুয়ো নম্বর খেলিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার।
লটারিতে কারচুপির অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। লটারি খেলায় সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে শেয়ার হোল্ডারদের বিরুদ্ধে। প্রথমে বেশ কিছু মানুষ ১০০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কাটে কিন্তু পরে তাদের টাকা চোট গেছে বলেই অভিযোগ ওঠে। ভুয়ো নম্বার খেলানো নিয়ে স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে খেলার মঞ্চসহ টেবিল চেয়ার ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল ১০০১ থেকে ৫০,৯৯৯ নম্বর পর্যন্ত টিকিটে এদিন খেলা হবে। অর্থাৎ মোট ৪৯,৯৯৯ টিকিটে খেলা হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবারের এই খেলায় প্রথম হওয়া টিকিটের নম্বর ৫৩১১৩, দ্বিতীয় টিকিটের নম্বর ৪২১১১, তৃতীয় ২৬১৯২, চতুর্থ ৩০৬৪৪, পঞ্চম ২২৬০৯,ষষ্ঠ ২৪১৭২। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ এতগুলো খেলার টিকিটই ছিল না ওই জায়গায়। তাহলে কীভাবে খেলা হল এত টিকিটের? তাই তাঁদের দাবি খেলাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো পদ্ধতিতে হয়েছে। ভুয়ো খেলা জানতে পেরেই তাঁরা তাঁদের টাকা ফেরত চায়। টাকা ফেরত না পেয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপহারের তালিকায় ছিল, বাইক, ফ্রিজ, টোটো-সহ একাধিক জিনিস। নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় খেলা। অভিযোগ, ৪৯,৯৯৯ টি খেলার কথা বলা হলেও ৫৩ হাজারের ঘরে গিয়ে প্রথম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস। পুলিস পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটকের কোনওরকম খবর নেই। যারা টিকিট কিনেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। পরিকল্পনামাফিক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।