
গ্রাহক জানতেই পারতেন না, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আর এই কাজে এক অভিনব পন্থার খোঁজ মিলল। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যান্ডেলে। দলিলে থাকা আঙুলের ছাপ পর্যন্ত নকল করে এরা ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকের টাকা সরিয়ে ফেলত। উত্তর প্রদেশের এই গ্যাং ধরা পড়ল চুঁচুড়া থানার হাতে। ধৃতরা হল প্রদীপ সাহানি, সদানন্দ শ্রীবাস্তব (মনু), মনোজকুমার, শিবম গুপ্তা। এরা উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর ও কুশিনগর জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হয়।
ঘটনাটা এইরকম। বৃহস্পতিবার চারটি ছেলে ব্যান্ডেল চার্চের কাছে আসে ঘরভাড়া নেওয়ার জন্য। সেখানকারই এক মহিলা জায়গা কিনে ঘর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তা ফাঁকাই পড়ে ছিল। এরা তাঁর বাড়িই ভাড়া নেয়। এলাকার ছেলেরা তাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা দিচ্ছি, দেবো করে এড়িয়ে যায়। এতেই সবার সন্দেহ হয়। থানায় খবর আসে। তখনই পুলিস গিয়ে খোঁজখবর শুরু করে। জানা যায়, তারা অনলাইনের ব্যবসা করবে বলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল।
কিন্তু এদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে নগদ চার লক্ষ টাকা, ১০টি মোবাইল, এটিএম কার্ড, সিম কার্ড, ব্যাঙ্কের পাশবই ইত্যাদি। সবচেয়ে যেটা অবাক করার বিষয় হল, উদ্ধার হয়েছে রাবারের তৈরি আঙুলের ছাপ নকল করার সরঞ্জাম এবং কিছু ভুয়ো দলিল। এমনকী কার আ্য়াকাউন্টে কত টাকা আছে, তারও একটা তালিকা উদ্ধার হয়েছে।
এলাকারই এক বাসিন্দা জানালেন, মানুষের অসচেতনতার সুযোগ নিয়েই এই ধরনের চক্র কাজ করছে। তাই মানুষেরই আরও সচেতন হওয়া দরকার।
এলাকার বাসিন্দারাও এই ঘটনায় অবাক। তাঁরা জানিয়েছেন, এদের বয়স ৩০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। এদের চালচলন বরাবরই সন্দেহজনক ছিল। এরা চা খেয়ে ৫ টাকা চাইলে দশ টাকা দিয়েই চলে যেত। ফেরত নিত না। আর এটাই কাল হল। এসব দেখেই কয়েকজনের সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিসে খবর দেয়।