
হাওড়ার (Howrah) পর এবার হুগলির (Hoogly) অশান্তির ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিসকে (Police) কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করতে হয়। পুলিস সূত্রে খবর, রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ (Internet Service Close) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিষড়া থানার অন্তর্গত সন্ধ্যা বাজার এলাকায়, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন রিষড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কিছু পুলিসকর্মী। এবার হুগলির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)।
রাজভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘গুন্ডা এবং দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’
রবিবার বিকেলে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় রিষড়া। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিস। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করবে রাজ্য। আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেন আইনভঙ্গকারীরা।' দু'দিন আগে হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডেও চরমে ওঠে পরিস্থিতি। সিআইডির হাতে শিবপুরকাণ্ডের তদন্তভার। যদিও হাওড়া ও হুগলির ঘটনায় রাজ্য পুলিসকেই দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। হামলার ঘটনায় আহত কিছু বিজেপি কর্মীও। তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।