
১৪৮ বছরের পুরনো বিষ্ণুপুর পৌরসভায় আজও নেই স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনার স্তূপ। ভোগান্তির শিকার পুরবাসী। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সামনেই রয়েছে অন্যান্য পৌরসভাগুলির নির্বাচন। যদিও এখনও পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির। মল্ল রাজাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই ঐতিহাসিক শহর। বিশেষ করে বছরের এই সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু পর্যটক আসেন মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর দর্শনে। কিন্তু পর্যটকরা মন্দিরের সামনে এই আবর্জনার স্তূপ দেখে স্তম্ভিত।
১৮৭৩ সালে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন চলাকালীন বিষ্ণুপুর পৌরসভা তৈরি হয়। তারপর কেটে গেছে ১৪৮ বছর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে বিষ্ণুপুর পৌরসভায়। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই বিষ্ণুপুরে একটি স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানেও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনার স্তূপের বড় বড় পাহাড় জন্মেছে। তার ওপর বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডের কেস চলছে।
তবে বিষ্ণুপুরবাসীর একাংশ মনে করছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার নির্বাচন হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার চেয়ারম্যান নেই। রয়েছেন প্রশাসক। সেই কারণেই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পুরবাসী। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিতে রাজনৈতিক নেতারা আসেন বটে, কিন্তু ভোট মিটে গেলে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা। এই ইস্যুতে সরব কংগ্রেস। বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূলের আমলে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুর এখন জঞ্জালনগরীতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে ব্যর্থ। তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে কটাক্ষ করেন।
অন্যদিকে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক নীরজ কুমার বলেন, সব প্রকল্প চুরি করার একটা বদ অভ্যাস দাঁড়িয়ে গেছে তৃণমূল নেতাদের। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই, তা স্বীকার করেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রশাসক অর্চিতা বিদ। বেশ কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
কংগ্রেসের দামি তৃণমূল সরকারের আমলে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে ।সব প্রকল্প তেই চুরি করার অভ্যাস শাসক দলের দাবি বিজেপির । সাফাই প্রশাসকের ।