
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিক্ষিপ্ত খবর উঠে আসছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। আবারও একই ঘটনা। এবার পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বাগি এলাকায় গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন একজন। ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বোমের সুতলি ও স্পিল্ন্টার পড়ে রয়েছে। পড়ে আছে গুলির খোল। খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। এলাকায় পৌঁছয় পুলিস। বেলা বাড়লেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল হতেই এলাকায় মুড়িমুড়কির মতো বোমা বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে চলে ৮-৯ রাউন্ড গুলি। স্থানীয় মানুষজন জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বীরেন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল। তবে গুলি লক্ষ ভ্রষ্ট হওয়ার কারণে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বীরেন মণ্ডল। বীরেন মণ্ডলের সঙ্গে থাকা ২ জন প্রতিবেশী প্রদীপ নস্কর ও প্রভাত গায়েনকে ধরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। এরপরই রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে তাঁদের বলে অভিযোগ। প্রভাতকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় মারে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও প্রাণ বাঁচিয়ে প্রদীপ নস্কর পালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল বলেই অভিযোগ। সেই সময়ই গুলি গিয়ে লাগে প্রদীপ নস্করের বাম পায়ে।
মুড়িমুরকির মতো বোমা বৃষ্টি ও গুলি এবং সঙ্গেই চিত্কার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে স্থানীয় মানুষজন। এরপরই চম্পট দেয় বেতাল মণ্ডল ও তাঁর দলবল বলেই জানা যায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। স্থানীয় মানুষ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিস গুলিবিদ্ধ প্রদীপ নস্করকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হসপিটালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। এরপরই চিকিত্সকেরা ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে স্থানান্তরিত করে তাঁকে। তবে এখনও এলাকায় তাজা বোমা পড়ে রয়েছে। ঘটনায় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস জড়িত থাকা সন্দেহে একজনকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, বীরেন ও বেতাল ওই দু'ই ব্যক্তির মধ্যে দুর্গাপুজোর সময় মারামারি হয়। বীরেন মণ্ডল দায়িত্ব পায় এলাকা। তবে দু'জনে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দীলিপ মণ্ডলের অনুগামী বলেই পরিচিত। গত পরশুদিন বেতাল তাঁর দলবল নিয়ে পৈলানে ঢোকে। সেখান থেকে ফের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের সূত্রপাত। বীরেন দায়িত্ব থাকায় বেতাল এলাকায় ঢুকতে যায়। এরপরই বেতালকে ধরে মারধর করে বীরেনের লোক। গতকাল অর্থাত্ শনিবার গভীর রাতে বেতাল বীরেনের এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি ও গুলি চালায়। তবে এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠিকোন্দল বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।