
দিনের পর দিন ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় ভাগ্নিকে প্রাণনাশের হুমকি। অবশেষে নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তবুও অভিযোগ, নিষ্ক্রিয় পুলিস-প্রশাসন।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আগ্রা থেকে তিন বছর বয়সে এক নাবালিকাকে নিমতার বাড়িতে নিয়ে এসে মানুষ করেন শংকর বিশ্বাস ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই নাবালিকা মেয়েটি ছোট থেকে বড় হতে থাকে এবং সেই সময় থেকেই শুরু হয় তার উপর পাশবিক অত্যাচার। নাবালিকার সম্পর্কে মামা শংকর বিশ্বাস, সেই নাবালিকাকে দিনের পর দিন বাড়ির মধ্যে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে সেই নাবালিকা প্রতিবাদ করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় মামা। পেশায় রাজমিস্ত্রি মামা। মামার এই অপকর্মের কথা যদি বাইরে কাউকে জানায় তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে, এমনটাই হুমকি দেয় মামা।
তারপর যতদিন বাড়তে থাকে নাবালিকার উপর অত্যাচার আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি শেষমেশ ফের প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় মামা। এরপর নির্যাতিতা থানার দ্বারস্থ হয়। নিমতা থানায় মামার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিস এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি অভিযুক্ত মামাকে।
বর্তমানে অত্যাচারিত সেই মেয়েটির একটাই আবেদন প্রশাসনের কাছে, এরকম পাশবিক অত্যাচারের পর মামার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। আতঙ্কে ও ভয়ে নাবালিকা মেয়েটি নিজেকে এই মুহূর্তে আত্মগোপন করে রেখেছে। এই ঘটনা জানতে পারেন শংকরবাবু স্ত্রী। তারপর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি চান যদি তাঁর স্বামী সত্যিই অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাঁর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। শংকরবাবুর স্ত্রী ওই নাবালিকাকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশায় পাশে আছেন বলেই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।