আর মাত্র ৬ দিন। তারপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তারআগে রক্ত ঝরা অব্যাহত। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে (Basanti) তৃণমূলের (TMC) এক যুব নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। নিহত নেতার নাম জিয়াউল মোল্লা। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ফুলমালঞ্চ এলাকার ঘটনা। ওই নেতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে এ ঘটনার পিছনে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিস জানিয়েছে, প্রচার সেরা বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা জিয়াউলকে ঘিরে ধরে। তাঁর মাথায় ও পেটে গুলি লাগে। দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসেছিল।
বছর চল্লিশের জিয়াউল গোড়া থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করতেন বলেই স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে তা আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই চোরাগোপ্তা চলছিল। জিয়াউলের উপর আক্রমণের পর, তা তীব্র আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। জিয়াউলকে গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছেন, অশান্তির খবর পেলে তিনি ছুটে যাবেন। তাঁর এই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরেই পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আরও এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুর খবর মিলল। এই নিয়ে ভোটের আগে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে বলির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩।