মণি ভট্টাচার্য: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) অশান্তি ও হিংসায় প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিস প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দিকেই আঙ্গুল তুলছে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এর মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, রাজ্যের বহু বুথে সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেছে রীতিমত পুলিশের ভূমিকায়। কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ার লাইন সামলাচ্ছেন, কোথাও সামলাচ্ছেন ঝামেলা। কিংবা কোথাও বুথ পাহাড়ার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এখন প্রশ্ন উঠছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা হল কেন?
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিল, কোনোভাবেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার করা যাবেনা। এছাড়া সম্প্রতি রাজ্য পুলিস প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা যাবে না। তা সত্ত্বেও কেন এই নিয়ম মানা হলো না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের তাবেদারি করছে সে কারণেই বহু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করে সিভিক ভলেন্টিয়ার কে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করছে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিরোধীরা সব পক্ষই কমিশনের বিরোধিতা করে জানিয়েছিল। নির্বাচন সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ করার কোনো ইচ্ছেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ছিলনা। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন নিয়েও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
সূত্রের খবর এখনও অবধি হওয়া হিংসায় রাজ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা শনিবারই জানিয়েছিলেন ভোট শান্তিপূর্ণ করা রাজ্য পুলিস ও প্রশাসনের দায়িত্ব। কোনোভাবেই সেই দায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর বর্তায় না এবং রবিবার সকালে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।