কালিয়াগঞ্জে (kaliaganj) পুলিসের গুলিতে যুবকের মৃত্যুতে তদন্তভার গেল সিআইডির (CID) হাতে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের পরিবারের তরফে রায়গঞ্জ (Raiganj) পুলিস জেলার পুলিস সুপারের দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করল পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেনের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। পাল্টা মৃতের পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন ওই পুলিস আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য সেদিন রাত্রিবেলা তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই দুই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রায়ঞ্জের রাধিকাপুরে একটি বাড়িতে পুলিস অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। কালিয়াগঞ্জে থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে যায় পুলিস। সেখানেই ফের অশান্তি বাধে। তাতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের। এরপরই ঘটনায় লাগে রাজনীতির রং। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে পথে নামে বিজেপি। রায়গঞ্জে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী শিলিগুড়ি মোড়ে অবস্থানে বসেন। সেখানে সাংসদ, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা যায় বিষ্ণু বর্মণকেও।