ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক রাজ্য। পূর্বের থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ অর্থাৎ শনিবার নবান্নে (Nabanna) কন্ট্রোল রুম (Control Room) খোলা হয়েছে। এছাড়া গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই বিধাননগর এলাকা গুলিতে প্রাচীন ও বিপদজনক গাছ গুলি কেটে ফেলার কাজ চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এছাড়া কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে বিপদজনক বাড়ি গুলি থেকে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখা (Mokha) আগমনের আগেই সতর্কবার্তা (Warning) জারি করেছে প্রশাসনের। বাংলাদেশ (Bangladesh) ও ওড়িশা (Orissa) উপকূল দুই এলাকার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে দীঘার। সেক্ষেত্রে ঝড়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী পুরনো অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন বিধানসভা এলাকাগুলিতে বারে বারে বৈঠক করা হচ্ছে। কারণ এর আগে যে ঝড়গুলি হয়েছে তাতে বহুবার শিক্ষা নিয়েছে প্রশাসন।
সেক্ষেত্রে নদীর বা খাল বিলের যে বাঁধগুলি রয়েছে সেগুলি কিন্তু যথারীতি প্রত্যেকদিন তা তদারকি করা হচ্ছে কোথাও কোনও বাঁধের ফাটল থাকছে কিনা। এছাড়াও নিচু এলাকাবর্তী জায়গাগুলিতে যে বাঁধ রয়েছে তা মেরামতের কাজ চলছে। প্রশাসনের তরফে আগের মতো মাইকিং না করলেও সেখানকার বাসিন্দাদের কিন্তু সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ের যে রেসকিউ সেন্টার রয়েছে সেগুলি কিন্তু যথারীতিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে।
ঝড়ের পূর্বাভাসের আগেই মাথায় হাত পড়েছে বাদাম চাষীদের। কারণ এই মরশুমটাই হলো বাদাম চাষ করা ও তোলার জন্য উপযুক্ত। তাই এই মরশুমে যদি ঝড় বৃষ্টি আসে তাহলে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়বে এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর থেকে। দীঘা, শংকরপুর, মন্দারমনি এসব সমুদ্র উপকূল এলাকাগুলি নিচু। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে, যদি কোনও রকম ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায় তাহলে শীঘ্রই সেখানকার এলাকাবাসীদের অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে।