কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা যৌন নিগ্রহ ও খুনের অভিযোগের ঘটনায় (Kaliaganj) কে থাকবে, জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন (NCPCR) না রাজ্য কমিশন (WBCPCR) সেই তরজা গড়াল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে শুনানিতে কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রাজ্য শিশু অধিকার কমিশন যুক্ত হতে চায় বলে আবেদন করে। রাজ্য ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের গন্ডগোল বাংলায় নতুন নয়। সম্প্রতি তিলজলা, গাজোলে তেমন ছবিই দেখা গেছে। একে অপরকে আক্রমণ করতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই কমিশনের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার সেই বচসা হাইকোর্টে এসে পড়ল। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এদিন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন দাবি করে, খুন হওয়া মেয়েটির মায়ের আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো নিজে তদন্ত করেছেন। এদিকে রাজ্যের তরফেও একই দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ‘২১ এপ্রিল এসপি ও ডিএমকে চিঠি দেয় রাজ্য কমিশন। পরের দিনই ঘটনাস্থলে যায় দল। আমাদের কারওর সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। কেন্দ্রীয় কমিশনকে সহযোগিতা করতে পারে রাজ্য কমিশন।’ কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিসের তরফে যে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি, জানতে চায় হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ইট, পাথর লাঠি নিয়ে প্রায় দু’শো লোক টায়ার জ্বালিয়ে দেহ আটকে রেখেছিল। সেখান থেকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। সেই ঘটনার এফআইআরে ১৭ জনের নাম রয়েছে। তিনজন গ্রেফতারও হয়েছে।
জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন এদিন আদালতে জানায়, তারা পরিবার ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছে। কমিশন পুলিসের তরফে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ত্রুটি পেয়েছে। সেই নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। শুনানি শেষে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দেন। আগামী ৮ মে পুলিশ ও জাতীয় কমিশন তাদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ওইদিনই।