সন্দেশখালির দুঃখ, দুর্দশার কথা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো যেন অজানা কোনও এক সাহসের বলে আতঙ্ক কাটিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তাই সমান্তরাল ঘটনার রেশ একটু একটু করে কাটলেও, কিছুতেই কাটছে না আতঙ্কের প্রহর। একসময় এলাকায় রাজ করে বেরানো উত্তম, শিবু, শাহজাহানের কথা ভাবতেই বুক কেঁপে উঠছে সন্দেশখালির মহিলাদের।
গ্রেফতার হয়েছে উত্তম, শিবু। এলাকায় নেই শাহজাহানও। এদিকে রাত হলেই অজানা নম্বর থেকে ফোন করে মহিলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে ঘরে থাকতে ভয়ে পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, দিনের বেলায় পুলিসি পাহারা থাকলেও, রাতের বেলা কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থাই থাকছে না। ফলে রাতের ঘুম উড়তে বসেছে এলাকাবাসীর। তাহলে এখনও কার মদতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি? এলাকায় পুলিসের উপস্থিতেও চলছে তাণ্ডব? তাহলে প্রশাসন কি সক্রিয় নয়?
এদিকে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ উত্তম এবং শিবুর চক্ষুশুল পুকুর পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত আজ পুরোপুরি শয্যাশায়ী। শাহজাহান, শিবু এবং উত্তমদের বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভ চরমে উঠেছে, ঠিক তখনই শিবু এবং তার অনুগামীরা রঞ্জিতকে বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে গিয়েছিল ভয় দেখানোর জন্য। সে দিনের পর থেকে আতঙ্কে আর ঘর থেকে বেরোতে পারেন না মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রঞ্জিত।
সন্দেশখালিতে আতঙ্কের এই প্রহর কবে কাটবে? সেদিকেই যেন তাকিয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা। সিএনের ক্যামেরার সামনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিল সন্দেশখালির মহিলারা।