দুরবস্থার মধ্যে আর্থিক অনাহারে দিন কাটছে বৃদ্ধ দম্পতি। অভিযোগ, কাটমানি না দেওয়ার কারণে মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেইসব প্রকল্পের সুবিধা প্রকৃত উপভোক্তারাই পাচ্ছেন না। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে কাটমানি। এমনই এক দুর্দশাগ্রস্থ পরিবারের ছবি সামনে এসেছে মালদহের চাঁচল সদর এলাকায়। যারা সরকারের প্রায় সব প্রকল্প থেকেই বঞ্চিত।
জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমা আদালতের পিছনে আমলাপাড়ায় বাস করেন ষাটোর্ধ্ব দম্পতি আনিসুর রহমান এবং বুলো দাস। একমাত্র ছেলে থাকা সত্ত্বেও তাঁর পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকে সে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। একসময় জমিতে দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। কিন্তু বয়সের ভারে সেই কাজও করতে পারেন না এখন।
জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় মাটির বাড়ির এক পাশে রয়েছে ছোট্ট গোয়ালঘর। সেই গোয়াল ঘরে রয়েছে একটি গৃহপালিত গরু। গরুর দুধ বিক্রি করেই কোনওরকমে চলে সংসার। কিন্তু বর্তমানে ঠিক মত গরুর দুধটাও হয় না। কারণ গরুর খাদ্য যোগানো বা ঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারছেন না তাঁরা। স্ত্রী বুলো দাস বিগত কয়েক মাস ধরে চোখের সমস্যার কারণে অসুস্থ। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অপারেশনের পরেও চোখের সমস্যা ঠিক হয়নি। উল্টে দৃষ্টি শক্তি আরও কমে গিয়েছে। ফলে তিনি সাংসারিক কাজ পর্যন্ত করতে পারছেন না। বার্ধক্য ভাতা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর কিছুই মেলেনি।
অভিযোগ বারংবার আবেদন করেছেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। এমনকি এর আগেও পঞ্চায়েতের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বললেও তিনি ভাতার জন্য তিন হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওই বৃদ্ধ দম্পতির।