
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি (Notice) জারি করে। যেখানে স্পষ্ট ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) রাজ্যে নাকা চেকিং, বর্ডার এবং অন্তর্দেশীয় চেকপয়েন্ট সুরক্ষা, এছাড়া বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। এছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা আছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করবে ও যেখানে রাজনৈতিক হিংসা দেখা যাবে সেখানে রাজ্য পুলিশের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে। অথচ কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও উল্লেখ ওই বিজ্ঞপ্তিতে নেই। তবে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা না পেলে সুস্থভাবে ভোট করা কি সম্ভব? এছাড়া প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যখন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশকে কি বুড়ো আঙুল দেখালো কমিশন!
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এমন বিজ্ঞপ্তিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মহলে। প্রশ্ন উঠছে, বারবার যেখানে হাই কোর্ট ও বিরোধীরা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে আবেদন করলেন এবং হাইকোর্টও প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেন কমিশন কে, সেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এরকম বিজ্ঞপ্তি কিভাবে জারি করতে পারে? বিরোধীদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগেই, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতি বুথে না থাকলে এই মৃত্যুর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।