আজ পয়লা বৈশাখ (Poila Baisakh)। নতুন বছরের আগমনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে বাংলা। নববর্ষ মানেই হালখাতা-মিষ্টিমুখ। তবে বছরের প্রথম দিনটা সবাই চায় দেব-দেবী প্রণাম করে শুরু করতে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের একাধিক ধর্মস্থানে মানুষে পৌঁছে গিয়েছেন পুজো দিতে। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। তবে এই গরমকে উপেক্ষা করেই রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পুন্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, তবুও ভক্তদের ভক্তিতে নেই কোনও ভাটা। কলকাতার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়মঠ থেকে শুরু করে আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে মানুষের ঢল নজরকাড়া।
করোনা মহামারী পেরিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষ। ফলে একাধিক ধর্মীয় স্থানে বাড়তে শুরু করে ভিড়। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন বহু মানুষ। ভক্তদের কাউকে দেখা গিয়েছে হালখাতা নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে, কাউকে দেখা গিয়েছে নববর্ষ উপলক্ষে পুজো দিতে। তীব্র দাবদাহের মধ্যেই কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে দেখা গিয়েছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। সেই লাইন মন্দির চত্বর পেরিয়ে বালি ব্রিজ অবধি উঠে এসেছিল। রোদ উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষকে। এমনই ভিড় দেখা গিয়েছে মহিষাদল রাজবাড়িতেও। সেখানে দর্শনার্থীদের বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁরা নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে ও বর্ষের প্রথম দিনে আশীর্বাদ নিতে সেখানকার কূলদেবতার পুজো দিচ্ছেন। আবার বেলুড়মঠ, বীরভূমের তারাপীঠ, কংকালীতলা এসব মন্দিরেও একই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গরম পড়লেও তাঁরা নববর্ষের শুভদিনে কষ্ট করে হলেও পুজো দেবেন।