১৯ বছর পর ফের কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়েও এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়। প্রথমার্ধের দুর্বলতা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ছন্দে সবুজ-মেরুন। বল পজিশন কম নিয়েও গোয়াকে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে উঠল মোহনবাগান।
সেমিফাইনালের মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মোহনবাগান প্রথম থেকেই একেবারেই ছন্দ পায়নি। গোয়া বরং পাসিং ফুটবলে মোহনবাগানকে চাপে রেখেছিল। হুগো বুমোর ভুলে ২২ মিনিটে গোয়ার হয়ে প্রথম গোল করেন নোয়া সাদিকু। বারবার আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হয় ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজি। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান মোহনবাগান। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেনি। বক্সের লাইনে ফাউল করে এফসি গোয়া। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে গোয়ার আপত্তি ছিল। কিন্তু ভুল করেননি জেসন কামিংস। দ্বিতীয়ার্ধে হুগো বুমোর পরিবর্তে নামেন সাদিকু। মোহনবাগানের আক্রমণে বদল আসে। পরিবর্ত ফুটবলার হয়ে নেমেই ৬০ মিনিটের মাথায় গোল পান সাদিকু।
শেষদিকে কামিংসকে তুলে মনবীরকেও নামান কোচ ফেরান্দো। ততক্ষণে গোয়া চাপে পড়ায় মোহনবাগানের কাছে খেলাও সহজ হয়ে যায়। ব্রেন্ডল হামিলকেও মাঠে নামান ফেরান্দো। নামান লিস্টন কোলাসোকেও। আর গোল শোধ করতে পারেনি এফসি গোয়া।