প্রসূন গুপ্ত: ভারত বাদ দিয়ে এশিয়ার সমস্ত দল এতক্ষণে দেশের মাটিতে পা দিয়ে ফেলেছে। নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডও ফিরে যাচ্ছে। রয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারত। সেমিফাইনাল বুধ এবং বৃহস্পতিবার। লিগে যা হয়েছে হয়েছে কিন্তু এবারে চার দলই সতর্ক। গতবার নিয়মের গেঁড়োতে পরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নি কিউইরা। ভারতও সেমিফাইনালে অদ্ভুত নিয়মের প্যাঁচে পরে হেরে গিয়েছিলো এই নিউজিল্যান্ডের কাছে। দুদিন ধরে ওয়ান ডে ম্যাচ হয়েছিল। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড যা রান করেছিল তা কোহলির দল আনায়াসেই তুলতে পারতো যদি দিনেরটা দিনেই খেলা হতো কিন্তু বৃষ্টির চক্করে পরে খেলা গড়ায় পরের দিন অবধি। ছন্দ সেখানেই নষ্ট হয়ে যায় বলেই দাবি অভিজ্ঞ মহলে। অবিশ্যি প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির দোষও অগ্রহ্য করা যায় না। অনেকেই বলে বিশ্বের সেরা ফিনিশার সেদিন এতো ধরে খেলছিল যে ম্যাচটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়, ধোনি নাকি চান নি ফের বিশ্বকাপ অন্য কারুর হাতে উঠুক।অবান্তর ধারণা হয়তো।
তবে এ কথা ঠিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারতকে বুঝে খেলতে হবে।পূর্বতন রেকর্ড বলছে বিশ্বকাপে কিউইরা ভারতকে বেগে ফেলেছে আগেও। ভারতের এখন যা দল তাতে চিন্তা করুক কেন উইলিয়ামসরা। অনেকেই বলছে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ৫০ তম শতরান না পেয়ে ভালোই হয়েছে। ওঁর মধ্যে জেদ কাজ করবে পরের ম্যাচে সেঞ্চুরি করার। তবে খেলা ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে, ওখানে যত বল গড়াবে ততই পিচ ঢিমে হবে কাজেই টস জিতে বিরাটের আগে ব্যাট নেওয়াই শ্রেয়।
অন্যদিকে ইডেনে অন্য সেমিফাইনাল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবাই চোকার্স বলে। এরা দুর্দান্ত শুরু করেও আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টের ট্রফি পায় নি কিন্তু নক আউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ভয়ঙ্কর। যে কেউই খেলে দেবে। আগের দিন ম্যাক্সওয়েলের খেলা মানুষ কোনও দিন ভুলবে না। যদিও গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এখানেই হেরে গিয়েছিলো। কিন্তু বারবার ভুল ওরা করবে কি?