প্রসূন গুপ্ত: অনেকেই হয়তো আশা করেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের ফের দেখা হবে এবং ইডেনে সেমিফাইনাল দেখতে যাবে কিন্তু যা হওয়ার তাই হলো।নিউজিল্যান্ড একেবারে ধরাশায়ী করে শ্রীলংকাকে হারালো কাজেই পাকিস্তান যদি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তাতেও কাজ হবে না। বিশাল রান করতে হবে এবং সামান্য রানে আউট করতে হবে ইংরেজদের।রান বা পরিসংখ্যা যা বলছে তা অসম্ভব। সুতরাং আগামী ১৫ নভেম্বর ভারত খেলবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এবং পরদিন ইডেনে অস্ট্রেলিয়া লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। বলা ভালো, ১৯৮৭-তে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ভারত পরাজিত হয়েছিল এবং এবারের মতোই খেলা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। আরও মনে রাখতে হবে গত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে পরাজিত হয়েছিল ভারত।এতো নেতিবাচক দিক। ইতিবাচক হচ্ছে, ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বলতে দ্বিধা নেই আগের ভারত আর আজকের ভারতীয় দলের আকাশ পাতাল তফাৎ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতো ভালো বোলিং সাইট-এর আগের কোনও বিশ্বকাপে কেউ পায়নি। প্রত্যেকে জীবনের সেরা ম্যাচ খেলছে। ব্যাটিংয়েও তাই। রোহিত, কোহলি তো বটেই, বাকি ৫ ব্যাটার বেশ ভালো ফর্মে। তবে রোহিতের টস ভাগ্য ভালো কাজেই টসে জিতলে চোখ বুঝে মুম্বাইয়ের মাঠে আগে ব্যাট নেওয়া উচিত।
অন্য ফাইনালে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভালো ফর্মে আছে। কিন্তু ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন কখন কি করতে পারে কে বলতে পারে? আগের ম্যাচে কে জানতো ৭ উইকেট হারানোর পরে ম্যাক্সওয়েল দ্বিশত রান করে খেলা বের করে নিয়ে যাবে! যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা আর আফগানিস্তানের বিস্তর ফারাক কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা চিরকাল সেমিফাইনালে হেরেও যেতে দেখা যায়।এরা ফুটবলের নেদারল্যান্ডের মতো। কিছুতেই চ্যাম্পিয়ন লাক নেই। যায় হোক না কেন লীগ ম্যাচের মতো নকআউট এতো সোজা হবে না। সাধু সাবধান।