চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (বিধায়ক/অভিনেতা ): প্রায় ২০ ঘন্টা হয়ে গেলো এখনও বুধবারের ভারত নিউজিল্যান্ডের খেলাটা চোখে ভাসছে। কি ভীষণ টেনশন হচ্ছিলো যখন উইলিয়ামসন আর মিচেলের জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো। তবে কি জানেন একদিবসীয় ক্রিকেটটা তো দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, এই ৩৯৭ রান তোলা অসম্ভব ছিল। পারা যায় না। দেখবেন ভালো দল হলে দুএকটা জুটি কিছু রান তুলে নেবে ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হতেই হয়ে থাকে। এর উপর বিশ্বকাপ বলে কথা। আমি তো অবাক হলাম নিউজিল্যান্ডের দুই বিখ্যাত ওপেনার কনওয়ে এবং রাচিনের দ্রুত বিদায় নেওয়া দেখে।সাংঘাতিক এই দুই খেলোয়াড়।
আসি ভারতের খেলা নিয়ে। আমি আগেও সিএন সংবাদে লিখেছিলাম যে, এই ভারত সাংঘাতিক শক্তিশালী। সর্বকালের সেরা, বিশ্বেও বোধকরি। ২০১৯-এ নিউজিল্যান্ডের কাছে বিলেতের বিশ্বকাপে আমরা জঘন্য হেরেছিলাম। ২৩৯ রান তুলতে পারিনি। সেই ক্ষোভ আজকেও আমাদের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে দগদগে ঘা হয়ে ছিল, বুধবার তার সংগঠিত সুমিষ্ট প্রতিশোধ নেওয়া গেলো। দেখুন এই ম্যাচে কাকে খারাপ বলবেন? সূর্য্য যাদবের হাতে বল ছিল না কাজেই তাঁকে চালিয়ে খেলতে হয়েছে এবং আউটও হয়েছেন, এটাতে আমি কোনও দোষ দেখি না। এ ছাড়া একেবারে পাকা উইকেট, বোলারদের বদ্ধভূমি। এই পিচ ঠিকই আছে। যদি ভারত পরে ব্যাট করতো তবে আরামসে খেলতে পারতো। দ্বিতীয়ত মুম্বইয়ের মাঠে শিশির পরে না কাজেই পেসাররা পরে বল করে সুবিধা পায় নি।
কোহলির ইনিংস অনবদ্য। ৫০টি একদিবসীয়তে সেঞ্চুরি হয়ে গেলো, আমি মনে করি ও আরও একডজন করতে পারবে। প্রথমেই বলেছিলাম এই মাঠ একেবারেই ব্যাটটারদের কাজেই বোলাররা সুবিধা পাবে না, কিন্তু নিউজিল্যান্ডকে ৩২৭ রানে শেষ করার অন্যতম অস্ত্র বাংলার ম.শামি। ওকে যতই দেখছি অবাক হচ্ছি। ৭টি উইকেট তাও বিশ্বকাপে? ওকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল কেন স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে। তবে কি এখানেও রাজনীতি। কোহলি ঘনিষ্ঠ শামি দেখিয়ে দিলো ধংসাত্বক বোলিং কাকে বলে? এটাই টিম ইন্ডিয়া।চলুন রোববারের মাঠে। আহমেদাবাদ না যাই টেলিভিশনে তো চোখ রাখতে পারি। রোহিতকে অনুরোধ টস জিতলে ব্যাট। পরে ব্যাট হলেও ক্ষতি নেই। শামি তো আছে। (অনুলিখন-প্রসূন গুপ্ত)