পার্থ ভৌমিক (মন্ত্রী / পশ্চিমবঙ্গ সরকার ): মঙ্গলবারের বিশ্বকাপের এই খেলা মনে রাখবো নিশ্চিত। ম্যাক্সওয়েল যেদিন খেলেন সেদিনটা ওরই থাকে। আইপিএলে দেখেছিতো। আজকের ক্রিকেট কিন্তু সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আমাদের ছোটবেলার ইডেনে দেখা বিশ্বনাথ গাভাস্কারের টেস্টের যুগ আজকে আর কোথায়? আজকে একজনের খেলা এবং দলকে জেতানো নিশ্চয় বড় ব্যাপার কিন্তু ম্যাক্সির এই খেলা ভেবে দেখলে অনেকেই খেলে নিচ্ছে। ম্যাক্সিকে তবু ধন্যবাদ দেব প্রয়োজনে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার জন্য কিন্তু ভেবে দেখুন এই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের খেলায় মাত্র ২০০ রান দরকার ছিল, দ্রুত তিনটে উইকেট পরে গেলো। তারপর কোহলি এসে ম্যাচটা ধরলেন। কোহলিকে আমি নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা বলবোই। দেখুন আবারও বলছি ম্যাক্স দারুন, চিরকাল এই খেলাটা মনে থাকবে কিন্তু এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারলেও সেমিফাইনালে যেতই। এ ছাড়া আফগানিস্তান স্রেফ অভিজ্ঞতা এবং বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য হারলো। দুটো লোপ্পা ক্যাচ কি ভাবে মিস করলো তারা। প্রথমে বেশ ভালো ফিল্ডিং করছিলো কিন্তু ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার ওদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এসে গেলো এবং সেটাই কাল হলো।
ম্যাক্সওয়েল নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস খেলেছে কিন্তু ১৯৮৩ র কপিল হতে পারবে না। নটিংহ্যামে ও বছর জিম্বাবোয়ের সঙ্গে যে খেলা হয়েছিল তা আমরা কেউই দেখতে পারি নি কারণ ইংল্যান্ডের সাম্প্রচারকারী বিবিসি সেদিন ধর্মঘট ডেকেছিল বলে খেলা দেখায় নি কিন্তু বিবরণ তো শুনেছি। ১৭ রানে গাভাস্কার, শ্রীকান্ত, অমরনাথ, যশপাল, পাটিল আউট হয়ে গিয়েছিলো। কপিল এসে খেলা ধরে। তখন ফিল্ডিংয়ের কোনও রেস্ট্রিকশন ছিল না। কখনও বিনি কখনও ১০ নম্বরে থাকা কিরমানিকে নিয়ে ২৬৬ রান এবং নিজের ১৭৫ , ভাবা যায় ? মনে রাখতে হবে ভারত মোটেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে মাঠে নাম নি। কিন্তু কপিলের ওই ইনিংসের পরে নক আউট পর্যায়ে উঠেওছিলো দল এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কপিলের ওই ইনিংস সোনায় বাঁধানো| ওর সঙ্গে তুলনা চলে না।
অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত