চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ( বিধায়ক / অভিনেতা )
আমাদের দেশের সমর্থক হয়ে বহু ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছি কিন্তু রবিবাসরীয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে স্বাসরুদ্ধ করা ম্যাচ খুব কমই হয়। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ক্যাঙ্গারু দলের এই ১৯৯ রানটি পরিভাষায় আমি আনপ্রিসিডেন্ট বলেই মনে করি। শুরুটা নেহাত খারাপ করে নি অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার এবং স্মিথ বেশ ভালোই খেলাটা ধরেছিলো। রবিবারে সিএন পোর্টালে লিখেছিলাম যে , আইপিএল খেলা খেলোয়াড়রা কিন্তু ভারতের মাঠ সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল কিন্তু তার চিহ্ন কিন্তু রবিবারে ছিল না ব্যাটারদের। তবে ৬ ভারতীয় বোলার ভালোই বল করেছে বিশেষ করে তিন স্পিনার। অনেকদিন বাদে দেখলাম ৬ বোলারের সকলেই উইকেট পেয়েছেন।
১৯৯ রান এমন কি আর ভাবনা থেকে যদি ভারত শুরু করে থাকে তবে বলবো খুবই অক্রিকেটীয় ভাবনা ছিল কারণ চিরকাল বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার দান। ২ রানে ৩ উইকেট ! ভাবা যায় ? আমি তো ভাবলাম হয়ে গেলো। টেনশনের পারদ চড়তে শুরু তখন থেকেই। ওভার প্রতি ৪ রান, সেটাও ভুলে গেলেন রোহিত ? ইদানিং রোহিত শর্মা চ্যালেঞ্জটা নিতে পারছেন না। তারপরেই শুরু হলো আগের দিনের মতো ধীর গতিতে বল দেখে অসাধারণ ক্রিকেট। আমার নিশ্চিত ভালো লেগেছে কেএল রাহুলের খেলা। উনি ওপেন করে থাকেন আবার প্রয়োজনে উইকেটকিপারের কাজটাও ভালো করেন। তবে এতক্ষন উইকেটের পিছনে থেকে ক্লান্তি আসে কাজেই কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে পরে পাঠানোর ভাবনা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত ওই তো ওপেনের মতোই করতে হলো দ্রুত তিন উইকেট পরে যাওয়াতে। একটা ভরসা ছিল যে বিরাট ঠিক খেলে দিতে পারে কিন্তু তাঁর দেশ রানের মাথায় হুক করতে গিয়ে যে ক্যাচ দিয়েছিলেন তাকে একেবারে লোপ্পা ক্যাচ বলা যেতেই পারে কিন্তু সেটাই অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপারের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝিতে ফেলে দিলেন মার্শ। আমি মনে করি ওটাই টার্নিং পয়েন্ট। খেলাটাই ফেলে দিলেন মার্শ। বাকি আউট হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রাহুলকে মানসিক বল জুগিয়ে কি খেলাটাই না খেললেন বিরাট কোহলি। একেবারে শেষ দিকে যখন আউট হলেন তখন জয়টা সময়ের ব্যাপার। টেনশন না থাকলে আবার কিসের খেলা ?
(অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত )