
আগের দুই টেষ্টের মতোই তৃতীয় টেস্টেও ইন্দোরে ঘূর্ণি পিচ করেছিল ভারত। আগের দুই টেস্টে ভারতের কাছে দুরমুশ হয়েছিল প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। দিল্লির টেষ্টের পরেই কামিন্স দেশে ফিরে যান মায়ের অসুস্থতার জন্য। অনেকেই বলেছেন, অসুস্থ হওয়াটা নাকি বাহানামাত্র, আসলে ভারতে এসে সবকটি টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দায়ভার নিতে চায়নি কামিন্স। অবশ্য তা একদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভালোই হয়েছে, নেতৃত্বে ফিরেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
স্মিথকে কোনও একটি দোষের জন্য শাস্তিস্বরূপ নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এটা বাস্তব স্মিথ কিন্তু যেমন ভালো ব্যাটার তেমনই ভালো অধিনায়ক। কামিন্স ফিরে আসাতে ভালোই হল স্মিথের পক্ষে। ভারতের উইকেট সম্বন্ধে ভালো ধারণা রয়েছে তাঁর। আইপিএলে অধিনায়কও হয়েছেন। ভারতের পিচ বা উইকেট নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে যে, এ কোন ধরণের উইকেট যেখানে ব্যাট ধরতেই পারছেন না।
দুই দলের খেলোয়াড়রা। আইসিসি-তে অভিযোগ দেওয়ার কোথাও হয়েছে। ভারতের বক্তব্য এবিষয়ে পরিষ্কার যে, অস্ট্রেলিয়ায় গেলে গ্রিন টপ উইকেট দেওয়া হয় যেখানে গোলার মতো ফাস্ট বোলাররা বল করে, সেখানে ভারতে উইকেট স্পিনারের উপযুক্ত হবে এটাই তো স্বাভাবিক। যদিও ভারতে বিশ্বসেরা ফাস্ট বোলার রয়েছে। কিন্তু ওই বল খেলে অভ্যস্ত অজিরা, কাজেই তাদের বিপাকে ফেলার উপায় স্পিনিং ট্র্যাক।
বুধবার ইন্দোরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার দল মাত্র ১০৯ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। বেশি রান করেন বিরাট কোহলি মাত্র ২২। অস্ট্রেলিয়া এবার ভারতে ৪ জন স্পিনার নিয়ে এসেছিল। ম্যাথু কুনেমান ৫ উইকেট, নাথান লায়ন পান ৩ উইকেট এবং টড মার্কি একটি। এরপর ব্যাট করতে নেমে কিন্তু এক উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভারতের রানকে টপকে যায়।
কিন্তু তারপরেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন জাদেজা। তিনি পরপর ৩ উইকেট এবং সর্বোপরি ৪ উইকেট দখল করেন। আপাতত অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ১৫৪। সেরা ব্যাটাররা সবাই আউট। কিন্তু কোনওভাবে যদি প্রথম ইনিংসে ১০০ বা তার বেশি রানের লিড নিতে পারে অজিরা তবে ভারত চাপে পড়বে। কাল এই টেস্টের দ্বিতীয় দিন।