
শীতকাল মানেই নারকেল বা ক্ষীরের পুরভর্তি গরম গরম পাটিসাপটা। প্রতি বাড়িতেই শীতকালে পাটিসাপটা তৈরি ও খাওয়ার চল বহুদিনের। তবে এখন অনেকে শারীরিক কারণে বা লোকবলের অভাবে দোকান থেকে পাটিসাপটা কিনে এনে খেয়ে থাকেন। কিন্তু আজকের দিনে মধুমেয় রোগে অনেকেই আক্রান্ত। তাই তাঁদের বাড়িতে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাটিসাপটা তৈরি করা হয় না। কিন্তু মধুমেয় রোগীরা এবার শীতে জমিয়ে পাটিসাপটা তৈরি করে খেতে পারেন। তবে নারকেল বা ক্ষীরের পুরের পাটিসাপটা নয়, মাছের পুরভর্তি পাটিসাপটা।
এবার দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে তৈরি করবেন এই পাটিসাপটা। দুশো গ্রাম পাকা কাতলা মাছের পেটি, আন্দাজমতো নুন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে কাঁটা ও ছাল ছাড়িয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ৫০ গ্রাম সরষের তেল গরম করুন। ওর মধ্যে একটা মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হলকা বাদামি করে ভেজে নিন। এক টেবিল চামচ আদা, রসুনবাটা দিন। ভেজে নিয়ে দু চা-চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা-চামচ হলুদ, এক চা-চামচ জিরের গুঁড়ো দিন। এবার সিদ্ধ করে কাটা ও ছাল ছাড়ানো মাছটা হাতের সাহায্যে চটকে ওর মধ্যে দিন। ভলো করে নেড়ে কষে নিন। হাফ চা-চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন ও এক চা-চামচ ধনেপাতা কুঁচি চড়িয়ে ভলো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। পুর তৈরি হয়ে গেল।
পুর তৈরি হয়ে গেলে পরের অংশ প্যানকেক তৈরির পদ্ধতি। একটি পাত্রে একশো গ্রাম ময়দা, পঁচাত্তর গ্রাম কর্নফ্লাওয়ার, দেড়খানা ডিমের গোলা, আন্দাজমতো নুন, চিনি ও জল দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে গোলা বা ব্যাটার তৈরি করে নিন। একটা ননস্টিকি ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে এক টেবিল-চামচ মাখন দিন। মাখনটা ছড়িয়ে দিন। এবার এক হাতা করে গোলা বা ব্যাটার তুলে প্যানের মধ্যে দিয়ে, নিভু আঁচে মিনিট তিনেক রাখুন। হলকা বাদামি রং করে গোলাকার গোলা রুটির মতো প্যানকেক তৈরি করুন। প্যানকেকের মধ্যে রান্না করা মাছের পুর ভরে পাটিসাপটার মতো রোল করে নিন। তাওয়া আঁচে বসিয়ে দু চা-চামচ করে সাদা তেল দিয়ে গরম করে পুরভর্তি পাটিসাপটাগুলোর দুপিঠ ভাল করে সেঁকে নিন। কাসুন্দি সহযোগে পরিবেশন করুন।