
রাজ্যপালের মন্তব্য অবান্তর, অবাঞ্ছিত। এভাবেই রবিবার জগদীপ ধনকরের সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'উনি ফাইল আটকে রাখছিলেন, কোনও সহযোগিতা করছিলেন না। তাই রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস নিয়োগের সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্যপালের এই মন্তব্যের আমি নিন্দা করছি।'
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামনে অনেকগুলো কাজ ছিল। যার মধ্যে অন্যতম পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। এসব কাজ না করে কে আচার্য হবে, সেই নিয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে হাজার হাজার বেকার যুবকদের কাজ দিন। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িতদের জেলে ঢোকান, মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করুন। তাই আমার মনে হয়, রাজ্যপাল ঠিক কথাই বলেছেন।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। আমি গোটা ঘটনায় খুব বিরক্ত। ২৫ জন উপাচার্যকে আইনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা স্বজনপোষণ এবং তোষামোদে যুক্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এক্সটেনশন আইন বহির্ভূত। কে আচার্য হবে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার কাটছাঁট করা সংক্রান্ত কোনও নথি আমার কাছে এলে আমি খতিয়ে দেখব। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, সব দুর্নীতির চেয়ে বড়। এতে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'