একসপ্তাহ পেরোলেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তি বজায়ই থাকলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে সরানো হোক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। এমনকী, বিচারপতি সিনহার এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন হওয়া কথোপকথন যাতে এজলাসের বাইরে না আসে। এই জোড়া আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি আবেদনই পত্রপাঠ নাকচ করে উল্টে কলকাতা হাইকোর্টে বল ঠেলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। দ্বিতীয় আবেদনের জন্য প্রয়োজন মনে করলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাত্ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কলকাতা হাইকোর্ট নজরদারি নয়, তদারকি চালাচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলেও চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের সেই এক্তিয়ারেও ৮ ডিসেম্বর হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। চলতি মাসেই এভাবেও একবার খালি ফিরেছেন অভিষেককে।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে হাইকোর্ট নজরদারির পরিবর্তে তদারকি করছে- এই অভিযোগ তুলে প্রথমে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। তবে অভিষেকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্ট উল্টে তদন্তে তাঁকে সাহায্য করার কথাই বলেছিল। এরপর হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের যান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেবারও বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এমনকি মামলাটির নিষ্পত্তিও করে দেওয়া হয়। ফলে সুপ্রিম অস্বস্তির মুখে পড়লেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। একসপ্তাহ পেরোতেই ফের জোড়া ধাক্কা খেয়ে খালি হাতে কলকাতা হাইকোর্টেই ফিরছেন কি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড, উঠছে প্রশ্ন।