
প্রসূন গুপ্তঃ বুধবার রাত থেকেই সমস্ত রাজনীতি যেন ১০ জনপথে থমকে গেলো। এদিন মূল বৈঠকের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী সেরে ফেললেন 'হোমওয়ার্ক'। খবর ছিল মঙ্গলবার রাতেই অভিষেক নাকি প্রশান্তকিশোর বা পিকের সাথে বিকেলের বিমানে দিল্লি চলে গিয়েছেন। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর মমতা বিরোধী একাংশের বক্তব্য ছিল নিশ্চিত চাপে পরে অভিষেক দিল্লিতে সেটিং করতে গিয়েছেন। কিন্তু কারওর মাথায় এটা এল না যে বিজেপির ঘোরতর বিরোধী ভোট সংগঠক পিকেকে কেন নিয়ে যাবেন অভিষেক। পর দিনই মুম্বইতে মূল 'ইন্ডিয়া'র বৈঠক। কিন্তু যতটুকু আভাস পাওয়া গেলো তা, অভিষেক নাকি রাহুলের সঙ্গেই একান্ত বৈঠক করতে চান অথবা রাহুল চেয়েছেন অভিষেকের সাথে বসতে এবং পিকে এর 'মাধ্যম'। এমনটিও শোনা গেলো শুধু অভিষেক রাহুল নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল না থাকায়, অভিষেক রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সেরে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে যে 'হঠাৎ' হলোটা কি?
বুধবার একেবারে ভোরে (সময় আন্দাজ ৬.৩০) ১০ জনপথে রাহুল ও অভিষেকের ব্রেকফাস্ট বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই বৈঠকে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে তার খবর কোনও মাধ্যমের কাছে নেই। তবে অভিজ্ঞাতায় এটা বলা যায় যে, আসন্ন ভোটের আগে স্ট্রাটেজি কি হবে বা বিজেপির তরফ থেকে কি কি চাপ বা পরিকল্পনা হতে পারে এটা নিশ্চই আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আপাতত বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ না থাকলেও কাকে অনেকটা দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এই ২৬ দলের জোটে ভাঙা এনসিপি আছে, ভাঙা শিবসেনা আছে এবং সর্বদা পাল্টে যাওয়া উচ্চাকাঙ্খী নীতীশ কুমারও রয়েছেন। অতএব এই দলের প্রাথমিক মুখ কোনও ভাবেই হয়তো শারদ পাওয়ার বা নীতীশবাবুকে দেওয়া যাবে না।
যদিও বৃহস্পতিবার ২৬ বিরোধী দলের কোনও কেউ কেউ মূল দায়িত্বে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অনেকটাই ভরসা করছে সোনিয়া বা রাহুল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপ যদি এই ২৬ দলের কারুর উপর আসে বা দল ভাঙানোর চেষ্টা হয় তবে সম্মিলিত ভাবে বিরোধীরা ভারত জুড়ে নানান আন্দোলনে নামতে পারে বলেই গুঞ্জন। নির্ভর করছে ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর।