
আজ, সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই অধিবেশন মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ (Parliament) ভবনে বসবে। সোমবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল পুরনো সংসদ ভবনে বসা শেষ অধিবেশন। তাই এদিন বিবৃতি দিতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বিশেষ অধিবেশনে পুরনো সংসদ ভবনে শেষবার বিবৃতি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, কোনও পরিবার পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে গেলে অনেক স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তবে, পুরনো এই ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে পথিকৃৎ হয়ে থাকবে। এছাড়াও তাঁর কথায় উঠে এসেছে জি-২০-এর সাফল্যের কথা। তিনি বলেন, কোনও এক দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। ১৪০ কোটি মানুষের জন্য জি-২০ সফল হয়েছে।
এর পর বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে তাঁর পূর্বসূরি হিসেবে জওহরলাল নেহেরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মনমোহন সিং, অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মুখে ঘুরেফিরে এসেছে জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর নাম। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল থেকে লালকৃষ্ণ আডবানীর নেতৃত্বকেও কুর্নিশ জানান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে উঠে আসে পণ্ডিত নেহেরুর দেওয়া মধ্যরাতের ভাষণ অর্থাৎ Tryst with Destiny প্রসঙ্গ। সেই ভাষণ আমাদের এখানও অনুপ্রাণিত করে, দাবি মোদীর। একইভাবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিখ্যাত 'উক্তি, সরকার আসবে, যাবে, দল আসবে, দল যাবে কিন্তু দেশ যাতে অটুট থাকে', এই প্রসঙ্গও নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা যায়।
আবার নিজের আমলের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও এক দেশ, এক করব্যবস্থা অর্থাৎ GST চালুর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র এক ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আস্থা ভোটে হারা যেমন দেখেছে, তেমন বহুত্ববাদ, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ দেখেছে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। এভাবেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে ১৯৪৭-২০২৩ পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস, সমৃদ্ধি, বৃদ্ধি, জি-২০ থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এছাড়াও তিনি তাঁর শৈশবের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছে, 'একটি গরিব শিশু সংসদে আসতে পারবে, তা কখনও কল্পনা করতে পারিনি।' এমনটা বলতে গিয়েও তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।