
প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ এক ৩৪ বছরের যুবক। তাঁর স্ত্রী পুলিসের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনিই নাকি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রেখেছেন। তাঁর দেখানো জায়গায় সেই যুবকের দেহ খোঁজা হলেও তাঁকে পাওয়া যায় না। এরপর স্ত্রীকে গ্রেফতার করার পর জামিনও পেয়ে যান তিনি। তবে এসবই পুরনো কথা, সম্প্রতি খবরে এসেছে, কিছুদিন আগেই নাকি তাঁর স্বামীকে এক গ্রামে দেখা গিয়েছে। এরপর তাঁর পালিয়ে যাওয়ার কারণ শুনেই অবাক পুলিস আধিকারিকরা। তিনি বলেন, 'স্ত্রীকে ভয় পেয়ে এতদিন লুকিয়েছিলাম।' ঘটনাটি কেরলের (Kerala) পাথানামথিট্টার।
সূত্রের খবর, কেরলের ৩৪ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম নওশাদ। তিনি পাথানামথিট্টার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি হঠাৎ বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। এভাবে আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার পিছনে স্ত্রী আফসানার হাত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আফসানাও দাবি করেছিলেন যে, তিনি তাঁর স্বামীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোথাও তাঁর দেহ খুঁজে না পেয়ে আফসানাকে জামিন দেওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার ইদ্দুকি জেলার এক গ্রামে নওশাদকে দেখা যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিসকে খবর দিতেই সেখান থেকে নওশাদকে খুঁজে বের করা হয়। এই দেড় বছর কেন লুকিয়ে ছিলেন, এমনটা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্ত্রীর ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। লোক জোগাড় করে তাঁকে মারধর করত বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নওশাদের স্ত্রী আফসানাকে পুলিস ডেকে পাঠান ও এই মামলায় পুলিসকে বিভ্রান্ত করার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।