
ইতিমধ্যে ১১০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel price hike)। গ্যাসের (Cylinder gas price hike) দাম রেকর্ড গড়ে হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। আকাশছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও । এমনকি প্রত্যেকদিনই বাড়ছে রান্নার তেল (Cooking oil), আলু থেকে শুরু করে শাক-সবজির দাম। তার মধ্যে গত আট বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation increase))। এতে সাধরণ মানুষ আরও শোচনীয় অবস্থার মধ্যে পড়তে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বৃহস্পতিবার এপ্রিল মাসের খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সূচক প্রকাশ করা হয়। আর তাতে রীতিমত চক্ষুচড়কগাছ বিশেষজ্ঞদের।
রিপোর্ট বলছে, এপ্রিল মাসে দেশে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৯ শতাংশে। এই নিয়ে টানা যেখানে মার্চ মাসেই ৬.৯৫ শতাংশ ছিল খুচরোর মুদ্রাস্ফীতির হার। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৪.২৩ শতাংশ। এক বছরের মধ্যে তা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির (Food inflation ) হারও ক্রমশ বাড়ছে। মার্চ মাসে এই হার ৭.৬৮ শতাংশ ছিল। সেখানে এপ্রিল মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৮ শতাংশ। প্রকাশিত তথ্য বলছে গত এক বছর আগেও এই সময়ে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৯৬ শতাংশ।
আরও ভয়ংকর হতে চলেছে পরিস্থিতি। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India)গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআইয়ের (RBI) বেঁধে দেওয়া দেওয়া মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৬ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি সেই সীমা গত চার মাস ধরেই অতিক্রম করে চলেছে। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট(Repo rate ) বাড়িয়েছে। আর এই অবস্থায় খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে জিনিসের দাম এখনই কমবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।