
গণবিবাহের (Mass Marriage) আগেই কনেদের শারীরিক পরীক্ষা। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কিনা! পরীক্ষা করে দেখা যায়, পাঁচ জন তরুণীর পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। অর্থাৎ, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। তাই তাঁদের বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (CM) কন্যা বিবাহ যোজনার আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। এই গণবিবাহ আয়োজিত হয়েছিল ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে। ২১৯ জন কন্যা সেই আসরে বিয়ের জন্য আগে থেকেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করিয়ে রেখেছিলেন। পাত্রও ঠিক ছিল সকলের জন্য। তবে বিয়ের আগে এই অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার রিপোর্ট নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। তাই এই গণবিবাহ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট কয়েকজনের ইতিবাচক আসার পর তাঁদের বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। বিয়ে বাতিল হওয়া কনেদের অভিযোগ, বিয়ে স্থির হয়েছে জেনে হবু স্বামীর সঙ্গে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। কিন্তু এভাবে আলাদা করে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে, বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, এতকিছু ঘটার কথা ভাবতে পারেননি কেউই। তবে সরকারের তরফে কেন এমন করা হল করা হল, তার কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, ‘অতীতে কখনও এভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা মহিলাদের অপমান। যাঁদের বিয়ে বাতিল হল, তাঁরা এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন?’
ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং রক্তাল্পতা বা অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কিনা, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন খাড়া করেছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন বেআইনি ভাবে গণবিবাহের আসরে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হল? কে-ই বা এই পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন?