প্রথমে রাঁচি হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্ট। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে হেমন্ত সোরেনে। তাঁর হয়ে সওয়াল করবেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দোসরা ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন তালিকাভুক্ত করতে সম্মতি দিয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক ভাবে রাঁচি হাইকোর্টে হেমন্ত সোরেন আবেদন করলেও পরে প্রত্যাহার করেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল।
সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারির আগে হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, সম্ভবত ইডি আজ আমাকে গ্রেফতার করবে। তবে আমি চিন্তিত নই, কারণ আমি শিবু সোরেনের ছেলে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা আমাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে মামলার সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই। এখনও কোন প্রমাণ তারা হাতে পায়নি। আমার দিল্লির বাসভবনে অভিযান চালিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের এখন নতুন করে লড়াই করতে হবে যারা দরিদ্র, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করে তাদের বিরুদ্ধে। এমনকী, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট হার মানবো না।
এদিকে জেএমএম সূত্রে খবর, ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতে শাসক জোটের বিধায়কদের হায়দরাবাদে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বিশেষ চার্টার্ড বিমানে তাঁদের হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। বুধবার জেএমএম দাবি করে তাদের সঙ্গে ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ৩৫ জন শাসক জোটের বিধায়ককে পাঠানো হবে নিজামের শহরে। হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ কিছু বিধায়ক কেবল রাঁচিতে থাকতে পারেন বলেই খবর। বৃহস্পতিবার সকালেই আদালতে পেশ করা হয় ধৃত হেমন্ত সোরেনকে। ১০-১২ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।