
কথায় রয়েছে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এবার টয়লেট পিক খননে বেরিয়ে এল ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত সোনার মুদ্রা। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার কোতোয়ালি এলাকার মচলি শাহার কাজিয়ানা মহল্লার বাসিন্দা নুর জাহানের বাড়ির ভিতরে একটি টয়লেট পিট খোঁড়ার সময় মুদ্রাগুলি পাওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। প্রথমে পরিবারের সদস্য ও শ্রমিকরা এই ঘটনা কাউকে জানাননি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার পুলিস মুদ্রাগুলো বাজেয়াপ্ত করে। জানা গিয়েছে, সমস্ত মুদ্রা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত (১৮৮৯-১৯১২ এর মধ্যে)। ইতিমধ্যে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কয়েকজন শ্রমিক পলাতক রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইমাম আলি রাইনের স্ত্রী নুর জাহান একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করেন। তাঁরা গর্ত খনন করার পরই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ। একটি তামার পাত্রে মেলে সেই পুরোনো আমলের মুদ্রা। এরপরে কে নেবেন সেই মুদ্রাগুলি, তা নিয়ে শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া শুরু করেন।
পরিবার সূত্রে খবর, এমনকি মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। পরের দিন শ্রমিকরা ফিরে এসে লোভের বশে আবার খনন শুরু করেন। এরই মধ্যে এক শ্রমিক ভূতের ভয়ে স্বর্ণমুদ্রা পাওয়ার কথা জানান রাইনের ছেলেক। জিজ্ঞাসা শুরু করলে শ্রমিকটি একটি মুদ্রা দেখায় প্রমাণস্বরূপ।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনার খবর পুলিসের কাছে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ। পুলিস রাইনের ছেলেকে নিয়ে শ্রমিকদের কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নেয়। শ্রমিকরা প্রথমে এ ধরনের ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে নেন।
শ্রমিকরা পুলিসকে নয়টি স্বর্ণমুদ্রা ফেরত দেন। এবং একটি মুদ্রা ফেরত দেন বাড়ির মালকিন নুর জাহানকে। তামার পাত্রে আসলে কতগুলি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস কর্মীরা তার তদন্ত শুরু করেছে।
মচলি শাহর আধিকারিক আতর সিং বলেন, "আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোট ১০টি কয়েন পাওয়া যায়। সব কয়েনই সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।"