
ফের সীমান্তের জঙ্গি-সেনার মধ্যে চলছে গুলির (Encounter) লড়াই। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama) জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি দমন অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার মিত্রিগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করে।
সেসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে সেনা জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি গুলির লড়াই চলছে। এর আগেও বহুবার উপত্যকায় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টারের মতো ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। যতক্ষণ না পুলিস নির্দেশ দেবে ততক্ষণ নিরাপত্তার জন্য বাড়ির মধ্যেই থাকার কথা জানিয়েছে পুলিস।
বাথরুম থেকে উদ্ধার এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ (Body)। পাশে পড়েছিল একটি ছুরি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই মহিলার সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছের এক বাড়িতে। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিস (Police)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোটাপুরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিস জানিয়েছে, মহিলার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মহিলার সঙ্গে ওই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন এক যুবক। ওই যুবকের নাম নঈম। মহিলার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই যুবকের ফোন সুইচড অফ, দাবি পুলিসের।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুগলকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি, তাঁদের ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে ঘরের মধ্যে ঢোকেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনিই প্রথম দেখতে পান বাথরুমের মধ্যে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘরের মধ্যে মহিলার সঙ্গীর আধার কার্ড পায় তাঁরা। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গীর ব্যাপারে জানতে পারে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে খুন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ক্যুরিয়ার অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির পাঠানো লিঙ্ক ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে গেলো কয়েক হাজার টাকা। ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সংস্কৃতিমন্ত্রী অমরজিৎ ভগতের ওএসডি অতুল শেঠ সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে দাবী করেন। গত ১৩ই মার্চ সোমবার ক্যুরিয়ার অফিস থেকে তাঁর বাড়িতে একটি ডেলিভারি (Online Delivery) আসার কথা ছিলো। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় ডেলিভারি বয়টি ফিরে যান।ইন্টারনেট থেকে খুঁজে ওই ক্যুরিয়ার অফিসের কাস্টমার কেয়ার (Customer Care) নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন তিনি। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজেকে ক্যুরিয়ার অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় ডেলিভারি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু সে জন্য তাঁকে অনলাইনে দু-টাকা ডেলিভারি ফি দিতে হবে। তাতে রাজি হলে তাঁর মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই চোখের পলকে হাজার হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় তাঁর।
শুক্রবার সাইবার প্রতারণার অভিযোগে রাইপুরের তেলীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন অতুল শেঠ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে চারটি কিস্তিতে মোট ৯৯,৯৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, সাইবার প্রতারণায় অভিযুক্ত পশ্চিমের বাসিন্দা। তাছাড়া ইন্টারনেটের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরটিও ভুয়ো (Fake Call)। যেকারণে লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অতুল শেঠের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যায় এবং টাকা-পয়সা নিমেষে হাতিয়ে নেয়। অভিযুক্তের খোঁজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন পুলিস।
ফের বিমানেই (Airplan) মৃত্যু হল এক যাত্রীর (dead)। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই যাত্রী। বিমানটিকে তড়িঘড়ি নাগপুরে (Nagpur) বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করেও শেষরক্ষা হল না। রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর (Indigo) একটি বিমানেই ঘটে এই ঘটনা। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান যখন আকাশে উড়ছে ঠিক সেই সময়ই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এই পরিস্থিতির কথা জানাতেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবতরণও করা হয় বিমানটিকে। বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে আগে থেকেই তৈরি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও প্রয়োজনের কথা ভেবে বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স রেখে দেওয়া হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই অ্যাম্বুল্যান্সের রক্ষণাবেক্ষণকারী আয়াজ শামি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর দিল্লি-দোহাগামী বিমানেও এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃত্যু হয়।
প্রবল তুষারপাতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হলো উত্তর-পূর্ব-সিকিম। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে হঠাত্ই আবহাওয়ার বদল দেখা যায়। যার কারণে উত্তর-পূর্ব সিকিমে বহু পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
শুক্রবার সিকিম প্রশাসন উত্তর-পূর্ব সিকিম তুষারপাতের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। জানা যায়, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির ও নাথুলায় ভারী তুষারপাতের জন্য পর্যটকদের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তুষারপাত শুরুর সময় অনেক পর্যটক আটকে পড়েছে সিকিমে। সেনাবাহিনী সূ্ত্রে খবর, উত্তর সিকিমের সব জায়গা মিলিয়ে কমবেশি ১ হাজার পর্যটক আটকে পড়েন। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁদের উদ্ধারে নামে সেনা। গভীর রাত পর্যন্ত তা চলে। পর্যটকদের উদ্ধারের পর সেনা ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে মূল শহরে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের(Rape)অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান খয়ালী সহারনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে। বৃহস্পতিবার জয়পুরের(Jaipur)মানসরোবর থানায় খয়ালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে কৌতুকশিল্পীকে গ্রেফতার করে মানসরোবর থানার পুলিস(Police)। মানসরোবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সন্দীপ যাদব বলেছেন, 'মহিলার দায়ের করা অভিযোগের পর কৌতুক অভিনেতার বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কৌতুক শিল্পী আম আদমি পার্টির(AAP) কর্মী ছিলেন। এমনকি তিনি ‘ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ সিজন ২’ ও কপিল শর্মার শোয়েও অতিথি হয়ে এসেছিলেন। চলতি মাসের সোমবার চাকরি পাইয়ে দেবে বলে নির্যাতিতা তরুণীকে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে নিয়ে যান খয়ালী। সেখানেই এমন ঘৃণ্য কাজ করেন তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, শ্রীগঙ্গানগরের বাসিন্দা ওই মহিলা। মহিলাটি একটি ফার্মে মার্কেটিং এগজিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন। তিনি অন্য এক মহিলার কাছে প্রায় এক মাস আগে একটি নতুন কাজের জন্য সাহায্য চায়। পরে সেই অন্য মহিলায় তাঁকে কমেডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
তদন্তে পুলিস জেনেছে, খয়ালী হোটেলে দু’টি ঘর বুক করেছিলেন। একটি নিজের জন্য এবং অন্যটি দুই মহিলার জন্য। এরপর তরুণীর অভিযোগ, কমেডিয়ান নিজে মদ্যপান করেন এবং ওই দুই মহিলাকেও মদ্যপান করতে বাধ্য করেন। তারপরই অন্য মহিলাটি ঘর থেকে চলে গেলে সুযোগ বুঝে তরুণীকে ধর্ষণ করেন খয়ালী।
এই ঘটনায় পুলিস আম আদমি পার্টির মুখপাত্র যোগেন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে এই বিষয়ে যোগেন্দ্র গুপ্ত বলেন, 'আপ-এর লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। খয়ালী তাঁদের মধ্যে একজন। সে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার দায় পার্টি কেন নেবে?'
হায়দাবাদের একটি বহুতল কমপ্লেক্সে আগুন(Fire) লাগায় মৃত্যু (Death) দুই মহিলা-সহ ছয় জনের। বৃহস্পতিবার রাতে এক বহুতলের পাঁচতলায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিস সূ্ত্রে খবর, বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাত জনকে উদ্ধার করা হয়। দুই মহিলা-সহ আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
দমকল সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরবেলা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে ১০টি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। সূ্ত্রের খবর, কাজ চলাকালীন বেশকিছু জন ওই বহুতলে আটকে পড়েছে বলে খবর ছড়ায়। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পাড়ে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায় পাঁচতলা থেকেই আগুন লাগে তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে।
বিয়ের (Marriage) ৬ বছর পর প্রকাশ্যে এল অবাক করা সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কাঁপছে আশ্চর্য এই ঘটনায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল (Viral) হয়েছে এই আজব ঘটনা, যা ঘিরে হইচই পড়েছে নেট দুনিয়ায়। ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, ছয় বছরের বিবাহিত সম্পর্ক। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। এত বছর পর ওই ব্যক্তি জানতে পারলেন তাঁর স্ত্রী রক্তের সম্পর্কের বোন।
ওই ব্যক্তি নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ছেলের জন্মের পরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। এরপর বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করে জানা গিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে হবে। তবেই সুস্থ হবেন তিনি। কিন্তু সেসময় কিডনি ডোনার হিসেবে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি নিজেই কিডনি দেবেন। নিজের সিদ্ধান্তের কথা তিনি চিকিৎসকদের জানান। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তিনি কিডনি দিতে সক্ষম।
তবে চিকিৎসকরা কিছু সন্দেহ করেছিলেন। এরপর ডাক্তাররা বলেন, 'ওই ব্যক্তিকে ‘এইচএলএ’ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষা করতে হবে। সেই মতো পরীক্ষাও করান। এক্ষেত্রেও তাঁর সঙ্গে মিল পাওয়া যায় স্ত্রীর।' চিকিৎসকরা জানান, 'শরীরে একই রক্ত যাঁদের, এমন দু’জনের ক্ষেত্রে এইচএল পরীক্ষার ফল মিলে যায়। পুরো ঘটনাটি স্ত্রীকে জানালে দু'জনেই চমকে যান। কী করবেন বুঝে উঠতেও পারছিলেন না। কারণ, স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই মা-বাবা আগেই মারা গিয়েছেন।'
নেটমাধ্যমে বিষয়টি জানাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জানান, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবার কিছু নেই। এত বছর একসঙ্গে থাকার পর এই ঘটনাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। বরং ছেলের উপর যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
একসময় গ্রামগঞ্জে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যমই ছিল গরুর গাড়ি (bullock cart)। নতুন বউকেও ঘরে আনা হত গরুর গাড়িতে করে। ধীরে ধীরে গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। গ্রামের পথে নেমেছে ভ্যান, মোটরচালিত যানবাহন, সাইকেল, মোটরবাইক। কিন্তু সম্প্রতি সেই পুরোনো প্রথাকে ফিরিয়ে আনল নবদম্পতি। নববধূ গরুরগাড়ি চড়েই গেলেন শ্বশুরবাড়িতে। আর সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন তাঁরাই। ভিডিওটি ভাইরাল (Viral Video) হতেই প্রশংসাও কুড়িয়েছে নেটিজেনদের। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশাতে (Odisha)।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় গাঁটছড়া বেঁধেছেন সরিতা বেহেরা ও মহেন্দ্র নায়েক। দম্পতির পূর্ব পরিকল্পনা ছিল পুরনো প্রথা মেনে বিয়ে করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। মোটরগাড়িতে চড়ে তাঁরা বিয়ে করতে চাননা বলে পরিবারকে জানায়। স্থির হয় ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাবেন মহেন্দ্র। আর গোরুরগাড়িতে করে শ্বশুরবাড়ি আসবেন সরিতা। এমন অভিনব প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যায় দুই পরিবার।
এরপর বহু খোঁজাখুঁজি করে মেলে একটি গরুরগাড়ির সন্ধান মেলে। বিয়ের দিন মহেন্দ্র ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে গঞ্জাম জেলার বাঁকটারা গ্রামে আসেন সরিতার বাড়িতে। ঘোড়াটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সুন্দরভাবে সাজানো গরুরগাড়িতে চড়ে সরিতা ৮ কিলোমিটার দূরে মহেন্দ্রর বাড়িতে যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করতেই মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা নতুন উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন।
পোস্টার হাতে ভুলের ক্ষমা চাইতে থানায় হাজির এক মোটরবাইক চোর। পুলিস এনকাউন্টার থেকে বাঁচতে কি এই ক্ষমাপ্রার্থনা? বুধবার মুজফ্ফরনগরের মনসুরপুর থানায় পোস্টার হাতে ঢুকে আত্মসমর্পন (Surrender) এক মোটরবাইক চোরের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা সেই পোস্টারে। পুলিস (Uttar Pradesh Police) সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্ত মোটরবাইক চোরের নাম অঙ্কুর। অভিযুক্তর এরকম অপরাধ স্বীকার দেখে মনসুরপুর থানার এক পুলিসকর্মী বলেন,'অভিযুক্ত অঙ্কুর এনকাউন্টারের (Encounter) ভয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই অপরাধ স্বীকার করেছে।'
কারণ, যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে এনকাউন্টার অনেক বেড়ে গিয়েছে। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ন’হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিসি এনকাউন্টারের একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই বুধবার গ্রাম প্রধান এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অভিযুক্ত অঙ্কুর তাঁর অপরাধ স্বীকার করতে থানায় হাজির। খুনের চেষ্টা ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা থাকায় পুলিস অভিযুক্ত অঙ্কুরের খোঁজে ছিল। তাই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় আন্দোলনে (DA Agitation) রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যে পালিত হয়েছে কর্মবিরতি, ধর্মঘট। সুপ্রিম কোর্টে বাংলার ডিএ (DA Row) মামলার ভবিষ্যৎ বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য একপ্রস্থ ডিএ ঘোষণা করবে মোদী সরকার (Modi Government)। অন্তত ৪% হারে ঘোষিত হতে পারে কেন্দ্রীয় ডিএ।
হিসাব অনুযায়ী, এই ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ফলে চলতি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি যেমন হবে, তেমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বা তাঁদের পেনশনভোগী স্বজনরাও এই বর্ধিত ডিএ-র সুবিধা পেতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু’বার কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ বা মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে। প্রথম দফায় জানুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় দফায় জুলাই মাসে ডিএ ঘোষণা হয়।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Deputy CM) স্ত্রীকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ এক ফ্যাশন ডিজাইনার। দেবেন্দ্র ফড়নবিসের (Devendra Fadnavis) স্ত্রী অমৃতাকে ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব (Bribe Row) দেওয়ার অভিযোগ। পোশাকশিল্পী-সহ তাঁর বাবার নামে মামলা রুজু মুম্বই পুলিসের। জানা গিয়েছে, ওই পোশাকশিল্পীর বিরুদ্ধে থাকা একটি পুরনো ফৌজদারি মামলা ধামাচাপা দিতেই এই ঘুষের প্রস্তাব উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে (Amruta Fadnavis)।
শিবসেনা (শিন্ডে) পন্থীদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আর জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র। তাঁর হাতেই আবার রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বামীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে স্ত্রী অমৃতাকে ব্যবহার করতে এই ঘুষের প্রস্তাব-কাণ্ড বলে খবর। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত অমৃতা গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালাবার হিলস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মুম্বই পুলিসের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, '১৬ মাসে একাধিক বার অমৃতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং তাঁর বাবা। গত ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি অজানা ফোন নম্বর থেকে পুলিসমন্ত্রীর স্ত্রীকে ভিডিও এবং অডিও বার্তা পাঠান তাঁরা। ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাবের পাশাপাশি, কয়েক জন বুকির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে আরও টাকা পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।' এরপরেই পুলিসে অভিযোগ জানান উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী।
নাবালিকা নাতনিকে যৌন নিগ্রহের (Rape) অভিযোগ ৬০ বছরের দাদুর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের ঘটনা। এমনকি কুকীর্তি ঢাকতে এবং মুখ বন্ধ রাখতে নাবালিকা নাতনিকে ১০ টাকা ঘুষও দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা ঘটনার আঁচ করতে পেরে অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে যান। ইতিমধ্যেই পুলিস (Police) গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় মা-মেয়ে মাঠে ছাগল চড়াচ্ছিলেন। সেই সময় নাবালিকার দাদু এসে মাকে বাড়ির অন্য কাজে পাঠিয়ে দেন। পরে নাতনিকে কাঠ কাটার জন্য কুঠার আনতে বলেন। নাতনি কুঠার হাতে দাদুর কাছে পৌঁছলে দাদু তাকে যৌন নিগ্রহ করেন। নিগ্রহের পর নাবালিকার মুখ বন্ধ রাখার জন্য ১০ টাকা ঘুষ দেন দাদু, এমনটাই অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সময় ওই এলাকা দিয়ে জল আনতে যাচ্ছিলেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে গ্রামের অন্যদের খবর দেন। সেই সময়ই গ্রামের সকলে মিলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিযুক্তকে। তারপরই অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় থানা আধিকারিক মনোজকুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, 'নাবালিকার মা, শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।'
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর(Student) নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (Suicide)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) লখনউতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিস (Police) ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবার। অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকারা ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেছিলেন। এমনকি পরীক্ষায় টুকলি করেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষিকারা।
এই ঘটনার জেরে পুলিসের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা। ছাত্রীর বাবা জানান, 'মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁর মেয়েকে হেনস্থা করেছেন শিক্ষিকারা। তারপর থেকেই তাঁর মেয়ে সবসমই মনমরা হয়ে থাকত। তবে সে যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের সদস্যরা।'
তবে পুলিস জানিয়েছে, ছাত্রীর কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কেন সে আত্মঘাতী হল, তা জানতে চাওয়া হলে পরিবারের সদস্যেরা স্কুলের ঘটনা বলেন। তবে সত্যিই স্কুলের শিক্ষিকাদের বকুনির কারণেই এই ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ আছে, তার তদন্ত করছে পুলিস।
ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার (Helicopter)। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) মান্ডালায় ভেঙে পড়ল বিমান। মহড়া চলাকালীনই হঠাত্ ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। ঘটনা জেরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং মেজর পদমর্যাদার দুই পাইলট নিখোঁজ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ আচমকাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টারটির। তারপরই ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। সেনা সূত্রে দাবি, বমডিলার পশ্চিমে মান্ডালা পাহাড়ে ভেঙেছে চিতা।
সেনার পিআরও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বলেন, 'বমডিলায় মহড়া চলছিল ওই হেলিকপ্টারের। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি মান্ডালায় ভেঙেছে। হেলিকপ্টারের খোঁজে ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হয়েছে।'