
সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল টিম উদ্ধব ঠাকরে। বৃহস্পতিবার নির্ঘণ্ট মেনেই সকাল ১১টায় আস্থা ভোট হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। আস্থা ভোটের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে উদ্ধব ঠাকরেদের তরফে করে মামলায় সাড়া দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার প্রায় আড়াই ঘণ্টার সওয়াল-জবাবের পর বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করতে পারে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে এদিন বিরত থেকেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনটাই আইনজ্ঞদের ধারণা।
বুধবারই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেন লক্ষ্মীবারে আস্থা ভোট আয়োজন করার। একই নির্দেশ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছেও। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টিম উদ্ধব। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন তিনি।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের এতদিন পর সক্রিয় বিজেপি। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন অবশেষে অন্তিম পর্যায়ে যেতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বসছে বিধানসভা এবং সকাল ১১টায় আস্থা ভোট নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। এমন নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মঙ্গলবার রাতে রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর সময় আস্থা ভোটের আর্জি জানান। সেই মতোই বিধানসভার সচিবকে চিঠি লিখে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশন ডেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
মাস ঘুরলেই দেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন। শাসক-বিরোধী যুযুধান দুই পক্ষই ঘোষণা করেছে প্রার্থীদের নাম। জমা পরে গিয়েছে মনোনয়নও। এই আবহে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আগামি ৬ অগাস্ট এই পদে নির্বাচন। বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ ১০ অগাস্ট। তার আগেই শেষ করতে হবে উপনির্বাচন পদে ভোটাভুটির প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ৬ অগাস্টই ফল ঘোষণা।
জানা গিয়েছে, বিজেপি এই পদে প্রার্থী হিসেবে কোনও সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে দৌড়ে অনেক এগিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। এদিকে আবার রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে বেঙ্কাইয়া নাইডুর। তিনি রাষ্ট্রপতি ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুকে। তাই এবার বেঙ্কাইয়ার গোঁসা কমাতে ফের তাঁকেই উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করতে পারেন মোদী-শাহরা।
এদিকে, উপরাষ্ট্রপতি পদটি সংসদীয় গণতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পদকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলাতে হয়। পাশাপাশি সংসদে বিরোধীরা কতটা গুরুত্ব পাবে, তা অনেকাংশ নিয়ন্ত্রিত হয় উপরাষ্ট্রপতির হাত দিয়ে। এদিন নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ১৯ জুলাই। ২০ জুলাই মনোনয়ন পত্র স্ক্রুটিনি করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষদিন আগামী ২২ জুলাই।
১ জুলাই, রথযাত্রা। এই উত্সবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে আহমেদাবাদজুড়ে এখন কড়া নিরাপত্তা। খাকি আর জলপাই রঙের উর্দিতে ছেয়ে গিয়েছে গুজরাটের রাজধানী শহর। রথ বলতে সবার মনে একবাক্যে যে জায়গাটার নাম মনে আসে, তা হল পুরী। তবে রথকে ঘিরে আরও একটা জায়গার মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে, তা হল আহমেদাবাদবাসী। এর সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে হুগলির মাহেশের রথ। তবে পুরীর মতো ধারেভারে বিখ্যাত না হলেও আহমেদাবাদের রথযাত্রা উত্সব দেশের মধ্যে নামকরা। এবার ১৪৫ বছরে পা দিল এই রথযাত্রা।
রথযাত্রার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কিন্তু মাথার ওপর সন্ত্রাসের ছায়া। এমন পরিস্থিতিতে রথযাত্রা উত্সবে যাতে কোনওরকম ভাটা না পড়ে তাই আহমেদাবাদের ২২ কিলোমিটার যাত্রাপথ ২৫ হাজার পুলিস ও নিরাপত্তা কর্মীর চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ৪৬টি ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি। চলন্ত গাড়িতেও থাকবে ড্রোন। এবং আড়াই হাজার পুলিস্কর্মীর শরীরে বসানো থাকবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বলে জানায় পুলিস প্রশাসন।
রাজস্থানের উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়ালালের গলা কেটে খুন কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবারের এই খুনের ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আর আটক করেছে ৭ জনকে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মৃত কাপড়ের ব্যবসায়ী কানহাইয়ালালের স্ত্রী।
তিনি বলেন, 'অভিযুক্তকে ফাঁসি দাও। আজ সে আমার স্বামীকে মেরেছে, কাল অন্যদেরও মেরে ফেলবে।' কানহাইয়ালালের শেষকৃত্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল। কড়া পুলিসি নিরাপত্তার মধ্যে তাঁর শেষকৃত্যে সম্পন্ন হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার ও আত্মীয় পরিজনেরা।
রাজসামন্দের পুলিস প্রধান সুধীর চৌধুরী এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ওই দুই মূল অভিযুক্ত উদয়পুরের উপকণ্ঠে একটি হাইওয়েতে সাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। ধরা পড়ে পুলিসের জালে। কারণ আগে থেকে সে জায়গা পুলিসি ব্যারিকেডে ঘিরে রাখা হয়েছিল। আর সেই ভিডিও টুইটে শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কারী নীতিন আগরওয়াল।
राजस्थान पुलिस ने उदयपुर हत्याकांड के दोनों हत्यारों को पकड़ लिया हैं ।
— Nitin Agarwal (@nitinagarwalINC) June 28, 2022
राजस्थान पुलिस ने मौक़े पर ही खातिरदारी की है। अभी और भी ख़ातिरदारी होनी है।
यह कांग्रेस शासित राजस्थान हैं यहाँ असामाजिक तत्व बिल्कुल भी बर्दाश्त नहीं किये जायेगे।#Udaipur pic.twitter.com/kBflQ0qzdB
আজ, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনআইএ-কে। এবং কানহাইয়ার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে কানহাইয়া লালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, কানহাইয়ার শরীরে ২৬টি ক্ষত, ঘাড়ের কাছে ৮ থেকে ১০টি ক্ষতের প্রমাণ মিলেছে। একইসঙ্গে অভিযুক্তরা শরীর থেকে গলা আলাদা করার চেষ্টাও করেছিল।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করায় কানাইয়া লালকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় বুধবারও উদয়পুর-সহ রাজস্থানে উত্তেজনা বজায় থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। কোথাও কোথাও জারি করা হয় ১৪৪ধারা।
বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মঙ্গলবার রাতে রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর সময় আস্থা ভোটের আরজি জানান। সেই মতোই বিধানসভার সচিব রাজেন্দ্র ভাগবতকে চিঠি লিখে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার কথা উল্লেখ করে সকাল ১১টায় ডাকা বিধানসভায় আস্থা ভোট নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিবসেনার মুখ্য সচেতক সুনীল প্রভু।
তাঁর দাবী, রাজ্যপালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন সুনীল। তাঁর দাবি, একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের দলবিরোধী কার্যকলাপের ফলে তাঁদের পদ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত যাতে বিধানসভায় আস্থা ভোট না করানো হয়। কারণ ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা এখনও শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে রাজ্যপালের এহেন নির্দেশ অসঙ্গত বলে দাবি করেন সুনীল প্রভু। বুধবার বিকেল ৫টায় যাতে এ বিষয়ে শুনানি হয় সেই আবেদনও করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি শীঘ্রই মুম্বইতে ফিরে আসবেন। শিন্ডের দাবি, তাঁর প্রায় ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন শিবসেনা এবং বাকিরা নির্দলের।
বিহারে বজ্রপাতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংখ্যাটা ১৬ জন। মৌসম ভবন বজ্রপাত নিয়ে বিহারে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। জানা গিয়েছে, পূর্ব চম্পারণ জেলায় ৪ জন, ভোজপুর ও সারানে ৩ জন, পশ্চিম চম্পারণ ও আরারিয়ায় ২ জন এবং বাঙ্কা ও মুজাফফরপুরে ১ জন করে মৃত। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
এই বিবৃতি প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণ করার জন্য জনগণের কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিকবার বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারে। ২০ জুন বজ্রপাতে গোটা রাজ্যে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কংগ্রেসশাসিত রাজস্থান। প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করায় মুণ্ডচ্ছেদ এক ব্যক্তির। পেশায় দর্জি রাজস্থানের উদয়পুরের ব্যক্তি কানাইয়া লালকে খুন করে দুই আততায়ী। এই ঘটনা এবং একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই বুধবারও উদয়পুর-সহ রাজস্থানে চাপা উত্তেজনা। যদিও ঘটনা জানাজানি হতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিস। প্রথমে হামলা এবং মুণ্ডচ্ছেদের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এই ঘটনার পিছনে কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থার মদত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে এনআইএ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি মিলে ওই দর্জিকে খুন করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে গোটা রাজস্থান জুড়ে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলেছে অবস্থান বিক্ষোভ।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে মুখ খুলতে বাধ্য হয়, খোদ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। তিনি বলেন, ‘আমি এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি। উদয়পুরে এক যুবককে খুন করা হয়েছে। সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। এক মাসের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার উদয়পুর ও এর আশেপাশে ৬০০ অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং শহরের কিছু অংশে কারফিউ ঘোষণা করেছে।
জানা গিয়েছে, কানহাইয়া লালকে ঘটনার দিন একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা তাঁর গলাও কেটে দিয়েছে। পুলিসকে এমন দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এমনকি, হত্যার সেই ভিডিও এবং হত্যার দায় নিয়ে করা একটি ভিডিও অভিযুক্তরাই ভাইরাল করেছে। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। সেই ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্তরা।
জানা গিয়েছে, প্রথমে গ্রাহক সেজে দোকানে ঢোকে ওই দুই যুবক। তারপর মাপঝোক করার সময়েই কানহইয়ালালের উপর হঠাৎ হামলা চালায় তারা। এই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই নেট মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। ভিডিওটি শেয়ার না করার অনুরোধও জানিয়েছে পুলিস। সিনিয়র পুলিস অফিসার হাওয়াসিং ঝুমারিয়া মিডিয়াকে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
করোনা মহামারীর কারণে গত ২ বছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। এবছর আবার শুরু হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল থেকে যাত্রা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ৩০ জুন থেকে ১১অগাস্ট পর্যন্ত মোট ৪৩ দিন ধরে চলবে এই যাত্রা। আজ, বুধবার শ্রী অমরনাথজি যাত্রীদের প্রথম দল জম্মু থেকে কাশ্মীর উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দু বছর পর শোনা গেল বম বম ভোলে এবং হর হর মহাদেব স্লোগান।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জম্মুর যাত্রী নিবাস ভবন থেকে অমরনাথ যাত্রীদের প্রথম ব্যাচের পতাকা উড়িয়ে দেন। আজ, বুধবার ভোরে ৩,০০০- এরও বেশি তীর্থযাত্রী কাশ্মীর উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। প্রশাসন এই বছর রেকর্ড সংখ্যক যাত্রীর আশা করছে।
যাত্রাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হুমকির আশঙ্কা থাকায় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিআরপিএফ-এর বাইক স্কোয়াড কমান্ডোদের দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় কড়া নজরদারি চলছে। লস্কর বাহিনীর ক্রমাগত হামলার হুমকি দিয়েছিল অমরনাথ যাত্রাকে লক্ষ্য করে। সে কারণেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সীমান্ত। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি এবং ড্রোনের নজরদারি চলবে।
উল্লেখ্য, এক বৈঠকে অমরনাথ যাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা। সংযুক্ত কমান্ডের ওই বৈঠকে সুরক্ষার পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য টেলিকম পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের ব্যবস্থার মতো নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেনা জানিয়েছেন, অমরনাথের গুহা পাহারা দেবেন তাদের কমান্ডোরা। যাত্রাপথের বিভিন্ন অংশে মোতায়েন থাকবেন আধাসেনা, জম্মু-কাশ্মীর পুলিসও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানেরা।
বিহারে বর্ষার আগমনে একদিকে মানুষ গরম থেকে স্বস্তি পেয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, মঙ্গলবার বজ্রাঘাতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্যোগ বিভাগের মতে, পূর্ব চম্পারণে ৪ জন, ভোজপুরে ৩ জন, সারনে ৩ জন, আরারিয়ায় ২ জন, পশ্চিম চম্পারণে ২ জন, মুজাফফরপুরে ১ জন এবং বাঙ্কায় ১ জন মারা গিয়েছেন। এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
মুখ্যমন্ত্রী দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের জারি করা নির্দেশাবলী অনুসরণ করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেন। তিনি জানান, "ঘরে থাকুন এবং খারাপ আবহাওয়ায় নিরাপদ থাকুন।"
জানা যায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন পূর্ব চম্পারনে। এরপর ভোজপুর ও সরণে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতর রাজ্যের ৩৮ টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করেছিল আগেই। এরপর এই ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতদের পরিবারে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের এতদিন পর সক্রিয় দেখা গেল বিজেপিকে। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন অবশেষে অন্তিম পর্যায়ে যেতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বসছে বিধানসভা। সেদিন বিকেল পাঁচটায় বিধানসভায় আস্থা ভোট নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মঙ্গলবার রাতে রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর সময় আস্থা ভোটের আরজি জানান। সেই মতোই বিধানসভার সচিবকে চিঠি লিখে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশন ডেকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা রাজ্যপালকে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। এবং একটি ফ্লোর টেস্ট চলছে। রাজ্যপাল এখনও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাননি।
রাজ্যপালের সঙ্গে ফড়নবিশ-এর বৈঠকের ১০টি উল্লেখযোগ্য দিক হল-
১. বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বলেছিলেন, শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক বারবার বলেছেন তাঁরা জোটে থাকতে চান না। এর মানে তাঁরা সরকারের সঙ্গে নেই।
২. ফড়নবিশ আরও বলেছেন, রাজ্যপালের কাছে আরজি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর একটি ফ্লোর টেস্ট করতে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে। এদিন বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন গিরিশ মহাজন ও রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাতিল।
৩. দিল্লিতে ফড়নবিশ বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে ৩০ মিনিটের একটি বৈঠক করেন। সেখানে সরকার পুনর্গঠনের দাবী জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
৪. শিবসেনা বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে ফড়নবিশ দেখা করেছিলেন। যাঁরা এখনও গুয়াহাটিতে ক্যাম্প করে রয়েছে। বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তিনি শীঘ্রই মুম্বইতে ফিরে আসবেন। শিন্ডের দাবী, চলে যাবেন, তাঁর প্রায় ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন শিবসেনা এবং বাকিরা নির্দলের।
৫.২৮৭ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা ১৪৪-এ দাঁড়িয়েছে। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির ক্ষমতাসীন জোটের ১৫২ জন বিধায়ক রয়েছে। ৪০ জন বিধায়ক কমানো হলে তা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে।
৬. ঠাকরের দল দাবি করেছেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্বিশেষে। শিন্ডে দল দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে পালাতে পারবে না। যতক্ষণ না শিন্ডে ও বিদ্রোহীরা বিজেপিতে যোগ দেয় বলে জানিয়েছে।
৭.ঠাকরের দল ১৭ জন বিধায়কের অযোগ্যতাও চেয়েছে। যা তাঁদের পক্ষে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা কমিয়ে আনবে। উভয় পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
৮.ঠাকরে দল সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছিল, ১৭জন বিদ্রোহী বিধায়কের অযোগ্যতার নোটিশের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ফ্লোর টেস্টের অনুমতি যাতে দেওয়া না হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে।
৯.উদ্ধব শিবিরের দাবি, গুয়াহাটি থেকে ফিরে ২০ সেনা বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। উদ্ধব এদিন বিধায়কদের তাঁর সঙ্গে বসার ডাক দেন।
১০. উদ্ধব ঠাকরে চিঠিতে জানিয়েছেন, "আমি আপনাদের কাছে আবেদন করতে চাই - সময় এখনও হারিয়ে যায়নি। অনুগ্রহ করে আসুন, আমার সাথে বসুন, শিব সৈনিক এবং জনসাধারণের মন থেকে সমস্ত সন্দেহ দূর করুন। তাহলে আমরা একটি উপায় খুঁজে বের করতে পারি।" শিবসেনা বিধায়করা বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইন্ধন যোগানের অভিযোগ এনেছে। যা বিজেপি অস্বীকার করেছে।
বিশ্ববাজারে টাকার দামে রেকর্ড পতন। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে টাকার দামে পতন হয়। সোমবার বাজার বন্ধের সময় ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৭৭ টাকা ৩৪ পয়সা। মঙ্গলবার বাজার খোলার পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৭৮ পয়সা। কিন্তু টাকার মূল্যের পতনের কারণ কী?
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি টাকার মূল্যের পতনের অন্যতম কারণ বলে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। টাকার মূল্যের রেকর্ড পতনে ভারতের শেয়ার বাজারেও সূচক নেমে যায়। এর ফলে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা। ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছে। তার নেতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়ছে। আর এর জেরেই ক্রমাগত মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়ছে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ দিলীপ পারমার বলেন, আরবিআইয়ের ফরোয়ার্ড ও ফিউচার মার্কেটে হস্তক্ষেপ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে টাকার দামের পতন দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার রেকর্ড পতন হয়। মার্কিন ডলার প্রতি টাকার মূল্যে ২২ পয়সার পতন হয় বলে তিনি জানান। চলতি সপ্তাহে টাকার দাম আরও কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন।
শুধু ভারত নয়, এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রার মূল্যের পতন হবে। যার জেরে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা দেখা দেবে।
অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, তাঁরা দেশের ক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি তেল উত্তোলন করেছেন। গত সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নতুন করে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১.০৮ ডলার বৃ্দ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় মুদ্রার মূল্যের নেপথ্যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেকাংশে দায়ী। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমি দেশগুলি। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বিদ্রোহীদের নিয়ে গুয়াহাটির হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন একনাথ শিন্ডে। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেরও বিচারাধীন হয়ে পড়েছে। উভয়পক্ষের চোরাগোপ্তা আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মাঝেই এবার সরাসরি বিদ্রোহীদের ফিরে আসার আহ্বান জানালেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মঙ্গলবার তিনি চিঠি দিলেন বিদ্রোহী বিধায়কদের। সেখানে সবাইকে মুম্বই ফিরে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আপনাদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আপনারা মনেপ্রাণে শিবসেনা। আলোচনার টেবিলে বসলে নিশ্চয়ই একটা সমাধানসূত্র মিলবে।
চিঠিতে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার রাস্তা কখনও ফুরিয়ে যায় না, সময়ও কখনও শেষ হয়ে যায় না। অনেকের মনেই নানা বিষয়ে সংশয়, জিজ্ঞাসা থাকতেই পারে। কিন্তু সামনাসামনি বসে আলোচনার মাধ্যমেই সেসব দূর করা সম্ভব। একটা রাস্তা ঠিক বেরবে।
বিদ্রোহীদের বিবেকে কিছুটা আঘাত হেনেই তিনি লিখেছেন, যে সম্মান আপনাদের শিবসেনা দিয়েছে, তা আর কোথাও পাবেন না। শিবসেনার প্রধান হিসেবে তিনি যে অত্যন্ত চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন, সে কথা জানিয়ে তিনি ফের এবং বারবার বলেছেন, আসুন, সবাই আলোচনায় বসি, সমাধান ঠিক মিলবে।
উল্লেখ্য, গুয়াহাটির হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা একনাথ শিন্ডে দাবি করে আসছেন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৫০ জন বিধায়ক, যার মধ্যে ৪০ জনই শিবসেনার।
এখন উদ্ধবের ওই চিঠিতে চিঁড়ে কতটা ভিজবে, সেটাই দেখার।
সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভেঙে পড়ল চার তলা বাড়ি। মুম্বইয়ের কুরলার নায়েক নগর সোসাইটিতে ঘটে এই দুর্ঘটনা। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে মৃত ৩। ১২ জন আহত।
আরও অনেকের ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকার আশঙ্কা। সূত্র মারফত জানা গেছে, ২৫ জনেরও বেশি মানুষ আটকে থাকতে পারেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। মঙ্গলবারও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকলবাহিনী।
ঘটনাস্থলে আসে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শিবসেনা নেতা তথা মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। বিএমসি -র তরফে এই ভবনের বাসিন্দাদের আগেই বাড়ি খালি করে দিতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভাড়াটে বাসিন্দারা বাড়ি খালি করে দেননি। এমনকী বাড়ির মালিক বেপাত্তা। আদিত্য ঠাকরে জানান, বাড়িটির একেবারে ভগ্নদশা। এই বাড়িটি সহ আরও তিনটি ভবনকে খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে পুরসভার পক্ষে। তিনি বলেন, এরকম জরাজীর্ণ বাড়ির খোঁজ চলছে। ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার নওপোরা-খারপোরা গ্রামের ত্রুবজিতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের গুলির লড়াই। এই সংঘর্ষে নিহত দুই জঙ্গি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে সোমবার এমনটাই জানানো হয়েছে। এক আধিকারিক জানান, জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে পুলিস, সেনা এবং সিআরপিএফ-এর একটি দল ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা প্রথমে গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।
এদিকে, গত সপ্তাহেও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন পাক জঙ্গি-সহ সাত জঙ্গিকে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'রবিবার কুপওয়ারায় গুলির লড়াই চলেছে। আর তাতে দুই লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি মারা গিয়েছে। সোমবার ভোরের দিকে আরও এক পাক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। সোপিয়ানের এক স্থানীয় জঙ্গিও নিহত হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, পুলওয়ামায় গুলির লড়াইয়ে লস্কর-ই-তইবার এক স্থানীয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কুলগামে জইশ-ই-মহম্মদ ও আরও এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। মোট সাত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানের ও বাকি চার জন স্থানীয় জঙ্গি।’’
উল্লেখ্য, একের পর এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের উপর হামলা করছিল জঙ্গিরা। ৩৬ বছর বয়সী দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁম জেলার গোপালপরা এলাকার একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা রজনী বালাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাগাতার এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তা দ্বিগুন করা হয়েছে সীমান্তে।
কিছুদিন আগেই একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ জন বিধায়ককে মহারাষ্ট্রের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল 'অযোগ্যতার' নোটিস দিয়েছিলেন। ডেপুটি স্পিকারের কাছে ওই ১৬ জন বিদ্রোহী নেতার বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেই সুপারিশকে সামনে রেখে ওই বিধায়কদের নোটিস পাঠান তিনি। এবার সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা জবাব চাইল ডেপুটি স্পিকারের কাছে।
সুপ্রিম কোর্ট ডেপুটি স্পিকারের কাছে জানতে চায়, একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল? পাশাপাশি, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জে বি পাড়িয়ালার বেঞ্চ স্পষ্টভাবে ডেপুটি স্পিকারকে জানিয়ে দেয়, আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডের দল সুপ্রিম কোর্টে দাবি করে, প্রাণনাশের ভয়ে বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিওয়ালের কাজে যেতে পারছেন না শিন্ডে ও দলের নোটিস পাওয়া বিধায়করা। পাশাপাশি, তাঁরা শীর্ষ আদালতে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন সোমবার।
উল্লেখ্য, একনাথ শিন্ডে শিবিরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দু’টি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। প্রথম আবেদন করেছেন শিন্ডে নিজে। দ্বিতীয়টি তাঁর অনুগামী নেতা ভরত গোগাবলে।