রাখি বন্ধন অর্থাত্ সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আজ রাখি বন্ধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কর্মরত কর্মচারীদের মেয়েরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বেঁধে দিলেন রাখি। বৃহস্পতিবার সকালেই দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের দফতরের কর্মীদের মেয়েদের হাতে রাখি পরেন মোদি। পিএমও সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়ুদার, পিওন, বাগানের মালি, ড্রাইভারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মেয়েদের কাছ থেকে আজ রাখি পরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসবের ডাক দিয়েছিলেন। সম্প্রীতির বন্ধনে একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন ছিল কবিগুরুর মূল লক্ষ্য।
সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। আজ এই দিনে বোনেরা তার ভাইয়েদের হাতে রাখি পরিয়ে শুভ কামনা জানিয়ে থাকেন। সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ ও দেদার আনন্দ।
ফের উদ্ধার যকের ধন। মহারাষ্ট্রে (Maharastra) আয়কর হানায় (Income Tax Department) বাজেয়াপ্ত ৩৯০ কোটির সম্পত্তি। টাকার পাশাপাশি হিরে, সোনার পাহাড়ও উদ্ধার হয়েছে। কর ফাঁকি মামলায় জালনার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ৩৯০ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পায় আয়কর দফতর। সেই মোতাবেক তদন্তে নেমে বেরিয়ে এল ৫৬ কোটি টাকা নগদ (Cash), ৩২ কেজি সোনা (Gold) এবং ১৪ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত (Diamond)। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইস্পাত, কাপড় এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। গত ১লা অগাস্ট থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ৮ অগাস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোট ২৬০ জন আয়কর কর্মী পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেন। টাকার পাহাড় গুনে শেষ করতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে খবর। এ ঘটনা দেখে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির হানার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকের। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে এরকমই দীর্ঘ সময় লেগেছিল তদন্তকারীদের।
একটাই তো জীবন! সেই কারণে একজীবনে সব উপভোগ করার পিছনে ছুটছেন সকলে। আর জীবন উপভোগ করতে যাওয়াটাই কাল হল যুবকের। জন্মদিনের (Birthday Celebration) দিনই মৃত্যুর (Death)কোলে ঢলে পড়ল। জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল পার্টির (Birthday Party)। আর বন্ধুদের নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক (drug) সেবন করায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। ভয়ে বন্ধু দেহ লোপাট করতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের (Punjab) গুরদাসপুরে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। জন্মদিনের পার্টি করতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাঁর। সেসময় সঙ্গে ছিলেন এক বন্ধু। সে কী করবে ভেবে না পেয়ে দেহ লুকোতে গিয়ে পুলিসের নজরে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত যুবকের ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ওই যুবকের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাঁড়া পার্টিতে মাদক সেবন করেছিলেন। যুবকের কয়েক জন বন্ধু ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) সেক্টর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পরগল এলাকার সেনা ঘাঁটিতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় (terrorist attack) শহিদ হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান (Army)। আহত আরও তিন। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, ওই সেনা বেসের অপারেটিং ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবং সেনা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই জঙ্গি। সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গুলি করে খতম করেন তাদের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খবর, এখনও আশপাশে জঙ্গিদের তল্লাশি চলছে। জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেনারা।
জম্মু জোনের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার মুকেশ সিং বলেছেন, হামলায় কয়েকজন সেনা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা আধিকারিকরা এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছেন এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত টিম পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জঙ্গি সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালাতে এসেছিল। কিন্তু সেনার সতর্ক প্রহরায় তা সফল হতে পারেনি। নয়তো বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এই জঙ্গিরা আত্মঘাতী (ফিদায়েঁ) বাহিনীর বলেই অনুমান।
সম্পর্কে 'সন্দেহ' কতটা ভয়ানক হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনা। স্বামী, স্ত্রীকে (Husband-Wife) সন্দেহ করতেন। তার জেরে স্ত্রীকে মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর অকথ্য অত্যাচার (Torture) সহ্য করতে করতে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল রঞ্জনাবেনের। এরপরই নিয়েছেন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। ঘুমের মধ্যেই রবিবার স্বামীকে হত্যা (Murder) করলেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনাবেনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। পুলিসকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার রাতে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে ঘরে ঘুমোন, তার পাশের ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী নবীন। ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামীর ঘরে গিয়ে গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। তারপর স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক দেন তিনি।
ছেলেমেয়েকে সকালে স্কুলে পাঠানোর পর রঞ্জনাবেন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর শ্বশুর এলে, দেখতে পান, ছেলে নবীন বিছানায় পড়ে রয়েছে। গলায় ও পায়ের নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। যদিও রঞ্জনাবেন তখন বলেন বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবুও সন্দেহ হয় অভিযুক্তর শ্বশুরের।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রঞ্জনাবেন নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা। অবশেষে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (Bhima Koregaon) সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অশীতিপর সমাজকর্মী ভারভারা রাও (Varvara Rao)। বুধবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি ইউইউ ললিত তাঁর রায়ে জানান, আশা করব এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না সমাজকর্মী। জানা গিয়েছে শারীরিক কারণে মঞ্জুর হয়েছে তাঁর জামিন। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই সমাজকর্মী। হাইকোর্ট ভারাভারার শারীরিক কারণে পাওয়া স্থায়ী জামিন খারিজ করেছিল।
ভারাভারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭-এর ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে পরদিন কোরেগাঁও-ভীমা যুদ্ধ স্মারকের কাছে হিংসা সংঘটিত হয়েছিল। পুণে পুলিসের অভিযোগ ছিল, এই সমাবেশ সংগঠনে যুক্ত ছিল মাওবাদীরা। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ২০১৮-এর ৮ জানুয়ারি ভারাভারার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করে পুলিস। সেই বছর ২৮ অগস্ট হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ভারাভারাকে।
পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বুধবার দুপুরে রাজ ভবনে আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এই দু'জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। মঙ্গলবারই আরজেডি, কংগ্রেস (RJD-Congress)-সহ অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাজ ভবনে গিয়েছিলেন নীতীশ-তেজস্বী।
সেই সাক্ষাৎ শেষে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১৬৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। বুধবারই শপথ নেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিন দুপুর দুটো নাগাদ রাজ ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন শপথ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০০ সালে এনডিএ শরিক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। লালুপ্রসাদ যাদবের দাপট কমিয়ে সেবার প্রথম যাদব পরিবারের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল বিহার। তারপর ২০১৫ অবধি পরপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিহারের এই কুর্মি নেতা।
যদিও ২০১৫-তে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে গড়া জোট সরকার মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই মহাজোট ভেঙে বেড়িয়ে ফের বিজেপির হাত ধরে নীতীশ। ২০১৭ সালে ফের একবার এনডিএ শরিক হিসেবে মাজপথেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়েন নীতীশ। যদিও রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জেডিইউ।
তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকেও সমর্থন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বছর বাদে ফের ডিগবাজি নীতীশের। এবার আবার মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
সাধুর নামে ভণ্ডামি। এক মহিলা ভক্তকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল এক গুরুর বিরুদ্ধে। সন্তানহীন দম্পতি সন্তানের আশায় ওই সাধুর কাছে যান। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হল ওই গুরুকে। ওই ধৃত গুরুর নাম বৈরাগ্যনন্দ গিরি (Vairagyanand Giri)। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ১৭ জুলাই ওই সাধুর কাছে যান। দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করেও সন্তান সুখ পান না। বৈরাগ্যনন্দের কথা জানতে পেরে তাঁর কাছে যান। তিনি একটি যজ্ঞের কথা বলেন। যজ্ঞ করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেই মতো যজ্ঞের দিন ওই মহিলাকে প্রসাদের নাম করে কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে দেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। তারপর ওই অভিযুক্ত গুরু তাঁকে ধর্ষণ করেন।
গত সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। প্রথমে লোক জানাজানির ভয়ে, লজ্জায় অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। পরে সাহস জুগিয়ে থানার দারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার তাঁকে গোয়ালিয়র থেকে গ্রেফতার করে ভোপালে নিয়ে আসে পুলিস।
প্রেমের পথে কাঁটাকে উপড়ে ফেলতে ভয়ংকর ঘটনা (Murder) ঘটিয়ে বসেছে ১৫ বছরের নাবালিকা প্রেমিকা (Daughter) এবং ৩৭ বছরের প্রেমিক। মঙ্গলবার তাদের দুজনকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুর (Jamshedpur) শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা এবং তাঁর প্রেমিক মিলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বয়সে অনেকটা বড় হওয়ায় এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল বাবা (৪৫) এবং মা (৩৫)। তাই পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল নাবালিকা। সেই মতো রবিবার ভোরে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বেরনোর সময় বাবা-মার চোখে পড়ে যায়। নাবালিকাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভয়ংকর আকার নেয় পরিস্থিতি।
নাবালিকার বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত যুবকটি। হইচই শুনে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এবং নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিক মিলে নাবালিকার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুন করে বলে পুলিস জানায়। জানা গিয়েছে, হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বাইরে রাখা স্কুটারে করে পালিয়ে যায় তারা।
সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুরের থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মৃতদেহ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। এরপর পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং তদন্তে নেমে ওমনগরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই অভিযুক্ত নাবালিকা মেয়ে এবং প্রেমিককে। খুনে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও প্রেসার কুকার উদ্ধার করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায মামলা রুজু করা হযেছে।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) পালাবদল একমাস হয়ে গিয়েছে। উদ্ধবের জায়গায় খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে (CM Eknath Shinde)। তাঁর ডেপুটি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। এবার শিন্ডে সেনা এবং বিজেপি জোট সরকারের ৪০দিনের মাথায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ (Cabinet Expansion)। মঙ্গলবার এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগেও কোনও না কোনও আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তবে সবপক্ষকে হতাশ করে এই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি।
এদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিলেন শিন্ডে সেনার ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার প্রমুখ। রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলও।
মহারাষ্ট্রের ধনীতম বিধায়ক তথা মুম্বই শহর বিজেপির সভাপতি এমপি লোঢাও এই জোট সরকারের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও আছেন বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খারে, অতুল সাভের মতো গেরুয়া শিবির প্রভাবশালী নেতারাও। অন্য দিকে, শিন্ডে ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সাবন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এবার মন্ত্রী তিনিও।
প্ল্যাটফর্মে জনাকয়েক মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video)দেখে আঁতকে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনে (Mumbai Station) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন এক যুবক। নিজের জীবন বাজি রেখে কুকুরকে বাঁচাতে (save a dog) প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন সেই যুবক। সে সময় ওই লাইনে ঢুকছিল ট্রেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। কুকুরটি লাইনের মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা হয়। তখনই যুবকের চোখে পড়ে কুকুরটিকে। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাইনে নেমে পড়েন ওই পশুপ্রেমী। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সকলে তাঁর কাণ্ড দেখে হইচই জুড়ে দেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে ওই যুবকে প্ল্যাটফর্মে নামতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন। তারপর নিজে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ওই পশুপ্রেমী যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা। এবং তাঁর সাহসকে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।
কেরলের (Kerala) এক ব্যক্তি সম্প্রতি রাস্তায় বেহাল দশা (Road problem) এবং আসন্ন বিপদের দিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি অনন্য প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন। অভিনব বিক্ষোভের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, লোকটি একটি বালতি, মগ, সাবান এবং একটি তোয়ালে সঙ্গে রেখেছেন। রাস্তায় বড় বড় গর্তে বৃষ্টির জলে জমে জলাশয়ের আঁকার নিয়েছে। সেই জলে গায়ে সাবান মেখে স্নান করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। কৌতূহলী মোটরসাইকেল আরোহী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কাপড় ধোয়ার ছবিও তোলেন।
কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক ইউএ লতিফ। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রতিবাদকারী গর্তের মধ্যে ধ্যানের ভঙ্গিতে বসে থাকেন। এমনকি ভিডিওতে তাঁকে বিধায়কের সামনে কাদা জলের বিশাল গর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যোগব্যায়াম করতেও দেখা যায়।
কেরালায় রাস্তার এই গর্তের কারণে কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আর তার ঠিক কয়েকদিন পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। মামলাটি গ্রহণ করে কেরল হাইকোর্ট ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (NHAI) অবিলম্বে গর্তগুলি পূরণ করতে বলেছে। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছে, যে জেলা কালেক্টররা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসাবে রাস্তায় গর্ত ঠিক করার দায়িত্ব নেবেন। অবিলম্বে সমস্ত রাস্তা যেন সারিয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুগল (Google)। প্রায়শই অনেকেই গুগল ম্যাপ (Google Map)-এর ভরসায় বেরিয়ে পড়েন। বিশেষ করে অজানা জায়গায় যাওয়ার জন্য ভরসা সেই গুগল ম্যাপই। কিন্ত গুগল ম্যাপ কি সবসময় সঠিক রাস্তাই (Right navigation) দেখায়? একেবারেই না। অন্ধের মত গুগলের ম্যাপের উপর ভরসা করে ম্যাপে দেওয়া ডিরেকশনে এগোতে এগোতে ভুল রাস্তায় এসে পড়েন এক মহিলা। গাড়ি গিয়ে পড়ে খালে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে (Kerala)।
পুলিস সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১০টায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরনাকুলম থেকে কুমবানাদে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সোনিয়া নামের ওই মহিলা। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন মাসের শিশুকন্যা, মা ও এক আত্মীয়। তিনি পথ ভুলে যেতেই গুগল ম্যাপের সাহায্য নেন। আর সেটাই হয়েছে কাল। গাড়ি সোজা গিয়ে পড়ে খালে।
তবে গাড়িতে বিপদকালীন সঙ্কেত হওয়া মাত্রই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। উদ্ধার করেন সকলকে। তবে ডুবে যায় গাড়িটি। তবে এই দুর্ঘটনা প্রথমবার নয়। গুগল ম্যাপ-এর ভরসায় বেশ কয়েকবার একই রকম সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন।
প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করতে পারে? ভালোবাসার (Love) প্রমাণ দিতে গিয়ে কেউ কেউ নিজের প্রাণটাই দিয়ে বসেন। আবার প্রেমিক (Boyfriend) বা প্রেমিকাকে পেটে নিজের বাড়ির অমতে গিয়ে পালিয়েও যান। এবার একেবারে অবাক করা ঘটনা ঘটাল প্রেমিকা (Girlfriend)। নিজের মনের মানুষের প্রতি ভালোবাসা কতটা খাঁটি তা প্রমাণ করতে গিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত (HIV Positive) প্রেমিকের শরীর থেকে রক্ত (Blood) নিয়ে নিজের দেহে প্রয়োগ করল। প্রেমিকার বয়স ১৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের (Assam) সুয়ালকুচি জেলায়।
জানা গিয়েছে, ফেসবুকে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় কিশোরীর। সেখান থেকে শুরু কথোপকথন। এবং তা পৌঁছয় প্রেমের সম্পর্কে। তিন বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছে তারা। বেশ কয়েকবার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল ই প্রেমিকা বলে খবর। পরে অনেক চেষ্টা করে ই কিশোরীকে ফেরায় তার পরিবার। কিন্তু এ ঘটনায় একেবারে হতবাক তাঁরা।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। গ্রেফতার করা হয় প্রেমিককে। কিশোরীকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এতে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে ওই প্রেমিকার।
নয়ডা আবাসনে মহিলা নিগ্রহে (Woman harrasment) অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ পুলিস (Uttar Pradesh Police) । মেরঠ থেকে পুলিসের খাতায় 'পলাতক' এই নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগীকে (BJP Leader) গ্রেফতার করেছে পুলিস। শনিবারই তাঁর বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারপর থেকেই নাকি পলাতক ছিলেন শ্রীকান্ত। তাঁর খোঁজে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। এমনকি, শ্রীকান্তের বাড়ির সামনে থাকা কিছু অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় যোগী প্রশাসন (Yogi Government)।
জানা গিয়েছে, বিজেপির কিষাণ মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য শ্রীকান্ত। তিনি নাকি নিজেই এই দাবি করে থাকেন। দিন কয়েক আগে নয়ডার এক আবাসনে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে এক মহিলার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান শ্রীকান্ত ত্যাগী। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মহিলাকে নিগ্রহ করছেন অভিযুক্ত। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Longer version of the video where BJP leader Shrikant Tyagi is seen abusing a woman.
— Mohammed Zubair (@zoo_bear) August 5, 2022
Warning : **Abusive language** pic.twitter.com/1ahGdEjIUq
এরপরে শনিবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। পাশাপাশি শ্রীকান্তর খোঁজ পেতে পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মঙ্গলবার সকালে তাঁর স্ত্রীকেও আটক করা হয়। তবে শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়েও সেই মহিলার খোঁজ শুরু করেন শ্রীকান্ত অনুগামীরা।
কয়েক জন অনুগামী রবিবার ওই আবাসনে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। শ্রীকান্ত যে মহিলাকে নিগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁর ফ্ল্যাট কোথায় তা-ও জানতে চান বিজেপি নেতার অনুগামীরা। এই অভিযোগে পুলিস আবার বিজেপি নেতার ছয় অনুগামীকেও গ্রেফতার করেছে।