ধনকুবের (Billionaire) রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala) ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস (Death) ত্যাগ করলেন। রবিবার সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন ভারতের নতুন বাজেট এয়ারলাইন আকাসা এয়ারের (Akasa Air) সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ভারতীয় শেয়ার বাজারের 'বিগ বুল' নামে পরিচিত রাকেশের একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
'ভারতীয় বাজারের ওয়ারেন বুফে'ও বলা হয় তাঁকে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন টুইট করে বলেন, “তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি।" তিনি আরও লেখেন, “রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন অদম্য প্রাণোচ্ছল একজন ব্যক্তি। বুদ্ধিমান এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি আর্থিক জগতে একটি অদম্য অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি ভারতের অগ্রগতি সম্পর্কেও খুব উৎসাহী ছিলেন।”
শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক নেতা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, “বিনিয়োগকারী, সাহসী, ঝুঁকি গ্রহণকারী, স্টক মার্কেট সম্পর্কে গভীর দক্ষ একজন নেতা। আমাদের বেশ কিছু কথোপকথন ভালোভাবে মনে আছে। ভারতের শক্তি ও সামর্থ্যের উপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ।"
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাকেশের। পরে তাঁর বড় হয়ে ওঠা মুম্বইয়ে। ১৯৮৫ সালে স্টক মার্কেটে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন রাকেশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টাকার অঙ্কটা বেড়ে হয় ১১ হাজার কোটি টাকা।
পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের। পড়ুয়ারা যাতে নকল করতে না পারেন তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। লখনউয়ে (Lucknow) তৈরি করা হবে ‘ওয়ার রুম'(War Room)। এ কথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী যোগেন্দ্র উপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে লখনউয়ের ওই ওয়ার রুমের সংযোগ থাকবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁদের সঠিক পারিশ্রামিক দেওয়ার কথা বলেন। সেপ্টেম্বর মাসে পরিচালন কমিটি ও অধ্যাপকদের মধ্যে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষা নীতি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন যোগীরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর। সেই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক(India Bangladesh relation) উন্নয়নের বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে অতিমারী(covid) পরবর্তী বিশ্বে সহযোগিতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল) উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড । ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
আর এর ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।
আগামী সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Independence day) উদযাপন। এ বছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা(National flag) দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra mODI) সম্প্রতি জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
প্রত্যেকবারের মতো লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার নজরদারি কড়া করা হয়েছে। দিল্লি পুলিসের(Delhi police) পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ভাষণ দেবেন তাঁর দিকে ঘুড়ি উড়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাই বাড়তি সতর্কতা দিল্লি পুলিসের। ৪০০ ঘুড়িবাজকে ভাড়া করা হয়েছে। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ছাদে তাদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে যদি কোনও ঘুড়ি উড়ে আসে, তখন ওই ঘুড়িবাজরা বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি কেটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে, লালকেল্লা এলাকার নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকছে ১০ হাজার পুলিসকর্মী। আশেপাশে বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হবে এবং নজরদারি চালনোর পাশাপাশি স্নিফার ডগও থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা আক্রমণ চালাতে পারে, দিনকয়েক আগেই দিল্লি পুলিসের কাছে এই গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল। তারপর থেকে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু হয়।
এদিকে, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতেই শুরু হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রীও।
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পর্বে। এবার উৎসবের মেজাজ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যাপক আয়োজনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই দায়িত্ব নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আবেদনে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা ঝলমল করছে। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্যও| এজেন্সির চাপ যতই থাক রেড রোড সেজে উঠছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী গোড়ার দিন থেকে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু থেকে এই ট্র্যাডিশন সামনে চলে এসেছে। এবার পালা ফের নরেন্দ্র মোদীর। শোনা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাকি অনেক চমক থাকবে লালকেল্লায়| আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশী বহু অতিথিকে। তেরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোর ঝলকানিতে লালকেল্লা।
স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের একটা ভূমিকা ছিল কারণ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বকে আজও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। প্রথম মন্ত্রিসভায় দু-একজন বাদ দিয়ে জওহরলাল সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দিরা জমানা অবধি সেই ট্র্যাডিশন বজায় ছিল। অবশ্য তারপর বেশিরভাগ নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন বয়সজনিত কারণে।
১৯৭২-এ স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছিল ধুমধাম করে। কারণ তখন সদ্য পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ গঠন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সরকারি দায়িত্বে ছিল না কংগ্রেসের। কারণ সেই সময় কেন্দ্রে প্রধান শাসক দল হাত শিবির নয়। এবারও কংগ্রেসের ভূমিকা থাকছে না, দায়িত্বে যেহেতু বিজেপি সরকার।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কারও উৎসব পালনে আপত্তি ছিল না। বামেরা মনে করতো এই স্বাধীনতা মিথ্যা, তারা বলে ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। আজ অবশ্য বিভিন্ন বামপন্থীরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এবার আবার ৭৫ বছর উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের যুগেও স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বরাজ, মাত্রভূমি এবং দেশ মানে নিজের সবকিছু এসব মনে করিয়ে দেওয়ার একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারের।
'সীমান্ত সমস্যা (Border Problem) না মিটলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়', চিন প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। "ভারত তার অবস্থানে অটল রয়েছে। চিন (China) যদি সীমান্তে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তার প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের উপরই পড়বে। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। যতক্ষণ না সীমান্ত সমস্যা মিটছে, তা স্বাভাবিক হওয়া সম্ভবও নয়।" শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিদেশমন্ত্রী (External Affairs Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এ কথা বলেন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের প্রকল্প 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' (one belt one road) নির্মাণের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। এমন পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
বিদেশমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ভারত নিজেদের অবস্থানেই অনড়। চিন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০-তে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) বা এলএসি সংলগ্ন এলাকায় আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। বছর দুয়েক কেটে গেলেও মেটেনি সমস্যা। বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। পাশাপাশি, চলতি মাসেই তাইওয়ানে আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন (China)। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে (Island State) ৬দিক থেকে ঘিরে রেখে টানা ৪ দিন ধরে সামরিক মহড়া চালায় লালফৌজের দল। সেই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
ফের পিটবুল (Pitbull Dog) কুকুরের 'হিংস্র' আক্রমণের ঘটনা লখনউয়ে (Lucknow Incident)। এবার তার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মুন্নি নামে এক তরুণী। জানা গিয়েছে, হাঁটতে বেড়িয়ে এই ঘটনা ঘটায় বিনীত চিকারার পোষ্য পিটবুলটি। পুলিসকে অভিযুক্ত কুকুরের মালিক বিনীত জানিয়েছেন, যে মাঠে পোষ্যকে নিয়ে তিনি হাঁটছিলেন, সেই মাঠেই হাঁটছিলেন পেশায় পরিচারিকা মুন্নি। কোনওভাবে পিটবুলটির গলার চেন ঢিলে হয়ে যাওয়ায় সে ওই তরুণীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে মুহূর্তে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে ওই তরুণীর শরীর। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আক্রান্ত মুন্নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পিটবুলটির মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। জানা গিয়েছে, যে আবাসনের ঘটনা, সেখানে রান্নার কাজ করতেন মুন্নি।
তবে পুলিসের সন্দেহ, বিনীত তাঁর কুকুরকে মুন্নির দিকে লেলিয়ে দিতে পারে। তদন্তে সেদিক খতিয়ে দেখছে তাঁরা। তার জন্য মুন্নির বয়ান রেকর্ড জরুরি বলে মনে করছেন পুলিসকর্তারা।
জাতীয় এক সংবাদসংস্থাকে লখনউ পুলিসের কর্তা প্রীতপাল সিংহ সঙ্গওয়ান বলেছেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আইন অনুযায়ী দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এদিকে গত জুলাইয়ে লখনউয়ের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকার উপর হামলা চালিয়েছিল পোষ্য পিটবুল। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি। সেই ঘটনার একমাসের মধ্যেই ফের পিটবুলের নৃশংসতার শিকার এক তরুণী, ঘটনাস্থল সেই লখনউ শহর।
যদিও প্রথম আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্ত পিটবুলকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে লখনউ পুরসভা। মৃতার ছেলে অমিত ত্রিপাঠী, তাঁর আদরের পিটবুলকে নিজের কাছে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো লখনউ পুরসভা কিছু শর্ত প্রয়োগ করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয় তাঁর পোষ্যকে। অমিত কুকুরের যত্ন নেবেন বলে লিখিত সম্মতি দেন। এর পরই এলএমসি আধিকারিকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এখন দেখার মুন্নিকে আক্রমণে অভিযুক্ত পিটবুলের ভবিষ্যৎ কী?
দেশের মাটিতে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দ। যুদ্ধ, আন্দোলন, অন্যায় অত্যাচার, সহস্র প্রাণের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট। এ বছর আবার সেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অর্থাৎ ৭৫তম বর্ষ (75th Independence Day)। সে উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন এবং উল্লেখযোগ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫১ জন পুলিসকর্মীকে (Police) এই পদক দেওয়া হবে বলে জানায়। ১৫১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ২৮ জন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার ৮ পুলিসকর্মী। আর সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ১৫ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস (Maharastra Police)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি সুপার, ইনসপেক্টর রয়েছেন। কয়েকজনের নাম-- নয়াদিল্লির সিবিআই শ্রী সুরেন্দর কুমার রোহিলা, ভাদৌরিয়ার সিবিআই শ্রী প্রমোদ কুমার, গান্ধীনগরের শ্রী সন্দীপসিং সুরেশসিংহ, শ্রী কুমার ভাস্কর, কলকাতার শ্রী দীপক কুমার, ইন্সপেক্টর, সিবিআই।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের তরফ থেকে সম্মান পাবেন ১২ জন আইপিএস। রেড রোডের মঞ্চ থেকেই আইপিএসদের সম্মান তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চিফ মিনিস্টার পুলিস মেডেল' নামে এই সম্মান আইপিএসদের তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। হাওড়ার পুলিস কমিশনার। কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার। ডিআইজি র্যাঙ্কের দুই আইপিএস অফিসার। এছাড়াও ডিআইজি এবং এডিজি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকদের তুলে দেওয়া হবে সম্মান।
প্রেমিকের (Lover) সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। কয়েকমাস পর বুধবার ফিরে এলেন স্বামীর ঘরে। আর তার শাস্তিস্বরূপ সেই মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের (beaten) অভিযোগ উঠল প্রেমিক মুকেশের বিরুদ্ধে, অভিযুক্ত আরও ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ঝাঝুয়া জেলার রূপারেল গ্রামে।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকমাস ধরে স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকছিলেন মহিলা। বুধবার শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন মহিলা। আর তাতেই রেগে যান প্রেমিক। গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে এসে মহিলার শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন। এমনকি মহিলার স্বামীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
এরপর মহিলাটিকে টেনে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে মারধর করেন প্রেমিক এবং তাঁর সঙ্গীরা। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে মহিলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননি তাঁরা। এরপর পুলিস এসে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে মুকেশ এবং তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর কাণ্ডের ছায়া এবার গুজরাতের (Gujarat) আনন্দ জেলায়। অভিযুক্ত কংগ্রেস বিধায়কের জামাই। তাঁর এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ছয় জনের। মৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক। ঘটনার পর কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) জামাইকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছেন তাঁরা।
চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাতের বিধানসভা ভোট। ফলে এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে গুজরাতের রাজনীতি। পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনন্দ শহরের রাজ্য সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিন কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই মাধবভাই পারমারের জামাই কেতন পাধিয়ারের গাড়ি বেপরোয়া গতিতে আসছিল। তারপরই একটি অটো ও বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই বাইকে থাকা দু’জন এবং অটো রিকশয় থাকা চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গাড়ির চালক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতরা সকলেই সোজিত্রা ও বোরিয়াভি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। কেতন পাধিয়ারের গাড়ির নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে।
হস্টেলের খাবার পছন্দ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু পুলিসের মেসের (Police Mess) খাবার (Food) পছন্দ হয়নি বলে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন এক পুলিস কনস্টেবল, এমন দৃশ্য দেখেছেন কখনও।
উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি মানুষজন। আর এমন বিরল দৃশ্য দেখতে রাস্তায় রীতিমতো ভিড়ও জমে গেল।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগটা ঠিক কী? যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনস্টেবল মনোজ কুমার হাতে থালা নিয়ে রাস্তায়। থালায় রয়েছে রুটি, ডাল এবং ভাত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন এক সিনিয়র অফিসার। তাঁকে বলে-বুঝিয়ে থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মনোজ কুমার বলেই যেতে থাকেন, এই খাবার কি মানুষে খায়? এটা পশুদেরও মুখে উঠবে না। রুটি ভালো করে সেঁকা হয় না। আর ডাল মানে তো জল। তাঁর আরও অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, এসব করলে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হবে, এমন হুমকিও নাকি শুনতে হয়েছে।
मैस के खाने की गुणवत्ता से सम्बन्धित शिकायती ट्वीट प्रकरण में खाने की गुणवत्ता सम्बन्धी जांच सीओ सिटी कर रहे है।
— Firozabad Police (@firozabadpolice) August 10, 2022
उल्लेखनीय है कि उक्त शिकायतकर्ता आरक्षी को आदतन अनुशासनहीनता, गैरहाजिरी व लापरवाही से सम्बन्धित 15 दण्ड विगत वर्षो में दिये गये है । @Uppolice @dgpup @adgzoneagra
মনোজ কুমারের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পুলিসকর্মীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডিউটি করার পর তাঁদের ভাগ্যে জোটে এমনই সব অখাদ্য। ভালো খাবার না পেলে আমরা কাজ করব কীভাবে? প্রশ্ন মনোজ কুমারের।
পরে ফিরোজাবাদ পুলিস একটি ট্যুইটে এই ঘটনার ব্যাপারে জানায়, ওই কনস্টেবল এর আগে নয় নয় করে ১৫ বার এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। এবারের ঘটনা নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সারা দেশেই করোনার (Corona) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। তাই করোনা প্রতিরোধে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল দিল্লির প্রশাসন। সেখানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Fine)। আর এটা যাতে কড়াভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য বিশেষ টিম (Special Team) গঠন করে অভিযানে নামছে সেখানকার প্রশাসন।
প্রসাশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কোভিডগ্রাফ কিছুটা কমতেই মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এমনভাবে পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন করোনা চলে গিয়েছে। এটা প্রশাসন ভালোভাবে নিচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ, বিগত দুই সপ্তাহের করোনা-চিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী, মূলত জনবহুল স্থানগুলির জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলার এই আইন কার্যকর করা হবে। কেউ যদি একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চড়ে কোথাও যান, তাহলে তাঁরা এই জরিমানার আওতায় পড়বেন না।
দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক আইন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য তিনটি বিশেষ টিমও গঠন করেছেন। প্রতিটি টিমে থাকবেন ১৫ জন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং জেলা প্রসাসনের অফিসাররা, যাঁরা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবেন। কারণ হিসাবে প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই উত্সবের মরশুম, তাই বাজারগুলিতেই বেশি সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই নজরদারির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিকেই। দরকার হলে এই ধরনের নজরদারি টিমের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমাকেও প্রতিদিন নজরদারি চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের পাকড়াও করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বুধবার গত তিনমাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে, ৮ জনের। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হন ২১৪৬ জন এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ।
এতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় (Accident) বাবা-মা মারা গেলে বিবাহিত ছেলেরা বিমায় ধার্য করা (insurance compensation) ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার থেকে বিবাহিত মেয়েরাও বাবা-মার দুর্ঘটনায় বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন বলে একটি মামলার রায়দানে জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)।
সূত্রের খবর, মামলাটি ২০১২ সালের। উত্তর কর্ণাটকের হুবলিতে ৫৭ বছর বয়সি এক মহিলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, এক পুত্র এবং তিন বিবাহিত কন্যা বিমা সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু বিমা সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বিবাহিত মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। মৃত মহিলার পরিবার বাধ্য হয়ে বিমা সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হন। তারা বিমা সংস্থাটিকে বার্ষিক ছয় শতাংশ হারে সুদ-সহ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ মানতে নারাজ ছিল বিমা সংস্থাটি। তারা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
ওই মামলার রায় প্রসঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি এইচপি সন্দেশ বলেন, “আদালত কখনওই বিবাহিত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভেদাভেদ করতে পারে না। মৃত ব্যক্তির বিবাহিত কন্যা বিমার ক্ষতিপূরণ পাবেন কি পাবেন না, তা নিয়ে বিতর্ক কখনওই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
প্রথমে মহিলাকে অপহরণ (kidnap)। এরপর মহিলার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি থেকে বের করে দেওয়া। তারপর এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের (Chennai) কাছে তাম্বরাম-মাদুরাভোয়াল রাস্তায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সিতে করে এক বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি আটকায় এক যুবক। পরে আরও পাঁচজন এসে ট্যাক্সিটি ঘিরে ফেলে। এরপর জোরপূর্বক ও গাড়িতে উঠে মহিলার ওই বন্ধুর ওপর হামলা চালায়। এমনকি গাড়ির চালককে তাদের বলা স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে। না হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এরপর কিছুটা এগিয়ে মহিলার বন্ধুকে মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করলে মহিলাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এরপর মহিলাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর গয়না কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার ওই বন্ধু পুলিসে খবর দেন। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় গয়না। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৬৫, ৩৯৫, ৩৭৬ ডি, ৫০৬(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President of India) হিসেবে শপথ নিলেন জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। এদিন ধনকর হিন্দিতে শপথ নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। যদিও জগদীপ ধনকরের (Jagdeep Dhankar) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের কাছে আমন্ত্রণ গেলেও এই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন এনডিএ প্রার্থী ধনকর। এই ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এনডিএ-র প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে ৫২৮টি ভোট, বিরোধী জোটের প্রার্থী আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট।
এদিকে, আগামি শীতকালীন অধিবেশন থেকে রাজ্যসভা পরিচালনার ভার ধনকরের উপর। সংবিধান মেনে দেশের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু এই আগামি এই অধিবেশন বড় চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে ধনকরের কাছে। কারণ এই মুহূর্তে সংখ্যাতত্বের বিচারে সংসদের উচ্চকক্ষে শাসক এবং সম্মিলিত বিরোধীর সাংসদ সংখ্যা প্রায় এক। এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ১১৪ আর বিজেপি বিরোধীদের সাংসদ সংখ্যা ১০৭ জন। এই তালিকায় নাম নেই বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। কারণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, এই দুটি বল জাতীয় রাজনীতিতে নীরব থেকে বহুবার বিজেপিকে প্রছন্ন মদত জুগিয়েছে।
অনেক সময় সংসদে ভোটাভুটি থেকে ওয়াকআউট করে সুবিধা কোরে দিয়েছে শাসক এনডিএ-কে। তাই তাদের বিরোধীতা ছাড়াও রাজ্যসভায় ১০৭টি বিরোধী সাংসদের কণ্ঠ মোদী সরকারের কানে পৌঁছতে বাধ্য। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে বিরোধী হল্লা সামলে সুষ্ঠুভাবে রাজ্যসভা পরিচালনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে জগদীপ ধনকরের কাছে।