
হিন্দু বিবাহ আইনে (Hindu Marraige Act বলা আছে, বিচ্ছেদে স্বামী বা স্ত্রী, যে কেউ খোরপোশ দাবি করতে পারেন। তাই প্রাক্তন স্বামীকে খোরপোশ (Alimony to Ex-Husband) দেবেন মহিলা। সম্প্রতি এই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। পেশায় শিক্ষিকা ওই মহিলাকে ২০১৭ সালে তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে মাসপিছু ১৫ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে নির্দেশ পাঠায় মহারাষ্ট্রের এক নিম্ন আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ খাতায়-কলমে থেকে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামী হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলে, বম্বে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশেই সিলমোহর বসায়।
১৯৯২ সালে বিয়ের ঠিক ২৩ বছরে ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে এই দম্পতির। তারপর প্রায় দুই বছর খোরপোশের মামলা চলেছিল। মহিলার প্রাক্তন স্বামীর দাবি ছিল, তাঁর কোনও রোজগার নেই। তাই তাঁকে ১৫ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হবে। এমনকি, স্ত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। স্ত্রী যাতে কাজ করতে পারেন, তাই সংসার-সন্তান সামলেছেন তিনি।
কিন্তু মহিলা পাল্টা জানিয়েছিল, স্বামী বেকার, এই দাবি সঠিক নয়। স্বামীর একটি মুদির দোকান রয়েছে, পাশাপাশি অটোরিকশা ভাড়া খাটিয়ে উপার্জন করেন তিনি। আর বিচ্ছেদের পর সন্তানের সব দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হয়েছে। কিন্তু এই সওয়াল-জবাবেও সন্তুষ্ট ছিল না ঔরঙ্গাবাদের এক আদালত। প্রাক্তন স্বামীকে ১৫ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এদিকে, সেই রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট জানিয়েছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা মাসিক খোরপোশ নিয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন মাসিক ৩ হাজার প্রাক্তন স্বামীকে খোরপোশ দেবেন ওই মহিলা।
একাধিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করল ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া (India-Australia)। এই চুক্তির জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে, পর্যটন এবং পেশাগত সম্পর্কের আরও সরলীকরণ হবে। শনিবার এই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। এদিন ভার্চুয়াল স্তরে দুই দেশের মধ্যে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত করা হয়েছিল। দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই এই চুক্তি (Trade pact) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
খুব অল্প প্রস্তুতি নিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাই দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাসের দৃঢ়তা প্রতিফলিত হয়েছে। এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, 'আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আবেগঘন মুহূর্ত। এই চুক্তির ভিত্তিতে আমরা সরবারহ শৃঙ্খলকে আরও মজবুত করতে পারব। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় শান্তি এবং স্থিতি বজায় রাখতে পারব।'
পড়ুয়াদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটন এবং পেশাদার আদান-প্রদান ব্যবস্থা আরও সরলীকরণ হবে। এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজনীতি এবং আমলাতন্ত্রের সঙ্গত্যাগ করে মানুষের আস্থা অর্জন করুক সিবিআই। শুক্রবার এই পরামর্শ দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না। সিবিআইয়ের-ই এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি রামান্না। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার প্রতি তাঁর পরামর্শ, 'কখনও সক্রিয়তা, কখনও নিস্ক্রিয়তা সিবিআইয়ের যোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার উচিৎ সামাজিক বৈধতা অর্জন করে মানুষের আস্থা অর্জন করা।' আর এই পথে হাঁটতে হলে সবার আগে রাজনীতি এবং আমলাতন্ত্রের সঙ্গত্যাগ করুক সিবিআই। এই মন্তব্যই করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
তাঁর যুক্তি, 'সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলো স্বশাসিত ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে এটাই কাম্য। এই ধরনের সব সংস্থাকে একটা স্বশাসিত ছাতার তলায় আনা জরুরি।' এদিন তিনি ব্রিটিশ আমলের পুলিস আর বর্তমান ভারতের পুলিসি ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্যের প্রসঙ্গ টানেন। সেভাবেই সিবিআই এখন মানুষের আতস কাঁচের নীচে পড়েছে। এই অনুষ্ঠানে দাবি করেন প্রধান বিচারপতি।
দিল্লি সফররত রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৪০ মিনিট দ্বিপাক্ষিক একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। এই বৈঠকের পর রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, 'পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে যেকোনওভাবে অবদান রাখতে প্রস্তুত ভারত।' জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গ একাধিক ভাবে ভারতের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। সেই আবহে এদিন ব্যক্তিগত ভাবে লাভরভের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সাম্প্রতিক কালে ভারত সফররত ইউকে, চিন, অস্ট্রিয়া, গ্রিস কিংবা মেক্সিকো, কোনও দেশের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেননি মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জারি বিবৃতিতে বলা, অবিলম্বে হিংসা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে রাশিয়াকে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। এমনকি চাইলে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে পারে ভারত। এই ইঙ্গিত পুতিন মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রীকে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই ব্যাপারে সম্প্রতি বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছে বিদেশ মন্ত্রক। সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ রয়েছে পিএমও-র বিবৃতিতে।
এদিকে, ভারত সফরকালে দিল্লির স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ লাভরভ। ভারত যদি রাশিয়া থেকে কোনও পণ্য রফতানি করতে চায় রাশিয়া আলোচনায় প্রস্তুত। এই মন্তব্যও করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।
এদিন তিনি পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরানো প্রসঙ্গে ভারতের মধ্যস্থতা নিয়ে লাভরভের বার্তা, 'দিল্লি আমাদের শরিক, গুরুত্বপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল রাষ্ট্র। পশ্চিমের দেশগুলো ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ভারত শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হতেই পারে।'
সংসদীয় রাজনীতির গত ৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে শতাধিক রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদ পেল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ১৩টি রাজসভার আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেই ভোটে অসম, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডের তিনটি রাজ্যসভা আসনে বিজেপি (BJP) প্রার্থী জিতেছেন। পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশেও পদ্মপ্রার্থী জয়লাভ করেছেন। শুধুমাত্র পঞ্জাবে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ১৩টির মধ্যে ৫টি আসন ছিল বিরোধীদের দখলে, সেই আসনগুলোতে বিজেপি সাংসদ রাজ্যসভার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির প্রার্থীরা পাঁচটি রাজ্যসভার আসনেই জয়লাভ করেন। যদিও রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে এখনও চূড়ান্ত সাংসদ সংখ্যা নেই। তাও বিজেপি সূত্রে খবর, অসম, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডের সাংসদ ধরে পদ্ম শিবিরের এখন রাজ্যসভায় মোট সাংসদ সংখ্যা ১০০। এই ভোটের আগে পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিল ৯৭।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যখন প্রথম মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৫। কিন্তু গত ৭ বছরে ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০। এর আগে ১৯৯০ সালে শতাধিক সাংসদ সংখ্যা পেয়েছিল কংগ্রেস। সেই সময় হাত শিবিরের সংসদ সংখ্যা ছিল ১০৮। তারপর ধীরে ধীরে একক দল হিসেবে কমেছে সেই সাংসদ সংখ্যা। দেশে জোট রাজনীতির যুগ শুরু হওয়া থেকে মোদী সরকারের প্রথম সময়কাল। দীর্ঘ এই দেড় দশকে ক্রমশ একক দল হিসেবে রাজ্যসভায় ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে আগামি দিনে, দেশের ৫২টি রাজ্যসভার আসনে ভোট গ্রহণ। কিন্তু সেই রাজ্যে বিজেপি হয় বিরোধী, নয়তো রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল। ফলে সেই আসনের অধিকাংশ যাবে আঞ্চলিক শাসক দল কিংবা কংগ্রেসের ঝুলিতে। যে যে রাজ্যে আগামি দিনে রাজ্যসভবার ভোট, সেই তালিকায় আছে অন্ধ্র প্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড।
তবে আগামি দিনে উত্তর প্রদেশের ১১টি রাজ্যসভা আসনে ভোট গ্রহণ। সেই আসনের মধ্যে অন্তত আটটি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। চলতি বছরেই উত্তর প্রদেশ থেকে ১১ জন রাজ্য সভার সাংসদ বিদায় নেবেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন বিজেপি সাংসদ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার উদ্দেশে উদ্দেশ্যে হুমকি মেল। এই মেলের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। মেইলে দাবি, 'আমার কাছে ২০ কেজি বিস্ফোরক আরডিএক্স আছে। এই বিস্ফোরক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা সম্ভব। আমি সারা দেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি স্লিপার সেল সক্রিয় করেছি।' হুমকি দিয়ে পাঠানো ই-মেলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কার্যত অভিযোগ তুলে বলা, 'তাঁর জীবন ধ্বংস করেছে। এমন লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যারা এই কাজ করতে পারবে। দেশে বড় বিপর্যয় তৈরি হবে।' এমনটাই সূত্রের খবর।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র মুম্বই শাখা ইতিমধ্যে এই হুমকি মেল-কাণ্ডে তদন্তভার হাতে নিয়েছে। সেই মেলে উল্লেখ, 'বড় শহরগুলিতে ২০টি বড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।' এই দাবি বা মেল কতটা বিপজ্জনক, তদন্ত করে দেখছে এনআইএ।
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা-সহ জয়পুর থেকে পুলিশ ১২ কেজি আরডিএক্স বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে এই হুমকি মেল প্রসঙ্গে কোন সংস্থার হাত, এখনও সামনে আসেনি। তবে এই হুমকি মেল বা এনআইএ তদন্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি। সবটাই সূত্রের খবর বলে জানা গিয়েছে।
দেশব্যাপী শুরু হতে চলা বোর্ড পরীক্ষার (Board Exam) আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির তালকাটরা স্টেডিয়ামে 'পরীক্ষা পে চর্চা-২০২২' (Pariksha Pe Charcha) এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবক। সেই অনুষ্ঠানেই বোর্ড পরীক্ষার আগে চাপ কমিয়ে কীভাবে প্রস্তুতি সম্ভব। তার পথ বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পড়ুয়াদের উদ্দেশে মোদী বলেন, 'এমন ভাবে সেই দিনের জন্য তৈরি হও, যাতে তুমি অনলাইন কিংবা অফলাইন থাকবে না। শুধু নিজের লক্ষে অর্থাৎ ফোকাসে থাকবে।'
নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণে অনলাইনের সাহায্য নাও। পাশাপাশি অফলাইনে শিক্ষা গ্রহণ কর। এই পরামর্শ পড়ুয়াদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, অনলাইন প্রথা তোমাদের শিক্ষা গ্রহণের পরিসর বাড়াবে, কিন্তু লক্ষ্য থেকে সরলে চলবে না। নিজেদের সবসময় শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে হবে।
স্কুল পড়ুয়াদের গ্যাজেট ব্যবহার নিয়েও এদিন পরামর্শ দেন মোদী। এদিনের অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মস্করা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। কিছু পড়ুয়ার প্রশ্ন ছিল, অনলাইনে পড়াশোনার সময় লক্ষ্যচ্যুতি থেকে নিজেদের কীভাবে দূরে রাখব? সেই প্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'নিজেদের প্রশ্ন করো। যখন তোমরা অনলাইনে পড়াশোনা কর, তখন সোশাল মিডিয়ায় রিল দেখ? আমি মনে হয় তোমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছি।' প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই অনুষ্ঠানস্থলে হাসির রোল ওঠে।
এরপরেই তাঁর মন্তব্য, 'অনেক সময় ক্লাস চলাকালীন তোমরা শিক্ষকদের তাকিয়ে থাক, কিন্তু কানে কিছুই ঢোকে না। এটা মনের ব্যাপার। পড়াশোনার মাধ্যম সমস্যা নয়। মনের অবস্থা ইস্যু।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যদি তুমি মনযোগী হও এবং উৎসুক মনকে ব্যবহার কর, তাহলে তুমি শিখতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোন মাধ্যমে তুমি পড়ছো, বড় ইস্যু হবে না আগে গুরুকুলে মুদ্রিত কিছু ছিল না। কিন্তু তারপরেও পড়ুয়ারা মৌখিক ভাবে শিক্ষা নিতেন, শিখতেন এবং মনে রাখতেন। এখন শুধু ব্যবস্থার অভিযোজন হয়েছে, আমরা এখন অনলাইনেই পড়াশোনা করতে পারছি।'
তাঁর পরামর্শ, 'অনলাইনে পড়াশোনাকে সুযোগ হিসেবে নাও, কখনই একে ইস্যু বানিয়ো না।'বোর্ড পরীক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর বার্তা, 'আমরা পরীক্ষার সময় উৎসব উপভোগ করতে পারি না, কিন্তু পরীক্ষাকে উৎসবে পরিণত করলে, আমরা তা উপভোগ করতে পারি। তাই পরীক্ষা দিতে হবে উৎসবের মেজাজে। নিজের উপর ভরসা রাখো, তাহলেই চাপমুক্ত থাকবে। পরীক্ষা ভালো করে দিতে পারবে।'
একদিকে পরিবহণ জ্বালানির (Petrol-Disel) দামবৃদ্ধি, অপরদিকে রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি। এই আবহেই এবার বাণিজ্যিক এলপিজি (Commercial LPG) গ্যাসের দাম বাড়ল ২৫০ টাকা। সিলিন্ডারপিছু আড়াইশো টাকা দাম বেড়ে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ২,৩৫১ টাকা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রতি মাস পয়লায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হয় দাম।
জানা গিয়েছে, মার্চে এক ধাক্কায় ১০৫ টাকা দামবৃদ্ধির পর বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দু’হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে বাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আর বাড়েনি। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল দিন কয়েক আগেই। মার্চে শেষবার সিলিন্ডারপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল দাম। বর্তমানে গৃহস্থ রান্নায় ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম প্রায় ৯৫০ টাকা।
অপরদিকে গত ৯ দিনে ১০ বার বেড়েছে পরিবহণ জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যদিও শুক্রবার এখনও পর্যন্ত এই জ্বালানির দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।
শনিবার অর্থাৎ ২ এপ্রিল থেকে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) উঠছে সমস্ত কোভিডবিধি (Covid Norms)। থাকছে না বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাও। ঘটনাচক্রে শনিবার মারাঠি নববর্ষ। তাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এবং রাজ্যকে ছন্দে ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে
করোনা বিধি তুলতে প্রায় দুই বছর পর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ উপস্থিত ছিলেন। তিনিই সংবাদ মাধ্যমকে এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে অবগত করেন। এদিকে, বিশ্বজুড়ে ফের শুরু হয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন 'স্টেল্থ ওমিক্রন'-এর দাপট। চিন থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া, ইংল্যান্ড সর্বত্র দেখা যাচ্ছে করোনার নয়া রূপ। হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রচুর ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিনের একাধিক প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে গত এক বছরের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চিনে। টানা কয়েকদিন ধরে নিম্নমুখী আক্রান্ত ও মৃত্যুতে স্বস্তি পেয়েছিলেন দেশবাসী। ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা গেলেও সংক্রমণ কিছুটা কমের দিকে। অন্যদিকে মৃত্যুসংখ্যাও কিছুটা নিম্নমুখী। তবে চিকিৎসকরা এখনই স্বস্তির কথা বলছেন না। ফের আসতে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গবেষকরা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ২২৫ জন। যা বুধবার ছিল ১ হাজার ২৩৩। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। বুধবার মৃত্যুসংখ্যা যেখানে ছিল ৩১ জন। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। অনেকটা কমেছে দেশের অ্যাক্টিভ কেস, পজিটিভিটি রেট। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৩ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ১২৯ জন
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩০৭ জন। যা আগের দিনের থেকে কম। যা মোট আক্রান্তের ০.০৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ০০৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
উদ্যোগপতি রতন টাটাকে ভারত রত্ন (Bharat Ratna to Tata) দেওয়ার আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সরকারকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘীর বেঞ্চ বলেছে, 'একজন ব্যক্তিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়ার নির্দেশ কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। সরকারকে তারা কোনওভাবেই এই নির্দেশ পাঠাতে পারে না।'
শুধু তাই নয়, এই মামলায় করা আবেদন নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি নবীন চাওলা বলেন, 'এটা কী ধরনের আবেদন? সরকারকে কেউ এভাবে নির্দেশ দিতে পারে?'
অন্তত অনুরোধ জানাক আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের কাছে পাল্টা সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সেই সওয়ালের পাল্টা আদালতের মন্তব্য, 'আপনি গিয়ে অনুরোধ করুন। কোর্ট কেন হস্তক্ষেপ করবে?'
এরপরেই আদালত সেই মামলা খারিজ করলে, আবেদনকারীর তরফে প্রত্যাহার করা হয় মামলা। হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে মামলাকারী রাকেশ দাবি করেছেন, 'দেশকে সর্বতোভাবে সেবা করছেন রতন টাটা। পাশাপাশি এই উদ্যোগপতির জীবনযাপন ছিমছাম। তাই তিনি ভারত রত্ন পাওয়ার যোগ্য।'
পাশাপাশি আবেদনে উল্লেখ, 'রতন টাটার জীবনযাত্রা দেশ তথা বিশ্বের একাধিক উঠতি উদ্যোগপতির কাছে উদাহরণ। উনি একজন নেতা এবং সফল উদ্যোগপতি।'
উত্তর-পূর্ব ভারতের আফস্পার আওতাভুক্ত এলাকার সীমা কমাল মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ বছর পর আফস্পার অন্তর্ভুক্ত এলাকার ভৌগোলিক সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানান অমিত শাহ।
তিনি বলেছেন, 'আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, উন্নয়নের জোয়ার, সন্ত্রাসবাদ রোধে একাধিক চুক্তির উপর ভর করে উত্তর-পূর্বে শান্তি ফিরেছে।' এই সাফল্যের জন্য উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়ে কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, আগে দশকের পর দশক ধরে এই এলাকা বঞ্চিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের পথে হাঁটছে।'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানতে পেরেছে, উত্তর-পূর্ব থেকে পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না আফস্পা। বরং জায়গা কমিয়ে ওই তিন রাজ্যের কিছু জায়গায় বলবৎ থাকবে।
আফস্পা আদতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে। আফস্পা অধ্যুষিত এলাকায় বাহিনী ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযান, তল্লাশি এবং গ্রেফতার করতে পারবে। কোনওভাবে অভিযান ব্যর্থ হলে আফস্পার অধীনে বাহিনী বিশেষ ছাড়ও পাবে। উপদ্রুত অঞ্চলে জঙ্গি মোকাবিলায় এই আইন কেন্দ্রের তরফে সেনা এবং আধা সেনাকে সাহায্য করতে কার্যকর।
আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যসভাকে (Rajya Sabha MP) বিদায় জানাবেন মোট ৭২ জন সাংসদ। সেই তালিকায় রয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদরা। শুক্রবার সেই ৭২ জনের উদ্দেশেই বিদায়ী ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Farewell Speech)। মোদী বললেন, 'সংসদ অর্জিত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিন। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত শিক্ষার দাম বেশি।'
জানা গিয়েছে, আগামী জুলাই পর্যন্ত এই ৭২ জন সাংসদের মেয়াদ রয়েছে। তাই বিদায়ী এই সাংসদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আবার আসবেন। এই হাউসে আমরা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি। হাউস আমাদের উপর অনেক অবদান রেখেছে, আমরা যতটা দিয়েছি তার চেয়েও বেশি।'
জানা গিয়েছে, এপ্রিলে কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা-সহ এ কে অ্যান্টনি, সুব্রহ্মনিয়ম স্বামী, এমসি মেরি কম এবং স্বপন দাশগুপ্ত বিদায় নেবেন। পাশাপাশি জুনে মেয়াদ শেষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সুরেশ প্রভু-সহ বিজেপির এম জে আকবর, কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, বিবেক তানখা, ভি বিজয়সাই রেড্ডির। আর জুলাইয়ে যাঁরা অবসর নেবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নকভি, পি চিদাম্বরম, অম্বিকা সোনি, কপিল সিব্বল, সতীশ চন্দ্র মিশ্র, সঞ্জয় রাউত, প্রফুল প্যাটেল এবং কে জে আলফোনস প্রমুখ।
এদিকে, বিদায়ী সাংসদদের সংবর্ধনা দিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তাঁর বাসভবনেই সেই অনুষ্ঠানে শুধু উচ্চ কক্ষের সদস্যরা আমন্ত্রিত। তাঁরাই অংশ নেবেন বিদায়ী সংবর্ধনার এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁরা মহাপাপী। বুধবার এই মন্তব্য করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar on alochol)। সম্প্রতি বিষমদ পান (Hooch Tragedy) করে মৃত্যুর ঘটনায় বারবার শিরোনামে এসেছে বিহার। সেই রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও, কীভাবে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা? সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ প্রকাশ করে নীতীশ কুমার বলেন, 'যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের আমি ভারতীয় মনে করি না। তাঁরা মহাপাপী।' বিষমদে মৃতদের পরিবারকে কোনওপ্রকার আর্থিক সাহায্য করবে না সরকার। এভাবেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
शराब पीने वाले @NitishKumar के अनुसार हिंदुस्तानी नहीं और वो महापापी और महाअयोग्य और उनके लिए कोई सहानुभूति नहीं @ndtvindia @Anurag_Dwary pic.twitter.com/bfTB4YU28w
— manish (@manishndtv) March 31, 2022
তাঁর মন্তব্য, 'মদ্য পান ক্ষতিকারক জেনেও তাঁরা পান করেন। ফলে এই দায় সম্পূর্ণ তাঁদের, সরকারের নয়।' উল্লেখ্য, প্রথমবার মদ পান আইনত অপরাধ, এই বিধিকে শিথিল করতে বুধবার বিহার বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে। সেই সময়েই এই মন্তব্য করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার পাশ হওয়া সংশোধিত আইনে প্রথমবার মদ খেয়ে ধরা পড়লে অভিযুক্ত জামিন পাবেন। অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটকে জরিমানা দিয়ে জামিন নিতে হবে। কিন্তু জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে একমাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত বছর প্রথম ছয় মাসে বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকেই ঘরে-বাইরে চাপে আছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিগো কাস্টমার কেয়ার (Indigo Customer Care) সুরাহা করতে না পারায় সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিজের হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ (Baggage shuffle) খুঁজে পেলেন এক যাত্রী। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সেই যাত্রীর নাম নন্দন কুমার। ট্যুইটার প্রোফাইলে উল্লেখ, তিনি একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার তথা ডেভেলপার। গোটা এই ব্যাগ অনুসন্ধানের পর্ব থেকে ব্যাগ হাতে পাওয়ার কাহিনী তিনি ধাপে ধাপে ট্যুইট করেন। যদিও ইন্ডিগোর তরফে দাবি করা হয়েছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত বিবরণ গোপন রাখা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এবং নন্দন কুমার কোনওভাবেই সংস্থার ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপস (Website Hack) করেননি।
Hey @IndiGo6E ,
— Nandan kumar (@_sirius93_) March 28, 2022
Want to hear a story? And at the end of it I will tell you hole (technical vulnerability )in your system? #dev #bug #bugbounty 😝😝 1/n
জানা গিয়েছে, রবিবার পাটনা-বেঙ্গালুরু ইন্ডিগোর বিমানে যাত্রা করেন নন্দন কুমার। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেই নন্দনের ব্যাগ এক সহযাত্রীর সঙ্গে বদলে যায়। এবং বাড়ি পৌঁছে সেটা বুঝতে পারেন নন্দন কুমার। যদিও এই ঘটনাকে 'উদ্দেশ্যহীন ভুল' বলে ট্যুইট করেন সেই ইঞ্জিনিয়ার। কারণ সামান্য ডিজাইন ছাড়া দু'জনের ব্যাগ প্রায় এক। এমনটাই ট্যুইট করেন নন্দন।
এরপরেই ব্যাগ ফেরর পেতে ইন্ডিগোর কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। নন্দন কুমার লেখেন, 'আমার সমস্যা শুনে সেই সহযাত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইন্ডিগো। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছে কাস্টমার কেয়ার।' এরপরেই ধৈর্য হারান তিনি। সেই প্রসঙ্গ ট্যুইটে উল্লেখ করে নন্দন লেখেন, 'দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও কাস্টমার কেয়ার কোনও সুরাহা করতে পারে না। এবং সেই সহযাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য দিতে অস্বীকার করে। শুধু বলে যায় সেই সহযাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ হলেই আপনাকে জানানো হবে।'
কিন্তু এরপর গোটা একটা রাত কেটে গেলেও, কোনও ফোন না আসায় তিনি নিজে মাঠে নামেন। এই প্রসঙ্গ ট্যুইটে উল্লেখ করে নন্দন কুমার লেখেন, 'প্রথমে আমি সেই সহযাত্রীর পিএনআর নম্বর দিয়ে ইন্ডিগোর ওয়েবসাইট থেকে যাত্রীতালিকা দেখা শুরু করি। যেহেতু আমার কাছে সেই যাত্রীর ব্যাগ ছিল, তাই ট্যাগ দেখে পিএনআর পেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু তাতেও কিছু হাতে আসেনি।' এরপরেই নিজের পেশাগত বিদ্যাকে কাজে লাগাতে উদ্যত হয়েছিলেন সেই ইঞ্জিনিয়ার।
তিনি লেখেন, 'ইন্ডিগো ওয়েবসাইটের ডেভেলপার উইন্ডো খুলে সেই সহযাত্রীর ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি উদ্ধার করি। এটাই ছিল আমার নিম্নমাত্রার হ্যাকিংয়ের মুহূর্ত। তারপরেই সেই সহযাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বাড়ি এবং আমার বাড়ির মাঝামাঝি এক জায়গায় সাক্ষাৎ করে আমরা ব্যাগ অদল-বদল করি। ভাগ্যক্রমে সেই সহযাত্রী খুব একটা দূরে থাকতেন না।'
তাঁর এই ব্যাগ উদ্ধারের কাহিনী উল্লেখের পাশাপাশি ট্যুইটে ইন্ডিগোর প্রতিও বার্তা পাঠিয়েছেন সেই ইঞ্জিনিয়ার। তিনি লিখেছেন, 'আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে সংবেদনশীল তথ্য বেরিয়ে এসেছে।' এরপরেই পাল্টা ট্যুইট করে সেই বিমান সংস্থা।
রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসা প্রসঙ্গে লোকসভায় বক্তব্য রাখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি নাম না করে বলেন, 'গণতন্ত্রে সবার লড়ার অধিকার রয়েছে। আপনারাও ত্রিপুরা- গোয়া যাচ্ছেন। আমরাও জিততে চাই কিন্তু খুন- ধর্ষণের রাজনীতি করে নয়।'
এভাবেই এদিন সংসদের নিম্নকক্ষে সরব হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Speaking in the Lok Sabha. https://t.co/4ZlYG05nuw
— Amit Shah (@AmitShah) March 30, 2022