দেশের স্বাধীনতা লাভের (Independence Day) ৭৫ বছর পূর্ণ হল। ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় (Red Fort) নবম বার জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) পক্ষ থেকে। লালকেল্লার আশেপাশের সমস্ত এলাকাতেও চালানো হয়েছে কড়া নজরদারি। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধিকে (Mahatma Gandhi) শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। নয়া দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট বক্তব্য রাখলেন তিনি।
এদিন ৭৬ তম স্বাধীনতা উদযাপনের মঞ্চ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দুটি বিষয়ের উপর সব চেয়ে বেশি জোর দেন। প্রথম, দুর্নীতি, দ্বিতীয়, পরিবারতন্ত্র। তিনি বলেন, মানুষ খেতে পারছেন না। অন্যদিকে, দুর্নীতিগ্রস্তরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়াবেন। এমনকি যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের সামাজিকভাবেও বয়কট করার কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি বলেন, ভারত 5G-র যুগে পা দিতে চলেছে। দেশে ৩০০ রকম অস্ত্র তৈরি করা হবে। জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া তাঁর সংকল্প। কিন্তু, জলের প্রতিটা ফোঁটা সংরক্ষণ করতে হবে। 'উন্নত ভারতে' বিনিযোগের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানান তিনি। নারীকে অপমান করা সমস্ত অপশক্তিকে শেষ করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পাণ্ডে, তাঁতিয়া টোপি, ভগত সিং, সুখদেব, চন্দ্রশেখর আজাদ,আসফাকউল্লা খান, রাম প্রসাদ বিসমিলের নামও উল্লেখ করেন। বলেন, দেশবাসী তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বছর লালকেল্লায় সমবেত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ফুটপাতের বিক্রিতাদের। অন্যদিকে, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রবিবার শুভেচ্ছা বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। “আমেরিকার অপরিহার্য সঙ্গী ভারত" বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে মহাত্মা গান্ধীর নাম। উল্লেখ করেছেন অহিংসা আন্দোলনের কথাও।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের (Maharashtra Cabinet) এক সপ্তাহের মধ্যেই দফতর বণ্টন করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (CM Shinde)। গুরুত্বপূর্ণ অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পেলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ডেপুটি দেবেন্দ্র ফড়নবিস (Devendra Fadanvis)। গত মঙ্গলবার শিন্ডে মন্ত্রিসভার জন্য ১৮ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছিলেন। শিন্ডে ক্যাম্পের ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছিল।
এবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিধায়ক রাধাকৃষ্ণ পাটিলের পেয়েছেন রাজস্ব দফতর। চন্দ্রকান্ত পাটিল পেয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতর। এদিকে, মহারাষ্ট্রে পালাবদল একমাস পেরিয়েছে। উদ্ধবের জায়গায় খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তাঁর ডেপুটি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। পাশাপাশি শিন্ডে সেনা এবং বিজেপি জোট সরকারের ৪০দিনের মাথায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগেও কোনও না কোনও আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তবে সবপক্ষকে হতাশ করে এই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি।
সেদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিয়েছেন শিন্ডে সেনার ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার প্রমুখ। রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলও।
মহারাষ্ট্রের ধনীতম বিধায়ক তথা মুম্বই শহর বিজেপির সভাপতি এমপি লোঢাও এই জোট সরকারের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও আছেন বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খারে, অতুল সাভের মতো গেরুয়া শিবির প্রভাবশালী নেতারাও। অন্য দিকে, শিন্ডে ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সাবন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এবার মন্ত্রী তিনিও।
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষে গোটা দেশ জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রাত পোহালেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে দেশবাসী। আর শেষ মুহূর্তের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে নেমে দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) জালে ধরা পড়ল দুই বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডজনখানেক ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport)। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রকের জাল রাবার স্ট্যাম্পও পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছ থেকে বলে অভিযোগ। রবিবার অভিযুক্তদের দিল্লির দ্বারকা এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে।
দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে প্রতিবারের মতো তল্লাশি চলছিল। রামপাল চক এলাকাতে অভিযানের সময় একটি বাড়ি থেকে মহম্মদ মুস্তাফা এবং মহম্মদ হুসেন শেখ নামে দু’জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি করে ১১টি ভুয়ো পাসপোস্ট-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং নোটারির জাল রাবার স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই পাসপোর্টগুলি বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিকের নামে তৈরি করা হয়েছিল।
জাল স্ট্যাম্পগুলি তাঁদের কাছে কীভাবে এল? তা জানার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিস। পাশাপাশি ধৃতরা এও দাবি করেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আগত ব্যক্তিদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। একথা কতটা সত্যি তাও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিস।
সোমবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। প্রতিবারের মতো এবারও দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় (Red Fort) স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে। ১৪ অগাস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চলেছেন নতুন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। অন্যদিকে ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লালকেল্লায় (Red Fort) ভাষণ দেবেন। তারপরে উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা লালকেল্লা এবং আশপাশের এলাকা। চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। তার মধ্যে বাধ সেধেছে বাঁদরের দল। অনুষ্ঠান চলাকালীন তারা যাতে কোনওরকম বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, তার জন্য ১৮ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও লালকেল্লা জুড়ে ১০ জায়গায় পাতা হয়েছে খাঁচা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি পুরনিগম ১০ জনকে নিয়োগ করেছে কেবল বাঁদর ধরার জন্য। বন দফতর থেকে আরও আটজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ১৮ জনের এই দল নজরদারি চালাবে। কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে যাতে কোনওভাবে বাধাবিপত্তি না আসে, তার জন্য প্রস্তুত প্রশাসন।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ উদযাপন। দেশে উড়বে ২০ কোটির বেশি জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বড় চমক কেন্দ্রীয় সরকারের। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লালকেল্লা ও তার আশেপাশে একাধিক স্তরে নিরাপত্তার বলয় গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিলেন। এর জেরে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। লালকেল্লার আশেপাশে বেশ কয়েকটি জায়গায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেতাজি সুভাষ মার্গ দিল্লি গেট থেকে চাট্টা রেল, লোথিয়ান রোড থেকে জিপিও দিল্লি চট্টা রোড, ফাউন্টেন চক থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত চাঁদনিচক রোড, রিং রোড থেকে নেতাজি সুভাষ মার্গ পর্যন্ত নিষাদ রাজ মার্গ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) যুবকের। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একের পর এক গাড়ির চাকা পিষে দিল যুবককে। জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car Accident) মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কয়েক ঘণ্টা দেহ পড়ে ছিল ওই দুর্ঘটনাস্থলেই। তখনই একের পর এক গাড়ি তাঁর উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল। দেহের মাংস-হাড় মিশে গিয়েছিল রাস্তায়। এমন পরিস্থিতি শেষমেশ বেলচা এনে দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করতে হয়েছে পুলিসকে। হাড়-হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে (Jaipur)।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার মাঝেই মধ্যরাত পর্যন্ত পড়েছিল যুবকের দেহ। কারোর চোখে পড়েনি। ফলে যুবকের দেহের উপর দিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি চলেছিল। রাত ২ টো নাগাদ এক পথচারীর চোখে পড়তেই পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে রাস্তা থেকে দেহাংশ বেলচার সাহায্যে তোলে। তারপর সেই দলা পাকানো দেহাংশ হাসাপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, এমনই বিকৃতি হয়ে গিয়েছিল দেহ চেনার কোনও উপায় ছিল না। তবে ওই যুবকের পোশাক এবং ডান হাতে থাকা বালার ছবি তুলে রেখেছে পুলিস, যাতে চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। এবং বিভিন্ন থানায়ও পাঠানো হয় সেই ছবি।
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চন্দ্রভাগা নদীর (Chenab River) উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (world's highest railway bridge)। এই সেতুর সোনালি জয়েন্ট (golden joint) উদ্বোধন করা হয়েছে শনিবার। ইস্পাতের তৈরি এই রেলসেতুটি তৈরি করছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ৩৫৯ মিটার বা ১ হাজার ১৭৭ ফুট উঁচু এবং এক হাজার ৩১৫ কিমি লম্বা এই রেলসেতু দিয়ে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার টন বা তারও বেশি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ১,৩১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে। হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ঝড় হলেও, সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরে রেল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সেতু তৈরি হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে।
ভূতত্ত্ব, কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের। Afcons-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালান বলেন, "আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেতুটি প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।"
ধনকুবের (Billionaire) রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala) ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস (Death) ত্যাগ করলেন। রবিবার সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন। ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন ভারতের নতুন বাজেট এয়ারলাইন আকাসা এয়ারের (Akasa Air) সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ভারতীয় শেয়ার বাজারের 'বিগ বুল' নামে পরিচিত রাকেশের একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
'ভারতীয় বাজারের ওয়ারেন বুফে'ও বলা হয় তাঁকে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন টুইট করে বলেন, “তাঁর মৃত্যু দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। ওম শান্তি।" তিনি আরও লেখেন, “রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা ছিলেন অদম্য প্রাণোচ্ছল একজন ব্যক্তি। বুদ্ধিমান এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি আর্থিক জগতে একটি অদম্য অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি ভারতের অগ্রগতি সম্পর্কেও খুব উৎসাহী ছিলেন।”
শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক নেতা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, “বিনিয়োগকারী, সাহসী, ঝুঁকি গ্রহণকারী, স্টক মার্কেট সম্পর্কে গভীর দক্ষ একজন নেতা। আমাদের বেশ কিছু কথোপকথন ভালোভাবে মনে আছে। ভারতের শক্তি ও সামর্থ্যের উপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ।"
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাকেশের। পরে তাঁর বড় হয়ে ওঠা মুম্বইয়ে। ১৯৮৫ সালে স্টক মার্কেটে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন রাকেশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টাকার অঙ্কটা বেড়ে হয় ১১ হাজার কোটি টাকা।
পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের। পড়ুয়ারা যাতে নকল করতে না পারেন তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। লখনউয়ে (Lucknow) তৈরি করা হবে ‘ওয়ার রুম'(War Room)। এ কথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী যোগেন্দ্র উপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে লখনউয়ের ওই ওয়ার রুমের সংযোগ থাকবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁদের সঠিক পারিশ্রামিক দেওয়ার কথা বলেন। সেপ্টেম্বর মাসে পরিচালন কমিটি ও অধ্যাপকদের মধ্যে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষা নীতি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন যোগীরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর। সেই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক(India Bangladesh relation) উন্নয়নের বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে অতিমারী(covid) পরবর্তী বিশ্বে সহযোগিতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল) উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড । ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
আর এর ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।
আগামী সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Independence day) উদযাপন। এ বছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা(National flag) দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra mODI) সম্প্রতি জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
প্রত্যেকবারের মতো লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার নজরদারি কড়া করা হয়েছে। দিল্লি পুলিসের(Delhi police) পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ভাষণ দেবেন তাঁর দিকে ঘুড়ি উড়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাই বাড়তি সতর্কতা দিল্লি পুলিসের। ৪০০ ঘুড়িবাজকে ভাড়া করা হয়েছে। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ছাদে তাদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে যদি কোনও ঘুড়ি উড়ে আসে, তখন ওই ঘুড়িবাজরা বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি কেটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে, লালকেল্লা এলাকার নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকছে ১০ হাজার পুলিসকর্মী। আশেপাশে বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হবে এবং নজরদারি চালনোর পাশাপাশি স্নিফার ডগও থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা আক্রমণ চালাতে পারে, দিনকয়েক আগেই দিল্লি পুলিসের কাছে এই গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল। তারপর থেকে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু হয়।
এদিকে, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতেই শুরু হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রীও।
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পর্বে। এবার উৎসবের মেজাজ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যাপক আয়োজনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই দায়িত্ব নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আবেদনে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা ঝলমল করছে। ব্যতিক্রম নয় এই রাজ্যও| এজেন্সির চাপ যতই থাক রেড রোড সেজে উঠছে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী গোড়ার দিন থেকে লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু থেকে এই ট্র্যাডিশন সামনে চলে এসেছে। এবার পালা ফের নরেন্দ্র মোদীর। শোনা যাচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাকি অনেক চমক থাকবে লালকেল্লায়| আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিদেশী বহু অতিথিকে। তেরঙ্গায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আলোর ঝলকানিতে লালকেল্লা।
স্বাধীনতা দিবসে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের একটা ভূমিকা ছিল কারণ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বকে আজও সম্মান জানানো হয়ে থাকে। প্রথম মন্ত্রিসভায় দু-একজন বাদ দিয়ে জওহরলাল সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দিরা জমানা অবধি সেই ট্র্যাডিশন বজায় ছিল। অবশ্য তারপর বেশিরভাগ নেতাই প্রয়াত হয়েছিলেন বয়সজনিত কারণে।
১৯৭২-এ স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছিল ধুমধাম করে। কারণ তখন সদ্য পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ গঠন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। কিন্তু এরপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনের সরকারি দায়িত্বে ছিল না কংগ্রেসের। কারণ সেই সময় কেন্দ্রে প্রধান শাসক দল হাত শিবির নয়। এবারও কংগ্রেসের ভূমিকা থাকছে না, দায়িত্বে যেহেতু বিজেপি সরকার।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কারও উৎসব পালনে আপত্তি ছিল না। বামেরা মনে করতো এই স্বাধীনতা মিথ্যা, তারা বলে ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। আজ অবশ্য বিভিন্ন বামপন্থীরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন স্কুলে এবার আবার ৭৫ বছর উপলক্ষে বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেটের যুগেও স্বাধীনতা, পূর্ণ স্বরাজ, মাত্রভূমি এবং দেশ মানে নিজের সবকিছু এসব মনে করিয়ে দেওয়ার একমাত্র গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারের।
'সীমান্ত সমস্যা (Border Problem) না মিটলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়', চিন প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। "ভারত তার অবস্থানে অটল রয়েছে। চিন (China) যদি সীমান্তে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তার প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের উপরই পড়বে। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। যতক্ষণ না সীমান্ত সমস্যা মিটছে, তা স্বাভাবিক হওয়া সম্ভবও নয়।" শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিদেশমন্ত্রী (External Affairs Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এ কথা বলেন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের প্রকল্প 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' (one belt one road) নির্মাণের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। এমন পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
বিদেশমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ভারত নিজেদের অবস্থানেই অনড়। চিন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০-তে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) বা এলএসি সংলগ্ন এলাকায় আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। বছর দুয়েক কেটে গেলেও মেটেনি সমস্যা। বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। পাশাপাশি, চলতি মাসেই তাইওয়ানে আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন (China)। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে (Island State) ৬দিক থেকে ঘিরে রেখে টানা ৪ দিন ধরে সামরিক মহড়া চালায় লালফৌজের দল। সেই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
ফের পিটবুল (Pitbull Dog) কুকুরের 'হিংস্র' আক্রমণের ঘটনা লখনউয়ে (Lucknow Incident)। এবার তার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মুন্নি নামে এক তরুণী। জানা গিয়েছে, হাঁটতে বেড়িয়ে এই ঘটনা ঘটায় বিনীত চিকারার পোষ্য পিটবুলটি। পুলিসকে অভিযুক্ত কুকুরের মালিক বিনীত জানিয়েছেন, যে মাঠে পোষ্যকে নিয়ে তিনি হাঁটছিলেন, সেই মাঠেই হাঁটছিলেন পেশায় পরিচারিকা মুন্নি। কোনওভাবে পিটবুলটির গলার চেন ঢিলে হয়ে যাওয়ায় সে ওই তরুণীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে মুহূর্তে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে ওই তরুণীর শরীর। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আক্রান্ত মুন্নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পিটবুলটির মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। জানা গিয়েছে, যে আবাসনের ঘটনা, সেখানে রান্নার কাজ করতেন মুন্নি।
তবে পুলিসের সন্দেহ, বিনীত তাঁর কুকুরকে মুন্নির দিকে লেলিয়ে দিতে পারে। তদন্তে সেদিক খতিয়ে দেখছে তাঁরা। তার জন্য মুন্নির বয়ান রেকর্ড জরুরি বলে মনে করছেন পুলিসকর্তারা।
জাতীয় এক সংবাদসংস্থাকে লখনউ পুলিসের কর্তা প্রীতপাল সিংহ সঙ্গওয়ান বলেছেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। আইন অনুযায়ী দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এদিকে গত জুলাইয়ে লখনউয়ের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকার উপর হামলা চালিয়েছিল পোষ্য পিটবুল। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি। সেই ঘটনার একমাসের মধ্যেই ফের পিটবুলের নৃশংসতার শিকার এক তরুণী, ঘটনাস্থল সেই লখনউ শহর।
যদিও প্রথম আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্ত পিটবুলকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে লখনউ পুরসভা। মৃতার ছেলে অমিত ত্রিপাঠী, তাঁর আদরের পিটবুলকে নিজের কাছে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো লখনউ পুরসভা কিছু শর্ত প্রয়োগ করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয় তাঁর পোষ্যকে। অমিত কুকুরের যত্ন নেবেন বলে লিখিত সম্মতি দেন। এর পরই এলএমসি আধিকারিকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এখন দেখার মুন্নিকে আক্রমণে অভিযুক্ত পিটবুলের ভবিষ্যৎ কী?
দেশের মাটিতে স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার আনন্দ। যুদ্ধ, আন্দোলন, অন্যায় অত্যাচার, সহস্র প্রাণের বলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট। এ বছর আবার সেই স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব অর্থাৎ ৭৫তম বর্ষ (75th Independence Day)। সে উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির স্থাপন এবং উল্লেখযোগ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৫১ জন পুলিসকর্মীকে (Police) এই পদক দেওয়া হবে বলে জানায়। ১৫১ জনের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ২৮ জন। এই তালিকায় রয়েছে বাংলার ৮ পুলিসকর্মী। আর সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ১৫ জন সিবিআই (CBI) আধিকারিকের নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিস (Maharastra Police)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি সুপার, ইনসপেক্টর রয়েছেন। কয়েকজনের নাম-- নয়াদিল্লির সিবিআই শ্রী সুরেন্দর কুমার রোহিলা, ভাদৌরিয়ার সিবিআই শ্রী প্রমোদ কুমার, গান্ধীনগরের শ্রী সন্দীপসিং সুরেশসিংহ, শ্রী কুমার ভাস্কর, কলকাতার শ্রী দীপক কুমার, ইন্সপেক্টর, সিবিআই।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের তরফ থেকে সম্মান পাবেন ১২ জন আইপিএস। রেড রোডের মঞ্চ থেকেই আইপিএসদের সম্মান তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চিফ মিনিস্টার পুলিস মেডেল' নামে এই সম্মান আইপিএসদের তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্মান প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। হাওড়ার পুলিস কমিশনার। কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার। ডিআইজি র্যাঙ্কের দুই আইপিএস অফিসার। এছাড়াও ডিআইজি এবং এডিজি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকদের তুলে দেওয়া হবে সম্মান।